ইরাবতীর মুখোমুখি কবি, চলচ্চিত্র সমালোচক অদিতি বসুরায়
চলচ্চিত্র সমালোচনা ও সাম্প্রতিক বাংলা কবিতার সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁদের কাছে অদিতি বসুরায় খুব পরিচিত নাম। অদিতি বসুরায়-এর মুখোমুখি হয়েছিলেন শৌনক দত্ত। জানা অজানা অনেক কথা উঠে এসেছে সেই আলাপচারিতায়। অনেক বিষয়ে তিনি আলো ফেলেছেন। কথা বলেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষের সাথে চার বছর কাজ করার গল্প ও আরো অনেক বিষয় নিয়ে। এর আগে এভাবে অদিতি বসুরায় কে জানা বা চেনা যায়নি।
শৌনক দত্ত: তোমাকে যতটা জানি বসিরহাটে জন্ম তোমার, বাবা মা দুজনেই সরকারি চাকরি করতেন, দাদা তখন পড়াশুনা করেন কলেজে।সম্ভবত অষ্টম শ্রেণীতে তুমি, মারা গেলেন জ্যাঠতুতো দাদা। তার কিছুদিন পরেই মামা। মনের কষ্ট গুলো লিখে রাখতে শুরু তখন খাতায়। কবিতা ভেবে নয় কেবলই নিজেকে বলা কিংবা না বলতে পারা কথাগুলো লেখা সেই দিনগুলোর কথা শুনতে চাই। প্রথম কবে জানলে আদতে তুমি কবিতা লিখছো?
অদিতি বসুরায়: যে সময়ের কথা বলছো, তখন কবিতা লিখেছি অসচেতনে। কোনও বিষাদ থেকে একেবারেই নয়। আমি খুব পড়তাম- সারাদিন বই থাকতো সঙ্গে। এমনকী খাওয়ার সময়েও। আমি যে কবিতা লিখছি – ক্লাস ইলেভেনের আগে বুঝি নি। নিজেকে বলা কথা নয় – যা সবাইকে বলতে চাই সে সব কথা লিখে রাখতাম ডায়েরিতে। নিয়মিত ডায়েরি লিখতাম তখন। একা একা কত কী করতাম – স্ক্র্যাপ বুক তৈরি করেছিলাম। ছবি আঁকতাম আর গান শুনতাম খুব। এই সময়ে যে সব মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছিল – সেগুলো বোবা অন্ধকারের মত সঙ্গে রয়ে গেছে আজও। পরে লিখেছি সেগুলো নিয়ে।
কবিতা নাকি গদ্য কোনটা বেশি প্রিয়? কেন?
অদিতি বসুরায়: গদ্য লিখতে বড্ড ভালবাসি! বরাবর দেখেছি, গদ্য যা ভেবে লেখা শুরু করেছি, সেই ভাবনা ক্রমাগত বাঁক নিয়েছে। সেই সব ব্যাপারগুলোতে নিজেই বিস্মিত হয়েছি – এই বিস্ময় কবিতা লিখতে বসে পাই নি।
কবিতা লেখার সময় লেখার ক্ষেত্রে বিষয়, কাঠামো, ইমেজারি, ভাষার বিশেষ গঠন (কন্সট্রাকশান) এবং প্রকাশভঙ্গি এসবের কোনটিকে তোমার গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়? নিজস্ব কোনো নির্মাণকৌশল ব্যবহার কর কি?
অদিতি বসুরায়: লেখার ক্ষেত্রে প্রকাশভঙ্গীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি আমার কাছে। আমি কী বলতে চাই – তাকে প্রকাশ করতে না পারলে লেখা ব্যর্থ মনে হয় আমার। নিজস্ব নির্মাণ কৌশল বলতে যা হাতে থাকে – তা হল, শব্দ ব্যবহার। শব্দের চেয়ে শক্তিশালী কিছু হয় না। খুব সাবধানে আর আদর করে শব্দ নির্মাণ করতে হয়।
একজন কবির কবি হয়ে ওঠার পেছনে কোনরকম প্রস্তুতি জরুরী মনে কর কি? করলে সেই প্রস্তুতিটা কেমন হওয়া উচিত বলে মনে কর?
অদিতি বসুরায়: কবি হওয়ার জন্য কাব্য-প্রতিভা ছাড়া অন্য কিচ্ছু প্রয়োজন নেই। তবে সেই প্রতিভাকে শান দেওয়ার জন্য দরকার পড়া। পূর্ব ও সমসাময়িক কবিদের লেখা না পড়লে কিছুতেই লেখক হওয়া যায় না। পড়া ছাড়া লেখা – অসম্ভব। পড়াই সেই চর্চা, যা না থাকলে কবির আত্ম – অন্বেষণ সম্পূর্ণ হতে পারে না।
স্কুল জীবনে প্রথমবার এসেছিল প্রেম। প্রেমের চিঠিতে কবিতা লিখতে তুমি। সেই প্রেমিক মন চুরির সাথে সাথে তোমার লেখা কবিতা নিজের নামে ছাপিয়ে দিল একটি লিটল ম্যাগাজিনে। এমন কোনো ক্ষত’র কথা মনে পড়ে, যা এখনও প্রতিনিয়ত তোমাকে যন্ত্রণা দেয়?
অদিতি বসুরায়: যে ঘটনার কথা বললে, তা শুনলে এখন খুব হাসি! ক্ষত এসব নয় ! সময়ের পলিতে ক্ষত সেরে ওঠে। এখন যা যন্ত্রণা দেয় , তা হল, আয়ু কমে আসছে – দিন কমে আসছে – কত লেখা হল না। কত সময় নষ্ট হয়েছে এবং হচ্ছেও। এই সব বড় বিষণ্ণ করে দেয় আজকাল। একটা আশ্চর্য ভিসিয়াস সার্কেলে ঘুরে মরে আয়ু কাটাচ্ছি – এ বড় কষ্টের কথা।
২০০৫ এ দেশে পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের চার বছর পরে ২০০৯ সালে সুনীলদার সম্পাদনায় কৃত্তিবাস থেকে এলো তোমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ব্যাকরণ মানিনা তারও বছর খানেক পরে ২০১০–১১ তে এলো আনন্দ পাবিশার্স থেকে ১৫৭ রকম মিথ্যে। বছর খানেক ব্যাবধানে দুটি বই কিন্তু একদম ভিন্ন দুটি স্বর ও চিত্রকল্প খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি তোমার লেখার বাঁক পরিবর্তন নাকি তুমি পরিকল্পনা করে দুটি বইয়ের কবিতাকে সাজিয়েছো?
অদিতি বসুরায়: একেবারেই না। যে সময় যা এবং যেভাবে লেখা এসেছে- সেভাবেই লিখেছি। পরিকল্পনা করার প্রশ্নই নেই।
তুমি কি মনে কর রাজনীতি ও সংস্কৃতির প্রত্যক্ষ উপস্থাপনা কবিতাকে বিনষ্ট করে?
অদিতি বসুরায়: রাজনৈতিক সচেতনতা না থাকলে সামাজিক বোধ গড়ে ওঠে না। আর কবি যে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে থাকেন, তার কিছু প্রভাব লেখায় থাকেই। কিন্ত এই রাজনীতি অর্থে, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার কথা বলছি না। রাজনৈতিক ধারণা যদি সুস্পষ্ট থাকে – তবে লেখাতেও সেই চিন্তা প্রতিফলিত হয়। আমরা আদতে সবাই রাজনৈতিক মানুষ – এবং সাম্যবাদের স্বপ্ন যদি কবিতায় দেখি, তাতে তো অসুবিধার কিছু নেই। বরং রাজনীতি ও কবিতা – এই দুটিকে বাইনারি হিসেবে দাঁড় করানোতেই আমার আপত্তি আছে।
প্রতিটি কবিতার পেছনে কোনো–না–কোনো গল্প থাকে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো প্রণোদনা থাকে। সাড়ে তিনটার উড়োজাহাজ কবিতা বইটির কবিতাগুলোর পেছনে হয়ত একটা গল্প আছে। সব চিঠি প্রকাশিত বইটির কবিতাগুলোর পেছনের গল্প কী?
অদিতি বসুরায়: সব চিঠি প্রকাশিত বইটির উৎস বেদনা। এক অপ্রতিরোধ্য বিচ্ছেদ সেই সময় আমাকে আপাদ-মস্তক মেরে ফেলছিল – সেই সঙ্গে পেশাগত জায়গার অনিশ্চয়তা, অসাম্য সব মিলিয়ে জীবনের এক অন্যতম বিষণ্ণ পথে দাঁড়াতে হয়েছিল। সব চিঠি প্রকাশিত, সেই সব বিষণ্ণতার দলিল। সেই সময়ের অস্থিরতা ধরা পড়েছে এই বইয়ের লেখাগুলোতে। তীব্র শোক, বিচ্ছেদের অভিঘাতের ক্যাথারসিস এই বই।
একজন কবির পাঠকের কাছে পৌঁছানো কতটা জরুরি?
অদিতি বসুরায়: কবির কাছে পাঠক-ই ঈশ্বর। একবার লেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, কবিতা রওনা দেয় পাঠকের অভিমুখে। তিনি যেভাবে কবিতাটিকে গ্রহণ করেন, তা অনেক সময়েই কবির মননের সঙ্গে মেলে না – সেই না মেলা থেকেই কবিতাটির নতুন যাত্রা প্রাপ্তি ঘটে।
তোমার সমকাল এবং পরবর্তী দশকগুলোতে বাংলা কবিতার পরিবর্তনটা কিভাবে দেখো?
অদিতি বসুরায়: বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে কেন যে কোনও পরিবর্তনকেই আমি স্বাগত জানাই। যে কোনও শিল্প-ই এগিয়ে যায় পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে। এবার সেই পরীক্ষা –নিরীক্ষা স্থায়ী হবে কি না তা বিচার করবে সময় – তাই কবিতার ভাষা ব্যবহার এবং উপস্থাপন যেভাবে পালটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তা আমার কাছে আনন্দের।
তোমার কবিতা যাপন মুহূর্ত বা রচনার মুহূর্ত জানতে ইচ্ছে করে…কবিতায় তোমার নিবিষ্ট যে ভ্রমণ… একান্ত যে বিচরণ সেগুলোর কথা।
অদিতি বসুরায়: কবিতা তীব্র আনন্দ থেকে লিখি – খুব বিষাদেও যদি লিখতে পারি, তবে তা হয়ে ওঠে মোক্ষণ। ইংরিজিতে যাকে বলে ক্যাথারসিস। এইটাই আমার লেখার চালক ও ধারক। যে সব দুঃখ, আনন্দের কারণ কোথাও বলতে পারি না – সে সব লেখায় মুক্তির পথ খুঁজে পায়। আমি একা ঘুরতে ভালবাসি। গঙ্গার ঘাট, কলকাতার আনাচ কানাচ, পাহাড়, জঙ্গল – ফিরে এসে লিখি। দেখি কত কিছু – সেই সব লিখি। লেখার চেষ্টা করি।
কাব্যরচনা তো একটা চ্যালেঞ্জ তা সেটা কতটা প্রতিভানির্ভর,কতটা প্রস্তুতিনির্ভর বলে মনে কর?
অদিতি বসুরায়: আমার মনে হয় এ পুরোপুরি প্রতিভা-নির্ভর।
প্রতিটি শিল্পের সাথে যাপন মিশে থাকে, জীবনের অভিজ্ঞতা থাকে–তোমার কী রকম? কবিতায় তোমার যাপন কতটা পায় পাঠক?
অদিতি বসুরায়: কবিতায় আমি-ই থাকি। একমাত্র আমার সমস্ত সত্যি ও মিথ্যে একাকার হয়ে যায় এখানে।
টানা গদ্যে লেখা কবিতা নিয়ে তোমার ভাবনা কী? অনেকে এ ধরনের কবিতাকে কাব্যিক দুর্বলতা ঢাকার উপায় বলে ধরে নেন… এ ব্যাপারে তোমার মন্তব্য শুনতে চাই।
অদিতি বসুরায়: দুর্বলতা হতে যাবে কেন? গদ্য কবিতা বরং কবিতাকে মুক্তি দেয়। ছন্দের বন্ধন থেকে কবির স্বতঃস্ফূর্ততা ফুটে ওঠে।
কবি অদিতির একটা অন্য পরিচয় আছে সিনেমা সমালোচক। সিনেমা প্রেম কিভাবে এলো জীবনে?
অদিতি বসুরায়: সিনেমা নিয়ে লিখতে দিয়েছিলেন আমাকে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। সেই শুরু–সেখান থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ, চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে ছবি দেখা শুরু করি। বিদেশে থাকাকালীনও প্রচুর ছবি দেখেছি। এখন সিনেমা ছাড়া জীবন ভাবতে পারি না।
ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছো কেমন ছিলো সেই দিনগুলো?
অদিতি বসুরায়: খুব দীর্ঘ নয় – মাত্র বছর চারেক। সেই সব দিন আমার সম্পদ। কাজের জায়গাও অমন আনন্দ আর কোথাও পাই নি। বিকেলগুলোতে আমরা হ্যান্ডবল খেলতাম ছাদে। মুড়ি, এগ রোল, ডিমের ডেভিল, মোগলাই পরোঠা আনানো হত নিয়মিত। আমরা হইহই করে কাজ করতাম। বকা খেতাম। কিন্তু নির্মল এক আবহাওয়া পেয়েছিলাম সেখানে। আজীবন মিস করবো ওই সব দিন।
তোমার চোখে ঋতুপর্ণ ঘোষ,বিশেষ কোন ঘটনা যেটা মনে পড়ছে নামটা শোনার সাথে সাথে।
অদিতি বসুরায়: হীরের আংটি ছবিটার কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে এক অকালে চলে যাওয়া অসামান্য প্রতিভাবান যুবকের কথা – যিনি জীবনে ও সিনেমায় দুরন্ত বাঁক বদল এনেছিলেন স্পর্ধার সঙ্গে।
আর্টহাউজ বা সমান্তরাল এবং বাণিজ্যিক এই দুই ধরনের সিনেমার সুস্পষ্ট অস্তিত্ব আছে তুমি কি মনে কর সমান্তরাল ছবি ছবির বানিজ্যিক দিকটাকে পরাভূত করে টিকে থাকতে পারবে?
অদিতি বসুরায়: পরাভূত করার প্রশ্নই আসে না। এই দুই ধারাই সমান্তরাল ভাবে থাকে চিরকালই। বাণিজ্য হোক বা না হোক ছবির বক্তব্য যদি সটান বলা থাকে, তবে তা রয়ে যাবে। সিনেমার ইতিহাস এটাই বলে।
অবশ্যম্ভাবীভাবে যৌনতা হলেও আমাদের চলচ্চিত্রে যৌনতাকে অশ্লীলতার সমার্থক হিসাবেই দেখা হয় কেন?
অদিতি বসুরায়: কেন দেখা হয় – তা আমি বলতে পারবো না। যৌনতা মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা – চলচ্চিত্রে তাকে দেখে কেন লোকে ছি ছি করে আমি জানি না। তবে এক্ষেত্রে উপমহাদেশের রক্ষণশীল মানসিকতা এ জন্য দায়ী।
আরো পড়ুন: ইরাবতীর মুখোমুখি লেখক ও গবেষক রোহিণী ধর্মপাল
আমাদের উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নতির জন্য কি করা উচিত বলে মনে কর?
অদিতি বসুরায়: আমি মনে করি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যথেষ্ট উন্নত এবং আমার পরামর্শের জন্য কেউ বসে নাই।
কবি ও চিত্রপরিচালক অদিতি বসুরায় কে কি কখনো দেখবো?
অদিতি বসুরায়: ইচ্ছে আছে একটা ছবি নির্মাণ করার। কবে তা পেরে উঠবো জানি না।
তোমার প্রিয় বই? যা সব সময় কাছে রাখতে চাও?
অদিতি বসুরায়: ছিন্নপত্রাবলী।
প্রিয় ব্যক্তিত্ব?
অদিতি বসুরায়: অনির্বাণ ভট্টাচার্য , অপর্ণা সেন
প্রিয় কবি?
অদিতি বসুরায়: শঙ্খ ঘোষ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়
প্রিয় কবিতা?
অদিতি বসুরায়: শান্তিকল্যাণ ( জয় গোস্বামী)
প্রিয় লেখক?
অদিতি বসুরায়: বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, বানী বসু, প্রচেত গুপ্ত, হুমায়ুন আহমেদ
প্রিয় উপন্যাস?
অদিতি বসুরায়: পার্থিব , দৃষ্টিপ্রদীপ
প্রিয় সিনেমা?
অদিতি বসুরায়: দ্য কালার পার্পল, পথের পাঁচালি
প্রিয় পরিচালক?
অদিতি বসুরায়: স্টিভেন স্পিলবার্গ, গুলজার, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য
ভবিষ্যতে কি মানুষ কবিতা লিখবে–পড়বে? কবিতার কি আর প্রয়োজন হবে ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে?
অদিতি বসুরায়: যে কোনও বিশুদ্ধ শিল্প-ই তো কবিতা। কবিতা বাদ দিলে মেঘ – রোদ বিদায় নেবে দুনিয়া থেকে।
কবি ও কথাসাহিত্যিক। জন্ম ৭ আগস্ট, উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। সম্পাদনা করেছেন বেশ কয়েকটি সাহিত্য পত্রিকা এবং ওয়েবজিন। বর্তমানে ইরাবতী ডেইলি ওয়েবজিনের সাথে যুক্ত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : জল ভাঙে জলের ভেতর [২০১১], ঠোঁটে দাও জ্যোৎস্নার বিষ [২০১২], ডুব সাঁতার [২০১৭], নিরুদ্দেশ গাছে সন্ন্যাসীর মুখ [২০১৭]। গল্পগ্রন্থ : কারুময় খামে অচেনা প্রেম [২০১২]। উপন্যাস: ইতি খন্ডিত জীবন [২০২২]। প্রবন্ধ সংকলন: মাটির গন্ধ [২০২২]। সম্পাদনা গ্রন্থ: দুই বাংলার সাম্প্রতিক গল্প [২০২২] ।
শখ বইপড়া, লেখালেখি, ছবিতোলা, গান শোনা ও ভ্রমণ। বেশ কিছু গানও লিখেছেন তিনি।
ভালো লাগল প্রশ্নোত্তর