তৃতীয় বর্ষপূর্তি সংখ্যা গল্প: আমার জন্ম । নাসরীন জাহান
আমার চতুর্থ বোনটির জন্মের পর আমার বাবা ওই টুকুন নবজাত শিশুকে পাঁজাকোলা করে অন্ধকার উঠোনে ছুড়ে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন।
আমার মা ছিলেন চূড়ান্ত অবলা নারী। দ্বিতীয় বোনটির জন্মের পর বাবা তার চেহারা দেখেন নি। তিনি কিছুতেই চাইতেন না, এই সংসারে আর কোনো শিশুর জন্ম হোক। নিজে ছিলেন ভবঘুরে, সারা জীবনে তিনি তেরোবার চাকরি ছেড়েছেন। এর মধ্যে একবার তহবিল তছরুপের অপরাধে জেলও খেটেছেন। ওইসব সময়গুলোতে মা সংসার ছেড়ে তাঁর কন্যাদের নিয়ে বাপের বাড়িতে এসে উঠতেন। বাবা প্রায়ই লাপাত্তা। অনেক পথ ঘুরে, জঙ্গল-অরণ্য-ক্ষুধা সব পেরিয়ে মা-কে এসে বলতেন, ভাত দাও।
এই সবই আমি মা’র মুখ থেকে শুনেছি।
বাবার পাতে সেই ভাত বাড়ার ভঙ্গির মধ্যে থাকত এমনই মায়ের অভিব্যক্তি, যেন মানুষটি সবে অফিস থেকে এসেছেন। মা’র যেন সূর্য কপাল, তিনি হারানো মানুষকে ফিরে পেয়েছেন।
এক রাতে বাতি চলে গিয়েছিল। বৃষ্টি পড়ছিল চাপা কণ্ঠে, ফিসফিসিয়ে। মা, বাবার কপাল টিপতে টিপতে জানালেন গর্ভে তৃতীয় সন্তান জন্মের কথা। তখনো শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয় নি। মা-কে বাবা বেদম মেরেছিলেন। এরপর শিশুটির অকাল মৃত্যু হলে বাবা ফের নিরুদ্দেশ। মা’র ভাইকে তিনি নির্লজ্জ কণ্ঠে জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তিনি আর সহবাস করবেন না। এরকম উর্বর সহজলভ্য মাটিকে শায়েস্তা করার তার আর কোনো পথ নেই। তৃতীয় শিশুটির ভ‚মিষ্ঠের আগে ওটাকে নষ্ট করার জন্য বাবা কবিরাজের কাছ থেকে নানা রকম বিষাক্ত গাছ গাছড়ার রস মা-কে খাইয়েছিলেন। মা-কে বিয়ে করে তার জীবন ছিন্নভিন্ন কোনো-একটা প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে এরকম ভাবতে ভাবতে তাঁর চোখে রক্ত এসে যেত।
কিন্তু ওসব ওষুধে যখন তৃতীয় শিশুটি গর্ভেই মরল না মা’র প্রতি তাঁর প্রত্যাশা শূন্য অক্ষরে নেমে এসেছিল। এইসব যন্ত্রণার চাপে হতবিহ্বল মা বাবাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, আরেকটা বিয়ে করার জন্য। একথা শুনে বাবার অগ্নিমূর্তি দেখে কে ? তাঁর অভিমত ছিল, পৃথিবীর সব নারীই এক একসঙ্গে শুলে বাচ্চা এসে যায়। তখন এদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি তেমনভাবে প্রচার পায় নি। মা খুঁজলেন কীভাবে কী করা যায়, নিরুদ্দেশ বাবা যদি ফিরে এসে ফের দেখেন, আরেকটি শিশু আসছে, তাহলে তিনি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন ?
আমার নানা ছিলেন দরিদ্র। আমাদের চার বোনের দায়িত্ব নিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হতো, এর মধ্যে ছিল মামা মামিদের গঞ্জনা।
সব সময় মা নিঃশব্দে সংসারের কাজগুলো করে যেতেন।
বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার ছ’ মাস পেরোনোর পর মা যখন বুঝলেন, গর্ভে আর কোনো সন্তান আসে নি, বাবাকে কেন্দ্র করে তাঁর দুশ্চিন্তার ভার একেবারেই নেমে গিয়েছিল।
আমার চতুর্থ বোনটি, যাকে বাবা নিক্ষেপ করেছিলেন অন্ধকার উঠোনে। তখন তার জান বাঁচাতে হাসপাতালে মা’র সে-কী অমানুষিক ভোগান্তি। সেখানে গিয়েও বাবা দাঁত কিরমির করতেন, কেন এরকম একটি অপাঙতেয় শিশুকে বাঁচানোর জন্য মা উঠে পড়ে লেগেছেন। আসলে ভেতরে ভেতরে মা হিংস্র এক জেদি পশু। ওপরের নিঃশব্দতা দিয়ে জান্তব বোধগুলো চেপে রেখেছেন। যে সন্তানকে বাবা দেখতে পারছেন না তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা মানে মা’র চূড়ান্ত ধৃষ্টতা। বিষয়টিকে বাবা এভাবেই নিয়েছিলেন।
যথারীতি মা নিশ্চুপ।
একমনে নিজের কাজ করে যেতেন। আমার দ্বিতীয় বোনটি জন্মের কয়েকদিন পরে মারা গেলে মা লুকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদতেন। এরপর সহজ হয়ে সুপারিগাছের সমান্তরাল সারির দিকে চেয়ে ভাবতেন, এ কোন দুনিয়াতে আমরা বাস করছি, যেখানে জন্মে কোনো আনন্দ নেই, মৃত্যুতে শোক নেই ? ভাবতে ভাবতে টের পেতেন ঘুঘু ডাকছে, সুপারিগাছগুলো ফিরে পেয়েছে ভাষা। কোমল এক বুনো বাতাস মাথার ওপর দিয়ে সাঁই সাঁই চলে যাচ্ছে।
তিনি সেই ঘাসের ওপর প্রচণ্ড অবসাদে ঘুমিয়ে পড়েন।
একদিন অতিষ্ঠ নানি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছিলেন, এতই যদি তোর সন্তানে অনীহা, তবে তুই স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় রাত কাটাস কেন ?
নিরুদ্দেশ স্বামীর পথ চেয়ে মা’র মনে কত কী যে চিন্তা ভর করে। কেউ কেউ বুদ্ধি দেয় তালাক দেওয়ার জন্য। এই প্রসঙ্গেই মা’র অন্তরাত্মা হিম হয়ে আসত। এই কন্যাদের মাথার ওপর কোনো ছায়া থাকবে না ? ওদেরকে বিয়ে দিতে হবে না ?
তারপর ?
এই শব্দের ওপর নাচে ছায়া, তরঙ্গ তোলে রোদ্দুর, বিভ্রম ছাড়া সামনে কিচ্ছুটি নেই। ঢেঁকিতে পাড় দিতে দিতে ক্লান্ত অবসন্ন মা কেবলই ভাবেন, এইবার নিরুদ্দেশ স্বামী ফিরে এলে তিনি কোন প্রক্রিয়ায় তাঁকে বিছানায় পাশ কাটাবেন!
ততদিনে আঘাতজনিত অসুখ কাটিয়ে আমার চতুর্থ বোন ডগোমগো হয়ে উঠেছে। এদিকে সংসারে খাদ্য, বস্ত্র, পড়াশোনা এসব খরচে মা’র প্রাণ ওষ্ঠাগত। এক পর্যায়ে মা ভাবলেন, কন্যাটিকে কোথাও দত্তক দেবেন। অনেক খুঁজলেন, সবাই ছেলে শিশু চায়। পৃথিবীর কোথাও এই কন্যার মূল্য নেই।
এক জায়গায় খবর পেয়ে তিনি নিজেই ছুটে গিয়েছিলেন, সারা গ্রামের তল্লাট মাড়িয়ে যথাস্থানে গিয়ে শুনলেন, ওরা এত ছোট বাচ্চা চায় না। নবজাতকের ভোগান্তি পোহানোর মতো সেখানে কেউ নেই। ফিরে এসে মা একটা বট গাছের নিচে বসেন। মুড়ি আর গুড় চিবোতে চিবোতে তিনি নতুন চোখে পুরোনো দৃশ্যটি দেখেন। কিছু দূরের একটি কুঁড়েঘর থেকে বেরিয়ে আসছে একটি গাভী। কী তার কান্না! গত রাতেই তার ছেলেটি মারা গেছে। সে গভীর দুঃখে মুহ্যমান! দুধ দিচ্ছে না। কেউ কাছে গেলেই এলোপাতাড়ি লাত্থি দিচ্ছে। মা অদ্ভুত চোখে দেখেন, মৃত গাভীটির বাচ্চার ভেতরে খড় ঢুকিয়ে নানা কায়দায় ওকে ওর মায়ের কাছে দাঁড় করিয়ে কয়েকজন লোক গাভীর নাড়ি চেরা দুধ নিয়ে খুলে নিয়ে যাচ্ছে।
মায়ের মাথার বোরখা খসে পড়তে চায়। চেপ্টে যেতে থাকে মুড়ি। তিনি খেতের আল ধরে হাঁটতে হাঁটতে এ-ও ভেবেছিলেন, তিনি কারও বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেবেন কি না।
বাবাকে নিয়ে মা’র কোনো স্বপ্ন ছিল না, প্রত্যাশাও না। যত দূরেই থাকুক, একজন মাথার ওপর আছে এটাই একমাত্র স্বস্তি। অবশ্য মনে মনে তাঁর এক অদ্ভুত বিস্ময় ছিল, এই মানুষটি আদৌ কি কোনো বাপ ? পৃথিবীর কোন বাপটা সন্তানের ওপর এইভাবে বীতশ্রদ্ধ ?
আসলে হয়তো এটাই সত্য, কোনো কোনো মানুষের ভেতর নিষ্ঠুর দানব আর কোমল ফড়িং দুটো সত্তা পাশাপাশি বাস করে। বাবা যখন বাসায় থাকতেন, খরচ দিতেন। আমার বোনদের ডেকে পাশে বসিয়ে ভাত খাওয়াতেন। টাকায় টান পড়লেই তিনি অন্য মানুষ। মেয়েদের বিয়ে দিতে হবে এইসব খরচের দিক চিন্তা করতে করতে তিনি ভেতরের দানবটিকে নখ বিস্তারিত হতে দিতেন।
কী হবে ভবিষ্যতের ? ল্যাংড়া খোঁড়া কিংবা বৃদ্ধ হলে কে আমাদের সাহায্য করবে ? পেলে পুষে বড় করব আমরা, আর মেয়েরা গিয়ে অন্যের ঘর আলো করবে এইসব চিন্তা বাবাকে উন্মাদপ্রায় করে তুলত। মা-কে তিনি ‘নষ্ট’ পেটের নারীÑএই বিশেষণে আখ্যায়িত করেছিলেন। এইসব দেখে শুনে, বাবা যখন লাপাত্তা, মা’র মধ্যে জান্তব এক বিতৃষ্ণা ভর করে। বড় দুটো বোন নিজেরাই কাঁদতে কাঁদতে আমার চতুর্থ ক্ষুধা ভোলানোর অপচেষ্টা করছিল। মা তখন জাও এর মধ্যে মেশাচ্ছিলেন বিষ। বড় মেয়েটি, সবে ক্লাস টেনে উঠেছে, কাঁপতে কাঁপতে এসে বলল, মা, ফালু মাস্তানকে বিয়ে করে ফেলি ?
যেন মায়ের কাজ আরও গতি পেল। তিনি পাথর চোখে জাওয়ের দিকে তাকিয়ে ‘কইরে মেয়েরা’ এ জাতীয় সম্বোধন করতে যাবেন, তক্ষুনি দরজায় বাবার ছায়া।
বাঁশঝাড়ে অন্ধকার নেমেছে, নানা শব্দ করে নামাজ পড়ছেন, তৃতীয় মেয়েটি কাউকে প্রশ্ন করছে, পৃথিবীতে খাদ্যের বিকল্প কোনো সস্তা বড়ি আছে কিনা! সেই মুহ‚র্তে বাবার সেই উসকোখুসকো প্রবেশ মা-কে হতবিহŸল করে দেয়। মার হাতের বিষ শুকিয়ে যায় এবং এই প্রথম আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে মা’র মধ্যে কাজ করে দুর্দান্ত এক আক্রোশ।
বাবা ভাত খেলে মা নতমুখে তাঁর সামনে বসে থাকেন। বাবার মুখ প্রতিক্রিয়াহীন। মা চিরকালীন কণ্ঠে শুরু করেন, কোথায় কত লোন হয়েছে। মিষ্টি আলু খেয়ে কয় রাত্তির গিয়েছে… এইসব করতে করতে মা এক সময় মূল প্রসঙ্গে আসেন, ওই যে দেখছ জাউয়ের বাটি, এর মধ্যে বিষ আছে।
বাবা নিঃশব্দে খেয়ে যাচ্ছেন। মায়ের এইসব কথাকে হেঁয়ালি ভেবে চুপ করে আছেন।
মা বলেন, আর কিছুক্ষণ পর আমরা সবাই মরে যেতাম। তোমার কপাল খারাপ সেই মুহ‚র্তে তুমি এসে পড়েছ।
বাবা ভাত শেষ করে মুখ ধুয়ে শুতে যান। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি জানান, এর মধ্যে তিনি অন্যত্র বিয়ে করে এসেছেন। বড়লোকের বোবা মেয়ে। এরপর তিনি কিছু টাকা মায়ের হাতে দিয়ে বলেন, যৌতুক হিসেবে পেয়েছিলাম, যদিও নানা ধান্দায় বেশির ভাগই খরচ হয়ে গেছে।
এইবার মায়ের মুখের ভাষা শুকিয়ে যায়।
কথাটা বলেই বাবা নির্ভার চোখে মা’র দিকে তাকালেন। মা স্তব্ধ। বাবার মধ্যে অস্বস্তি শুরু হয়। তিনি গলা খাঁকারি দিয়ে দেয়ালের দিকে মুখ করে বসে থাকেন।
দীর্ঘ সময় এভাবেই যায়।
একসময় মা’র ভেতরে জন্ম নেওয়া কচি ক্রোধ মারাত্মক আকার ধারণ করে। মা এক দৌড়ে ভেতর থেকে বাটি ভর্তি জাও বাবার মুখের সামনে আছড়ে ফেলেন। এরপর বিকারগ্রস্তের মতোন সেই জাও বাবার মুখে, শরীরে ছুড়ে মারতে থাকেন।
ভীত মেয়েরা দরজার সামনে থেকে সরতে যাবে, অমনি বাবা তাদের গায়ের ওপর চেয়ার ছুড়ে মারলেন। একজন উবু হয়ে পড়ে গেলে বাবা দরাম শব্দে দরজা বন্ধ করে মায়ের ওপর হামলে পড়েন। সে-কী বেদম মা’র! কিন্তু মার কণ্ঠ ফুঁড়ে একটি ধ্বনিও উচ্চারিত হয় না।
নিঝঝুম রাত্তির।
কেবল নাইট গার্ডের ফুঁ। চারপাশের বাতাস স্তব্ধ হয়ে আছে। মা’র চোখ ঠায় গেঁথে আছে অন্ধকারে। পাশের ঘরে ফুঁপিয়ে কাঁদছে তৃতীয় বোনটি। না, এইবার মা এদের জন্য আর বিচলিত নয়। কী করে এইসব কিছু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে সুস্থভাবে বাঁচা যায়, তিনি তা-ই ভাবছিলেন।
মাঝরাতে ফের বাবার মধ্যে নতুন ক্রোধের জন্ম হয়, আমি যাকে উঠোনে ফেলেছিলাম, তাকে তুই বাঁচালি কেন? তুই বাঁজা হলি না কেন ? এইসব বলতে বলতে মা-কে টেনে পিষে ক্রমেই উষ্ণ হয়ে উঠছিলেন। মা’র নিষ্প্রাণ ঠান্ডা দেহ এক সময় বাবাকে ভারহীন করে তোলে।
সেই রাতে ফের বাবা নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন, এবার একেবারে সাত মাসের জন্য। এবং সেদিন বাবা বিচিত্র উন্মত্ততায় যে ভ্রুণ মা’র গর্ভে রেখে গিয়েছিলেন সেই মেয়ে ভ্রুণটাই, আমি।
জন্ম: মার্চ ৫, ১৯৬৪, লেখক, ঔপন্যাসিক, এবং সাহিত্য সম্পাদক। আশির দশকের শুরু থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। উড়ুক্কু উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এই উপন্যাসের জন্য লাভ করেন ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।
নাসরীন জাহান ১৯৬৪ সালে ৫ মার্চ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম আম্বিয়া ফকির ছিলেন সরকারী চাকুরিজীবী ও মা উম্মে সালমা ছিলেন গৃহিণী।বাবার চাকরির কারণে থাকতেন মামাবাড়িতে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হলে তাকে আর তার ভাইকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের এক মামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে ভর্তি হন শানকিপাড়া স্কুলে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকতেন ফুফুর বাড়িতে। ফুফুর এক মেয়ে ছিল শবনম জাহান। ফুফু তার নামের সাথে মিল রেখে মা-বাবার দেয়া নাম নাসরীন সুলতানা পরিবর্তন করে তার নাম রাখেন নাসরীন জাহান। স্কুলে পড়াকালীন পারভিন সুলতানা নামে এক বন্ধুর সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে। সে বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়-এ ভর্তি হলে তিনিও একই স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৭৭ সালে শিশু একাডেমি থেকে লেখা চাওয়া হলে দুই বান্ধবী লেখা পাঠায়। দুজনের লেখা প্রকাশিত হয় সেই পত্রিকায়। নাসরীনের লেখা গল্পের নাম ছিল ছাপানো গল্পটা।