চন্দননগর গল্পমেলা পুরস্কার পাচ্ছেন দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
চুয়াল্লিশ বছর হতে চলেছে চন্দননগর গল্পমেলা সংগঠনটির। কবিতা পাঠের আসর প্রতিটি সাহিত্য অনুষ্ঠানের প্রধান অনুষঙ্গ হলেও গল্পের পরিসর ছিল খুবই সীমিত। তাই শুধুমাত্র গল্প নিয়ে একটি আসরের কথা সেসময় ভাবতে শুরু করেন লেখক গৌর বৈরাগী। কয়েকজন নবীন গল্পকারকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন গল্পমেলা নামে একটি গল্পপাঠ ও আলোচনার আসর। আজ তা মহীরুহ। শুরুর দিনগুলোতে নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজো গল্পমেলা আয়োজন করে চলছে প্রতি মাসে গল্পপাঠ ও গল্প বিষয়ক নানান আলোচনা। নতুন নতুন গল্পকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের গল্পপাঠ শোনা হয় আসরে। চন্দননগর গল্পমেলা প্রতিবছর বাংলার গল্পকারদের নিয়ে গল্পপাঠ ও গল্পবিষয়ক নানা আলোচনার বিশাল বার্ষিক অধিবেশন করে, বাংলার লেখক পাঠক উন্মুখ হয়ে থাকে গল্পমেলার বার্ষিক অধিবেশনের। আগামী ১০ ডিসেম্বর গল্পমেলার বার্ষিক অধিবেশন। চন্দননগর ষ্টেশন, বাস স্টপেজে ভিড় জমাবে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা সাহিত্যপ্রেমীরা। দুরদুরান্ত থেকে আসা নবীন-প্রবীন লেখক সারাদিনের উৎসবে মেতে ওঠবে।
‘গল্পমেলা’ গল্পের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ‘গল্পমেলা পুরস্কার’ দিচ্ছে। সাহিত্যমহলে এই পুরস্কারটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ন। বিগত দিনে লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী, অভিজিত সেন, অনিতা অগ্নিহোত্রী ,নলিনী বেরা সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, প্রচেত গুপ্ত প্রমুখ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।
ঔপন্যাসিক হিসেবে অধিক পরিচিত হলেও( বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী অবলম্বনে উপন্যাস ‘বীজমন্ত্র’এর লেখক) দেবাশিস ইতিমধ্যে অসংখ্য গল্প লিখেছেন। দুটি গল্পগ্রন্থ আছে তাঁর। এবছর গল্পমেলা অনাদি পুরস্কার পাচ্ছেন লেখক অরুন দে। আগামী ১০ ডিসেম্বর বার্ষিক অনুষ্ঠানের উৎসবমুখর আবহে উভয় লেখকের হাতে পুরস্কার তুলে দেবে চন্দননগর গল্পমেলা।
বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।