Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,জাহসা

অনুবাদ গল্প: কয়েদির কাপড় । নগিব ‎মাহফুজ

Reading Time: 6 minutes

অনুবাদক প্রফেসর শঙ্কু

 

যাকাজিক স্টেশনে ট্রেন আসার সময় ঘনিয়ে আসছে। জাহসা সিগারেটের বাক্স নিয়ে প্রস্তুত হয় ধীরে ধীরে। ট্রেন এসে থামতেই স্টেশনটা ভোল পাল্টে আস্ত এক বাজার হয়ে যাবে। মানুষ ঘুরেফিরে কিনবে এটা সেটা। জাহসা তার ক্ষুদে কিন্তু অভিজ্ঞ চোখে সম্ভাব্য খদ্দের খুঁজতে শুরু করল।

সিগারেট বেচার কাজটা যে তার পছন্দ, তা না। এমনিতে কেউ তার পেশা জানতে চাইলে জাহসা উলটো প্রশ্নকারীকেই অভিশাপ দেয়। ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় ওর। তারপর আরেকবার অভিশাপ দেয় নিজের কপালকে। শালার কি জীবন! যদি ইচ্ছেমতন চাকরি করার স্বাধীনতা থাকত ওর, জাহসা নিশ্চিত ধনী কোন লোকের গাড়ির ড্রাইভার হোতো। তাহলে পাওয়া যেত চকচকে পরিষ্কার কাপড়, খাওয়া যেত অভিজাত লোকেদের মত খাবার। কি শীত, কি গ্রীষ্ম- ঘুরতে যাওয়া যেত কত জায়গায়! পেটের ভাত জোগাড় করতে এত ঝক্কি পোহাতে হত না ওকে আর। কচুর এই জীবনে না আছে শান্তি, না আছে কোন আনন্দ।

অবশ্য ড্রাইভার হতে চাওয়ার পেছনে আরেকটা বিশেষ কারণও আছে। সেদিন ও দেখেছিল- কোন এক আমলার গাড়ি চালায়- ড্রাইভার আলগুর, সে ব্যাটা বিপুল আত্মবিশ্বাসের সাথে সুন্দরী যুবতী নুবওয়া-র কাছে প্রেম নিবেদন করছে। জাহসা শুনেছিল- আলগুর হাত নেড়ে নেড়ে বলছে- ‘নুবওয়া, খুদার কসম, তোমার জন্য আংটি নিয়ে আসব শিগগিরি, আমি নিজে তোমার আঙুলে পরিয়ে দেব।’ নুবওয়া লজ্জা পেয়েছিল, ভুবন ভোলানো হাসি হেসে ওড়নাতে মাথা ঢেকেছিল। তার ঘন কালো চুলের মাঝে ঢেউ খেলছিল তখন। ওদের সেই প্রেমের দৃশ্য, মেয়েটার সেই হাসি যেন তীর হয়ে বিঁধছিল জাহসার বুকে। আলগুরের ভাগ্য দেখে ভীষণ হিংসা লাগছিল ওর। নুবওয়ার ওই বড় বড় চোখের ভেতরে তাকিয়ে কেমন যন্ত্রণা হচ্ছিল বুকের ভেতর।

এরপর জাহসা নুবওয়ার পিছনে ঘুরতে শুরু করে। মেয়েটা যে পথে চলাফেরা করে, সারাদিন সেই পথেই বসে থাকে সে বাক্স নিয়ে। তৃষিত নয়নে এদিক ওদিক খুঁজে ফেরে। একদিন নুবওয়াকে সামনে পেয়ে যায় ও, আর ফস করে বলে ফেলে- ‘নুবওয়া, আমি তোমার জন্য আংটি নিয়ে আসব!’ কিন্তু নুবওয়া লজ্জা পেয়ে ওড়নায় মাথা ঢাকে না, বরঞ্চ এক নজর জাহসার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যভরা কণ্ঠে বলে- ‘আগে নিজের জন্য একপাটি জুতো কিনে নিও, ভাল হবে।’ কথাটা শুনে ও নিজের দিকে তাকায়। দেখে সারা পায়ে এত পুরু হয়ে ময়লা জমেছে যে- মনে হচ্ছে দুই পায়ে উটের চামড়ার খসখসে মোজা পরে আছে। দেখে ওর জুতোর আদ্ধেকটা নেই, ওর কাপড় নোংরা, ওর টুপি ছেঁড়া, পুরনো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে জাহসা ভাবে- কি কপাল আমার!

সিগারেটের বাক্স আঁকড়ে ধরে বসে ও ভাবে- যদি আলগুরের মতো ড্রাইভার হওয়া যেত! কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? গরিবের স্বপ্ন স্বপ্নই থাকে। তাই নিজের হতাশা ছেঁড়া পকেটে পুরে রেখে জাহসা বাস্তবে ফিরে আসে। অপেক্ষা করতে থাকে ট্রেনের।

অনেক দূরে ধোঁয়াটে একটা আকৃতি দেখা দেয়। ক্রমশ সেটা কাছিয়ে আসে, ট্রেন আসছে! বগিগুলো আস্তে আস্তে স্পষ্ট হয়, একসময় কর্কশ শব্দ তুলে ট্রেনটা স্টেশনে এসে থামে। জাহসা দৌড়ে বগির কাছে গিয়ে অবাক হয়ে দেখল, সবগুলো দরজার সামনে একজন করে সশস্ত্র সিপাহি পাহারা দিচ্ছে। জানালা দিয়ে উঁকি মারছে ভিনদেশি কিছু চেহারা আর উদ্বিগ্ন ক’জোড়া চোখ। কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে ও জানতে পারল- এরা যুদ্ধবন্দী, ইতালীয় সৈনিক সবাই। এদেরকে এখন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

কিছুক্ষণ বন্দী সৈনিকদের পর্যবেক্ষণ করে জাহসা হতাশ হয়ে পড়ল। এরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, হতাশায় ভেঙে পড়েছে সবাই। এদের কেউ সিগারেট কিনবে না; কিংবা বলা ভাল এদের কারো কাছে কেনার মত পয়সা নেই। জাহসা সিগারেটের বাক্সটা উঁচু করে এই বগি ওই বগির সামনে হেঁটে এল কয়েকবার, যদি সিপাহিদের কেউ কিনতে চায়। কিন্তু তাদের কারুর ওর দিকে চোখ নেই, নিজেদের মাঝে গল্প করছে। খালি কয়েকজন বন্দী ক্ষুধার্ত চোখে তাকিয়ে রইল ওর হাতের দিকে, পারলে যেন বাক্সসুদ্ধ গিলে খাবে।

বিরক্ত জাহসা ঘুরে চলে আসবে, এমন সময় পেছন থেকে এক বন্দীর কণ্ঠে শুনতে পেল ভাঙাচোরা আরবি টানের ডাক।

—‘সিগারেৎ?’

বিস্ময় লুকিয়ে সন্দেহভরা চোখে জাহসা তাকাল বন্দীর দিকে, তারপর ইঙ্গিত করল- পয়সা চাই। বন্দী তার ইঙ্গিত বুঝে মাথা নাড়ল। মানে পয়সা আছে। জাহসা বগির জানালার কাছে সাবধানে এগোল, বন্দী যেন ছোঁ মেরে সিগারেট না মারতে পারে সে বিষয়ে সতর্ক। ইতালিয়ান সৈনিক শান্তভাবে গায়ের জ্যাকেটটা খুলল, তারপর এগিয়ে দিল জাহসার দিকে।

—‘এই নাও আমার পয়সা।’

জাহসা ব্যাপারটা আশা করেনি। লোভাতুর দৃষ্টিতে ও জ্যাকেটটা খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। সোনালি রঙের বড় গোল গোল বোতাম লাগানো খাকি রঙের নিখুঁত একটা পোশাক। জিনিসটা ওর পছন্দ হয়েছে। কিন্তু বন্দীকে সেটা বুঝতে দিল না পাছে ঠকিয়ে নেয়, ‘নিতান্ত সাধারণ জিনিস এটা’- এরকম ভাব দেখিয়ে সিগারেটের একটা প্যাকেট বের করে জ্যাকেটটা টান দিল ও। ভ্রু কুঁচকে সৈনিক চেঁচিয়ে উঠল।

—‘মাত্র এক প্যাকেট? না না, দশ প্যাকেট চাই, দশ প্যাকেট সিগারেৎ!’

জাহসা মাথা নেড়ে পিছিয়ে এলো, যেন চলে যাবে।

—‘আচ্ছা আচ্ছা, নয় প্যাকেট!’

ও নির্বিকার, উদাসি মুখে অন্যদিকে হাঁটা শুরু করল।

—‘আরে দাঁড়াও, আট প্যাকেট দিও!’

জাহসা মাথা নেড়ে জানালো ও পারবে না।

—‘তাহলে সাত প্যাকেট দাও।’

জাহসা এবার বগির কাছ থেকে সরে এলো। প্লাটফরমের কাছে যেতে যেতে সৈনিক নেমে এলো পাঁচে, টুলটার ওপরে বসতে বসতে নামল চারে। জাহসা ভান ধরল ও যেন শুনতেই পাচ্ছে না লোকটার কথা। আরামসে একটা সিগারেট বের করে আগুন ধরাল ও, তারপর সৈনিকের দিকে তাকিয়ে মজা করে ধোঁয়া ছাড়তে লাগল। সৈনিক এবারে যেন পাগল হয়ে যাবে, হাত কামড়ে সে ছটফট করতে লাগল বগির ভেতর। বোঝা যাচ্ছে সিগারেট খেতে না পারলে তার চলবে না। এরপর সে অনুনয় করতে শুরু করল।

—‘তিন প্যাকেট দিলেই জ্যাকেট তোমার। এই যে, এই!’

জাহসা নির্বিকার। এমন ভাব- জ্যাকেটের প্রতি তার কোন আগ্রহই নেই, মনে হচ্ছে সিগারেট টানাই যেন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সৈনিক এবার পরাজিত কণ্ঠে দাবি নামিয়ে আনল দুই প্যাকেটে। জাহসা অনিচ্ছাসত্ত্বেও যেন একটু নড়ে উঠল। সৈনিক জ্যাকেট বাড়িয়ে দিয়ে হাত পাতল অস্থিরভাবে।

—‘এবার তো দাও।’

জাহসা বগির কাছে গিয়ে দুই প্যাকেট সিগারেট ধরিয়ে দিল সৈনিকের হাতে, তারপর জ্যাকেটটা বগলদাবা করে ফিরে এলো প্লাটফরমে। বিজয়ের আনন্দে এবার তার মুখে ফুটে উঠল মুচকি হাসি।

সিগারেটের বাক্স টুলের ওপর রেখে ও পরে নিল জ্যাকেটটা। একটু বড়, ঢিলেঢালা। তাতে কিছু যায় আসে না। দুই প্যাকেটের বদলে সে এমন জিনিস পেয়েছে- কে বিশ্বাস করবে! এবার বাক্সটা কাঁধে ঝুলিয়ে ও বেশ বুক চেতিয়ে হাঁটতে শুরু করল। চোখের সামনে সুন্দরী নুবওয়ার চেহারা ভেসে উঠছে বার বার। মনে মনে ও ভাবতে লাগল- হ্যাঁ, এবার আর নুবওয়া আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে না, আমার কাপড় নিয়ে হাসাহাসি করবে না। এমন জিনিস কি আলগুরের আছে? ছ্যাঃ! ওর চোদ্দগুষ্টি এমন জ্যাকেট দেখেনি।


আরো পড়ুন: অনুবাদ গল্প: বি. ওয়ার্ডসওয়ার্থ । ভি এস নাইপল


ওহ হো- জাহসার হঠাৎ মনে পড়ে- আলগুর হতভাগাটা তো প্যান্টও পড়ে জ্যাকেটের সাথে। আমি একটা প্যান্ট কিভাবে জোগাড় করি? কিছুক্ষণ ভেবে ও ট্রেনের বন্দীদের ওপর নজর বুলাতে লাগল। জ্যাকেট পেয়ে যে আনন্দ হচ্ছিল সেটা যেন পুরো উধাও হয়ে গেছে, সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্যান্টের চিন্তা। হঠাৎ ওর মাথায় বুদ্ধি খেলল, ট্রেনের কাছে গিয়ে জোরে জোরে চিল্লাতে লাগল।

—‘সিগারেট, সিগারেট— আছেন কেউ—পয়সা না থাকলে প্যান্ট দিলেও নেব—সিগারেট সিগারেট—প্যান্টের বদলে সিগারেট!’

কয়েকবার আওয়াজ দেবার পর কোন সাড়া মিলল না, জাহসার মনে হল হয়তো এরা ওর কথা বুঝতে পারছে না। তাই সে সিগারেট আর প্যান্টের দিকে আঙুল তাক করে করে আবার চিল্লাতে লাগল। এরকম সাংকেতিক বিজ্ঞাপনের সুফল মিলল তাড়াতাড়িই, এক সৈনিক লাফাতে লাফাতে জ্যাকেট খুলতে লাগল। জাহসা আঙুল দিয়ে দেখাল, জ্যাকেট না, ওর প্যান্ট চাই। লোকটা কিছুক্ষণ বিরক্ত হয়ে চেয়ে রইল ওর দিকে, তারপর ‘কি-ই আর হবে’ এরকম একটা ভঙ্গি করে প্যান্ট খুলে ধরিয়ে দিল জাহসার হাতে।

আর কি লাগে! জাহসা খুশিতে নেচে নিল কিছুক্ষণ, তারপর প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে মিনিটেরও কম সময়ে পরে নিল প্যান্টটা। এখন ওকে দেখতে পুরো ইতালীয় সৈনিকদের মতো লাগছে। আর কি নেওয়া যায়? টুপি…কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, এরা তো ফেজ টুপি পরে না। মাথা খালি। অবশ্য পায়ে জুতো পরে। জুতো! আলগুর হারামজাদাকে ডিঙোতে গেলে জাহসার এক জোড়া জুতো দরকার! ও আবার সিগারেটের বাক্স হাতে বগির কাছে গিয়ে চ্যাঁচাতে লাগল, আর পায়ের দিকে ইঙ্গিত করতে লাগল।

—‘সিগারেট—জুতোর বদলে সিগারেট—চাই কারো জুতার বদলে সিগারেট?’

কিন্তু এবারে নতুন খদ্দের পাবার আগেই কর্কশ শব্দে ট্রেন হর্ন বাজাল। এখনই ছেড়ে দেবে। সিপাহিরাও গল্প ছেড়ে সজাগ হল। ততক্ষণে চারিদিকে আঁধার হয়ে এসেছে। আকাশে পাখির ঝাঁক কিচিরমিচির করছে, বাড়ি ফিরছে সব। জাহসা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইল প্লাটফরমে। ওর আর জুতো পাওয়া হল না। ট্রেন চলতে শুরু করেছে, ঠিক এমন সময়ে সামনের বগির সিপাহি জাহসাকে দেখল। সাথে সাথেই রেগেমেগে প্রথমে ইংরেজি তারপর ইতালীয় ভাষায় খিস্তি করে উঠল।

—‘এই শালা, ট্রেনে ওঠ! তাড়াতাড়ি ওঠ বলছি!’

সিপাহি কি বলছে জাহসা বুঝতে পারল না। ও দাঁড়িয়ে আছে লোকটার নাগালের বাইরে, চাইলেও ধরতে পারবে না, আর কেনই বা ওকে ধরবে! একথা ভেবে ও সিপাহির অঙ্গভঙ্গি নকল করে তাকে ভ্যাংচাতে লাগল। ট্রেন ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে আরও দূরে। সিপাহি রেগে আরও জোরে চেঁচিয়ে উঠল।

—‘হারামজাদা ট্রেনে ওঠ, নইলে খবর আছে তোর বলে দিলাম!’

জাহসা ঠোঁট উল্টে আরেকবার ভ্যাংচাল সিপাহিকে, তারপর ট্রেনের দিকে পিঠ দিয়ে চলে যেতে উদ্যত হল। সাথে সাথে সিপাহি বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করল ওর পিঠে। বন্দুকের কান ফাটানো ‘গুড়ুমম’ শব্দের নিচে চাপা পড়ে গেল জাহসার বিস্ময়মাখা আর্তনাদ। প্লাটফরমে ঢলে পড়ল ও। হাত থেকে সিগারেটের বাক্স গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে, দেশলাই আর সিগারেটের প্যাকেট ছড়িয়ে গেল চারপাশে।

কিছুক্ষণের মধ্যে নিথর লাশ হয়ে গেল জাহসা।

 

 

‘বাযলা আল আছির’ বা ‘কয়েদির কাপড়’ নামক এই গল্পটি ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয়। নগিব মাহফুজের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘হামস আল যূনুন’ (পাগলের প্রলাপ)-এর সর্বপ্রথম গল্প এইটি। গল্পে আরবি ভাষার স্বভাবসুলভ রোমান্টিসিজম এবং রচনাশৈলী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও গল্পের সমাপ্তি সম্পূর্ণই নাজিবের একান্ত নিজস্ব স্বকীয়তায় একাকার হয়ে গেছে। নাজিবের ছোটগল্প লেখার বিষয় ও ভঙ্গিমা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে, এই কারণে তার লেখনি এখনও অভিনব। সত্তর বছরের সাহিত্যজীবনে প্রায় সাড়ে তিনশর মতো গল্প লিখেছেন। খলিল জিব্রানের পর তাকেই ধরা হয় আরব্য ছোটগল্পের পোস্টারবয় হিসেবে। নগিব মাহফুজ অবশ্য বিখ্যাত তার উপন্যাসের জন্য। ১৯৩২ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মোট ৩৩টি উপন্যাস লিখে গেছেন, প্রত্যেকটিই বিষয়ের দিক থেকে অনন্য, এবং তাদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে ‘দ্য কায়রো ট্রিলজি’। ‘বাইন আল কাছরাইন’, ‘কসর আশ শওক’ এবং ‘আস-সুকারিয়া’— এই ত্রয়ী উপন্যাসে উঠে এসেছে কায়রোর একটি পরিবারের তিনটি প্রজন্মের কাহিনী, তাদের উত্থান পতন, এবং সেই সাথে পুরো আরব জাতির পরিবর্তন। ১৯৮৮ সালে এই ট্রিলজির জন্যে নাজিব সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। এখনও পর্যন্ত আরব দেশগুলোর মাঝে একমাত্র নোবেলপ্রাপ্ত সাহিত্যিক তিনি।

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>