| 14 ডিসেম্বর 2024
Categories
ইরাবতী তৃতীয় বর্ষপূর্তি সংখ্যা

তৃতীয় বর্ষপূর্তি সংখ্যা গল্প: তান্না । দেবদ্যুতি রায়

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

লোকে বলে- তান্নার শরীরভরা বিষ। এই ঈশ্বরপুরের আকাশে বাতাসে সে বিষের কুণ্ডলি ছেয়ে থাকে দিনরাত আর যখন যাকে খুশি পাঁকে পাঁকে জড়িয়ে ধরে ঠিক যেন আলোকলতার লকলকে ডগার মতো। সে বিষের ভয়ে এ তল্লাটের সকল জোয়ানমর্দ কেমন সিঁটিয়ে থাকে দিনরাত আর বৌ ঝিয়েরা শাপ-শাপান্ত করতে থাকে অষ্টপ্রহর। তবে যাকে নিয়ে এত কথা, সেই তান্না কিন্তু তার শরীরভরা বিষের কথা শুনে খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে আর সেই হাসির দমকে তার এক মাথা কালো চুল মাটিতে লুটায়। সে বিষের কথা ভাবতে গেলে তার চুলার আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাইরে, মন পুড়ে যায়, যেন কার ঘর পুড়ে যায় সেই আগুনে। লোকের কথা শুনতে শুনতে কখনও তান্নার নিজেরও মনে হয় সে বুঝি এক শঙ্খিনী যার শরীরের বাঁকে বাঁকে বিষের বান। সে বানে ভেসে যায় কত জনের ঘরবাড়ি, উজার হয়ে যায় মানুষের সাধের ফুলবাগান।

তবে কি না তান্না আসলে কী, এ নিয়ে মানুষ ধন্দে পড়ে থাকে দিন রাত আর সেই ধন্দে পড়ে এলাকার ছেলেমেয়ে বুড়োবুড়ি মাঝে মাঝে হায় হায় করে ওঠে। বলে, না না, ওসব বিষ টিষ কিছু নয়, তান্না আসলে এক ডাইনি, যাদু করে রাখতে পারে যাকে খুশি তাকে। সেই যাদুতে বিবশ লাগে অনেকের, মন্ত্রমুগ্ধের মতো হয়ে যায় ডাইনির নাম শুনলেই; যেন একবার সে আঙ্গুল তুলে ইশারা করলেই হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে ছুটে আসবে ছেলেবুড়ো সব।

তবু এই বিষের খোঁজেই কি না কে জানে পাড়ার এক কোণে তান্নার বাড়ির সামনে ভোর সকাল থেকে রাতের বিজলি বাতির আলো নেভা অব্দি ঘুরঘুর করে একটা দুটো লোক- কখনো কখনো ভুলেভালে সেই এক দুজনের মধ্যেই চোখাচোখি হয়ে যায় ভাইয়ে ভাইয়ে, বাপ ছেলেতে। তাতে কিন্তু সমস্যা কিছু হয় না- দিব্যি সেই চোখ আকাশপানে তুলে নির্বিঘ্নে অন্যদিকে তাকিয়ে আরেক দিকে চলে যায় ওরা, এসব কথা কেই বা পাঁচ কান করতে চায় বাপু? মেয়েদের ব্যাপার অবশ্য আলাদা, তারা এ বাড়ির দিকে তাকিয়ে দূর থেকে ফোঁস ফোঁস করে ভরা কটালের নদীর মতো। একজন আরেকজনের সঙ্গে ফিসফিসিয়ে তান্না ‘মাগীকে’ নিয়ে দু,চারটে কথা কয় আর সেই মাগীর কারণে বাড়ির লোকটার যে মতিগতির আজকাল ঠিক নেই, সে নিয়ে চরম উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে।

এ বাড়ির দুটো মানুষের কিন্তু তাতে বয়েই যায়। তান্নার বুড়ো দাদু নাতনির রান্না করা খাবার খেয়ে, নাতনির গল্প শুনে আর তার দেবীর মতো মুখ দেখতে দেখতে এই বয়সের আর সব চিন্তা ভুলে যেতে বসে। আর তান্না? এই সংসারে তার একমাত্র আপন মানুষটার জন্য রেঁধে বেড়ে গল্পের ডালা সাজিয়ে বসে থাকে। এই বুড়োটাই তার মা বাপ ভাই বোন; একলার জীবনে একমাত্র আশ্রয়। তাই নিজের হৃদয় খুলে বুড়োর জন্য দিয়ে দিতে সদা প্রস্তুত সে। বুড়ো তাকে ডাকে সুচিত্রা সেন, তান্নার তাতে হাসি পায় না, ভালোই তো লাগে। যদিও নিজের ছবির পাশাপাশি ঐ সুচিত্রা সেনের ছবি রেখে দেখেছে যে তাকেই বেশি ভালো দেখায়। তবু বুড়োর কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মানুষটার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠতে তার মন একটুও কেমন করে না। বুড়োর খুব আফসোস মেয়েটা পড়ালেখা শেষ করলো না বলে। সেই আফসোসের কথা দুই দিন অন্তর শুনতে শুনতে তান্না বলে- পড়ালেখা কি আর সবার কপালে হয়, দাদু? হয় না তো। তার চেয়ে এই তো ভালো, আমরা দুই জন একসাথে এই বেশ আছি।

বুড়ো মাঝেমাঝে ভাবে যে সত্যিই এই বুঝি ভালো। আজ যদি তান্না লেখাপড়া শিখে বিশাল বড়ো কিছু একটা করতো, তাহলে এই শেষ বেলায় এ নিষ্প্রাণ বাড়িটায় সে একা কী করে কাটাতো! সেই যে যেবার তান্নার মা স্বর্ণা গলায় দড়ি দিয়েছিলো বড়ো অকালে আর একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বুড়োবুড়ি সাড়ে তিন বছরের পুতুল পুতুল বাচ্চাটাকে নিয়ে এসেছিলো নিজেদের কাছে, সেই থেকে তান্না এ বাড়িটার সবকিছু জুড়ে আছে। তারপর কত কিছু ঘটে গেলো একে একে, তাদের ছোটো বাড়িটা থেকে আজকের দুই তলাটা উঠলো, পুতুলপুতুল তান্না বড়ো হয়ে পড়ালেখায় ক্ষান্ত দিয়ে এই পাড়াগাঁয়ে বেশ একটা নাচের স্কুলও খুলে ফেললো, আর সবশেষে দুই বছর আগে বুড়িটাও মরে গেলো। আজ এই বাড়িতে দাদু আর নাতনিই কেবল চারপাশের ফুল ফলের গাছ আর ইট পাথরের সঙ্গী হয়ে বাঁচে। সপ্তাহে চার দিন নিচতলার পুবের বড়োসড়ো ঘরটায় নাচ শিখতে আসে এলাকার ছেলেমেয়েরা আর দিনে দুবার এসে ধোয়ামোছা কোটাকাটার কাজ করে দিয়ে যায় শেফালি, তা বাদে বলতে গেলে বাড়িটা নিঝুমই থাকে।

বাড়িটা চুপচাপ শান্ত হলে কি হয়, এই বাড়িকে নিয়ে বাইরের উত্তাপ বুড়ো ঠিকই টের পায়। কেবল বাজারে বা হাঁটতে গেলে সবাই আগ বাড়িয়ে কথা বলতে আসে আর চায়ের বিল দেবার জন্য জোরাজুরি করে বলেই নয়, দোতলার বারান্দা বা শোবার ঘরের জানালা থেকেও তার নজরে আসে বহুত কিছু। তা বুড়ো কাউকে কিছু বলে না বটে, কী বলবে? এত রূপ এইসব ছেলেপুলে কবেই বা দেখেছে? সেই বহু আগে, এখন যারা প্রায় বুড়ো হবার পথে, তারা জানে বটে এমনই রূপ ছিলো স্বর্ণার তবে তান্নার মতো এত ঢলোঢলো যৌবন ছিল না তার। কেমন শান্ত শিষ্ট ছিলো সেই অপূর্ব সৌন্দর্য, অন্যদিকে তান্না একেবারে লকলকে আগুনের শিখাটির মতোই। অত রূপের সাথে এমন আগুন মিললে পতঙ্গের ঝাপ না দিয়ে উপায় কী? বুড়ো তাই কাউকে বলে না কিছুই। অতো হেসেহেসে সবার সঙ্গে কথা বলা আর মাখামাখি করা নিয়ে নাতনিকেও কিছু বলে না। এ বয়সে এমন একটু আধটু দোষ কার না থাকে?

কিন্তু সেই দোষ কোনোদিন এত বড়ো হয়ে দেখা দেবে, এ কথাও বুড়ো ভাবতে পারেনি ঘুণাক্ষরে। ভাবতে পারলো তখন যখন এক বিকালে সত্যিই বিষধর সাপের মতো ফুঁসতে ফুঁসতে কোত্থেকে বাড়ি ফিরলো মেয়েটা। বুড়োর মন এ মেয়েকে নিয়ে সেই প্রথম কু ডাক ডেকে উঠলো। সে তার চুলে হাত বুলিয়ে দিতে কেঁদেই ফেলেছিলো মেয়েটা কিন্তু বলেনি কিছুই। তান্না এমনই- বলে না কিছু, মায়ের স্বভাব পেয়েছে পুরোটা। মরা মেয়ের কথা মনে করেই হয়তো বুড়ো সেদিন অনেকক্ষণ ওর চুলে বিলি কেটে দিয়েছিলো। আর তার একটু পরেই জানতে পেরেছিলো ঘটনাটা, বাড়ির বাইরে থেকে উড়ে আসা টুকরো টুকরো কথায়।

-কী সর্বনাশ! এই বয়সের মেয়ে এভাবে সবার মাথা খেয়ে বেড়ালে চলবে?

-আরে রাখ। যার মা গলায় ফাঁসি দিয়ে মরে, তার মেয়ের কেচ্ছা যে কিছু কম হবে না, এ তো জানা কথা।

-ছিঃ, যেখানে সেখানে ঘুরতেও যাবে পরপুরুষের সাথে আবার অল্পতেই সেই ছেলের দোষও হয়ে যাবে? নিজে কি সাধু?

-উহু, এই ঘটনাগুলাকে তো আর বেশি প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এর একটা শেষ দেখতে হয়…

এইসব টুকরো টাকরা কথার বাণে অতিষ্ঠ না হলেও বুড়ো বুঝতে পেরেছিলো এই ঘটনার রেশ সহজে শেষ হবার নয়। শুধু যে পার্কে লোকজনের সামনে দুই গালে চড় খাওয়া রাজু প্রতিশোধের জন্য বসে থাকবে তা তো নয়, যে হরিদাস, নয়ন, কফিল, সাজ্জাদরা অনন্তকাল অপেক্ষা করেও তান্নার সাথে অন্তত পার্কেও যেতে পারেনি তাদের অন্তরের ধিকিধিকি আগুনও এই ঘটনাকে অল্পে শেষ হতে দেবে না। শেষ হতে দেবে না ঠিকঠাক মতো কোনোকিছুই করতে না পারা আধবুড়ো আর বুড়োগুলোও।

সেই রাতে বহুদিন পর গালের জল শুকিয়ে আসা নাতনিকে নিজের হাতে ভাত খাইয়ে দিয়েছিলো বুড়ো। বড়ো বড়ো চোখে রাজ্যের অভিমান নিয়ে মেয়েটা চুপচাপ খাওয়া শেষ করে তাকে প্রশ্ন করেছিলো- আমি কি এতটাই ছোটো দাদু যে আমার মন না চাইলেও…

বুড়ো সেদিন নাতনির পিঠে আদরের চাপড় মেরে থামিয়ে দিয়েছিলো তাকে। বলেছিলো- এসব নিয়ে আর ভাবিস না, সুচিত্রা সেন।

সুচিত্রা সেন ভেবেছিলো কি না বুড়ো জানে না, কিন্তু সেদিনের পর থেকে সে আর নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেনি। কাছের দূরের নানান অঘটনের খবর তার কানে আসে ঠিকই, দোতলা এই শুনশান বাড়িতে সেইসব অঘটনের আশঙ্কায় বুড়ো দিন রাত পার করেছে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না কোনোভাবেই। একতলার পুবের ঘরের এক গোপন ভিডিও ঠিক বাইশ দিন পরেই আরও একবার তোলপাড় করে দিলো ঈশ্বরপুরের আকাশ বাতাস। একজনের ঘরের ভেতরের জিনিস ভিডিও হলো কী করে, আর তারপর কে কী মতলবেই বা সেটা ছড়িয়ে দিলো ইন্টারনেটের দুনিয়ায়- সে প্রশ্নের ধারে কাছেও গেলো না কেউ। কেবল টিশার্ট পরা এক উদ্দাম যৌবনার হাতের সিগারেট আর টেবিলের ওপরের ধবধবে সাদা গ্লাসের পানীয়ের রং দেখে তল্লাটের সকলে চেঁচিয়ে উঠলো জাত গেলো, জাত গেলো বলে। কী দুঃসাহস! যে মেয়ে পরপুরুষের সাথে ঘুরতে গিয়ে তাকে সকলের সামনে চড় মেরে বসে, সেই মেয়ে কি না ঘরের বন্ধ দরজার ওপাশে সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ওড়ায়, মদ খায়! কী স্পর্ধা! সিগারেট আর মদের চেয়েও বেশি সেই মেয়েকে গেঞ্জি পরা দেখে কার কার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেলো, সে কথাও উহ্য থাকলো বটে কিন্তু পাপিষ্ঠার পাপের শাস্তির দাবিতে বহুদিন পর একাট্টা হয়ে উঠলো সবাই।

সেই বিকালে দোতলা বাড়ির বিশাল দরজায় বারকয়েক ধাক্কাধাক্কির পর হুড়মুড়িয়ে ঢুকলো জনাপঞ্চাশেক জোয়ান বুড়ো। গুজগুজ ফুঁসফুস ছেড়ে গলাখাকারি দিলো মুরুব্বিগোছের কেউ কেউ। নিজেদের বড়োসড়ো উঠানটায় সবাইকে বসার ব্যবস্থা করে দিয়ে বুড়ো জিজ্ঞেস করলো- খবর কী তোমাদের?

-খবর তো চাচা আপনার কাছেই।

-আপনার নাতনির বেলেল্লাপনা তো আর চোখে দেখা যাচ্ছে না।

-দাদা শোনেন, ঐ মেয়েরে যেখান থেকে নিয়ে আসছেন, সেখানে রেখে আসেন।

-শোনো করিম মিয়া, ব্যাপার তো তুমি বুঝতেই পারছো।

-আরে চাচা, গ্রামের মধ্যে এইসব কী? মেয়েমানুষ এইসব মদ বিড়ি খাইলে কী আর পরিবেশ ঠিক থাকে?

-এই তো কয়দিন আগেই আজগর সাহেবের ছেলেটার সাথে কী একটা কান্ড ঘটালো! গ্রামে তো আরও মেয়েরা আছে, কই এমন তো…

আবার টুকরো টাকরা অনেকগুলো কথা প্রায় একইসঙ্গে উড়ে আসে বুড়োর কানে। এই বয়সে এত কথার তোড়ে বুড়ো একটু বিব্রত হয়, কোনটা ছেড়ে কোনটার উত্তর দেবে বুঝতে পারে না। তার মধ্যেও কথারা তাদের ওড়াওড়ি থামায় না। এদিক সেদিক উড়তে থাকে। বুড়ো বুঝতে পারে না এদের এক এক করে কথা বলতে বলা উচিত কি না।

হঠাৎ অনেকের দৃষ্টি অনুসরণ করে তার চোখ যায় সিঁড়ির নিচে দাঁড়ানো তান্নার দিকে। এরপর বুড়ো ফিরে তাকায় সমবেত সকলের দিকে, মেয়েটার রূপ কিংবা আগুনে উপস্থিত সকলকে তার কিংকর্তব্যবিমূঢ় মনে হয়। সবাই যেন হঠাৎ করেই সব কথা হারিয়ে ফেলেছে।

সবাইকে আরো বেশি হতবাক করে দিয়ে তান্না এসে বুড়োর পাশে দাঁড়ায়। তারপর উপস্থিত সকল হাঁ হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে- আমার বিচার করতে আসছেন, করেন কিন্তু আমার ঘরের ভেতর ক্যামেরা  রাখলো কে সেটা তো আমারও জানা দরকার।

কী আশ্চর্য! অভিযুক্তের পাল্টা দাবিতে সমবেত মানুষের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে। এ মেয়ে তো হাড়বজ্জাত! নাহলে এই পরিস্থিতিতে এই কথা বলার মতোন বুকের পাটা কারো হয়? উপস্থিত যুবক বৃদ্ধের গুঞ্জন অবশ্য কোনো এক অজানা কারণে জোরালো প্রতিবাদ হয়ে ওঠে না। বুড়ো পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করতে চায় কিন্তু ফিসফিসানো কথাগুলো ঠিকঠাক কানে আসে না। ভিড়ের মধ্য থেকে কেউ একজন ‘পুলিশ’ শব্দটা উচ্চারণ করে। হয়তো ওরা পুলিশ ডাকতে চায়, বুড়ো ঠিক বুঝতে পারে না।

আরও খানিক নিস্তব্ধতার পর আচমকা পেছনের সারি থেকে একটা কণ্ঠ বলে ওঠে- তাই তো, এই কথা তো আমিও জিজ্ঞেস করছি কখন থেকে, কেউই উত্তর দিচ্ছে না। আসলেই তো এই উত্তরটা জানা দরকার।

অনেকেই মুহূর্তে ফিরে তাকায় কথাটা কে বলেছে সেটা দেখার জন্য। তান্না ও বুড়ো খেয়াল করে দেখে সেই যুবকের মুখ। তাকে কোথাও দেখেছে বলে মনে করতে পারে না দুজনের কেউই। কিন্তু সেই যুবকের মুগ্ধ চোখের তারা ঝিকিয়ে ওঠে এই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা অপার সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে, জীবনে এই প্রথম কারো চোখে তাকিয়ে সত্যি সত্যিই ঝিকিয়ে ওঠে তান্নারও চোখ। বুড়ো দেখে, সামনের সারি সারি উদ্ভ্রান্ত মুখ দুজনের চোখে গড়ে দিয়েছে এক আশ্চর্য সেতু।

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত