ইরাবতী ধারাবাহিক: ফুটবল (পর্ব-২৭) । দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
অষ্টম শ্রেণির দুই বন্ধু রাজ আর নির্ঝর। রাজ আর অনাথ নির্ঝরের সাথে এইগল্প এগিয়েছে ফুটবলকে কেন্দ্র করে। রাজের স্নেহময়ী মা ক্রীড়াবিদ ইরার অদম্য চেষ্টার পরও অনাদরে বড় হতে থাকা নির্ঝর বারবার ফুটবল থেকে ছিটকে যায় আবার ফিরে আসে কিন্তু নির্ঝরের সেই ফুটবল থেকে ছিটকে যাবার পেছনে কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় নির্ঝরের জেঠু বঙ্কু। কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় বঙ্কু ও তার ফুটবলার বন্ধু তীর্থঙ্করের বন্ধুবিচ্ছেদ। কিন্তু কেন? সবশেষে নির্ঝর কি ফুটবলে ফিরতে পারবে? রাজ আর নির্ঝর কি একসাথে খেলতে পারবে স্কুল টিমে? এমন অনেক প্রশ্ন ও কিশোর জীবনে বড়দের উদাসীনতা ও মান অভিমানের এক অন্য রকম গল্প নিয়ে বীজমন্ত্রের জনপ্রিয়তার পরে দেবাশিস_গঙ্গোপাধ্যায়ের নতুন কিশোর উপন্যাস ফুটবল আজ থাকছে পর্ব-২৭।
রাজ হতাশ হয়ে গেল। এমন একটা সময়ে গল্প থেমে গেলে ভাল লাগে? কিন্তু বাবাও ফিরেছে তার সামনে এসব কথা জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে না। সে ব্যাজার হয়ে বলল, -“প্লিজ। শেষ করে যাও।“
মা বললেন,“এখন থাক। বলব তো। রাতে ।“
রাজ হতাশ হয়ে নিচে নামল।সে নিজের ঘরে চলে গেল। মাথার ভেতর ঘুরছে তীর্থ-বঙ্কুজেঠুদের কথাটা! সে খেলায় অবশেষে কে গোল করেছিল? বঙ্কুজেঠু নাকি তীর্থজেঠু?
রাজ হাতমুখ দিয়ে চেয়ারটেবিলে বসল। বইএর চেয়েও তার মন পড়ে আছে খেলার মাঠে। আর মোটে চারদিন। তাদের ফাইনাল খেলা। নির্ঝর না খেললে যে কি হবে? ওর বদলে খেলবে ইমন! ভাবতেই তার রাগ হয়।
ঘন্টাখানেক পড়াশোনা করল রাজ। যদিও তার কিছুতেই মন বসল না।বারবার নির্ঝরের কথা মনে পড়ল। সত্যিই যদি ও ফাইনালে না খ্যালে তবে খুব বাজে ব্যাপার হবে।
“একটা কথা বলার ছিল।”
রাজ তাকিয়ে দেখল মামা ঘরে ঢুকেছেন। মুখের চেহারা দেখে রাজের মনে হল ছোটমামা খুব চিন্তায়। সে জিজ্ঞেস করল, “কি গো?”
ছোটোমামা হতাশ গলায় বললেন, “আমাদের নাটক হচ্ছে না রে।“
“সে কি?”
“না। নাটক হবে। আমি করব না।“
রাজ বলল, “ওমা! তোমাকে বাদ দিয়ে দিল। এটা তো ঠিক নয়।তুমি বাবার চেয়েও ভাল অভিনয় করছিলে।“
ছোটমামা বললেন,” না। তা নয়।“
রাজ মাথা নেড়ে বলল, “ও যাই বল।আমি বুঝেছি। অশোককাকারা নিশ্চয় কাটি করেছে। সেদিন ছাদে গিয়ে শুনছিলাম।উনি বলছেন উনি নাকি তোমার চেয়ে ভাল অ্যাক্টিং করেন। তুমি বল তো আমি বাবাকে বলব।“
ছোটোমামা বললেন “আরে না। অন্য একটা ব্যাপার ঘটে গেছে।আমি একটা চাকরি পেয়ে গেছি।“
রাজ চোখ গোল গোল করে তাকাল। ছোটমামার সব কথা একটু বাড়িয়ে বলেন। তাই সে বলল, “চাকরী?”
ছোটমামা ওর মনের ভাব বুঝতে পারলেন। তাড়াতাড়ি বললেন।,”তুই যা ভাবছিস তা নয়। সত্যিই পেয়েছি রে। জামাইবাবুকে জিজ্ঞেস কর”। উনিই ব্যাবস্থা করে দিয়েছেন।
রাজু আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলল, “এতো দারুন খবর মামা।“
“হ্যাঁ রে। আমাকে সাতদিনের মধ্যেই দিল্লী চলে যেতে হবে।“
রাজ বলল,- “ইয়া। এত ভাল খবর। তুমি আমাকে দাও নি।কিন্তু পুজোর সময় আসতে পারবে না?”
ছোটোমামা বললেন, “এখন কি করে বলব! কিন্তু খুব ইচ্ছে ছিল নাটকটা করার। আমার ভাগ্যে নেই।“
রাজ বিছানা ঊঠে বসল। সে বলল, “কে বলেছে? হবে না। উপায় আছে।“
ছোটোমামা উৎসুক হয়ে বললেন,“কিভাবে হবে?”
“শোনো। তুমি ওখানেও রিহার্সাল করবে। যেমন করার। মাঝেমাঝেই মোবাইলে এখানে অনলাইনে রিহার্সাল দেবে। তারপর ফাইনালের দিন ঠিক চলে আসবে।“
ছোটোমামা বললেন, “হবে বলছিস?”
রাজ বলল, “আলবাত হবে।তুমি ভেবো না।“
ছোটমামার মুখে হাসি ফুটল। তার দিকে তাকিয়ে বলল, “তুই যা বললি। সেটা করলে ভালোই হবে কি বলিস!”
“হ্যাঁ।“
“আচ্ছা। রাতে জামাইবাবুর সাথে কথা বলে নেব। তা তোদের খেলা কবে যেন? আমি দুচারদিনের মধ্যে বাড়ি যাব।“
রাজ বলল,” খেলা রবিবার। মানে আর তিনদিন।তুমি শনিবারেই ফিরে আসবে কিন্তু।
ছোটোমামা বলল, “ তাই যাব। তা শুনলাম নির্ঝর নাকি খেলছে না। সত্যি।“
রাজের মুখ বদলে গেল। নির্ঝর খেলবে না। ও না খেললে খেলাটাই কেমন যেন পানসে লাগছে। সে বলল,“মনে তো হয়।“
ছোটোমামা বলল,” খেললে ভাল হত। কি আর করা যাবে। তবে সে যাই হোক ওদিন কিন্তু তোর একটা গোল চাই।“
রাজের হঠাৎ তীর্থজেঠুর কথা মনে পড়ল।সেদিন কি হয়েছিল খেলায়? কে গোল করেছিল?রাজের মাথায় হঠাৎ কথাটা ঘুরপাক খেল। সে জিজ্ঞেস করল,- “মা কোথায় গো?”
“দিদি-জামাইবাবু বেরোল তো? “
“বেরোল? এখন? কোথায়?”
“ওই যে তোদের কোচ তীর্থদার বাড়িতে। দিদি একাই যাচ্ছিল। জামাইবাবু সাথে গেল।“
তীর্থজেঠু! রাজ অবাক হয়ে কিছুক্ষন ছোটোমামার দিকে তাকাল।সে ভ্রু-কুঁচকে তাকিয়ে বলল, তুমি সিও্যর?
“হ্যাঁরে।দিদি জায়গাটা চেনে না। জামাইবাবু চেনে।ওই মিলের পাশে বাড়ি।“
কেন গেলেন মা তীর্থজেঠুর বাড়ি? লাভ হবে না কিছু।সন্ধ্যেবেলার তীর্থজেঠুর রাগীমুখটা তার আবার মনে পড়ল।
দুপর থেকেই চিনচিন করছে বুকটা। সোজা কথায় তার একটু ভয় লাগছে। সে কেমন খেলবে জানে না। কিন্তু নির্ঝর খেলবে না। ইন্দ্রদার মতো শান্ত ছেলেও কাল গজগজ করে বলেছিল,-” ছেলেটা বিশ্বাসঘাতকতা করল। ইস! ও যদি থাকত তবে কনফিডেন্স দারুন থাকত। তবে ছাড় ওর কথা। কাল আমাদের দেখিয়ে দিতে হবেই।“
গতকাল ঠিক হয়েছে খেলার ছক। কে কোন পজিশনে খেলবে। রামলাল স্কুলের নবারুনকে আটকানোর দায়িত্বরাজের। ওকে আটকালেই অনেক কাজ করবে। ইমন খেলবে উপরে। নির্ঝরের জায়গায়। ভেবেই রাজের মাথায় হাত।কিন্তু আর কোন প্লেয়ার আপাতত নেই।
স্যার তাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠিকই। তিনিও একটু চিন্তায় আছেন। মুখে বলছেন বটে, কাল যে ভাবে হোক জিততে হবে। কিন্তু একটু যেন আত্মবিশ্বাস টাল খেয়েছে তাঁর। স্কুলের মাষ্টাররাও তাকে জিজ্ঞেস করছেন, “নির্ঝর বলে ছেলেটা খেলবে না কেন?”
আরো পড়ুন: ফুটবল (পর্ব-২৬) । দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
স্যার উত্তর দিতে পারছেন না। আরো গম্ভীর হয়ে গেছেন। রাজ শুনেছে স্যারও নাকি একদিন নির্ঝরের বাড়ি গেছিলেন। ওর জেঠুকে বোঝাতে। পারেন নি। এরমধ্যে নির্ঝর নিজেও স্কুল আসা ছেড়ে দিয়েছে। খেলা শেষ হবার পর আসবে।কোথায় লুকিয়ে আছে কে জানে? স্যারকে এসব কথা অবশ্য কেউ জিজ্ঞেস করতে সাহস পায় নি।অনীকদা কায়দা মেরে বলেছিল, “স্যার, আপনি বলুন। নির্ঝরকে হাজির করে দেব।”
স্যার বলেছিলেন,” কিভাবে?”
“ভাববেন না। তুলে নিয়ে আসব স্যার।“
স্যার অনীকের কান মুচড়ে দিয়ে বলেছিলেন,“মেরে তোমার মাথা ফাটিয়ে দেব। সিনেমা দেখে দেখে এসব শিখেছ।তোমার নিজের ভাবনা ভাব।“
একটু পরে বাড়ি থেকে বেরোল রাজ। অন্যদিন সাইকেলে যায়।আজ ছোটো মামার স্কুটিতে সে যাচ্ছে। খেলার সরঞ্জাম নিয়ে সে প্রস্তুত।মা তার মাথায় চুমু দিলেন।মা আর বাবা দুজনে খেলা দেখতে যাবেন। একটু পরে।পরশুদিন তীর্থজেঠুর বাড়ি থেকেও মা মুখ চুন করে ফিরেছিলেন।রাজ জানত তাই ঘটবে। তীর্থজেঠু রাজি হবেন না।রাতে অনেকক্ষন পাথরের মত মুখ করে মা বসে ছিলেন। নির্ঝরের খেলতে না পারা তাকে খুব কষ্ট দিচ্ছিল। মা বলছিলেন, “উফ! কি জেদ রে লোকটার। কিছুতেই বোঝান গেল না।“
রাজ বলল, ‘তুমি কি বললে?”
মা বললেন,“ তোমার জন্য নির্ঝর খেলবে না তা কি ঠিক? তুমি একবার বঙ্কুর সাথে কথা বল। তীর্থদা কোনও কথাই শুনল না। ওই জঙগলে থাকে। তেমনই হয়ে গেছে। আমাকে বলল, ওর নাম আমার সামনে বলবি না। আমি আর কি বলি? বললাম, তীর্থদা, তুমি আর বঙ্কুদা এক রয়ে গেলে । জেদী।“বলে মা একটু চুপ করে বললেন,” না রে! আমি কিছু করতে পারলাম না।“
রাজ বলেছিল,“ হু। আর তো কোনও রাস্তা নেই।“
মা বলেছিলেন,“হ্যাঁ। ওদের জেদাজেদির ফল নির্ঝর ভুগবে।“
রাজ অনেকক্ষন উন্মনা হয়ে পড়েছিল। তার মনে পড়ছিল শেষবারের খেলাটার কথাটা। নির্ঝর যেন ম্যাজিক জানে।নীচ থেকে এক এক করে তিনজনকে কাটিয়ে সে গোলে বল ঠেলে দিয়েছিল। সে মায়ের কথা শুনে বলেছিল, হু। লাক খারাপ নির্ঝরের। তুমি ওর জেঠুকে বলে নিয়ে এলে তবু আবার একটা নতুন সমস্যা।
মা-ও নীরবে মাথা নাড়িয়েছিলেন।
রাজের সেসময় হঠাৎ মনে পড়েছিল তীর্থজেঠু- বঙ্কুজেঠুদের কথা।সেদিনের গল্প শেষ হয় নি। মা তাকে পুরো ঘটনাটা বলেন নি।এখন কি তা জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে?রাজ ভেবেছিল। মা তখন নিজে থেকেই বলেছিলেন,“সেই একই ভুল। সেসময় করেছিল।এখনো তাই। ছেলেমানুষী গেল না ওদের।“
রাজ তৎক্ষনাৎ জিজ্ঞেস করেছিল,- “ ওমা! ওই খেলাটার কথা বললে না তো? কে গোল করেছিল সেদিন?”
মা ম্লানচোখে তাকিয়ে বলেছিলেন, “কেউ করে নি।“
রাজ অবাক হয়ে চেয়ে বলেছিল,“এমা! কেউ গোল করতে পারল না? দুজনেই?”
মা বললেন,“উহু! দুজন নয়। বঙ্কুদা পারে নি। আর সেদিনের ফাইনাল খেলায় তীর্থদা ইচ্ছে করে খ্যালে নি।“
চমকে তাকিয়েছিল রাজ। সে বলছিল,“কি বলছ?”
“হ্যাঁ। বঙ্কুদার সঙ্গে সেদিন কথা কাটাকাটির পর তীর্থদা খেলার দিন কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল।“
রাজ জিজ্ঞেস করল, “ যাহ! রেজাল্ট কি হল খেলার?”
“বঙ্কুদারা এক গোলে হেরে গেছিল সেদিন।মাঝখান থেকে ওরা কেউ কাজে পার্মানেন্ট হল না!বঙ্কুদা, তীর্থদা দুজনেই খেলা ছেড়ে দিল।ওদের বন্ধুত্বও নষ্ট হয়ে গেল।“
কি অদ্ভুত না! রাজ ভাবে। দুজন যদি সেদিন শান্তভাবে বিচার করত তাহলে হয়ত এই অবস্থা হত না। কাজটা দুজনেরই দরকার ছিল।বঙ্কুজেঠুর হয়ত বেশী দরকার ছিল। তবে তীর্থজেঠুর জন্য আরো বেশী মন খারাপ হয়েছিলরাজের। সে বলেছিল,“তবে যাই বল মা। তীর্থজেঠুর স্যাক্রিফাইস বেশী। সেদিন কিন্তু তীর্থজেঠার খেলা উচিত ছিল।“
মা সায় দিয়ে বলছিলেন,” ঠিক। কিন্তু এখন তা ভেবে আর কি হবে? সে না হয় কবেকার ভুল। কিন্তু বঙ্কুদারা এখনো সেই জেদ দ্যাখাবে? কোনও মানে হয়?”
রাজ মাথা থেকে চিন্তা সরাল। মাঠের কাছে এসে গেছে সে।বুকের ভেতর একটা উত্তেজনা টের পেল সে। রোজকার মাঠ যেন পালটে গেছে। মাঠের এক কোনে একটা ডায়াস। দুর থেকেই মাইকে একজন ঘোষনা করছেন।কারা আসবেন তাদের নাম বলছে ঘোষক।উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন স্কুলের প্রধানশিক্ষক সহ শিক্ষকবৃন্দ ও অঞ্চলের মান্যগন্যরা। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন কলকাতা ময়দানের বিখ্যাত ফুটবলার।শুভাশিস মুখার্জী।
টিমের প্রায় সবাই হাজির। রাজ উল্টোদিকে চেয়ে দেখল অপোনেন্টও টিমও এসে গেছে। ইন্দ্রদা তাকে দেখে বলল, “এসে গেছিস। ভাল। তোর মনে আছে তো? কাকে মার্ক করার কথা।–ওই যে!”
একটা বড় শ্বাস ফেলল রাজ। সে দেখল নবারুন বলে ছেলেটা মাঠের ধারে একা একাই বল নাচাচ্ছে।রামলাল স্কুলের টপ প্লেয়ার।সেদিন রাজ অল্পসময়ের জন্য ওকে মার্ক করেছিল। ইন্দ্রদার কথা শুনে রাজ মাথা নাড়ল। কেমন একটা নার্ভাস লাগছে তার। মাঠের দুধারে একটু একটু করে ভিড় জমছে। স্কুলের কিছু মাষ্টারমশাইও খেলা দেখতে এসেছেন। তারমধ্যে রয়েছেন সরোজ স্যার, যাকে দেখলে এমনিই ভয় লাগে।
ইন্দ্রদা ক্যপ্টেন। সে সবাইকে তৈরী হয়ে নিতে বলল।এখনো আধঘন্টা মত বাকি। ড্রেস করে নিতে হবে। লোকজন আসতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে।রাজ চারপাশ দেখল।তৈরী হবার জন্য সে প্রস্তুত হল।
“সৌম্য।ওই দ্যাখ।“
হঠাৎ ইন্দ্রদার গলা শুনে হঠাৎ চমকে গেল। সে মাথা নীচু করে জুতো পড়ছিল।সে তাকিয়ে বলল,“কি?”
ইন্দ্রদা কিছু না বলে সামনে হাত তুলল।
রাজ যেন বিশ্বাস করতে পারল না! মাঠের এক ধার দিয়ে দৌড়ে দৌড়ে নির্ঝর আসছে। আর তার পেছনে দুজন। বঙ্কুজেঠা ও তীর্থজ্যেঠা !
দেড় দশক ধরে সাহিত্যচর্চা করছেন। পেশা শিক্ষকতা। নিয়মিত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখেন। ‘কাঠবেড়ালি’ নামে প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার পত্রিকার রবিবাসরীয়তে। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : ‘চার অঙ্গ’, ‘তিথির মেয়ে’, গল্পগ্রন্থ : ‘গল্প পঁচিশ’, ‘পুরনো ব্রিজ ও অন্যান্য গল্প’। ‘দেশ’ পত্রিকায় ‘বীজমন্ত্র’ নামে একটি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখেছেন।