| 17 এপ্রিল 2024
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত গল্প ধারাবাহিক

অসমিয়া অনুবাদ: রক্তের অন্ধকার (পর্ব-৮) । ধ্রুবজ্যোতি বরা

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

সব সময় ভাবার মতো সে আবার একবার কথাটা ভাবল। তারপরে প্রতিবারের মতো ভাবল–’ না ঠাট্টা করা হলে ও তারপর থেকে আমাকে দেখলেই এত লজ্জা পাবে কেন?’

মা যদি আপত্তি না করে। হ্যাঁ, মা যদি আপত্তি না করে তাহলে ওকে বাড়িতে আনা যেতে পারে। পারে, পারে।

বদনামি বলে পরিচিত মেয়েটির প্রতি প্রেমের মনের মধ্যে ইতিমধ্যে এক দুর্নিবার আকর্ষণ গড়ে উঠেছে। নিভৃতে মেয়েটির কথা সে অনেকবার ভেবেছে। তার হাঁটার বিশেষ ভঙ্গিটা, তার চাহনি, তার পরিপুষ্ট দেহের কথা প্রেমের বারবার মনে পড়ছে। সে পুলকিত হয়েছে, উত্তেজিত হয়েছে। ইতিমধ্যে সে মেয়েটিকে নিয়ে বিভিন্ন কল্পনা করে ফেলেছে।

টাকাটা পাওয়ার পরে যদি অর্ধেক টাকা আমার নামে করে নিতে পারি– ভাবব না বলে কথাটা প্রেম পুনরায় একবার ভাবল; তখন তাকে ঘরে নিয়ে আসতে কোনো অসুবিধা হবে না। ইস, এই কথাটা আমি আগে ভাবি নি।

প্রেম কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ল।

আর লাঠিটাতে ভর দিয়ে দোকানের সামনে বাঁশের বেঞ্চটিতে বসে থাকা থেকে উঠে দাঁড়াল। শেষ হয়ে আসা সিগারেটতাতে শেষ টান মেরে সে সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিল। তারপরে সে ঝলমলে রোদের মধ্য দিয়ে বাড়িতে ফিরে এল।

উজ্জ্বল রোদের সামনে চোখ জোড়া কুঁচকে সে যতটা পারে দ্রুত বাড়ি ফেরার চেষ্টা করল। বাড়ির সামনে পৌঁছানোর পরে সে দূর থেকে অনুভব করল যে বাবা সামনের বারান্দার কাঁঠালপিড়িটাতে উঠে রাস্তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে ।

বাবা তার জন্যই অপেক্ষা করছে। হ্যাঁ বুড়ো, তার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।

বুড়ো কাঁঠাল পিড়িটার ওপর থেকে তাকে হাতের ইশারায় কাছে ডাকছে ।

প্রেম বাবার ব্যবহারে কিছুটা অবাক হল।দেরি হওয়ার জন্য তাকে গালিগালাজ না করে কেন ইশারায় কাছে ডাকছে ।

কাছে যেতেই বুড়ো ফিসফিস করে বলল–’ তোর দিদি জামাইবাবু এসেছে। ওদের সামনে টাকার কথা একদম বলবি না। এখন কী খবর পেলি সংক্ষেপে বলতো। মানুষটার সঙ্গে দেখা হয়েছে কি?’

প্রেম বাবার কাছে সব কিছু বলল। বাবার চাপা কন্ঠের জন্যই সেও হয়তো ফিসফিস করে জবাব দিল । টাকা এলেই ডিসি সভা করবে। সভায় টাকাটা দেবে। ডিসি অফিসের মানুষ এসে বাড়িতে খবর দিয়ে যাবে।

কথাটা শুনে বুড়ো বলল–’ এর একটা কথাও কারও সামনে বলবি না। দিদি জামাইবাবুকেও কিছুই বলতে হবে না। বুঝেছিস? আগে ডিসি মিটিংয়ের আয়োজন করুক।’

প্রেম আর বাবার কাছে দাঁড়াল না। সে লাঠিটা নিয়ে ছেঁচরাতে ছেঁচরাতে বাইরে বেরিয়ে গেল। গাছের নিচে ক‍্যারম  খেলার পার্টি বসে গেছে নিশ্চয়।

প্রেম বাবার সঙ্গে কথা বলে পুনরায় বেরিয়ে যাওয়াটা দিদি তরা ভেতর থেকে লক্ষ্য করেছিল।আবার কোথায় গেল প্রেম? সে এসেছে বলে প্রেম কি জানতে পারেনি? বাবার সঙ্গে ফিসফিস করে সে কী এত কথা বলল।

তার মন খারাপ হয়ে গেল।

সে তখনই রান্নাঘরের উনুনের সামনে বসে থাকা মায়ের কাছে গেল।

আজ এসেই সে মাকে জড়িয়ে ধরে প্রথমে হাউ মাউ করে কেঁদে নিয়েছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিন দিনের দিন দুরাতের জন্য, তারপরে আর বাড়ি আসার  সুবিধা পায়নি। সেটা কয়েক মাস আগের কথা।

এবার এসে সে  বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখছিল। ঘরটা সে আগেরবার দেখার চেয়েও বেশি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বেড়া থেকে মাটি খসে পড়ছে ,টই খসে পড়তে আরম্ভ করেছে ,কোণ গুলিতে মাকড়সার জাল বাসা বেঁধেছে। ভেতরের দরজার খুটি গুলির অবস্থা জরাজীর্ণ ।পেছনের বারান্দায় পেতে রাখা তাঁতশালটা অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।

তার বুকটা হঠাৎ মোচড় খেয়ে উঠল।

এভাবে চললে বাড়িটা ধ্বংস হতে আর বাকি নেই।

সে দ্রুত সঙ্গে নিয়ে আসা ব্যাগটা তুলে ধরে রান্নাঘরে বসে থাকা মায়ের কাছে গেল। রাস্তা থেকে সে স্বামীকে দিয়ে এটা ওটা বাজার করে এনেছে। মায়ের কাছে বসে এবার সে ব্যাগ থেকে বাজারের জিনিসগুলি এক পদ এক পদ করে বের করতে লাগল। স্বামী বাইরে হাত পা ধুয়ে এসে শ্বশুরের অসুখের খবর নেবার কথা সে শুনতে পেল।


আরো পড়ুন: রক্তের অন্ধকার (পর্ব-৭) । ধ্রুবজ্যোতি বরা


‘ মা আজ মসুর ডাল রান্না কর। আমি ডাল নিয়ে এসেছি। বাবা ভালোভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে তো?’

‘ কাশি না উঠলে দুটো ভাত খেতে পারে।’

‘ মাছ -টাছ খায় কি ?’

‘ মাছ কোথায় পাবি,কে আনবে।’ কথাটা বলে মা চোখের জল মুছতে লাগল।

‘ সে মাছ খেতে ভালোবাসতো। বড়শি- টরসি বেয়ে কয়েক ঘর চলে যেত। এখন আর মাছ নেই। প্রেম কখনও মাসে এক দুদিন যা আনে।’ 

তরা চুপ করে রইল। সে ব্যাগের জিনিসগুলি বের করে সাজিয়ে রাখতে লাগল।

‘ আমি কিছু মাছ নিয়ে এসেছিলাম।’– সে বলল। ‘ওকে দিয়ে আসার পথে বাজার থেকে কিনেছি। খুব একটা ভালো মাছ পায়নি। মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। প্লাস্টিকের গরমে মাছটা নষ্ট হয়ে গেল নাকি।’ প্লাস্টিকে বাঁধা মাছের ছোট পুঁটলিটা তরা খুলতে লাগল।’ কারি পাতা দিয়ে আমি তরকারিটা রাধব কি?’

‘ একবারেই সব রাঁধবি নাকি?’- মায়ের মনটা কিছুটা প্রফুল্ল হল।

‘রাঁধব, কিছু হবে না। এক বেলাইতো খাব তোর হাতে। ওর একেবারে ছুটি নেই। আজ রবিবার বলে কোনোমতে দিনটা থাকার জন্য আসতে পেরেছি।’

‘ আজকেই? একদিনেই চলে যাবি? এতটা পথ! মা ভোগের কণ্ঠস্বর যেন হাহাকার করে উঠল।

তরার মনটাও সিক্ত হয়ে উঠল। রান্নাঘরের মাকড়সা এবং তেলের ছিটেয় কালো হয়ে পড়া উনুনের সামনের বেড়াটার দিকে তাকিয়ে সে বলল–’ আজকাল আসা-যাওয়া করাটা একটু সহজ হয়েছে। নতুন সুপারফাস্ট রেল চালু হয়েছে। এক ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়। পথে কোথাও থামে না। ওটাই একমাত্র সুবিধা। স্টেশন থেকে নেমে এই পথটুকু বাসে রিক্সায় দেড় দু ঘন্টা লেগে যায়। স্টেশনে বাজার করতে গিয়ে আজ বাস ছেড়ে দিচ্ছিল। বাস ছেড়ে দিলে যে কী অবস্থা হত।’

কথাটা বলে তরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করল।

বাইরে স্বামী এবং বাবার কথা বার্তা বন্ধ হয়েছে। স্বামীর গলা খেকারিটা সে এখান থেকে শুনতে পেল। তারমানে সে চুরুট টানার জন্য গ্রামের দিকে বেরিয়েছে। কী দরকার এভাবে বেরিয়ে যাওয়ার? দিনকাল একেবারে ভালো নয়।তরার চিন্তা হল।

‘ সাতটার পরে একটা রেল আছে। সাড়ে আটটায় ঘরে পৌঁছে যাব। আমাদের এখান থেকে যাওয়া লাস্ট বাসটা ধরলেই হবে।’

মা মেয়ে  কথা বলে বলে রান্নাবান্না করতে লাগল।

‘ একটা তেলের প্যাকেটও এনেছি। ভাবলাম ঘরে বা মাছ ভাজার তেল আছে কিনা। গুড়টাও আগেই এনে রেখেছিল।’

ব‍্যাগের নিচ থেকে আলু পেঁয়াজ গুলি বের করে সে  ভাঙ্গা টুকরিটাতে রেখে দিল। ধোঁয়া লেগে কালো হয়ে যাওয়া বোতলটাতে চা পাতাগুলি ভরিয়ে রাখল। ডিবেটাতে বেকারি থেকে আনা মিষ্টি বিস্কুট গুলি একটা একটা করে চেপে চেপে ঢোকাল।

‘ কতকিছু এনেছিস দেখছি?’– মা বলল।

আরও কিছু জিনিস আনব ভেবেছিলাম। সময় পেলাম না। গোবিন্দভোগ  চালটা মাঝে মাঝে বাবাকে জলখাবারের মতো সিদ্ধ করে  দিবি। এতটুকুই ছিল। ভাটির একজন মানুষ ওকে এনে দিয়েছিল। একটা দুধের প্যাকেটও এনেছি। পাউডার দুধ। তবে বাবা বোধহয়  কাশির জন্য খেতে পারবে না। তুইও গুলে গুলে খাবি। প্রেমকেও  দিবি। ও এসেই আবার কোথায় বেরিয়ে গেল?’

রান্নাবান্নার কাজের ফাঁকে ফাঁকে মা মেয়ের মধ্যে কথা-বার্তা  চলতে লাগল।

‘ তুই আজকাল নিজের যত্ন নিতে একেবারে ভুলেই গেলি মা?’ অভিযোগের সুরে তরা বলল–’ এত ছেঁড়া কাপড় পড়ে আছিস। তোর তো কয়েকটা কাপাসের কাপড় আছে।’

‘ চোখের সামনে সব ভেঙ্গেচুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এখন আর আমি সেজেগুজে কী করব?’ মা ম্লান হেসে উত্তর দিল। 

‘ও মা’– আলু কাটতে কাটতে তরা হঠাৎ জিজ্ঞেস করল–’ টাকাটা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা হয়েছে কি? কবে দেবে, কত দেবে, কোনো খবর পেয়েছিস?’

‘ না।’– মা ধীরে ধীরে উত্তর দিল।’ কোনো খবর নেই সেই সবের। আমিও খবর নিইনি।’– মা একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলল।

‘ ওটা কথা নয় মা, কথাটা ওভাবে নিস না।’– তরা তখনই বলল–’ ও তো চলেই গেছে। যে গেছে তাকে আর ফিরিয়ে আনতে পারবি না। যারা বেঁচে আছে তাদেরকেই বাঁচার কথা ভাবতে হবে। ওই টাকাটাই এখন আমাদের ভবিষ্যৎ।’

মা কিছু বলল না। একান্ত মনে সে মাছের তরকারিটা নাড়াতে লাগল। টাকার প্রসঙ্গ উঠলেই তার খুব অশান্তি হয়। এই প্রসঙ্গটা নিয়ে সে কখনও ভাবে না। প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলেও সে জোর করে না ভাবার চেষ্টা করে। ভাবতেও পারে না। আসলে ছেলেটির মৃত্যুর জন্য সরকার কেন টাকা দিতে চাইছে, সেই কথাটাও সে ভালো করে বুঝতে পারছে না। আজ ভাত রান্না করার সময় সে হঠাৎ ভাবল– টাকাগুলি পাবার পরে ওদের বাবার একবার চিকিৎসা করা যাবে। মেয়ে জামাই শহরের বড়ো বড়ো বা ভালো একটা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবে বোধহয়– পারবে না কি? সে মেয়েকে জিজ্ঞেস করবে নাকি? জিজ্ঞেস করবে? না, না দরকার নেই। এখনই কোনো কথা উত্থাপন করাটা ঠিক হবে না। মানুষটা একটু ভালো হলে, চলাফেরা করতে পারলে কাজ করার দরকার নেই, বাড়িতেই বসে থাকবে। না না এসব কিছুই ভাবব না। কিছুই ভাবব না। ভোগেই জোর করে সেই কথাগুলি ভাবা বন্ধ করল।

কিন্তু একবার চিন্তাটা মনের মধ্যে এসে গেলে তাকে জোর করে সরানো কঠিন। বারবার ঘুরেফিরে একই কথা ভোগের মনে পড়তে লাগল।

‘ প্রেমের বিয়ে দেওয়ারও সময় হয়ে গেছে। তার বয়স তো আর থেমে থাকে নি। তার সঙ্গের বেশিরভাগ ছেলেরাই বিয়ে করেছে। দু একজন সন্তানের বাবাও হয়েছে। টাকাটা পেলে প্রেমের বিয়েটা তাড়াতাড়ি দিতে হবে। ঘরে কাজ করা আরও একজন হলে ভালো হয়। ভোগেই একা আর সামলাতে পারছে না।

আবার একবার একেবারে অপ্রয়োজনীয় কথাগুলিই ভাবছি।

ভোগেই উনুন  থেকে কড়াইটা সজোরে নামিয়ে রাখল।

একটু সময় স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে তরা এবার দ্রুত উনুনে চায়ের জল বসাল। সঙ্গে নিয়ে আসা বিস্কুট দিয়ে বাবাকে চা দেবে  সে। বাবা যে বিস্কুট খেতে খুব ভালোবাসে সে কথা তরা জানে। সে দ্রুত গরম হয়ে আসা জলে চা পাতা দিতে লাগল। মুখ দিয়ে সে মাকে বলে যেতে লাগল–’ টাকার ব্যাপারটা তুই এত হালকা ভাবে নিস না মা। সে আজ বেঁচে থাকলে এই টাকার কোনো দরকার ছিল না। সে বুদ্ধিমান ছেলে ছিল। কিছু না কিছু একটা করে সে তোদের দেখাশুনা করত। এখন সে নেই। তার নামে সরকার আমাদের টাকা দিতে চলেছে। ভালোভাবে খবরা-খবর নিয়ে টাকাটা আনার ব্যবস্থা করা উচিত। খবরা খবর না করলে তো আজকাল কোনো কাজই হয় না। কার টাকা কেউ মাঝপথেই হাপিস করে দেবে। খবর না করলে হবে না। হাতে আসো ধনকে অবহেলা করতে নেই মা। কত কাজ করার আছে। তোর নাতনিরাও তো বড় হতে চলেছে। মামার হয়ে পাওয়া টাকায় ওদেরও তো একটা দাবি আছে।’

ফিকা চা একটা বাটিতে ঢেলে হাতে দুটো বিস্কুট নিয়ে তরা এবার বাবাকে দেবার জন্য বাইরে উঠে গেল। মা উনুনের সামনে স্থির হয়ে বসে রইল।

বাইরে আসার সময় তরা ভেবে এল– বাবা বোধহয় তার কথাগুলি শুনতে পেয়েছে। রান্নাঘরের কথা বাবা বাইরে বসে ভালোভাবেই শুনতে পান। সেও বাবা যাতে শুনতে পায় সেভাবেই জোরে জোরে বলেছিল।

রতিকান্ত মেয়ের কথাগুলি ঠিকই শুনতে পেয়েছিল।

বেড়ায় মাথাটা হেলান দিয়ে বসে এতক্ষণ তিনি মা- মেয়ের কথাগুলি শুনছিলেন। মেয়ে বাইরে এসেছে বুঝতে পেরে তিনি চোখ দুটো বন্ধ করে লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে লাগলেন।

তরা বাবার হাতে চায়ের বাটিটা এবং দুটো বিস্কুট দিল। রতিকান্ত বেশ নিরাসক্তভাবে চা বিস্কুট হাত পেতে নিল। চায়ের চেয়েও বিস্কুটের প্রতিই তার বেশি লোভ হল। তিনি এক হাতে বিস্কুট চায়ের মধ্যে ভিজিয়ে নরম  করে নিয়ে খেতে লাগলেন। আঃ মিষ্টি বিস্কুট। এই ধরনের বিস্কুট তিনি খুব ভালোবাসেন । মনটা খুশি হয়ে গেল । কিন্তু মনের ভাব বাইরে কোনো রকম প্রকাশ না করে নীরবে চোখ জোড়া বন্ধ করে তিনি বিস্কুট খেতে লাগলেন ।

   

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত