| 29 মার্চ 2024
Categories
ভাসাবো দোঁহারে

ভাসাবো দোঁহারে: যদি কোনোদিন ঘুমের সাঁতার এখানে । নির্ঝর নৈঃশব্দ্য

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
 
যদি আমরা তার মৃতশব্দ ধরে রাখি—যদি তার কাগজের হাতে নদী না ছোঁয়াই—যদি তার পারিজাতে রক্ত না লাগাই—সে থাকবে পাথরের প্রাণ, সে থাকবে গাছের বল্কল, সে কাছে আসবে আর ছুঁয়ে দেবে, ছুঁয়ে দেবে সোমত্ত আকাশ। তার বিবসন ত্বকে সবুজ ফড়িং। সে এসে তারপর চলে যাবে।
 
কোনোদিন এই দিন—এই হাওয়া এই কাঠবিড়ালি বিদ্যুৎ—আমি দেখবো ইন্দ্রজাল। মাকড়সাটি করবে সন্তরণ এঘর-ওঘর। আমার কাঁধে সুরম্য পাতাবাহার। হাতের ভাঁজে ডুমুরের ফুল। উরুতে শীতকাল। কোনোদিন আসবো না আর। একদিন থাকবে না আমার সকাল। রাতে জেগে খেয়ে নেবো ঘুম। নখচিরে জাগাবো রক্ত নিঝুম।
 
ঘুমের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে তারা আসে। সম্ভাব্য সকল সুরে ডানার গন্ধ। বন্ধ দরোজার ফাঁকে সূর্য। লাজ লজ্জাহীন আলো সুন্দর বেশ। কাঠবিড়ালির গানে প্রলম্বিতপথ। পথের রেখায় ভাঁটফুল কাঁপে। পথের ওপারে খড়ের বাগান। বাগানে বাদামি গান। গান শেষে কিছু নেই ঝরনার ছল। ঘুম ভেঙে চোখের কোলে রাতের কাজল।
 
সাঁতার শেষে পাথরে বসলাম আমি। সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে। বাষ্পের রং দেখে পাথর ছেড়ে উঠলাম। বাষ্প আমাকে নিলো না। সহসা শীতকাল এলে তাকে নিলো। বাষ্প পুনর্বার রং পাল্টালো শাদা। বাষ্প হারালো তার কোমল। বরফ আর পাথর দোটানায় ফেলে দিলো। আমি চোখবুজে হলাম সঘন চক্রমন।
 
এখানে সে এনেছে সকলই। বাতাস কুড়িয়ে এনেছে। এনেছে তন্দ্রাহত সুখের বকুল। পিঁপড়ার সারিপথে এনেছে। কোথাকার গুহাদ্বারে গিয়ে ফিরেছে। পৃথিবীকে একবার শূন্য করেছে সে—পূর্ণ করেছে শেষে। আমরা নেই তখন। তারাও নেই তখন—দূরে বনষ্পতির ঝাড় নিঝুম শালবন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত