ইরাবতী ধারাবাহিক: কদমতলি (পর্ব-২২) । শ্যামলী আচার্য
বাড়ির নিচে যে খালটি গেছে, অনু মনে মনে তার নাম দিয়েছে ‘গোলাখাল’।
ঘোলা জল। দক্ষিণপাড়া থেকে সোজা পথ এই দিকে। খাল ডিঙিয়ে তবে উত্তরের পথ। শুকনোর দিনে গোড়ালি ভেজা জল। বর্ষায় কোমর পর্যন্ত ডুবে যায়। মাটি গোলা জলে ভেসে থাকে পচা পাতা। দুর্গন্ধে গা গুলিয়ে ওঠে। পোকামাকড় সাপখোপের নিশ্চিন্ত আশ্রয়।
ঢালু পথ পেরিয়ে ওধারে গেলে পাঠশালার পথ। ওই পথেই আরও এগোলে নমঃশূদ্রদের পাড়া। ধোপা পাড়া। কামার পাড়া। কেউ না কেউ সর্বদা যাচ্ছে আসছে।
খালের ওপারেই পথের দুধারে ঘন বাঁশঝাড়। কচি পাকা নোয়ানো বাঁশের ডগা একে একে এসে ঝুঁকে পড়েছে পথের ধারে। মাটির নাগালে এসে কী যেন খুঁজে দেখতে চায় ওরা। ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় সূর্যের আলো। ফালি ফালি হয়ে ঢোকে রোদ। তবু খালের দুদিকে দিনের বেলাতেও ঝুপসি অন্ধকার। ঝিঁঝিঁপোকার একঘেয়ে ডাক। নতুন জল পেলেই ব্যাঙেদের গলা সাধার পালা। গ্রীষ্মের দুপুরে ভারি মনোরম ছায়া। সোঁদা গন্ধে মিশে থাকে একলা দুপুরের মনকেমন। ঘরের উঠোনে সদ্য রোদে দেওয়া আমের আচারের চমৎকার সদ্ব্যবহার হয় এই নির্জনে। কিন্তু বর্ষা শুরু হলেই ভয়। জোঁকের ভয়, আর ভূতের ভয়। জলার ধারের বাঁশবনে পেত্নীদের গল্প শুনে এমনিই দিনের বেলা গায়ে কাঁটা দেয়, তার ওপর ভয়ে ভয়ে ছুটে এ পথ পেরোতে গেলে রাশি রাশি বাঁশপাতায় পিছল হয়ে থাকা কাদাপথে আছাড় খাওয়া বাধ্যতামূলক। খাল শেষ হলেও নিস্তার নেই। ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটা ঝুপসি বট। তার বয়সের গাছপাথর নেই। ঝুলে আসা বটের ঝুরিতে কে যেন কবে দেখেছে সাদা শাড়ির দুলতে থাকা আঁচল। পাশাপাশি তিনটে খেজুর গাছে কারা যেন দল বেঁধে বসে পা দোলায়। শব্দ হয় খস খস। বাঁশাঝাড়ের আড়ালে কে ডাকে ‘আয় আয়’। তার ছায়া কেবল সরে সরে যায়। সন্ধ্যার পরে ওই পথে রোজ রাম নাম জপ করে পেরোয় লোকজন। চরম সাহসী অনুও ওই পথে চলাফেরার সময় একটু সিঁটিয়ে থাকে।
আর এই ঢালু পথটুকু নগেন্দ্রবালা অনুকে কিছুতেই একা পেরোতে দেন না। সবাই হেঁটে পেরোয়। কাউকে ওই খাল পেরিয়ে অন্য পারে যেতে দেখলে নগেন্দ্রবালা ডাক পাঠান। মেয়েমানুষ, মানে, বউমানুষের গলা তোলা মানা। রান্নাঘরের কাজেকর্মে হাতে হাতে এগিয়ে পিছিয়ে দেয় যে বুড়ি ঝি অন্ন, তাকেই বলেন একবার হাঁক পাড়তে। অন্ন এসে হাঁক পাড়ে, “কে যায় গো?”
মানুষ বুঝে তার সঙ্গে অনুকে খাল পেরিয়ে ওপারে যাবার অনুমতি দেন নগেন্দ্রবালা। বার বার অনুকে বলেন, “ভাইয়ের হাতখান ছাড়বা না। শক্ত মুঠা কইরা ধইরা রাখবা। পইড়া না যায়। ক্যামন?”
আসলে ওই খাল পেরিয়েই রোজ যেতে হয় পাঠশালায়। অনুর পাঠশালায় যাওয়া চাইই চাই। ও সকলের সঙ্গে বসে পড়বে। বাড়িতে জ্যাঠতুতো খুড়তুতো ভায়েদের জন্য সন্ধেতে যে মাস্টারমশাই আসেন, সেই রঘুনাথ মুখুজ্যের কাছে বসে সে আনন্দ পায় না। মাস্টার তার দিকে তাকান না। মেয়েমানুষ বলে খুব তাচ্ছিল্য করেন। অথচ অনুর মাথা ভালো। অনু জানে, সে অনেক কিছু পারে, যা তার দাদারাও একবারে পারে না। তবু বানান ভুল করলে, শুভঙ্করীর আর্যা মুখস্থ না পারলে, শব্দরূপ ধাতুরূপে গুলিয়ে ফেললে রঘুমাস্টার বড় মানসিক নির্যাতন করেন।
“হঃ মাইয়ামাইনসে আইসে পণ্ডিত হইতে। অতই মন তো শহরে গিয়া ম্যামের কাসে শ্যাখ গিয়া যাও…”
অনু একটাও উত্তর দেয় না। শুধু একদিন ওর জিভ সুড়সুড় করে ওঠে। রঘুমাস্টার সেদিন মেজদাকে বকুনি দিতে দিতে যেই না বলেছেন, “আহা, সরস্বতীর বরপুত্তুর আইসে আমার”, অমনি অনু ফস করে বলে ওঠে, “সরস্বতী তো মাইয়ামানুষ, না মাস্টারমশায়?”
মাস্টার কটমট করে তাকান। “কী কইলা?”
অনু মাথা নামায়। মনে মনে বলে, সব বিদ্যা যিনি দেন, তিনিই তো মাইয়ামানুষ, তার বেলা? মুখে সে একটি কথাও বলে না। শিক্ষক তো দেবতার তুল্য; তার মুখে মুখে উত্তর দিয়েছে, মা জানতে পারলে পিঠের চামড়া আর আস্ত থাকবে?
অনুর পাঠশালায় যাওয়া নিয়ে আপত্তি নেই কারও। আবার সম্মতিও নেই তেমন। মেয়েমানুষ ঘরের কাজকর্ম শিখবে। এত পড়ে হবে কী? নগেন্দ্রবালা দাঁতে দাঁত চেপে থাকে। যতদিন পারে, যতটুকু পারে… তারপর তো সেই এক জোয়াল। নিস্তার নেই। মনে মনে কেবল কামনা করে, ওর বাড় থেমে যাক, ছোট হয়ে থাক তার মেয়েটা। যতদিন পারবে, আঁচলের আড়ালে রাখবে সে। সংসারের আঁচ থেকে বাঁচিয়ে।
পশুপতি একা একা পাঠশালায় যেতে পারে না। সে একা কোথাও যেতে পারে না। একটু হাবাগোছের সে। টলমল করে। আড়ালে তাকে টোকে, ঠোনা মারে সকলে। সে হাসে সব সময়। সদা প্রসন্ন অনাবিল সরল মুখ তার। তাকে খেলুড়েরা ধাক্কিয়ে ফেলে দেয় মাটিতে, পাঠশালার পোড়োরা খামচে দেয়, হাত ধরে বোঁ করে ঘুরিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় হঠাৎ। তাকে নিয়ে হাসে। কিন্তু পশুপতির কোনও কিছুতেই কোনও বিকার নেই। সে শুধু হাসে। খল খল হাসি। খুব জোরে ব্যথা লাগলে হাঁ করে কাঁদে। আবার গায়ে হাত বুলিয়ে দিলে কান্না থামিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকায়। হাসলে বা কাঁদলে তার জিভ দিয়ে লালা ঝরে। চোখের জল, নাকের জল, জিভের জল মিলিয়ে তার থলথলে মুখটা সব সময় ভেজা ভেজা। থপথপে চেহারায় একটা শ্লথ ভাব। তবু সে দৌড়তে চায়। আর সে দৌড়তে শুরু করলেই হেসে গড়িয়ে পড়ে সকলে।
আরো পড়ুন: কদমতলি (পর্ব-২১) । শ্যামলী আচার্য
পশুপতি কিছু পড়ে না। কিছুই বুঝতে পারে না সে। শ্লেটে দাগা বুলোয় শুধু। হাঁ করা মুখ। জিভটা বেরিয়ে ঝুলে পড়ে বাইরে। লালা ঝরে। টপ করে পড়ে শ্লেটের ওপর। ফোঁটা ফোঁটা লালায় থেবড়ে যায় অ আ ক খ। সে এখনও বর্ণপরিচয়ে আটকে রয়েছে। তার সহপাঠীরা এগিয়ে গেছে বহুদূর। তারা হাসাহাসি করে। ওর শ্লেট কেড়ে নেয়। পশুপতি কিছু বলে না। শ্লেট কেড়ে নিলে সে চাটাইয়ে বসে খড়ি দিয়ে দাগ কাটে। তালপাতায় কালি মাখায়। হাতের মোটা মোটা আঙুলে কালির ছোপ ছোপ দাগ। পশুপতি হাত মুঠো করতে পারে না। যা ধরতে যায়, সব গলে পড়ে যায় হাত থেকে। কলম ধরতে শেখেনি এখনও। খড়ি দিয়ে দাগ কাটে শুধু। এলোমেলো দাগ।
নগেন্দ্রবালা অনুকে বার বার বলেন, ক্রমাগত মনে করিয়ে দেন। সাবধানে সাবধানে। ছেলে বলে নয়, বংশের সলতে বলে নয়, নাড়িছেঁড়া ধন বলে। দাগী হোক, খুঁতো হোক, তবু তো সন্তান। জন্মের দোষ? তা’ হবে। পশুপতির তো আর কোনও রোগবালাই নেই। সে বড় ভালোমানুষ। হাবাগোবা হওয়া কি দোষের? এ কি তার অপরাধ?
শাশুড়ি দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। শ্বশুর অবশ্য উদাসীন মানুষ। তিনি ভাগ্যে বিশ্বাসী। এ ফুলবউয়ের দুর্ভাগ্য, পোলাডার আগের জন্মের প্রারব্ধ কর্মফল। জায়েরা বড় ভালোবাসেন নগেন্দ্রবালাকে। পশুপতিকে নিয়ে তাদের আক্ষেপের অন্ত নেই। ধলাঠাকুরপোর একটাই পোলা, সেইটাও এমনধারা?
“ঠাকুরপোরে ক’ ফুলবউ, মনসাতলার পীরের থানে য্যান অ্যাকখান বাতি দেয়। পরেরটারে নিয়া আয় দেহি। হ্যারে লইয়া কাটাইস না।”
দূর পশ্চিম প্রবাস থেকে নগেন্দ্রবালার স্বামী, শ্বশুরঠাকুরের চতুর্থ পুত্র বীরেশ্বর বছরে একবার আসে। পুজোর সময়। তখন ভরপুর উৎসবের সময়। চারদিকে আত্মীয় কুটুমের ভিড়। দফায় দফায় খাবার বানানোর ধূম। অতিথ-অভ্যাগত লেগেই আছে। তারমধ্যেই হই হই করে চলে আসে বীরেশ্বর।
পুজোর চতুর্থী কি পঞ্চমীর দিনই বীরেশ্বরের দেখা মেলে। ট্রেন, তারপর নৌকা, শেষে গরুর গাড়ি। দীর্ঘ পথ। পশ্চিম মুলুকে সে রেলের চাকরি করে। বদলির চাকরি। কখনও মুঙ্গের, কখনও পাটনা, কখনও ভাগলপুর। গত আঠারো-কুড়ি বছরের চাকরিতে সে ঘুরে নিয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বহু অঞ্চল। ছুটিছাটা পেলেও সে বাড়িতে আসে কম। চিঠি লেখে নিয়মিত। খোঁজখবর নেয় সকলের। এই বাড়িতে বীরেশ্বর এক আশ্চর্য ব্যতিক্রম। গতে বাঁধা পড়াশুনো করে সে গ্রামে পৈতৃক চাষবাস বিষয়সম্পত্তিতে আগ্রহী হয়নি। উচ্চশিক্ষার পর স্বচ্ছন্দে সে ওকালতি পড়তে পারত। কলকাতায় পাঠিয়ে তাকে পড়ানোর চেষ্টাও হয়েছিল। সে রাজি হয়নি বলে চুপচাপ পালিয়ে এসেছে।
তাকে বোঝানোর চেষ্টা কম হয়নি।
“কী করতে চাও তবে?”
বীরেশ্বর, গৌরবর্ণ তীক্ষ্ণনাসা দীর্ঘকায় যুবকের একটাই উত্তর, “আমারে ছাইড়া দ্যান, আমি ঠিক চালাইয়া নিমু।”
“হেয়া কী কথা! চালাইয়া নিতে তো সকলেই পারে, হেয়া আর নতুন কী কইলা…”
বাপের মুখে মুখে প্রত্যুত্তর দেয় না সে। কাউকে বোঝানোর দায় নেই তার। কী হবে বুঝিয়ে? সকলে ভাববে পাগল। উড়নচণ্ডী। মায়ের তো ধারণা তার এই পোলাডা কোন তন্ত্র–মন্ত্রের পাল্লায় পড়সে। সেই দুশ্চিন্তাতেই তাকে বিয়ে দেওয়া হল সাত-তাড়াতাড়ি। কিন্তু নগেন্দ্রবালা তাকে বাঁধতে পারলে তো!
বীরেশ্বরের ভ্রমণের নেশা। নিজের চেষ্টায় পাওয়া রেলের চাকরি তাকে সে শখপূরণের অঢেল সুযোগ দিয়েছে। সেই শখ অবশ্য তার একার। এই শখে সে নিজের পরিবার থেকেও ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। বছরে এক-আধবার বাড়ি ফেরে। সে’ও বোধহয় খানিকটা অনিচ্ছাতেই। পুজোর মরশুমে বাড়ি না ফিরে দূরের নেশায় পাড়ি দেওয়ার সাধ দু’একবার হয়নি তা’ নয়।
পুজোর ক’দিনের মধ্যে আর স্বামী-সন্দর্শনের ফুরসত কোথায়? শরীরের যে কামনায় সন্তানের জন্য বীজ রোপণ হয়, সে কামনাই নিভে গেছে কতকাল হল। নগেন্দ্রবালার শরীর সাড়া দেয় না আজকাল। দলেমুচড়ে ফেলে দেওয়া নরম ফুলের মতো নির্জীব হয়ে শুয়ে থাকে সে।
মাঝমধ্যে মনে হয়, ওই অনিচ্ছুক মিলনের ফলেই কি জন্ম হল পশুপতির? অত শ্লথ, নির্জীব?
নিজের চিন্তাকেই ধিক্কার দেয় নগেন্দ্রবালা। ছি ছি! এসব কী ভাবছে সে? মানুষের বহিরঙ্গ দেখেই কি তাকে অস্বাভাবিক বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়? অষ্টাবক্র মুনির কথা কি তাহলে সে ভুলে গেল?
বাবা বলতেন, সৌন্দর্য মানে অভিজ্ঞতা। মনের ভিতর তৈরি করে রাখা একটা ছবি। পশুপতির মতো আর কাউকে কখনও তুমি দেখোনি তোমার চারপাশে, তাই সে তোমার কাছে অস্বাভাবিক। এমন অনেকে যদি তোমার চারপাশে ভিড় করে, তুমি একদিন বুঝবে ওরাই আসলে ওদের মতো স্বাভাবিক। আমরাই আলাদা ওদের চেয়ে। আমরাই হয়ত অস্বাভাবিক। তার মন, তার আত্মা, তার ইচ্ছা– এইসবের মধ্যে রয়েছে আনন্দ। ওর চোখেমুখে আমি সেই আনন্দ দেখি। সেই সরলতা দেখি। তুমি দেখো না?
নগেন্দ্রবালা কুটনো কুটতে কুটতে ভাবে। ভেবে চলে। বহুদিন চিঠি পান না তাঁর। দূর প্রবাসে কেমন আছে সে? চোখ ছলছল করে ওঠে। সামনের কাঠের বারকোশ, বেতের ডালা, বাঁশের সাজিতে কেটে রাখা তরকারির মধ্যে মিশে যায় অভিমানের বাষ্প।

শ্যামলী আচার্য
জন্ম ’৭১, কলকাতা।
গাংচিল প্রকাশনা থেকে তাঁর প্রথম গল্প সংকলন ‘অসমাপ্ত চিত্রনাট্য’; সংকলনের গল্পগুলি বিভিন্ন সময়ে আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, এই সময়, তথ্যকেন্দ্র পত্রিকায় প্রকাশিত।
রা প্রকাশন থেকে তাঁর দ্বিতীয় গল্প সংকলন ‘প্রেমের ১২টা’; সংকলনের গল্পগুলি বিভিন্ন সময়ে আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, উনিশ-কুড়ি, একদিন, প্রাত্যহিক খবর এবং বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
ধারাবাহিক উপন্যাস “সুখপাখি” প্রকাশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-নিবাসী বাঙালিদের “বাতায়ন” পত্রিকায়।
ধারাবাহিক উপন্যাস “বিস্মৃতিকথা” প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন “ও কলকাতা” ই-পত্রিকা ও অ্যাপে
প্রকাশিত উপন্যাস “সুখপাখি” –সংবিদ পাবলিশার্স; “জলের দাগ”—রা প্রকাশন
বহুস্বর পত্রিকার পক্ষ থেকে মৌলিক গল্প রচনায় ‘অনন্তকুমার সরকার স্মৃতি পুরস্কার’
অভিযান পাবলিশার্স আয়োজিত মহাভারতের বিষয়ভিত্তিক মৌলিক গল্প রচনায় প্রথম পুরস্কার
এছাড়াও গবেষণাঋদ্ধ বই ‘শান্তিনিকেতন’। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।
ফিচার-সঙ্কলন ‘মলাটে দৈনিক’ প্রকাশিত। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।
• ১৯৯৮ সাল থেকে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের এফ এম রেইনবো (১০৭ মেগাহার্তজ) ও এফ এম গোল্ড প্রচারতরঙ্গে বাংলা অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা।
• কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্রের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
• JU Community Radio তে ‘এবং রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের গবেষণা ও উপস্থাপনার কাজে যুক্ত। (ইউ টিউবে ‘EBONG RABINDRANATH’ নামে প্রতিটি অনুষ্ঠানের লিংক রয়েছে)
• ‘কৃষ্টি ক্রিয়েশন’-এর অডিও-প্রজেক্ট ‘রেডিও কলকাতা’য় ‘এসো গল্প শুনি…শ্যামলীর সঙ্গে’ শিরোনামের একটি গল্প-পাঠের অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্যের সমস্ত বিখ্যাত ছোটগল্প পাঠ।(ইউ টিউব ও স্পটিফাইতে প্রতিটি পর্বের লিংক রয়েছে)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ‘ফ্রেশ ওয়াটার ইকোলজি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি এইচ ডি ডিগ্রি পেলেও একমাত্র প্যাশন গল্প লেখা।