Categories
ভাসাবো দোঁহারে: পাঁচটি প্রেমের কবিতা । রূপক চট্টোপাধ্যায়
আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
বারান্দা
সগর্বে পিঠ পেতে আছি
এসো তোমার রোদ বৃষ্টির চাবুক মারো,
ক্ষত দাও অথবা অক্ষত রাখো চাঁদের পূর্ণ রেকাবি!
উদাসীন ডাক নামে শিস দিয়ে
যে যুবক দুপুর হয়ে এলো,
তার আত্মলিপিতে উৎকির্ণ ভাষার
আমিই যোগানদার!
জানালা
হাট খোলা হয়ে পড়ে আছি।
দৃষ্টির ওপারে আদুল ব্রহ্মাণ্ড দেখাযায়!
না দেখার ভান করে দাঁড়াও যদি,
দেখবে সমস্ত শহর কেমন
চাপা অভিমানে মুখের নীলাভ দাড়িতে
মেখে নিচ্ছে নিয়নের আলো!
সেগুন কাঠের অন্তর থেকে
এখনো ক্লোরোফিল মাঝে মাঝে
চিৎকার করে ; সূর্যালোক তৃষ্ণায়!
ওপরের পালিশ করা চামড়া সরিয়ে
সে খবর কেউ নিতে চায়না!
চৌকাঠ
এইতো শৈব স্বরণ!
তুমিও দাঁড়ালে মহাকালের বুকে,
হাতেই চন্দ্র তাপের মতো হলুদ লন্ঠন,
সুদূর থেকে ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায়,
এখানেই রাত নৌকা
গভীর থেকে গভীরে
চালায় দাঁড়।
দেয়াল
আড়াল দাও, আরো আড়াল দাও
শরীরে শরীরে আড়াল, আড়ালে আড়ালে
গভীর চালে, কিস্তি মাত করে দাও খেলা!
তোমার কান্না থেকে সমুদ্র ঝরে,
আমার কান্না থেকে রাতের তারা খসা!
সব কিছুতেই এতো অমিল, আলাদা স্বর,
আলাদা চুম্বন স্বাদ, আলাদা অত্যাচারের ভাষা!
আলাদা হেমলক পাত্রে চুমুক। তাই আড়াল দাও!
তবু ও ইট বালির গাঁথুনিতে বেঁচে থাকে
একই বুননের কঙ্কাল!
প্রতিটিই স্ব গুণে স্বতন্ত্র। দারুন লাগলো