| 19 এপ্রিল 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

ইরাবতী এইদিনে: একগুচ্ছ কবিতা । তুষার কবির

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

প্রথম দশকের মেধাবী কবি তুষার কবিরের আজ জন্মদিন। ১৯৭৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১২। পেয়েছেন, কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার, দেশ পাণ্ডুলিপি পুরস্কার ও দাগ সাহিত্য পুরস্কার। তুষার কবির তার কবিতায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক অভাবিত যোগসূত্র স্থাপন করেছেন তার মেধাদীপ্ত রূপকের বিভায়! তুষার কবির-এর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায়। তারপর থেকে প্রতিটি প্রধান দৈনিকে ও ছোটকাগজে তিনি সমানভাবে সক্রিয়। তার কবিতা অভিনব চিত্রকল্পে ঋদ্ধ যা খুলে দেয় একটার পর একটা ইন্দ্রিয়সমূহের দরজা! তার জন্মদিনে ইরাবতী পরিবারের আন্তরিক শুভেচ্ছা—

কেয়াবন
কেয়াবন পার হয়ে আমি শুনতে পেলাম দূরের কিন্নরী—দুপুরের ধূলিচেরা রোদে ভেসে এল পাহাড়ি মৃদঙ্গ ডাক—তিতিরের ডানা ঝাপটানোর শব্দ আছড়ে পড়ল অরণ্যের ঝিমোনো পাতায়!
ঘুঙুরের মৃদুধ্বনি খুব ধীরে ঘুরপাক খেল হারানো চূড়ায়—ফেলে আসা ছাতিমের ঘ্রাণে—উড়ে আসা হাওয়ায় হাওয়ায়! পলাতক নর্তকের ছিঁড়ে ফেলা মুদ্রালিপি নিয়ে ছুটে গেল এক নীলাভ ময়ূর!
ডেরার আড়াল থেকে কে যেন ডাকতে থাকল কামিনী ফুলের ঘ্রাণ উঠোনে ছড়িয়ে—জমাট বৃষ্টির জলে আবারও নেচে উঠল জঙ্গলের ডালপালা!
কেয়াবন পার হয়ে আমি খুঁজে চলেছি তোমার পায়ের ছাপ—কুড়িয়ে পাওয়া ঘুঙুরের দানা হাতে ছুটে গিয়েছি তোমারই পুরনো ডেরায়!
পয়ার ও পায়রার গানে অতলে হারিয়ে যেতে যেতে তোমাকে পাব কি আজ তিয়াসার মধুরণে—এই কেয়াবনে?
 
 
 
 
কানাড়া
 
আজ পণ্ডিত শ্রীমান যশরাজ এসেছিল আমার ছড়ানো বারান্দায়; তাই বৃষ্টির কিছুটা ছাঁট এসে পড়েছিল হারানো কার্নিশে—আর কামিনী ফুলের ঘ্রাণ জেগেছিল জড়ানো বুকের মাঝে! নীলাভ একটি ময়ূরীর ডানা থেকে ঝরেছিল অভ্রদ্যুতি—জ্যোতির পাথর! কোটরের ফাঁক থেকে গ্রীবা বের করে দেয়া টিয়া আর ডেরা থেকে ছুটে আসা ডাগর ডাহুকী নেচেছিল বৃষ্টির মাতাল শব্দে—জাদুকরী যশরাজ সুরে! দরবার-ই-কানাড়া বেজেছিল তোমার স্নানঘরে—রক্তাভ গোলাপ পাপড়িতে—কোরক ছড়ানো সরোবরে! ভিজে ভিজে শুদ্ধ স্নানে তুমি মেতেছিলে বৃষ্টির আরকে। যশরাজ সুরে সুরে খুলে গেল তোমার শরীরের সবকটি ভাঁজ; আড়মোড়া ভেঙে তুমি ডুবে গেলে সুর লহরীর ইশারায়—জমাট বৃষ্টির শব্দে তুমি হঠাৎ হারিয়ে গেলে সান্ধ্য কানাড়ায়!
 
 
 
 
 
 
পিয়ানো
প্রেমের কথাই যদি বলো তবে একবার গানঘরে ঘুরে আসো!
 
বাইরে সুরেলা বৃষ্টি আর রেস্তোরাঁয় বাজছে একটানা মেঘের পিয়ানো! এখানে চায়ের কাপে প্রেমিকাদের ঠোঁটের দাগ লেগে যায়! এখানে বৃষ্টির শব্দে প্রেমিকাদের নতুন শেমিজ ভিজে যায়!
 
কোনো এক প্রেমিক কবিকে দ্যাখো, সে ভুলে গেছে তার শেষ স্বরগ্রাম—সে হারিয়ে ফেলেছে তার নোটবুক—বৃষ্টিভেজা জলের লিরিক!
 
প্রেমের কথাই যদি ভাবো তবে একবার পিয়ানোর ঘুমসুরে নেচে ওঠো!
 
জঙ্গলে বেড়াতে এলে
জঙ্গলে বেড়াতে এলে আমি তোমার শরীরেই
নিঃশব্দে ভ্রমণ করি!
 
জঙ্গলের বুকঝিম্ পথে হেঁটে গিয়ে
আমি খুঁজে পাই দূরের ছড়ানো ভাঁটফুল
পাতাঝরা আমলকীবন—
কোথাও যেনবা ভেসে আসে তিতিরের ডাক
ঝোপ থেকে উঠে আসে ময়ূরীর মনোলগ
আর জলডাহুকীর গান—
 
জঙ্গলে বেড়াতে এসে তোমার শরীর জুড়ে লেখা হতে থাকে
আরণ্যিক নোটবুক!
 
জঙ্গলের কিছুটা দূরে তাঁবুর ভেতর থেকে
উঠে আসে হালকা পালক, শালপাতা, ঘুমহরিণীর চোখ—
আরো দূরে কালো জিপ, পোড়া ডিজেলের ঘ্রাণ,
ছায়া ও ছাতিমতলায় ডুবে যায়
হাওয়া হ্রেষার গান—
 
জঙ্গলে বেড়ানো মানে তোমার শরীরের অরণ্যের ভেতর
নিঃশব্দে হেঁটে যাওয়া!
 
বর্ষাভ্রম
ঘুম দুপুরে উঠছে জেগে ধূম্র স্মৃতি
ঝুম বর্ষায় আবার তুমি পড়লে এসে—
মেঘের মেয়ে আঁকছে দ্যাখো সরস্বতী
জলের বুকে জাগছে ভূমি রাস্তা ঘেঁষে।
 
ঠান্ডা হাওয়া ঝাপটা মারে বজ্র চেরা
ঢেউ তোমাকে দেয় ডুবিয়ে আস্তে করে—
নদীর তীরে হাঁটছ তুমি রাত্রি ছেঁড়া
জলের সিঁড়ি ভাঙছি আমি ভগ্ন সুরে।
 
ভুল বেহালা বাজছে বুকে শব্দ যতি
ঝুল বারান্দা ভিজছে শুধু দুঃখক্রমে—
প্রেমের খাতা খুলেই দেখি আস্ত ক্ষতি
লিখছি তাই জলের গাথা বর্ষাভ্রমে।
 
জল ও জানালা
এ বর্ষায়, দ্যাখো জানালার কাচে আমি লিখে চলেছি শুধু তোমার নাম! বৃষ্টির ঝাপটা জানালায় যতই আছড়ে পড়ে আমি আঙুল চালিয়ে লিখে চলেছি তোমার নাম! জানি, একটু পরই জলের প্রপাতে ধুয়ে মুছে যাবে তোমার এ নাম—আমি সম্মোহিত হয়ে তবু লিখে চলি তোমারই নাম। বুঝি, তুমিও তোমার জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখছ জলের প্রিজম কণা, শুনছ বৃষ্টির গান—আর ধোঁয়াওড়া কফির পেয়ালা হাতে মনে মনে জঁপছ একটি নাম! বর্ষালীনা, তুমি জানবে না, হিমেল ঠান্ডায় ভিজে ভিজে আমি লিখে চলেছি শুধু তোমারই নাম!
 
ধূলিখাম
ধূলিখামে এসেছিল তোমার সকল চিঠি—যা ঠিকঠাক পৌঁছে দিতে অরণ্যের পোস্টম্যান নিয়েছিল দু’দিনের নৈমিত্তিক ছুটি!
 
ডাহুকের ঝিমপথে সে পড়েছিল তার কয়েকটি গোপন হরফ—তাতেই সে শুনতে পেয়েছে জগতের সব মনোব্যথা, পালক হারানো স্বর আর সরোদের আর্তকান্না!
 
ধূলিখাম খুলে দেখি তাতে শুধু শূন্যতার গান, কয়েকটি রক্তে ভেজা হরফের ঘ্রাণ আর সমুদ্রের স্বরগ্রাম!
 
ছাপ
এই বিকেলের শেষ রোদে, জঙ্গলের ধূলিপথে, পা ছড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখি কার যেন পায়ের ছাপ—মুদ্রিত পায়ের রেখা!
 
তবে এই পথেই হেঁটে গিয়েছ তুমি জঙ্গলের নিঝুম ময়ূরী হয়ে?
 
আর আমি গুনে গুনে দেখি সেই নিরীহ শীতল ছাপ—ঠিক যেন তোমার পায়ের মাপ—আমি আঙুল ছড়িয়ে গুনি তোমার পায়ের রেখা।
 
সামনেই এক তৃণভূমি—দিগন্তের শেষ বাড়ি—প্রান্তরের হরিৎ হাওয়া; আমি সেই পথে হেঁটে চলি, দেখি জঙ্গলের বুনো ঘাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেই পথরেখা—তোমার মুদ্রিত পা!
 
রেস্তোরাঁ
বরং তুমি সেই রেস্তোরাঁর কথাই বলো যার ঝাড়বাতিগুলো জেগে ওঠে মাঝরাতে কোনো ভগ্ন বেহালার সুরে—যার আবলুশ রেকাবির পর জেগে থাকে নীলচে নরম নাশপাতি—ফেটে যাওয়া আনারের দানা—রক্তিম গেলাসে যার ঘুরতে থাকে আঙুরের রস, মদ, মোহ, মায়া—ঘুমের গহিনে যাতে বেজে যায় সুরময় ক্যানেস্তারা! বরং তুমি সেই রেস্তোরাঁর কথাই ভাবো যেখানে বিষাদমাখা প্রেমিকাগণ বসে থাকে ঠান্ডা রিস্টওয়াচ হাতে—যেখানে ঘুরতে থাকে সারি সারি মেঘের পয়ার—পিরিচে আর চায়ের কাপে যেখানে উড়তে থাকে চকমকি প্রজাপতি—রাতভর বেজে যায় যে রেস্তোরাঁয় শুধু প্রেমের প্রমাদ—গহিনে বাজতে থাকে শুধু এক ঘুমচেরা সেরেনাদ!
 
দরজা
দরজার নামফলকের মাঝে চাপা পড়ে থাকে
হারানো প্রেমিকাদের নাম!
 
দরজার কাঠ থেকে জেগে ওঠে কান্না
ধাতব চেরাই শব্দ—
বুক ঝিম হাহাকার—বিলাপ ও নৈঃশব্দ্য!
দরজার আড়াল থেকেই জেগে ওঠে
যত জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস!
 
জানি এ দরজার ওপাশেই ঘটেছিল
যত পাপ ও প্রহেলিকা—
মোহ ও মায়া—মধু ও মাধুকরী—
সব ভিড় করেছিল এ দরজার ওপারেই।
 
তোমার শরীর জুড়ে
কীটদষ্ট চুম্বনের ছাপ—
যা আমি সযত্নে এঁকেছিলাম
সমূহ ভূগোল জুড়ে;
তাও ঘটেছিল এ দরজার আড়ালেই!
 
দরজার ওপাশে এখনো দেখি
সটান দাঁড়িয়ে আছে কেউ—
যার রাতচেরা দীর্ঘশ্বাসগুলো
এখনো ভাসতে থাকে কার্নিশের ছায়াভ্রমে!
 
 
 
 
 
 
বীণা
 
রক্তচন্দনের বনে—বুঝি হারিয়ে ফেলেছি সেই নোটবুক—যার শাদা পাতা জুড়ে লেখা ছিল সুরহীন ঘুমের মল্লার। পাখোয়াজ ভাঁজ খুলে দেখি তোমার হারানো বীণা বেজে ওঠে কার্নিশের রেখাপথে।
এই বসন্ত দুপুরে, মৃদু হাতে সুর তুলে কে বাজিয়ে যায় দরবার-ই-কানাড়া? ঘরভর্তি নিমের সুবাসে আসে দখিনের মাতাল হাওয়া। তুমিই তবে এই কুরুক্ষেত্রে লিখে চলেছো যত দুঃখগাথা—গোধূলির ধূলিওড়া পথে?
ধূলিখামে চিঠি আসে—দুই কান পেতে আমি শুধু শুনে চলি বাগ্দেবীর কড়া নাড়া!
 
বেহালা
 
 
বিকেলের ভাঁজপত্র খুলে
তুমি পেয়ে গেছো হারানো পুরাণ কথা
ঘোটকীর হ্রেষালিপি
আর ঘুমবেহালার ছড়—
 
কাহারবা বেজে ওঠে ধীরে ধীরে
শহরের শেষ রেখাপথে—
 
শোনো, ওটা ছিল এক ঝাড়বাতিঅলা বাঈজিমহল—
খিলানের ছায়াভ্রমে
আজও শোনা যায়
শ্বেতাভ কাকাতুয়ার সান্ধ্যগান—
ঝিনুকের অনুষ্টুপ
আর ভ্রমরের স্বরগ্রাম!
 
জানি, তুমি হারিয়ে ফেলেছো সব স্বর—
পাতার ডেরায় ডুব দিয়ে
তুমি শুনে যাচ্ছো শুধু জমে থাকা জলের লিরিক!
 
ডেরা
 
এই অরণ্যের সরুপথে
হারানো পায়ের ছাপ ধরে
হেঁটে যেতে যেতে
হঠাৎ পেলাম দেখা সেই নিঝুম ডেরার—
পাতার পোশাকে যার মাঝে বসে আছে
ডাগর চোখের এক বনদেবী!
 
ডেরার ভেতর ঢুকতেই
বনদেবী আমাকে দেখিয়ে দিলো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
নর্তকমূর্তির সারি সারি মুখ—
শ্বেতপায়রার রক্তাভ পালক
আর তিয়াসার ফেনাপাত্র!
পাতার কাঁচুলি খুলে
বনদেবী আমাকে বুঝিয়ে দিলো
টানটান বুকের ইশারা!
 
চকিতেই যেনবা আমার জেগে উঠল বোধ—
নির্বাণের আভা—
ডেরার ভেতর যেন জ্বলে উঠল
জমে থাকা লুকোনো প্রতিভা—
আদিম বনদেবীর কাছ থেকেই
যেনবা পেয়ে গেলাম
জগতের যত জ্ঞান—জ্যোতির্ময় রত্মবিভা!
 
ছায়া ও ছাতিমতলা
 
এই দূর মফস্বলে আমাকে ডাকছে শুধু হুহু দোয়েল-দুপুর, বিকেলের ঘুঘুডাক, গোধূলির সান্ধ্যভাষ—বিলাপ ও নৈঃশব্দ্য!
একটি রঙিন রিক্শায় দেখি উড়ে বসে কয়েকটি চকমকি প্রজাপতি, ডাহুকীর ডানা চিরে বেজে ওঠে বিকেলের ধূলিরেখা, ভাঙা ডাকবাক্স আর কোটরের টিয়াগান!
ছায়া ও ছাতিমতলা পার হয়ে এই দূর মফস্বলে আমাকে ডাকছে শুধু চায়ের টংঘর, কচুরি ফুলের ডিঙিস্বর, হুইসেলে জংশনের সুর!
 
পানশালা
 
সব রাস্তা আজ বন্ধ, মধ্যরাতে, এই কুহক নগরে। রেস্তোরাঁর ঝাড়বাতিগুলো সব বন্ধ—লণ্ঠনের নীলাভ আলোয় দ্যাখো অদ্ভুত দেখাচ্ছে এই প্রত্নশহরটাকে! হরিণের ছালে ঢাকা শব্দাবলি নিয়ে আমি ধীর পায়ে হেঁটে যাচ্ছি মধ্যরাতের পানশালায়। জানি ওখানে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে কতিপয় শব্দগ্রস্ত কবি!
 
আচমকা হাওয়ায় হারিয়ে যাওয়া একটি ভায়োলিন উড়ে এলো আমার হাতে, আমার পুরনো শব্দগুলো ঘুরপাক খেতে খেতে করোটির রেখাপথে সুর হয়ে বাজতে থাকল!
 
 
 
প্রেম ও প্র্যাকটিস
এতদিন ঘুরে ঘুরে তুমি বুঝে নিয়েছ যেনবা প্রেম কিছু নয়; কেবল একটা প্র্যাকটিস!
 
যেমন চায়ের কাপে তুমি রোজ যে ক’চামচ চিনি খাও, আপেলে কামড় বসানোর পর তা যতক্ষণ চিবোতে থাক, পপকর্ন খেতে খেতে উড়ে যাও হালকা হাওয়ার ভেতর, রেস্তোরাঁয় বসে বসে বিড়বিড় করে সুর ভাঁজ, ভাঁটফুলে বুঁদ হয়ে যেমন খুঁজতে থাক কোনো ভ্রমরের পদচ্ছাপ!
 
ভুলে যাওয়ার পর প্রেমিকাকে মনে হতে পারে ওটা এক সাদাকালো আর্কাইভ—যেমন কবিতা লেখা ভুলে গেলে একদিন তোমারও মনে হতে পারে ওগুলো আর কিছুই নয়—খালি টুকরো টুকরো ছন্দ আর শব্দের ফসিল!
 
জঙ্গল ও তাঁবু
তোমাকে আগেও আমি বলেছি প্রেমের জন্যে আমার একটা নিঝুম জঙ্গল চাই! অথবা প্রেমের জন্যে আমার একটা নিঃশব্দ রিসোর্ট চাই! কমপক্ষে আমার একটা সুনসান তাঁবু চাই!
 
অথচ তোমার পাশে বসতেই কোত্থেকে যেনবা কিছু ছায়াশরীর এসে জুড়ে যায়—তারা আচমকা ঘিরে ধরে আমাদের—তাদের চোখের লেন্স ধরে ফেলে রেস্তোরাঁর আলোআঁধারিতে হাত ধরে বসে থাকা আমাদের!
 
জঙ্গলের গহিন ভেতরে একটা তাঁবুর জন্যে অপেক্ষা করছে আমাদের প্রেম!

One thought on “ইরাবতী এইদিনে: একগুচ্ছ কবিতা । তুষার কবির

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত