আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
কাকতালীয়
শ্যামবাজার পাবলিক টয়লেটে পড়ে আছে একটি পলিথিন ব্যাগ। সীমান্ত ওই ব্যাগটি কুড়িয়ে নেয়। ব্যাগটি খোলে। একব্যাগ টাকা! অন্তত ৫/৬ টি দুই হাজার টাকার নোটের বান্ডিল হবে। তারমানে হয়তো ১০/১২ লাখ টাকা আছে ব্যাগটিতে। সীমান্ত টাকার ব্যাগটি নিয়েই সোজা মেট্রোরেলে চেপে বসে। মেট্রোরেল নিউগড়িয়ার দিকে ছুটছে …
টাকা কী জিনিস! -এই টাকার অভাবে সীমান্তর ভালো কোনো সরকারি চাকরি হয়নি। -এই টাকার অভাবে সীমান্তর মা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
মেট্রোরেলে সীমান্তর পাশে একটি মেয়ে বসে পড়লো। বয়স ২৬/২৭ হবে। কিন্তু চুলে সোনালি রঙ করার কারণে বয়সটা একটু বেশিবেশি লাগছে। মেয়েটি হয়তো লাবণ্যর বয়সীই হবে।
লাবণ্য! হ্যাঁ, লাবণ্য। -এই লাবণ্য হলো সীমান্তর ছোটবেলার খেলার সাথী। বন্ধু । সহপাঠী। ওরা ঢাকার লালবাগে পাশাপাশি বাড়িতে থাকতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় পড়তো। হঠাৎ একদিন জানা গেল যে, লাবণ্যরা লালবাগের বাড়ি বিক্রি করে কলকাতায় চলে গেছে। সেই থেকে কোনো যোগাযোগ নেই।
মেট্রোরেল ছুটছে …
মেট্রোরেলের ঘোষণানুযায়ী পরবর্তী স্টেশন কালীঘাট এলাকা। এবারে বসে থাকা মেয়েটি উঠে দাঁড়ালো। আচানক সীমান্তর চোখে-চোখ পড়লো মেয়েটির । মূলত মেয়েটি আর কালীঘাট নামতে পারলো না।
সর্পকন্যা ফাতেমা
ফুলশয্যার রাতে ফাতেমার স্বামী মারা যায়। এটা দিয়ে ওর ছয়টি স্বামী মারা গেল। মেয়েটি একদিনও সংসার করতে পারল না। স্বামীর সোহাগও ওর কপালে নেই! কীভাবে -কী কারণে – কেন যে ফুলশয্যা রাতে ফাতেমার স্বামী মারা যায়! -এসবের কেউ কিছু জানে না। এমনকি ফাতেমাও না। -এটা একটা বড় রহস্য হয়ে দাঁড়ায়। এই রহস্য নিশ্চিন্তপুরের মানুষের প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। নিশ্চিন্তপুরের জনসাধারণ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেনা।
দিন যায়। মাস যায়।
ফাতেমার সপ্তমবারের মতো আবারও বিয়ে হয়। আবারও সেই প্রতিক্ষণের রাত। ফুলশয্যার রাত। নিশ্চিন্তপুরের মানুষের কৌতূহল- কী হয়, কে জানে! রহস্য ক্রমশ বাড়তে থাকে।
ফাতেমা গভীর তন্দ্রায় শায়িত। ফাতেমার স্বামী না ঘুমিয়ে জেগে থাকে। রাত যতো গভীর হয় রহস্য ততো বাড়ে। এক সময় ফাতেমার নাক থেকে বের হয়ে আসে সাপ। চুলের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে সাপ। একে একে অনেক গুলো সাপ ফাতেমার স্বামীকে ঘিরে ধরে।
কবি, লেখক, সাংবাদিক। জন্ম : ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ। প্রকাশিত গ্রন্থ ৩টি। কাব্যগ্রন্থ : যুদ্ধ কী করবো আমি!(২০০৮), আকাঙ্ক্ষার জলশয্যা (২০১১)। গল্পগ্রন্থ : চার দেয়ালের গল্প (২০১২)।
সম্পাদনাগ্রন্থ : কাব্য অভিযাত্রী হাসানআল আব্দুল্লাহ (২০১৭)।দু’টি ছোটকাগজ সম্পাদনা করেন- ‘অনুভূতি’ ও ‘রূপান্তর’।
যোগাযোগ: ৫০ আজিজ সুপার মার্কেট নিচতলা, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০,বাংলাদেশ।
Cell : +88 01712024655(BD.)
+91 7595911555(IN.)