| 11 অক্টোবর 2024
Categories
ভাসাবো দোঁহারে

ভাসাবো দোঁহারে: চাকরি চাই । শ্যামলী আচার্য

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

       – লালদেওর চাকরিটাই আমি করব, বুঝলি?

       দাদার কথায় হাঁ করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি খানিকক্ষণ।

       – লালদেওটা কে? 

       – আঃ, লালদেওকেও চিনিস না? লালদেও হল… লালদেও। বড়মাসির ইস্কুলের দারোয়ান। মনে পড়ল এবার?

       – শেষে লালদেওর চাকরি?

       – কী আর করব বল! এখন কী আর সেই যুগ আছে রে… ধনী পিতা হবু জামাইকে খরচাপাতি দিয়ে বিলেতে পড়তে পাঠাচ্ছেন… তাঁর কন্যার জন্য উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন করছেন। একেবারেই অভাগা আমি। ফাটা কপাল। আর ঠিক একশো বছর আগে জন্মালে… উফ গ্রেট মিস। খুব বড় সুযোগ ছিল একখানা।

       দাদা এমন উদাসীন আত্মপ্রত্যয় নিয়ে বলে যেতে থাকে, খানিকক্ষণ কেমন বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, আহা রে, দাদাটা একশো বছর আগেই তো জন্মাতে পারত! কেরিয়ার আর রাজকন্যা বাঁধা ছিল!  

       আমি অবশ্য সান্ত্বনাবাচক কিছু বলার আগেই হাঁউমাউ করে উঠল দাদা।

       – এ হে হে হে… কাগজটা বোধহয় খেয়ে ফেললাম রে!

       – ক্কীঃ? কাগজ খেয়ে ফেললে মানে? একবারও টের পেলে না?

       – না রে… চিবুচ্ছিলাম— ভাবলাম বাইরের রুটিটাই শক্তমতো ঠেকছে–  কষে চিবিয়ে গিলতে গিয়ে বুঝলাম–  ততক্ষণে গলার মধ্যে গুটলি পাকিয়ে কাগজটা ঢুকে গেছে…

শুনে খুব বিরক্ত লাগে। এগরোল খেতে গিয়ে তার বাইরে পাকানো কাগজ মুখে পড়তেই পারে। তা বলে একদম গিলে খেয়ে নেবে? একটুও টের পাবে না?

       – এ বাবা! কী হবে এবার? 

       – ধুস! কী আর হবে? এমনিতেই পেটে শুকনো পুঁথির বিদ্যে গজগজ করছে। তার পাশে একটু তেলমাখানো কাগজ ঢুকল। ঠিকই আছে। বেকার লোকের এটাই প্রাপ্য।  

দাদা আপাতত বেকার। চাকরির চেষ্টা করছে। অথচ আমাদের বাড়িতে তাকে যে দিনরাত চাকরির জন্য উৎপাত সহ্য করতে হচ্ছে তা নয়। এমনকি কেউ ভ্রুক্ষেপও করে বলে মনে হয় না। ছেলে বড় হয়েছে, সবে এম এ পরীক্ষা দিয়েছে, রেজাল্ট বেরোতে ঢের দেরি। সে নিজেই ঠিক কিছু একটা জুটিয়ে নেবে সময়মতো। কারও খুব একটা মাথাব্যথা নেই। বরং দাদার নিজের সারাদিন নানান দুশ্চিন্তা। সব্বাই নাকি নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। ও বেচারা একাই এখনও হামাগুড়ি স্টেজ।   

চিলেকোঠার ঘরে দাদার বর্তমান আস্তানায় নানান পোকামাকড়ের উপদ্রব। মা অত্যন্ত চিন্তিত। কোনও আক্কেল নেই ছেলেটার! কী দরকার রাতে ওখানে শোবার? সেখানে নাকি চাকরির পরীক্ষার জন্য গভীর মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা চলছে। বিরক্ত করা যাবে না! দাদা প্রায়ই মশারি না টাঙিয়ে মশারি মুড়ি দিয়ে ঘুমোয়। দুটো নাকি একই ব্যাপার। একবার মশারিতে একটা ফুটো ছিল। তা দিয়ে নাকি অনেক মশা উত্তেজিত হয়ে দলে দলে যোগ দিন শ্লোগান দিতে দিতে মশারিতে ঢুকে পড়ে। দাদা মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে রেগে লাল। বেকার বলে এত অত্যাচার? মশারি তুলে ঝেড়ে সব মশাদের ঘাড় ধরে বের করে দিয়ে মনে পড়ল, এই রে, মশারিটাই তো ফুটো। তাহলে উপায়? উর্বর মস্তিষ্কে আইডিয়ার অভাব? চট করে মশারির ফুটো দেওয়ালের ঠিক উল্টোদিকে চটপট মাপসই একটা গোল ফুটো করে ফেলা হল। এবার? ঘরের কোনায় রাখা ছিল আমার ক্লাস নাইনের প্রজেক্টের চার্টপেপার। সেই কাগজ রোল করে পাকিয়ে মশারির এক ফুটো দিয়ে গলিয়ে সোজা অন্য ফুটোয়। দুটি ছিদ্রপথের মধ্যে এক আশ্চর্য টানেল। হুঁ হুঁ বাবা! তুমি চলো ডালে ডালে, আমি চলি পাতার শিরায় শিরায়, বা ফুটোয় ফুটোয়ও হতে পারে! মশারা এবার চার্টপেপারের সুড়ঙ্গ বেয়ে সোজা সিঙ্গল মশারির একপ্রান্ত থেকে সাঁ করে একেবারে অন্যপ্রান্তে। দাদা নিরাপদ। মশারির মধ্যে ঢুকতে না পারা মশাদের প্রতিবাদী গণসঙ্গীত শুনতে শুনতে দাদা নিদ্রামগ্ন।  

এই হল আমার একমাত্র দাদা।

দাদা মানে কিন্তু বিশাল লম্বাচওড়া আর্য চেহারা নয়। বরং দাদা আমার চেয়েই অন্তত আধহাত খাটো। আমি যখন চুনকাম করা দেওয়ালে উডপেন্সিল ছুঁইয়ে মিহি দাগ দিয়ে প্রায়ই নিজের উচ্চতা মাপি, দাদা একবার তাকায়। মুচকি হাসে। আবার পড়ার বইয়ে ডুব দেয়। একদিন বলেই ফেললাম, দাদা, আমি কিন্তু এখন তোমার চেয়েও লম্বা। তুমি পাঁচ দুই।

দাদা উদাস চোখে তাকাল।

– পৃথিবীর সমস্ত প্রতিভাবান মানুষই বেঁটে। জানিস তো?

তক্ষুনি গড়গড় করে মনে মনে কয়েকজন দীর্ঘকায় মানুষের নাম আউড়ে নিই।

দাদা কিন্তু আমার মুখ খোলার আগেই বলে, যাই বলিস, লম্বা মানুষ মানেই তারা শ্বাস নেওয়ার সময় যাবতীয় দূষিত বাতাস পাচ্ছে।

এইরকম অদ্ভূত কথায় তো আমি ভ্যাবাচ্যাকা।

– মানে?

– বুঝলি না? আমরা বেঁটেরা যে নিঃশ্বাস ছাড়ছি, সেই কার্বন ডাই অক্সাইডটাই তো তোরা লম্বা লোকেরা হাঁ করে নিচ্ছিস। ভেবে দ্যাখ।

ভাবব কী! এই অকাট্য যুক্তিতে আমার দুচোখ ছানাবড়া। আতঙ্কিত লাগে। তাহলে কি আর বেঁটে লোকের পাশাপাশি হাঁটব না? দাঁড়ালেই তো তার নিঃশ্বাস… হে ভগবান!

– তবে এই সামান্য হাইটের কমতির জন্য বড় বড় চাকরিগুলো সব আমার হাতছাড়া হয়ে গেল রে! 

– কোন চাকরি দাদা?

– আর বেদনা বাড়াস না। মিলিটারি এয়ারফোর্স… এই জন্মে আর যুদ্ধে যাওয়া বা সেনাবাহিনীতে চাকরি করা হল না রে! 

– অথচ এই নিয়ে তুমি বড়মাসির ইস্কুলের দারোয়ান লালদেওর জায়গায়… কেউ মানবে? 

দশাসই চেহারার দারোয়ান লালদেওর বদলে শীর্ণ ও ক্ষুদ্র আয়তনের দাদার চেহারা ভাবতেই কেমন ভিরমি লাগল!  

– লালদেওকে বোঝাতে হবে। ওর ওই এম এল এ জীবন…

– কী জীবন? 

দাদার অদ্ভূত বিশেষণে ঢোঁক গিলে ফেলি। দাদা একবার বহরমপুরে দাদুর বন্ধু ক্ষিতিদাদুর বাড়ির নেমপ্লেটে বিদেশি ডিগ্রি ‘এম এ বি এফ’-এর পাশে লিখে এসেছিল ‘ম্যাট্রিক অ্যাপিয়ার্ড বাট ফেইলড’…। তাই নিয়ে সে কী হইচই। ক্ষিতিদাদু বাড়ি এসে এই মারে কি সেই মারে!

লালদেওকে ‘এম এল এ’ উপাধি দেওয়ার পিছনেও এইরকমই নিশ্চই কোনও মতলব আছে।

– এম এল এ মানে?

– ম্যারেড বাট লীভিং অ্যালোন। এটুকুই বোঝ আপাতত।

বুঝলাম। বা বলা ভালো, বুঝে পুলকিত হলাম।

এইরকম একটি লোক আপাতত মনখারাপে। এগরোল খেতে গিয়ে আনমনা হয়ে কাগজ অবধি গিলে ফেলছে।    

আমার ক্লাস টেন। সামনে মাধ্যমিক। দিনরাত সুদকষা, স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্যারাগ্রাফ রাইটিং, অ্যামোনিয়ার ধর্ম, ত্বরণ চলন গমন নিউটন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। আমি  টেস্ট পেপারের অবিশ্বাস্য রকম ছোট ছাপা অক্ষরের মধ্যে আমার অন্ধকার ভবিষ্যৎ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। হাই উঠছে ক্রমাগত। কিন্তু ঘুমোনোর উপায় নেই। এদিকে দাদার মাথায় ঢুকেছে চাকরির চিন্তা। 

দাদা তিনবেলা বলে, আমার নিজেকে চ্যালেঞ্জড মনে হয়। কেমন বিশেষভাবে সক্ষম। আর কতদিন ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটব? বাবার গোড়ালি জখম, মায়ের হাঁটুতে ব্যথা…। নিজের একজোড়া পা এবার না পেলেই নয়।

খাবার টেবিলে বসে উদাসভাবেই বলে। মা গম্ভীর। বাবা ডিপ্লোম্যাটিক। 

– তোর কি খাওয়া পরার অভাব ঘটেছে কোনও? চাকরির পরীক্ষাগুলো মন দিয়ে ধীরেসুস্থে দে না!

বাবার প্রশ্নে দাদা নিরীহ মুখে বলে, তা নয়। আমি আসলে ক্রমশ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলছি।

– তাহলে তুমি অবসর সময়ে স্বামীজীর জীবন পড়তে পারো।

– আমি তো অপরাধ মনস্তত্ত্ব পড়ছি।

– সে কি! কেন?

– না মানে, বেকার ছেলেরা ক্রিমিনাল হয়ে যায় শুনেছি…। তাই।

বাবা খাওয়া ভুলে তাকিয়ে থাকেন খানিকক্ষণ। তারপর ছাদ ফাটানো হাসি।

– তোর কিন্তু সেই যোগ্যতা নেই টুবলু। ওটা তোর দ্বারা হবে না! 


আরো পড়ুন: ছোটগল্প: ভালোবাসা


দাদা এবার গিয়ে ধরল মা’কে।

– জানো মা, আগেকার দিনে গৃহশিক্ষক রাখত। তাদের খাওয়া-পরা দিত। মাস মাইনে। তারা বাড়ির ছেলেমেয়েদের পড়াত। আর অবসরে চাকরি খুঁজত। নিজেদের কাজকর্ম করত।

– একমাত্র বোনটাকে একটু দেখো না। দেশের দশের উপকার হয়। খাওয়া-পরা, অবসর… এই বাড়িতে কোনটা পাচ্ছ না শুনি?

মায়ের উত্তরে নিস্পৃহ দাদার পালটা যুক্তি, ইস! ঘরের খেয়ে ঘরের গাধা পেটানো যায়?

আমি মুচকি হাসি।

– উচিতও নয় দাদা।

– ঠিক বলেছিস। সবকিছুর একটা ডেকোরাম আছে! তোকে পড়িয়ে বাবার কাছ থেকে হাত পেতে মাইনে নেব? ছি ছি! সৃঞ্জয় কলেজে পার্টটাইম পড়াচ্ছে, অনীশ ম্যানেজমেন্ট করছে, একটা কিছু বাগিয়ে ফেলল বলে। আমার জন্য নির্ঘাত চিড়িয়াখানার চাকরি পড়ে থাকবে।

– টুবলু, তাই যাস বাবা। খামোখা টেনশন করে আমাদের মাথা খারাপ করিস না। সামনে টুকুনের মাধ্যমিক।

দাদা বলে ওঠে, ছেলেবেলায় ভাবতাম ফুচকাওলা হব, কিংবা পোস্টম্যান। এখন ভেবে দেখেছি সেগুলোও বেশ কঠিন। 

    

এর মধ্যেই এক রবিবারের বিকেলে বড়মাসি এসে হাজির। ইস্কুলের হেডমিস্ট্রেস। বাড়িতেও প্রবল দাপট। দাদা যথারীতি একা সেই চিলেকোঠার ঘরে। পরের সপ্তাহে ব্যাঙ্কের পরীক্ষার প্রস্তুতি। বড়মাসি যেন আমাকে দেখতেই পেল না। ধপাস করে বসল চৌকিতে। ভারি চেহারা নিয়ে জানুয়ারির ঠান্ডাতেও ঘামছে।

– বাবাকে একবার ডাক দে দেখি।

আমি শশব্যস্ত হয়ে বাবাকে ডেকে আনি। রবিবারের বিকেলে ভাতঘুম শেষে বাবা ফ্রেশ। শ্যালিকা মানেই যে ইয়ার্কির পাত্রী নয়, সেই রসায়ন এঁদের দুজনের মধ্যে স্পষ্ট। ইস্কুলের বড়দিদিমণি বলে কথা! 

– কী হয়েছে গীতা? জরুরি কিছু? বাড়িতে সব ঠিক আছে তো?

– বাড়িতে সব ঠিক আছে। আবার ঠিকও নেই।

– সে আবার কি!

– তোমার গুণধর পুত্রের কান্ড জানো না?

– টুবলু? সে আবার কী করল?

– সে কাল আমায় বাড়ি গিয়ে বুঝিয়েছে ইস্কুলে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাহারা দেবার জন্য একজন মনস্তত্ত্ব জানা দারোয়ান প্রয়োজন। আমাদের দারোয়ান লালদেওকে দিয়ে সেসব নাকি হবে না। অতএব… লালদেওকে দেশে পাঠিয়ে যেন ওই চাকরিটা চটপট টুবলুকেই দেওয়া হয়।

বড়মাসি্র হাঁসফাঁস অবস্থা দেখেই বুঝি, এইবার গণ্ডগোল বেশ ভালোই পাকিয়েছে।

বাবার দুচোখ কপালে।

টুবলুর মাথাটা কি খারাপ হয়ে গেল?

বড়মাসি হাঁফিয়ে একসা। বাবা হাঁক দিল মা’কে।

আমি ভাবছি, পা টিপে টিপে ছাদে গিয়ে দাদাকে জানাব কিনা।

ঠিক সেইসময় আবার কলিংবেল। দরজা খুলতেই একটি ঝলমলে মেয়ে। বেঁটেখাটো। মিষ্টি মুখখানা। মোটা বিনুনি আর ভাসা ভাসা চোখদুটি দেখে আমারই ধুপ করে ভালো লেগে যায়। আমারই বয়সী। বা হয়ত সামান্য বড়।

– টুবলুদাকে এই বাংলা খাতাটা দিয়ে দেবে একটু? 

– হ্যাঁ দেব। ভেতরে এসো না। নাম কি তোমার?

– আমি সায়নী।

অচেনা গলার আওয়াজে বাবার উঁকিঝুঁকি আর আপাদমস্তক চেহারায় এবং স্বভাবেও হেডমিস্ট্রেস বড়মাসির উচ্চস্বরে জিজ্ঞাসা। 

– কে এসছে রে টুকুন?

– দাদার কাছে এসেছে। বই দিতে। দাদার ছাত্রী বোধহয়।

­

দাদার কাছে কোন ছাত্রী কী বই ফেরত দিতে এসেছে জানার জন্য দারোগার মতো বেরিয়ে আসেন বড়মাসি। মেয়েটিকে দেখে তাঁর প্রতিক্রিয়া যেন পুরো বাংলা সিরিয়াল।

– এ কি সায়নী? তুমি এখানে?

– হ্যাঁ মানে বড়দি… মানে… আসলে… ওই টুবলুদাকে… কিন্তু আপনি… এখানে… 

বাবা ততক্ষণে বেরিয়ে এসেছেন। বড়মাসির বিস্ফারিত চোখ আর সায়নীর হতভম্ব  অবস্থা দেখে আমার মতো অপ্রস্তুত প্রাণীও বোঝে, সায়নীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় স্কুলের গণ্ডিতে।

সায়নী ক্লাস টুয়েলভ। সামনে উচ্চ মাধ্যমিক। তার বাংলা খাতাটিতে সিলেবাসের বাইরের কথাই বেশি ছিল। না না, আমি কিছু দেখিনি। ওসব বড়মাসির ডিপার্টমেন্ট। 

বাবার হাঁকডাক চিলেকোঠার ছাদ অবধি পৌঁছে গিয়েছিল বোধহয়। মা’কে অবশ্য তেমন উদ্বিগ্ন দেখিনি। কেমন যেন নিশ্চিন্ত লাগছিল।

সায়নীকে বাড়িতে দেখে দাদার প্রচণ্ড অপ্রস্তুত আর ভীতু মুখ।

– ইয়ে মানে, ত্তু তুমি ম্মানে মানে তুমি এখানে?

সায়নী এতক্ষণে সপ্রতিভ।

– টুবলুদা, আপনিই তো আসতে বলেছিলেন।

ওদের হাবভাব দেখে বাবা বলে ওঠেন, শুধু চাকরি পেলেই হবে?           

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত