হিম ঋতব্রত এর কবিতা
প্রেমিকা আমাকে বর্ননা দিলো
রাস্তায় কে অই আশ্চর্য পুরুষ চলে, সুদর্শন যুবক।
অশ্বখুরের মতো ক্ষিপ্র পা,
দানবীয় কর্মঠ দেহ,
তেল চকচকে গা,
যোদ্ধার মতো এগিয়ে যেতে যেতে তাকেও থামতে হয়—
কোমল নারী দেখে!
ঠিক যেভাবে থেমেছিল রুস্তম, সোহারাবের মাকে দেখে।
শামুক শৈবালের গল্প
শামুক শৈবাল খায় এ কথা কী তুমি জানতে?
সে সময় আমি কী ছিলাম কোনো কচি সবুজ সতেজ শৈবাল!
তুমি কী শামুক?
কুড়েকুড়ে খেলে এই কোমল হৃদয় ও শরীর!
কতটুকু পুষ্টি পেলে?
কতহলো মাইটোসিস, মিয়োসিস…
কতটুকু বৃদ্ধি পেলে…
আমাকে হজম করে
কোথায় হেঁটে গেলে শান্ত ধীর পায়ে ?
আরো পড়ুন: প্রবুদ্ধসুন্দর করের গুচ্ছ কবিতা
মাছিটিকে
সেদিন রাত্রে একটা মাছি এসেছিল উড়ে আমার পড়ার টেবিলে
ভনভন গুনগুন গাইছিল গান স্বর্গীয় সুরে,
আশ্চর্য কবিতার মতো বলছিল সকল কথা।
বারবার দারুণ ব্যাঙ্গ করছিল আমাকে নিয়ে,
একজন আদর্শ মূকাভিনেতার মতো!
তারপর ঈর্ষার ঈশ্বর আমি খুন করে
আগুনে লিখলাম ভষ্ম মাছিটিকে।
মল্লিকা
ভাড়াবাড়ির মল্লিকা
শিশুকালের মল্লিকা
শ্যামলাগায়ে মল্লিকা
এখনো তোমাকে আমি কত ভালোবাসি।
আমি কত ভালোবাসি মল্লিকা তোমাকে!

কবি