| 29 মার্চ 2024
Categories
ধারাবাহিক

ধারাবাহিক: দি স্টোরিজ অব জ্যাকসন হাইটস (পর্ব-৮) । আদনান সৈয়দ

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

নিউইয়র্ক জ্যাকসন হাইটস এর বাঙালিদের জীবন, তাদের স্বপ্ন, তাদের ত্যাগ, তাদের মন, মনন, প্রেম, ভালোবাসা আর বুক চাপা কান্নার গল্প । সব মিলিয়ে এই ধারাবাহিক লেখায় উঠে আসবে নিউইয়র্কের বাঙালির গল্পগাথা। আজ ইরাবতীর পাঠকদের জন্য থাকছে পর্ব-৮।


জুয়াড়ি ময়না ভাই

এত রাতে এই বিদেশ বিঁভুয়ে মোবাইল ফোন বেজে উঠা মানেই কোন বিপদের ঘ্রাণ পাওয়া।ঘুম ঘুম চোখে মোবাইলটা খুলতেই ওপাশ থেকে রহমান ভাইয়ের উৎকন্ঠমাখা মোবাইল কল ঝনঝনিয়ে বেজে উঠলো।

“ভাই সব শেষ! ময়না ভাই আর নাই। এই কিছুক্ষণ আগে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।” রহমান ভাইয়ের কথা শুনে বালিশটা বুকে চেপে শুইয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। ঝাপসা চোখে তখন আমি স্মৃতির অতলে ডুব দিয়েছি! কল্পনার চোখ দিয়ে ময়না ভাইয়ের মুখটা শুধুই ভেসে আসছে। কত স্মৃতি তাঁকে নিয়ে। কত ভালো একজন মানুষ ছিলেন এই ময়না ভাই। হায়! ময়না ভাইও শেষ পর্যন্ত এই নশ্বর পৃথিবীটাকে বিদায় জানালেন!

ছেলেবেলায় মগজের একেবারে গভীরে বেদ বাক্যের মত কে বা কারা যেন এই কথাগুলো রীতিমত বুনে দিয়েছিল! “যাত্রা দেখে ফাতরা আর জুয়া খেলে বখাটে।” অতএব জুয়া খেলা যাবে না, যাত্রা দেখা যাবে না, মদ ছোঁয়া যাবে না। এসব ‘না’কে সঙ্গে নিয়ে বড় হই। কিন্তু হায়রে নিয়তি! কে জানতো বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আমার সঙ্গে দেখা হবে রীতিমত দুর্ধর্ষ এক জুয়াড়ি? তাঁর নাম ময়না( আলস নাম গোপন থাকলো)। এক রহস্যময় মানুষ! তিনি নিজেই যেন একটি ঢাকাইয়া পরোটা। ভাঁজে ভাঁজে শুধু রহস্য!

আমরা সবার কাছে তিনি ময়না ভাই বলেই পরিচিত। মনে পড়ে কেউ কেউ জুয়াড়ি ময়না ভাই বলেও তাকে সম্বোধন করতেন। কারণ তিনি নিউইয়র্কের পাশের রাজ্যে নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটির কেসিনো রাজ্যের একজন রেজিস্টার্ড জুয়াড়ি। ময়না ভাইয়ের সঙ্গে আমার বার কয়েক সেখানে জুয়োর আসরে যোগ দেয়ার সুযোগ ঘটেছিল। সত্যি বলতে একজন বাঙালি এত ধ্রুপদি কায়দায় জুয়া খেলতে পারেন আর জুযা খেলে সর্বশান্ত হয়ে নির্লি্প্ত নয়নে ঠোঁটের কোণায় ফাইভ ফাইভ গুঁজে হাসিমুখে গল্প করতে পারেন তা ময়না ভাইকে না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই।

ময়না ভাই হঠাৎ শনিবার দুপুরে কল দিলেন।

“কি আদনান সাব। ব্যস্ত নাকি? শনিবার কি করতে আছেন? ফ্রি থাকলে আওয়াজ দিয়েন”।

ময়না ভাই ঠিক এমন ভাবেই কথা বলেন। শত আপত্তি জানানোর পরও আমার নামের শেষে ’সাব’ যোগ করতেন। তাঁর কথার স্বরে একটা ঢাকাইয়া ঘ্রাণ আছে।

আমি ময়না ভাইয়ের কথা শুনেই বুঝতে পরতাম তিনি আটলান্টিক সিটিতে কেসিনোতে জুয়া খেলতে যাচ্ছেন। শুনেছি সুন্দরবনের ডাকাতরা যখন কোন নৌকায় ডাকাতি করতে যেত তখন নৌকার মাঝিকে হাঁক দিয়ে সংকেত পাঠাতো, “কি মিয়া, আগুন আছে?” মাঝি তখন বুঝতে পারতো নৌকায় ডাকাত পরেছে। তখন পরিস্থিতি কীভাবে সামলাবে সেটি মাঝি আর ডাকাতদল বসে ঠিক করে নিত। আমারও হয়েছে সেই দশা! ময়না ভাইয়ের সংকেত আমি ধরে ফেলেছি। তিনি যখন বলেন “ ফ্রি থাকলে আওয়াজ দিয়েন” তখনই আমি সেখানে এডভ্যাঞ্চারের ঘ্রাণে পাই। ময়না ভাইয়ের সঙ্গে আটলান্টিক সিটিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। তবে ময়না ভাইয়ের সঙ্গে যারা ঘনিষ্ট তারা সবাই মোটামুটি এই সংকেতের সাথে পরিচিত।


আরো পড়ুন: দি স্টোরিজ অব জ্যাকসন হাইটস (পর্ব-৭) । আদনান সৈয়দ


নিউইয়র্ক থেকে আটলান্টিক সিটি লম্বা কোন পথ নয়। সেখানে যেতে ঘন্টা খানেক বা বড়জোর ঘন্টা দেড়েক লাগে । ময়না ভাইয়ের গাড়ি ড্রাইভ করার স্টাইলই অন্যরকম! স্টিয়ারিং এর উপর তাঁর তিনটি আঙুল চেপে বসে থাকে। বিপুল বেগে যাওয়া গাড়িটাকে তিনি এই তিনটি আঙুল দিয়েই শাসন করেন। প্রথম প্রথম বিষয়টি আমার জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু পরে আমি অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিলাম। শুধু অভ্যস্থ নয় আমি নিজেও ধীরে ধীরে ময়না ভাইয়ের কায়দায় তিন আঙুলে স্টিয়ারিং ধরে ড্রাইভ করতে শুরু করি। ড্রাইভ করতে করতে তিনি গল্প করতে ভালোবাসতেন। আমি তাঁর পাশের সীটে বসে সেই অনন্য গল্পের সুধা পান করতাম। আহা! সেই গল্পের ভাঁজে ভাঁজে জমা থাকতো কত প্রেম, কত অভিমান, কত দু:খ! দেশকে ফেলে আসার যন্ত্রণা! সেই গল্পে ভেসে আসতো একটি শ্যামল রং এর বাঙালি মেয়ের ছবিও। ময়না ভাই যখন সেই মেয়েটির গল্প বলতেন সেই মেয়েটি তখন আমাদের পাশের সীটেই এসে বসতো। তারপর কত কথা!

আটলান্টিক সিটিতে তখন তাজমহল নামে জমজমাট একটি কেসিনো হয়েছে। ময়না ভাই সেই তাজমহলের রেজিস্টার্ড  জুয়াড়ি। আমি মাঝে মধ্যেই তাঁর সহচর, সহকারী বা জুয়ার আসরের উৎসাহ দাতা! এখানে রেজিস্টার্ড জুয়াড়িদের সম্মানই আলাদা! শুনেছিলাম আমাদের ময়না ভাইকেও তারা খুব শ্রদ্ধা আর সমীহ করে। কিন্তু সেখানে গেলে নিজের চোখে এর প্রমাণ মিলতো! দরজার গেট কিপার থেকে শুরু করে সুটেট বুটেট হোমরা চোমরা সবাই তাকে খুব সমীহের চোখে দেখে। তখন আমার বুকটাও ময়না ভাইয়ের জন্য ফুলে উঠতো। মনে মনে বলতাম, “জুয়া খেলে জোচ্চর! কে বলে এই কথা! ময়না ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় থাকলে এই কথা কেউ বলতে পারতো না।”

 আমার সঙ্গে যখন ময়না ভাইয়ের পরিচয় ঘটেছিল তখন তাঁর বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই। শরীরে মেদ জমার কারণে ঘাড়টা শরীর থেকে মিলিয়ে গিয়েছিল। মনে হত শরীরের উপর একটা গোলাকার মাথা বসে আছে। গায়ের রং হালকা বাদামি। চুলগুলো সামনের দিকে  খালি হয়ে যাওয়ায় মাথার সামনেটা বেলের মত চেপটা। মাথাটা বড় কিন্তু চোখ দুটো ছোট। অনেকটা কুতকুতে। তবে খুব সুন্দর আর মায়াভরা তাঁর কন্ঠ! কন্ঠে যেন যাদু আছে। এত সুন্দর করে সম্বোধন করেন মনে হয় তিনি যেন সাক্ষাৎ এক প্রেমিক! আহা! এই কন্ঠ দিয়েই বুঝি তিনি তার প্রেয়সীকে সম্বোধন করতেন! কিন্তু তাতেও কিছু হলো না! জীবনটা সত্যি অদ্ভুত!

 ময়না ভাই নিউইয়র্ক শহরে ইয়েলো ক্যাব চালান। জুয়ার নেশা তাঁর রক্তে। রক্তে যখন জুয়ার নেশা টান দেয় তখন তিনি লং আইল্যান্ড সিটিতে যেয়ে ইয়েলো ক্যবের গ্যারেজে গিয়ে নাম লেখান। তারপর সাত সকালে টেক্সি নিয়ে ম্যানহাটনের রাস্তায় নেমে পরেন। এভাবে কিছুদিন টেক্সি চালানোর আয় যখন হাতে চলে আসে তখন সেই জমানো টাকা নিয়েই জুয়া খেলতে ছুটে চলেন আটলান্টিক সিটির উদ্দেশ্যে। তারপর আয় করা সব টাকা খুইয়ে আবার বিরস মনে জ্যাকসন হাইটস ফিরে আসেন। এভাবেই ময়না ভাইয়ের সময় কাটে। এভাবেই ময়না ভাই তাঁর প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে এই দেশে থেকেও স্থায়ী কোন গ্রিনকার্ড করতে পারেননি। শুনেছিলাম সি এস এস বা লুলাক নামে আমেরিকার কৃষিকাজের একটা কোটায় তাঁর কাজ করার পারমিট হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্তই। অন্য আরো শত শত বাঙালির গ্রীনকার্ড হয়ে গেলেও ময়না ভাইয়ের গ্রিনকার্ড হয়নি। একেই বলে কপাল। এই মন্দ কপাল নিয়েই ময়না ভাইয়ের প্রবাস জীবনের যাত্রা। কিন্তু এসব ময়না ভাই থোরাই কেয়ার করতেন। ময়না ভাইয়ের কাছে এসবের কোন গুরুত্ব নেই।

ময়না ভাই বিয়ে করেননি। দেশে যখন ছিলেন তখন একটা মেয়েকে ভালোবাসতেন। মেয়েটিও ময়না ভাইকে ভালোবাসতো। কিন্তু একদিন মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়। কারণ ময়না ভাই তখনও বেকার। মেয়েটি ময়না ভাইয়েরই এক আত্মীয়া ম্যাজিস্ট্রেটকে বিয়ে করে মহা খুশি। ময়না ভাই সেই গল্পগুলো আমার সাথে করতেন। আমি বুঝতে পারি তখন থেকেই তিনি অন্য জগতের মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। দেশ থেকে পালানোর নানা রকম ফাঁক ফোকড় খুজে বের করতেন। তারপর একদিন ভুয়া কাগজপত্র জুটিয়ে আমেরিকায় ভিজিট ভিসায় চলে এলেন। আমেরিকায় তাঁর বৈধ কোন কাগজপত্র না হওয়ার কারণে তিনি আর দেশে যেতে পারেননি। যখন আমেরিকায় এসেছিলেন তখন তিনি ছিলেন আটাশ বছরের টগবগে যুবক। চেহারা ছবি ছিল সিনেমার নায়কের মত। টানা টানা চোখ। চলনে বলনে কোথায় যেন একটা আভিজাত্যের ছাপ ছিল তাঁর মুখে। বাংলাদেশে বাবা-মা ভাইবোন তারা সবাই শিক্ষিত ছিলেন। বাবা একটা সরকারি অফিসে উচ্চপদস্থ কর্মকর্ততা ছিলেন। দেশ থেকে চলে আসার কোন কারণই ছিল না ময়না ভাইয়ের। এসেছিলেন স্রেফ জীবনটাকে বাজিয়ে নেয়ার জন্য। কারণ রক্তে তাঁর ছিল তাঁর জুয়ার নেশা। নিজের জীবনের সাথেও জুয়া খেলতে তিনি ভুল করেননি।  গত ত্রিশ বছরে ময়না ভাইয়ের জীবনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। বাবা-মা দুজনই মারা গিয়েছেন্। বড় ভাইও অকালে রোড একসিডেন্টে মারা গেছেন। এখন আপন বলতে আছেন তার সমবয়সি এক ছোট বোন । কখনো মন খারাপ হলে সেই বোনের  সাথেই মোবাইল বা ম্যাসেঞ্জারে ছেলেবেলার গল্প করেন।

একদিন আমি প্রশ্ন করেছিলাম ময়না ভাইকে।

“আমেরিকাতো আপনাকে কিছুই দিল না। এই দীর্ঘ জীবনে কত কিছুই না হারালেন! বাবা-মা মারা গেলেন। ভাইও মারা গেলেন। অথচ আপনি এই দেশের মাটি কামড় দিয়ে পরে রইলেন। কেন? কেন দেশে চলে গেলেন না ময়না ভাই? এই দেশে কি আছে?

আমার এই সোজাসাপ্টা প্রশ্ন শুনে ময়না ভাই কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলেন। হয়তো ভাবছিলেন তিনি প্রশ্নের উত্তর দিবেন নাকি এড়িয়ে যাবেন! কিন্তু তিনি তাঁর মুখ খুললেন।

” ভালো বলছেন আদনান সাব। আমেরিকা কি দিল! কথা সত্য! সত্যিই কিছুই দেয় নাই। বাপ মারে দেহি নাই, একমাত্র ভাইটাও মইরা গেল। কাগজ হইল না। বিয়া শাদিও করি নাই। সব কিছুই আমার নাই আর নাই। তারপরেও কেন এই  মার্কিন মুল্লুকে পইরা আছি জানেন? স্রেফ জুয়া খেলার জন্য। বাংলাদেশে গেলে আমি মইরা যাবো। আটলান্টিক সিটির মত একটা ক্যাসিনো আছে বাংলাদেশে? এখানে কত রকম জুয়া! আহা! কতবার যে জিতলাম! এইতো সেদিনও ৫০০ টাকা দিয়া খেইলা সাড়ে তিন হাজার টাকা জিতা ঘরে আইলাম।”

কিন্তু সেই টাকাতো আপনি আর  ধরে রাখতে পারেন না ময়না ভাই! যেভাবে ইনকাম করেন সেই ভাবেই আবার চলে যায়।” আমি ময়না ভাইকে থামিয়ে কথাটা বললাম।

“ তা তো ঠিকই। টাকাতো ইনকাম করি একটু আনন্দ ফুর্তির জন্যই! তাই না! যে যেই কাজ কইরা সুখ পায়। আমি জুয়া খেলি। দেখেন, আল্লার কাজ কিন্তু সবই ভালো। বউ বাচ্চা থাকলে এসব করা কঠিন হইয়া যাইতো। কিন্তু আপনিই বলেন! আমার কোন পিছু টান আছে? দেশে আমার টাকা পাঠাইতে হয়? না, হয় না। তাহলে? এই টাকা পয়সা জমাইয়া জমি জিরাত কিননা আমি কি করুম! কবরে নিয়া যামু?

না, আমি টাকা জমিয়ে জনকল্যানমূলক ভালো কোন কাজে কিছু করতে পারেন।

”এইতো এতক্ষণ একটা কথার মত কথা কইছ। এক জাত জুয়াড়িরে আপনি এখন জনকল্যান শিখাইতে আইছেন?”

আরে না। তা নয়। জীবনটা এভাবে জুয়া খেলতে খেলতেই চলে যাবে? জীবনের একটা মানে আছে না? মানব জীবন রইল পতিত!

এই যে রে! আপনি তো আসল জায়গায় হাত দিলেন আদনান সাব! আচ্ছা। আজকে আপনাকে একটা গান শুনাই। এই বলে ময়না ভাই খোরগশের মত লাফ দিয়ে বিছানার জাজিমে গিয়ে বসে হারমোনিয়ামটা টেনে নিয়ে চোখ বন্ধ করলেন। তারপর গান শুরু করেন।

“আমি রুপে তোমায় ভোলাবো না, ভালোবাসায় ভোলাবো….”

গান চলছে। আমি কখনো সেই গান তন্ময় হয়ে শুনছি। কখনো লক্ষ্য করেছি গান গাইতে গাইতে ময়না ভাইয়ের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে। আমি তখন ময়না ভাইয়ের ধ্যান না ভেঙেই চুপ করে বাড়ির পথ ধরতাম। ময়না ভাই অসম্ভব দরদ দিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গাইতেন। এমন দরদি গলা আমি খুব কমই শুনেছি।

ময়না ভাইয়ের কবর হবে নিউইয়র্কক শহর থেকে ছাপ্পান্ন মাইল দূরে লং আইলাইন্ডে মুসলিম গোরস্থানে। আমরা যারা ময়না ভাইয়ের বন্ধু বান্ধব আর ঘনিষ্ঠজন তারাই ময়না ভাইয়ের লাশের সৎকারের কাজে নেমে পরেছি। ময়না ভাই আমেরিকায় এসেছিলেন শূন্য হাতে আবার চলেও গেলেন শূন্য হাতেই। নিজের জীবনকে নিয়েই এমন জুয়া আর ক’জন খেলতে পারেন!

ময়না ভাই! উপারে কেমন আছেন আপনি? এবার দানেও হেরে গেলেন বুঝি? কিন্তু এসব হারজিত আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না! আপনার যাত্রা শুভ হোক।     

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত