| 24 এপ্রিল 2024
Categories
শারদ সংখ্যা’২২

শারদ সংখ্যা অসমিয়া অনুবাদ: দ্য আনটাইটেলড স্টোরি

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

।। মিতালী ফুকন ।।

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

লেখক পরিচিতি- অসমের জনপ্রিয় সাহিত্যিক মিতালি ফুকন একেধারে কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক এবং প্রবন্ধকার। লেখিকার প্রকাশিত গ্রন্থ সমূহ যথাক্রমে নুপুরপিন্ধাবরষুণ (কাব্যগ্রন্থ), অস্তিত্ব (গল্প সংকলন), কারগিলের বীর শহিদ জিন্টুগগৈ (জীবনী গ্রন্থ),আইদেউ (জীবনী মূলক উপন্যাস),জীবনের রঙ (উপন্যাস), দ‍্যটোটেম অফ (গল্প সংকলন), লাইপম (ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস)। ২০০৪ সনে সাহিত্য আকাদেমি ভ্রমণ অনুদান এবং ২০১২ সনে অসম প্রকাশন পরিষদের ফেলোশিপ লাভ করেন ।


ক্যাপ্টেন রবার্ট আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে যাওয়া নদীর অববাহিকা দেখে ভাবতে লাগলেন। কোন শিল্পী এই শিল্পানুভূতিতে পরিপূর্ণ গুহাগুলি সৃষ্টি করেছেন।তাঁরা ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন নাকি! কে সৃষ্টি করেছিল তাঁদের মন, সাহস আর রূপকথা যাদুকরী তুলিকা সদৃশ সেই মসৃণ হাত গুলি! ঈশ্বর,আল্লাহ,যিশু,ভগবান বুদ্ধ! এই সুন্দর  পৃথিবীতে এরা ঈশ্বর পুত্র হবেন যারা যুগ যুগ ধরে হাতে বাটালিনিয়ে নিজের জীবন- যৌবন, আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তৈরি করে রেখে গেলেন স্থাপত্য ভাস্কর্যেররম্যভূমি। দিন-রাত একাকার করে বছরের পর বছর ধরে পাথর কেটে কাজ করে যাওয়া এইসব শিল্পীকে কেউ স্বীকৃতি দিয়েছে! পুরস্কার আদি দিয়ে সম্মান জানিয়েছে! শিল্পের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যাওয়ার সময়হারিয়েগিয়েছিল নাকি তাদের ঠিকানা।ক্ষয়হয়েছিল কি যৌবন।কার পরিকল্পনা ছিল এই রাজপ্রাসাদ সদৃশ শিল্পানুভূতিতে পরিপূর্ণ গুহাগুলি নির্মাণ করা।একটি দুটি নয় ত্রিশটি বড়োবড়ো গুহা। একটি বড় গ্রাম নয় একটি ছোটো মহানগর।কোন রাজপতির এই স্বপ্নপুরী ছিল!

রবার্ট পুনরায় হাতে তুলিকা তুলে নিল। ভুলে যায়নি তার কর্তব্য। তিনি এখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাদ্রাজ পল্টনের সেনাধ‍্যক্ষ নন– এখন তিনি চিত্রশিল্পী রবার্ট গীল। ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশ মেনে তিনি আঁকছেন এই ভাস্কর্যগুলির রঙিন চিত্র। কয়েক বছর, কতদিন হল হিসেব করতে ভয় হয়। দিন চারেক আগে রঙ্গিণ পেন্সিল দিয়েক্যালেন্ডার বানানো,প্রকাণ্ড পাথরটায় প্রতীক চিহ্ন দিতে গিয়ে নয় বছর আঠাশ দিন লেগেছিল। মনটা ভিজে উঠেছিল।জুলিয়ার কথা মনে পড়েছিল।জুলিয়াকে কথা দিয়েছিল পঁচিশ বছরের জন্মদিনটিতে তাকে বিয়ে করবে বলে। কিন্তু সেই দিনটি পার হয়ে গিয়ে পাঁচ বছর পার হয়ে গেল।জুলিয়া, সে কি এখনও রবার্টের হয়ে আছে। রাজকুমারী সদৃশ জুলিয়ারবার্টকে রাজকুমার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল।জুলিয়া হাতে তুলিকা তুলে দিয়েছিল। শিল্পীর মন নাকি রঙের মতোই কোমল হয়। শিল্পী জীবন এবং জগতের অনন্ত রহস্য, বৈচিত্র‍্য, সুন্দরের অন্বেষণ করতে পারে।জুলিয়াপাঠিয়েদিয়েছিল এই বিষ্ময়কর শিলাখণ্ড পুরীতে।জুলিয়ার প্রেম না শিল্পানুভূতিতে  পরিপূর্ণ শিলাখণ্ডের প্রেমে পড়ে দিন-রাত একাকার করে আবার রবার্ট ছবি এঁকে গেছে জানেনা। কোনো সঙ্গী নেই, কেবল অতীতের দীর্ঘশ্বাস, জঙ্গলের জন্তুগুলি, বাদুড়গুলি… সুন্দরের অন্বেষণ না জীবনের নাম, স্বীকৃতি সম্মান পাওয়ার জন্য রবার্ট এই কাজ করেছে নিজেই জানে না। রাতের পেঁচা,হুদু, বাদুড়, বন্যজন্তুগুলি তার সঙ্গী হয়েছিল।কোনোদিন এই বন্য জীবজন্তু গুলি তাকে  বিরক্ত করেনি।লতায় -পাতায়ঢেকে যাওয়া প্রতিচ্ছবি গুলি বের করে তুলিকা হাতে নেওয়ার সময় রবার্টকে একটা অনুভব উৎসাহিত করে তোলে। এই অনিন্দ্য সুন্দর শিল্পকে হাত দিয়ে ছুঁতে সেই মুহূর্ত পর্যন্ত দ্বিতীয় একজনকেও পায়নি। কেবল সেই সুখানুভূতিতে এই নির্জন জায়গায় একা একা আছে কি। নাকি আকাঙ্ক্ষা উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাকে পৃথিবীর সমস্ত কৃত্রিমতা জুলিয়ার প্রেমের আবরণ থেকেও সরিয়ে রেখেছে। কখনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা মানুষকে আত্মকেন্দ্রিকও করে তোলে নাকি! না হলে জুলিয়ার  রূপকথার কাঠির মতো স্পর্শ তাকে ব্যাকুল করে তোলেনা কি! কতদিন হয়ে গেল একটা চিঠিও লেখেনি।হয়তো জুলিয়াও  ভুলে গেছে। না হলে একটা বছর সে কোনো চিঠি না লিখে থাকে।

কে এসেছিল এই ভয়ানক ইন্দ্ৰাদি পৰ্বতমালায়। কেন এখানে এসেছিল। দেশ, মানুষ বশ করে নিজের আয়ত্তেআনায় ক্ষান্ত না থেকে এই ব্রিটিশরা কেন এই গুহা দর্শন করতে এসেছিল। এই বিশাল পাহাড়ের উপরে কেন তাঁরা শিবির পেতেছিল! যোদ্ধা সৈনিকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মহওয়ার জন্য এসেছিল নাকি!ভূত-প্রেত, আত্মা এসবে তাঁরা ভয় করত না নাকি। নাকি তাঁর মতোওরাও‘জিনিস’ছিল।আর এই জেমস ফার্গুসন নামে পন্ডিতটি যদি’ এশিয়াটিক সোসাইটি’র মুখপত্রটিতে সেই প্রবন্ধটি না লিখতেন তখন তো গুল্ম লতিকার মধ্যে এই ভাস্কর্যগুলি নীরবে শুয়ে থাকত।হয়তো রবার্টও মাদ্রাজ পল্টনের সেনাধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন হয়েই থাকতেন, জুলিয়েটের সুযোগ্য পতি হতেন, একটি বা দুটি সন্তানের সংসার হত, তখন এভাবে জঙ্গলের ফল-মূল খেয়ে পেট ভরাতে হত না। অথবা বন্য জন্তুগুলি মেরে খেতে হত না। একদিন তো কোনো খাবার না থাকায় একটি বাদুড়কে ধরে পুড়িয়ে খেয়েছিল। 

– রবার্ট…’

রবার্ট এক প্রকার চমকে উঠল। এই গুহার ভেতরে কে ডাকল। ব্রিটিশ সৈন‍্যতো আসার কথা ছিল না। তাহলে কে! তুলিকাসামলে বসা থেকে রবার্ট উঠে এল।ঘুমিয়ে থাকা কোনো আত্মা জেগে উঠল নাকি! প্রথমবারের জন্য রবার্টের বুকটা কেঁপে উঠল। তথাপি নিঃশব্দে এগিয়ে এল। ভেতরটা আলোতে জ্বলজ্বল করছিল। সেই শিল্পীরা কিছু পাথর ঘষেঘষে এরকম চকচকে করে তুলেছিল যে সূর্যের আলো পড়ে প্রতিফলিত হয়ে গুহার ভেতরটা আলোকে আলোকিত করে তুলেছিল। দূরে দেখল একজন মানুষ এদিক ওদিকে তাকিয়েদেওয়াল গুলি নিরীক্ষণ করছে। এই মানুষটা তো ব্রিটিশ, বিলেতের মানুষ।তাঁর পোশাক সাধারণ,পিঠে একটা বড়ো ব্যাগ। রবার্ট মানুষটার  কাছে চলে আসায় ডান হাতটা এগিয়েদিয়েমানুষটা বলল–’ আই এম জেমস ফার্গুসন…’

‘– জেমস ফর্গুসন!’ রবার্ট সজোরেজড়িয়ে ধরল। রবার্ট জানে তাঁর অনেক প্রশ্নের উত্তর জেমস ফার্গুশনের কাছে আছে।তাঁর অনেক না বোঝা রহস্যের সমাধান হয়ে যাবে।জেমস ফার্গুশনরবার্টের চিত্রগুলি একদিক থেকে দেখে গেল।রবার্ট প্রতিটি ছবি প্রাণ ঢেলে এঁকেছে।শিলাস্তম্ভে থাকা ছবিগুলির যেন প্রতিলিপি।একেবারে একই ধরনে এঁকেছে রবার্ট।

চারশো নিরানব্বই ছবিটা আঁকার সময় রবার্ট জেমসের কথা শুনে গেল-‘এইগুলি প্রাকৃ্তিক গুহা নয়।বড়োবড়ো পাথর কেটে নির্মাণ করা হয়েছে।বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এই স্পর্শাতীত শিল্পের পরিচয়।সম্রাট অশোকের দিনে লোকালয় ছেড়ে নির্জন প্রান্তে থেকে উপাসনা করার জন্য এই প্রকাণ্ড গুহাগুলি নির্মাণ করেছিলেন।এই পাহাড়ের নাম কী হবে,ইন্দ্রাদি না অজন্তা!আর সেই আঁকা-বাঁকা হয়ে বয়ে থাকা নদীটাতাপ্তি না বাগোড়া।হ্যাঁ বাগোড়া।কী সুন্দর অজন্তার এই বাগোড়ানদীটা!সাতকুণ্ড জলপ্রপাতের কাছে এই বাগোড়াঅশ্বক্ষুরাকৃ্তি হয়ে বয়ে গেছে হয়তো রাজ্যাধিপতি সম্রাট অশোকের কল্পনা নগরী এই শিল্প নগর।পাঁচটা উপাসনা গৃহ,পঁচিশটা বিহারে থেকে ভিক্ষুরা কীসের উপাসনা করেছিল।শান্তির না মুক্তির!তাঁরা কী খেত,কী পরিধান করত।কোথায় রেখে গিয়েছিল তাদের ভিক্ষাপাত্র,জপ-মালা অথবা বাসন-পত্র।নাকি কারুকার্যে খচিত রাজপ্রাসাদ সদৃশ এই ঘরে শান্তি পেত না…।’


আরো পড়ুন: মিলেনা জেসেনস্কাসকে লেখা কাফকার দুটি চিঠি । শুভ চক্রবর্তী


‘-আক্রমণ করেছিল নাকি কোনো ডাকাত অথবা নরখাদক।কেন একপদঅলঙ্কার,সম্পদের স্মৃতি রেখে গেল না?’       

রবার্টের প্রশ্নের উত্তর ফার্গুসনদিয়ে গেল–না,না এই লোকালয় ত‍্যাগ করা ছয় সাতশো  বছর হয়ে গেল।সুদামা,কর্ণ কৌপর,লোমণ ঋষি, বিশ্ব ঝোপড়ি এইসব গুহার ফোটোগুলি তোমার খুব সুন্দর হয়েছে।তোমার এই পাঁচশোটি ছবি’ সিডেন হাম ক্রিস্টালপেলেসে’ অনুষ্ঠিত হতে চলা প্রদর্শনীতে আমি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব। তোমার এই ঐতিহাসিক ছবিগুলি দেখে বিশ্বের মানুষ কীভাবে অভিভূত হয় দেখবে। বিশ্ব মানবের প্রশংসায় তোমার জীবন পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে। তুমি তোমার পরিচয়, ঠিকানা অতি কম বয়সে অর্জন করতে পারবে। সঙ্গে খ্যাতি, সম্মান, পুরস্কার এইসবও আসবে…’

‘– জুলিয়া!’

রবার্টের মুখ থেকে অলক্ষিতে বেরিয়ে এসেছিল। জেমস ফর্গুসন কিছুক্ষণ রবার্টের মুখের দিকে তাকিয়েরইল।তারপরে শূন্য রাজছত্রের একটি অয়েলপেইন্টিং হাতে নিয়েরবার্টকে বলল—

‘– সেই ঈশ্বরপুত্ররা তাদের কোমল হাতের মসৃণ স্পর্শে কঠিন শিলালয়কে রূপান্তরিত করে যে ভূ-স্বর্গ তৈরি করে গেল, তুমি আজ নিজের সাধনায় তুফান, বৃষ্টি, উত্তাপ বন্যজন্তু পাখির অত্যাচারকেও তুচ্ছ করে দিন-রাত এঁকে যাওয়া এই ছবিগুলির ভূ-স্বর্গ তৈরি করেছ। এই মুহূর্তে তুমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী রাজপতি বলে ভাবতে পার। এই শূন্য রাজছত্র একদিন পরিপূর্ণ হবে । একটু ধৈর্য ধর… এই ভাস্কর্য স্থাপত্যকে একমাত্র তোমার চিত্রে অক্ষত অবস্থায় সুদূর ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে। আধুনিক সভ্য জগত যখন জানতে পারবে তখন এই সৌন্দর্য আর অক্ষত হয়ে থাকবে না।ক্ষয় হবে, প্রতি হিংসায় চুরি হবে অথবা আধুনিকতার প্রলেপে হারিয়ে যাবে এর সৌন্দর্য। তোমার জুলিয়া ফিরে আসবে তোমার কাছে। তোমার গ্ল্যামার ঐশ্বর্য তোমার জুলিয়াকেফিরিয়ে আনবে…’

রবার্ট গীল আরও দশটা বসন্ত অজন্তা ইলোরায় থেকে গিয়েছিল।বুদ্ধিসত্ত শ্রাবস্তীর অলৌকিক ঘটনাবলীর ছবিগুলি  দেখতে দেখতে পাথরের শয্যায় বসে রবার্ট গীলও যেন বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তুফান, শিলা-বৃষ্টি, বন্য জীব–জন্তুর অত্যাচার সবকিছু অগ্রাহ্য করে সম্পন্ন করেছিলেন ভাস্কর্য- স্থাপত্যের অনুলিপি সমূহ…

রবার্ট গীলবিলাতে চলে গিয়েছিলেন…

তার আগেই নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সৃষ্টিসমূহ।’ ‘সিডেনহামক্রিস্টাল প্যালেস’ এ অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে প্রদর্শন করার জন্য ।রবার্টের অবিন্যস্ত চুল, দাড়ি গুলি কেটে প্রদর্শনীতে যাবার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। জীবনের কুড়িটা বসন্ত অরণ্যের গুহায় থেকে যেন নিজের শরীরের সৌন্দর্য, যৌবনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন।জুলিয়াকে কতটা বসন্ত দেখেননি। আসবে নাকি প্রদর্শনীতে?… কোথায় আছে সে! প্রদর্শনীর পরে রবার্টের যে বিশাল পরিচয় হবে, কুড়ি বছর, সুদীর্ঘকুড়ি বছরের সাধনা করা এই কর্মফল রবার্ট প্রদর্শনীর স্থলে পাবে । চারপাশে ছড়িয়েপড়বেরবার্টের যশ… খ‍্যাতিতে ভরে উঠবে…

এটা কী শুনছে রবার্ট… 

প্রদর্শনী স্থলে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা রবার্টের সবগুলি ছবি পুড়েভষ্ম করল। রবার্ট লড়াই করে করেকোনোমতে পাঁচটা ছবি বাঁচাতে পারলেন।

রবার্ট হাউমাউ করে কাঁদলেন। না সে ঈশ্বরপুত্র হতে পারল না। সে যিশু পুত্র নয় । সে বুদ্ধ… বুদ্ধ…

সে ফিরে যাবে সেই উপাসনা গৃহে…

যেখানে সে ফেলে এসেছে কুড়ি বছরের যৌবন… রং তুলিকায় পার করেছিল দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।রবার্টের চোখের সামনে ভেসে উঠল বোধিবৃক্ষ, শূন্য রাজছত্র, ভক্তদের সঙ্গে অসনস্থ বুদ্ধের সেই শান্ত সৌম‍্যমূর্তি… নিজের অজান্তেই রবার্টের মুখ দিয়ে উচ্চারিত হল–

‘– বুদ্ধংশরণংগচ্ছামি…’

(বিঃ অজন্তা ইলোরা উদঘাটনের সময়ের একটি সত্য ঘটনার ছায়ানিয়ে…) 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত