আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
ভাতঘুম মায়াপাখি
মানুষ দেয়ালের মতো। দামী লেখাটিও একটা সময় মুছে যায় পথের ধুলোয়।
সে কারণ পথেরও অজানা। মোমের হিমশৈল রান্না করে মা। বাবার দুঃখও
উগ্রে যায় ইদানীং। আমাদের শৈশব কৃষকের কাস্তের মত। দিনদিন বাঁকা
হয়ে যাচ্ছে। অথচ কাটতে অক্ষম। আমরা ভাইয়েরা নিভু নিভু জ্বলছি তো জ্বলছি।
ঘুম সেদ্ধ হচ্ছে পুরনো চুল্লীতে। এখন আর ভাতঘুম নেই। পৃথিবীর সমস্ত ঘুম
পুরে নিয়েছে চোখটা। মায়াপাখি উড়ছে। কার্পেট লজ্জা ঢাকে। রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট।
পোস্টারে তাক করা খুন!দেদীপ্যমান ঝুলছে। ভায়োলিন সুর তুলে কলতান।
কি যেন দেখছি! কাকে যেন খুজঁছি! ভাতঘুম নাকি সেই মায়াপাখির চোখ?
জলের আপেক্ষিকতা
জলের গন্ধ ছেড়ে যাবে— ঢেউ
দুটি ক্যাটফিশ
বিমূর্ত চোখে
পানাফুলের দিকে তাকিয়ে রয়
বিস্ফার নদীটা
হঠাৎ কখন আনন্দের ওলান ছেড়েছে
শৈশব পালানো জীবনটা
বুঝতে পারেনি কোনদিন —
তবুও আনন্দ হচ্ছে এই ভেবে
সুখ জিনিসটা আপেক্ষিক —
মানুষ তার উর্ধে যেতে পারেনা।
রিহার্সেল
রিহার্সেল হচ্ছে প্রতিদিন
লেখক মশাই ডায়লগটাকে ছুঁড়ে দিয়েছেন
পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে
আমরা টেনেটুনে নিয়ে যাচ্ছি সমস্ত জায়গায়
শিল্পকলার সবকটা কৌশল
যুদ্ধের দামামার মতো বেজে উঠছে প্রতিক্ষণ
বড় বড় ট্যাংকবহর রণতরী
ক্রসফায়ারে রক্তের ফোয়ারা নামছে শহরে!
রিহার্সেল হচ্ছে তো হচ্ছেই;
মানুষের ভীড়ের ভেতর গড়ান খাচ্ছে সূর্য
হাতের তালুতে চাঁদটাকে
আদুরে চুমু খেতে গিয়ে ঠোঁটের পিপাসায়
শুষে নিচ্ছে সবটুকু আলো
বয়ে চলেছে আধমরা জীবন অথচ
ছোট্ট এই জীবনের জন্য
কতগুলো মৃত্যুর ফাঁদ পাতা চারিদিকে!
শিক্ষক ও সাহিত্যিক সম্পাদক — ‘সাপ্তাহিক অগ্নিবীণা’ পত্রিকা। সহকারী সম্পাদক —‘ডাকপিয়ন’ সাহিত্যের ছোটকাগজ। অনলাইন বার্তা সম্পাদক —‘সখিপুর বার্তা’ পত্রিকা ।