Categories
তৃতীয় বর্ষপূর্তি সংখ্যা: সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা
আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
এই মোল্লাহাটির নদীতীরে
একটা সূর্যাস্তের মতো তুমি পরমন্তপ
সঁপে দিতে পেরেছিলে বলে কী রেণুর বিষ
এই দ্বিধাহীন ধানসেদ্ধ করার মতো আলো
ছুঁইয়ে রাখবো না ছেলের বসত ভিটের গায়ে?
তুমিও তখন বট ফল খুঁজে নিলে কেন?
কেন পুরনো বাড়ির সমস্ত কিছুকে আরও
গণতন্ত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করে যেতে চেয়েছিলে?
শুধু ভেবে যাচ্ছো কুয়ো,উড়ে যাওয়া ফুল,পোকা
কুলোর আওয়াজ ওঠে কালো বাচ্চাদের বুকে
তখনও ভেবে চলেছো জোনাকির মুখে ছেলে রেখে ফেরার পথেই তোমার নদীটি আটকে
হাঁসগুলো ছেড়ে দিল যুগোত্তীর্ণ কোনও কবি
এই যে মোল্লাহাটির নদীতীরে তুমি আমি
পড়লাম বাংলা কবিতা।এ আর ঘটেছে কবে
এইখানে জঙ্গলের এই ঢোকার মুখটাতে
তুমি ভেবেই চলেছো শিকারের চোখ দুটো…
হাহাকারের ফসল, ওগো এভাবে ফোলো না
দেশি মদের ব্যপার
বড়ো প্রপঞ্চে গিয়ে উঠেছে আমার এই দারুপিশাচ
বড়ো অভুক্ত থাকে পৃথিবীর সম্ভবত মানুষেরা। থোবড়ানো টিনের থালা,ভাঙা মায়াবিকার নিয়ে যারা একটা পাহাড় কয়েকটা চুনী কোটাল পেরিয়ে পেরিয়ে একটা লাইন পাড় পেয়েছিল।যাদের নাতি চুল্লু ছেড়ে দেশি মদ পর্যন্ত অভ্যস্ত হবে। এবং যার জন্য একদিন আস্তে আস্তে দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন আর আমাকে ভোগ করতে পারবে না।
আমার ছেলেও আর ভূত দেখবে না।
ভূত দেখবে না!
দেখবে না লাল বর্ণের গর্ভ ব্যবহার!
ব্যারাকপুরে উনিশশো চুরাশি সালে জন্মগ্রহণ করে বনগাঁ উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় থাকেন।মেঘ আর ভাতের কবিতা,আজন্ম ধানের গন্ধে, তৃতীয় পৃথিবী নামক তিনটি কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা। অজস্র প্রবন্ধ ও কাব্য আলোচনা করেছেন বাংলা ভাষা সাহিত্যের এই গৃহশিক্ষক।