| 20 এপ্রিল 2024
Categories
চলচ্চিত্র সিনেমা

অপরাজিত বনাম অচেনা উত্তম : বায়োপিক ঘরানার ভালো মন্দ

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

জীবনীমূলক ছবির মূল সুরটি কি?

জীবনীমূলক বা বায়োপিক ঘরানা সিনেমা শিল্পের একটি বিশেষ ধারা এই ধরনের ছবিতে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে যাওয়া একজন জনপ্রিয় বা প্রবাদপ্রতিম মানুষের জীবনের গোটাটা বা কিছু অংশ ছবির বিষয়বস্তু হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং এটি করতে গিয়ে যে একটি বিশেষ সমস্যা এক্ষেত্রে অনেক সময়ই খুব প্রকটভাবে দেখা দেয় তা হল সেই মানুষটির সুদীর্ঘ এবং চড়াই উৎরাই ভরা বিশাল জীবৎকালের কোন কোন অংশটুকু নির্বাচন করলে ছবির স্বল্প সময়কালের মধ্যে মানুষটির মহান জীবনের মূল সুরটুকু দর্শকের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভবকারণআসলে আমাদের সবার জীবনেরই একটা নিজস্ব গতি আছেএবংহাজারো ওঠাপড়ার মধ্য দিয়েই তা একদিন পরিণতি পায় এবারএই কোনও কোনও পরিণতি একদিন সমাজকে ও তার চলতি ধারার দৃষ্টিভঙ্গিকে একেবারে বদলে দিয়ে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়আর যার ফলে সমাজে জন্ম হয় মহীরুহসম প্রবাদপ্রতিম কিছু মানুষেরযাঁরা তাঁদের জীবন ও কাজের মাধ্যমে একদিন সর্বসাধারণের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠেনআর,সেইসব মানুষের জীবনকথা সমাজের গঠনগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ও জনস্বার্থে প্রচারের জন্যেই তাঁদের কাহিনী সাহিত্যে ও দৃশ্যমাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা জরুরিকিন্তুতার চেয়েও জরুরি এই কাজটি করার পদ্ধতিযার ওপরেই শেষ অবধি কাজটির সার্থকতা নির্ভর করে এবং এই সার্থকতা আর ব্যর্থতারই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ হল গত মাসখানেকের মধ্যে মুক্তি পাওয়া অনীক দত্তের ছবি অপরাজিত ও অতনু বোসের ছবি অচেনা উত্তম


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,অপরাজিত


অপরাজিত ছবিটির প্রধান বিষয় হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি পথের পাঁচালি তৈরির নেপথ্য কাহিনীঅত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন অভিজ্ঞ পরিচালক হওয়ার কারণে সত্যজিৎ রায়ের মতো একজন মহীরুহসম ও বহুস্তরীয় মানুষের বিশাল কর্মময় দীর্ঘ জীবনকে তাঁর ছবির বিষয়বস্তু হিসেবে না বেছে শুধুমাত্র তাঁর ছবির জগতে হাতেখড়ির গল্পটিকে খুব সহজ সরল ও মনছোঁয়া ভঙ্গিতে বলতে চেয়েছেন পরিচালক অনীক দত্ত আর এর ফলেঅতিরিক্ত ঘটনাভারে ছবিটি যেমন সাধারণ দর্শকের পক্ষে জটিল ও দুর্বোধ্য হয়ে ওঠেনিতেমনই একটি ফিচার ফিল্মের সীমিত পরিসরে ছবির বক্তব্যের অন্তর্নিহিত মূল সুরটিও সঠিকভাবে ধরে রাখা গিয়েছে ব্যক্তিগত জীবনের অংশের পরিমিত ব্যবহার ও শেষ অবধি সব ছাড়িয়ে একজন শিল্পীর শিল্পপ্রেমের কাহিনীকেই ছবির মূল উপজীব্য হিসেবে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনিযা এই অপরাজিত ছবিটিকে একটি সফল বায়োপিক ঘরানার ছবি হিসেবে তুলে ধরে অন্যদিকেমহানায়ক উত্তমকুমারের জীবনের উপর নির্মিত অতনু বোসের অচেনা উত্তম ছবিটির প্রধান দুর্বলতা হল তার বিষয়বস্তু নির্বাচন যে কারণে বায়োপিক ধারার ছবির সৃষ্টিসেই অনুপ্রেরণামূলক কোনও বার্তাই তাঁর এই ছবি থেকে পাওয়া যায় নাযা অচেনা উত্তম ছবিটির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছবির মূল চরিত্র হিসেবেও তিনি বেছেছেন এমন একজন মানুষকে যিনি তাঁর জীবৎকালেই এক আকাশছোঁয়া লেজেন্ডে পরিণত হয়েছিলেনএবংযাঁর সেই অতুলনীয় ক্যারিশমা আজও সর্বসাধারণের মনে সেই একইভাবে বিদ্যমান এখন এই পরিস্থিতিতে তাঁর জীবনের অচেনা দিকগুলি নিয়ে ছবি করতে গেলে প্রথমেই যেটা প্রয়োজন তা হল এক দীর্ঘকালীন নিবিড় গবেষণাএকটি টানটান চিত্রনাট্য এবং খুব সতর্কভাবে ছবির চরিত্রগুলির জন্য সঠিক অভিনেতা নির্বাচন করাঅথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবেএই সবকটি বিভাগেই ছবির পরিচালক চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ উত্তমকুমার তাঁর দীর্ঘ টালমাটাল ব্যক্তিগত জীবনের ঊর্দ্ধে উঠেও শেষ অবধি একজন জাত শিল্পীছবির পর ছবি জুড়ে যাঁর ঈশ্বরদত্ত অভিনয় প্রতিভাকাজের প্রতি অসামান্য নিষ্ঠা ও অমানুষিক পরিশ্রমের ফলশ্রুতি হিসেবে তাঁর উল্কাসম উত্থান দেখেছে বিশ্বব্যাপী সিনেপ্রেমী মানুষআর তাই এই ইহাজগতে আজ সশরীরে না থেকেও ছবির জগতে তিনি আজও স্বমহিমায় প্রাসঙ্গিকএবং সেই তাঁর ওপর ছবি করতে গিয়ে তাঁর শিল্পসত্তা ও বাংলার সিনেজগতে তাঁর অবর্ণনীয় অবদানের মতো সাধারণের পক্ষে প্রায় অজানা ও অনালোচিত বিষয়কে ব্রাত্য রেখে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের কিছু বিতর্কিত ও সহজলভ্য ঘটনাকেই চর্বিতচর্বনের মতো করে তাঁর প্রয়াণদিবসের ঠিক আগে পর্দায় তুলে ধরা পরিচালকের পক্ষ থেকে একটা সস্তা চমক ছাড়া আর কিচ্ছু নয় এটা পরিচালক হিসেবে একজন মানুষের তাঁর কাজের প্রতি সততার শুধু নয়সংশ্লিষ্ট শিল্পের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেয়। বায়োপিক ঘরানার ছবির করতে গেলে সব ছাড়িয়ে কতটুকু পর্দায় দেখাবোআর কতটুকু উহ্য রাখবোএই পরিমিতি বোধের জ্ঞানটি বড্ড জরুরি


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,অপরাজিত


নিবিড় দীর্ঘকালীন গবেষণা ও ছবিতে সততার সাথে তার নির্মাণ

যেকোন মানুষের জীবনের কাহিনীই একটা বিশাল সময় ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলে আর জীবৎকালেই প্রবাদ হয়ে ওঠা মানুষদের ক্ষেত্রে তো তার ব্যাপ্তি প্রকৃত অর্থেই আকাশছোঁওয়া তাই এইসব বহুস্তরীয় ও ঘটনাবহুল জীবন থেকে তার শুদ্ধ নির্যাসটুকু ছেঁকে নেওয়ার জন্যে চাই দীর্ঘ সময় ধরে করা এক সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন নিবিড় গবেষণা এবং সততার সাথে সেই দীর্ঘ জীবনকাল থেকে অপ্রয়োজনীয় মেদটুকু ছেঁটে বাদ দেওয়ার নির্মোহ ক্ষমতা,এবংএখানেই অচেনা উত্তমের আরও এক বিশেষ দুর্বলতা ধরা পড়ে যাতে কিনা গোটা ছবিটিতে পরিচালক মহানায়কের শিল্পসত্তার বাইরে গিয়ে তাঁর টালমাটাল ব্যক্তিগত বিতর্ক জর্জরিত জীবনকাহিনীকেই প্রাধান্য দিয়ে ফেলেছেনআর তার ফলেদিশা হারিয়ে এইরকম একটি সম্ভাবনাময় ছবি শেষ পর্যন্ত শুধুই একটি স্থূল চমকে পরিণত হয়েছে

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,অপরাজিত

সঠিক চরিত্রাভিনেতা নির্বাচন

বায়োপিক ঘরানার ছবির সফলতা ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে তার চরিত্রগুলির যথাযথ নির্মাণের ওপরকারণএই চরিত্রগুলিতে বাছাই করা অভিনেতাদের মাধ্যমেই সাধারণ দর্শক ছবিতে দেখানো বাস্তবের আসল মানুষগুলিকে পর্দায় খুঁজে পায় এবংএই ক্ষেত্রে অনীক দত্তের অপরাজিত ছবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে জীতু কমলের অপরাজিত তথা সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠা সব চেনা প্রতিষ্ঠিত মুখের বাইরে গিয়ে একজন প্রায় অনামী অভিনেতাকে এই ধরনের চরিত্রে নির্বাচনের জন্য পরিচালকের অসামান্য সাহসকে কুর্নিশ জানাতেই হয় অত্যাশ্চার্য শারীরিক গঠনগত মিলযার পিছনে ছবির রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর অসামান্য অবদানের কথা মাথায় রাখতেই হবেছাড়াও সত্যজিতের যাবতীয় ম্যানারিজম প্রায় নিখুঁতভাবে ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন জীতু কমল অসাধারণ অধ্যাবসায় আর নিজের কাজের প্রতি সম্পূর্ণ নিষ্ঠা না থাকলে এ জিনিস সম্ভব নয় ছবিতে অপরাজিতের স্ত্রীর চরিত্রে সায়নী ঘোষও যথাযথ বাকি অভিনেতাদের সকলেই নিজ নিজ চরিত্রে নিজ নিজ পরিসরে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন আরএখানেই অতনু বোসের কাস্টিং বিষয়ক অপরিণত বোধটি ভীষণ ভাবে চোখে লাগে


Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,অপরাজিত


শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় একজন অসাধারণ অভিনেতাকিন্তু প্রবাদেই আছেএকজন ভালো অভিনেতা শুধুমাত্র তাঁর শেষ ভালো ছবিটির বিচারেই ভালোআর এই অচেনা উত্তম ছবিটি দেখার পর তাঁর বিষয়ে একমাত্র এই কথাটিই ভীষণভাবে কানে বাজে। আশ্চর্যভাবে ছবিটিতে একটি মুহুর্তের জন্যেও তাঁকে উত্তমকুমার বলে মনে হয় নানা ব্যক্তিগত জীবনের অংশেনা তাঁর অভিনীত ছবিগুলির অংশেআরচরিত্র হয়ে না উঠতে পারার এই ব্যর্থতার দায় অভিনেতা থেকে পরিচালক কেউই ঝেড়ে ফেলতে পারেন না বাকি অভিনেতাদের নির্বাচনও ভীষণরকম অপরিণত বোধের পরিচয় দেয় একমাত্র সত্যজিৎ চরিত্রে একাধারে রাশভারী এবং দৃঢ় প্রিয়াংশুশর্মিলা চরিত্রে একইসাথে কমনীয় ও আধুনিকা রাতাশ্রী এবং সাবিত্রী চরিত্রে শান্ত ও স্থির দিতিপ্রিয়াকে মোটের ওপর ভালো লাগে এছাড়া গৌরীদেবীর চরিত্রে শ্রাবন্তীর অভিনয় সাবলীল হলেও মনে তা বিশেষ ছাপ ফেলে নাআরসবচেয়ে বড় ছন্দপতন হয় সুচিত্রা সেনের চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নির্বাচনে বছর ছয়েক আগে ২০১৬ সালে টেলিভিশনের জন্যে নির্মিত মহানায়ক সিরিয়ালের বিষয়বস্তুও এই একই রকম ব্যক্তিগত বিতর্কের মতো আলগা বিষয়ের ওপর হলেও অন্তত তার কাস্টিং ছিল অনবদ্যফলে মহানায়কের জীবনী হিসেবে খুব উচ্চমানের না হলেও তা অন্তত দেখার যোগ্য ছিলএখানে যেটা প্রথম থেকেই ভীষণই দৃষ্টিকটূ


আরো পড়ুন: সদ্য দেখা সিনেমাগুলো । ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য্য


দীর্ঘ জীবন থেকে ছবির উপযোগী ঘটনাক্রমের নির্বাচন

ঘটনাক্রম নির্বাচন ও তার দৃশ্যায়নের দুর্বলতা অচেনা উত্তম ছবিটির আরও একটি দিক এটি মূলত চিত্রনাট্যশৈলীগত সমস্যাযা ছবিটিকে গতি হয়তো দিয়েছেকিন্তু পূর্বাপর রসায়নের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে ভীষণভাবে ক্রমাগত ফ্ল্যাশব্যাকের নির্মম ব্যবহার ছবিটির অতীত ও বর্তমানের ঘটনা পরম্পরাকে এক মুহূর্তের জন্যেও সহজ অথচ দৃঢ়ভাবে দর্শক মনে গেঁথে দিতে পারেনিযেটা অনীক দত্ত তাঁর সরল আর সাবলীল ভাবে বলা গল্পের মাধ্যমে সহজেই করতে সক্ষম হয়েছিলেন একটি ছবির কাজ যে শেষপর্যন্ত শুধুমাত্র সহজভাবে একটি গল্পকেই দৃশ্যমাধ্যমে বলাতা ভুলে যাওয়াই শেষ অবধি একজন পরিচালকের সব পরিশ্রমকে পুরোপুরি ব্যর্থ করে দেয়। পর পর মুক্তিপ্রাপ্ত একই ঘরানার দুটি ছবির দুই রকম ট্রিটমেন্ট ইদানীং কালে যার অন্যতম বাস্তব উদাহরণ

সঠিক সময়টিকে ধরতে আলো ও রঙের বিন্যাস এবং টেকনিক্যাল বিষয়ের যথাযথ ব্যবহার

জীবনীমূলক ছবি সাধারণভাবে পিরিয়ড ঘরানার ছবির মধ্যেই পড়ে এবং তা তৈরি করার কিছু বিশেষ প্রযুক্তিগত নিয়ম আছেযার মধ্যে ছবিটির সময়কালকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে ছবির কালার গ্রেডিং ও তার টেকনিক্যাল বিষয়গুলি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ের ছোটখাট ত্রুটিও এসব ক্ষেত্রে চোখকে খুব বিশ্রিভাবে আঘাত করে এবং ছবিটির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় অপরাজিতের সঙ্গে এই বিষয়েও অচেনা উত্তমের দ্বৈরথ অত্যন্ত দৃষ্টিকটূভাবে পর্দায় প্রকট টেকনিক্যাল কিছু কিছু বিচ্যুতি অপরাজিত ছবিটিতে থাকলেও মোটের ওপর তা বিশেষ চোখে লাগেনিকিন্তু এই অচেনা উত্তম ছবিটির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি করে যা চোখে লেগেছে তা হল এর কালার গ্রেডিং সমস্যা আলো আর রঙের অপরিণত ও অনভিজ্ঞ ব্যবহার ছবিটিকে পর্দায় ভীষণভাবে এইসময়ের ছবির মতো দেখতে করে দিয়েছেফলেসারা ছবি জুড়ে দর্শকের পক্ষে ছবির সময়কালটি অনুভব করতেই বেগ পেতে হয়েছে এছাড়াওমহানায়কের শেষ সময়ে তাঁর হসপিটালে কেবিনের দৃশ্যগুলিও ভীষণরকম আধুনিক মনে হয়েছে এইসব খুঁটিনাটি টেকনিক্যাল বিষয়ে নজরদারির অভাব সবমিলিয়ে ছবিটির মান আরও হালকা করে দিয়েছে

যেকোন শিল্পভিত্তিকবিশেষতছবি তৈরির কাজ করার ক্ষেত্রে তার প্রিপ্রোডাকশন রিসার্চ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণসাধারণ ছবির ক্ষেত্রে অনেকসময় তা তেমনভাবে চোখে না লাগলেও বায়োপিক ঘরানার পিরিয়ড মুভির ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি আরএই সময়ে করা নিরলস গবেষণার ফল পরবর্তীকালে পর্দায় ফুটে ওঠেইআর সেই অমোঘ নিয়মেই শুরুতে অনেক অনভিপ্রেত বাধার সম্মুখীন হলেও অপরাজিত ছবিটি আজ বিশ্ব জুড়ে বন্দিতআরঅচেনা উত্তমের মতো ছবিদের ভাগ্য প্রথম দু’সপ্তাহের পরেই অনিশ্চিত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত