ইরাবতী ধারাবাহিক: কদমতলি (পর্ব-৮) । শ্যামলী আচার্য
বাড়িতে এলে প্রথমেই নজরে পড়ে উঁচু ভিতের ওপরে লোহার শিক ঘেরা। তার ওপরে টিনের চাল। সাদামাটি দিয়ে লেপা একটি ছোট্ট ঘর। দূর থেকেই বড় পবিত্র মনে হয়। ভিতরে শিবলিঙ্গ বসানো রয়েছে। ঘরের পাশে বড় বেলগাছ। ঝাঁকড়া হয়ে বেড়ে উঠেছে। শিবপূজায় নিত্য বেলপাতা লাগবে বলেই হয়ত। বেলগাছটির গোড়া বাঁধানো। গোড়ায় বসানো রয়েছে একটি শিবের মূর্তি। সেটি পাথরের। বন্ধ চোখ। ধ্যানমগ্ন। তিনি আছেন বলেই বেলগাছে ব্রহ্মদত্যিকে তেমন ভয় করে না কুচোকাঁচারা।
ঘরটির একদিকে আকন্দ। শ্বেত আকন্দ। একপাশে অপরাজিতা। লতিয়ে উঠেছে কঞ্চির বাঁধা বেড়ায়। গাঢ় নীল ফুল। অনুর দিদিমা বলেন নীলকণ্ঠ। সমুদ্র সেঁচে যেই উঠল বিষ, অমনি সে বিষ আর কে ধারণ করবে মহাদেব ছাড়া। বিষের জ্বালায় গলা হয়ে গেল নীল। সেই থেকে তিনি নীলকণ্ঠ। আর তাঁর পুজোতেও সেই বিষেই হয়ত কুঁকড়ে থাকা অপরাজিতা ফুল। ঘরের সামনে খানিকটা জায়গা নিকোনো। তকতকে। পরিষ্কার আঙিনা। সিঁদুর পরলেও যেন কুড়িয়ে নেওয়া যায়।
এটি নগেন্দ্রবালার বড়জেঠিমায়ের নিজস্ব অঞ্চল। যদিও সকলেরই অবাধ যাতায়াত। কিন্তু এই জায়গাটি তিনি তাঁর শ্বশুরের বিশেষ অনুমতি নিয়ে তৈরি করেন। কোথায় কেমন করে অনুমতি পেয়েছিলেন, তা’ নিয়ে গল্পকথা রয়েছে আনাচেকানাচে। কিন্তু শিবের মন্দির বলেই আলোচনার অভিমুখ ভিন্ন। শিবকে স্মরণ না করে তাঁর দিন শুরু হয় না। এখন বিধবা মানুষটি তাঁর সকালের অনেকটা সময় নিজের হাতে গড়া মন্দিরে বসেই কাটিয়ে দেন। শিবপুজোর উপচার আয়োজন কম। অল্পেই সন্তুষ্ট তিনি। আশুতোষ কি তাঁকে এমনি বলে? তবু পঞ্চাশোর্ধ বিধবা ঘর মুছে উঠোন নিকিয়ে ত্রিপত্রক বেলপাতা বাছেন একটি একটি করে। সব সমান মাপের। অনু ভাবে, শিব কী ওই পাতাগুলো সমান মাপ না হলে রাগ করেন? আকন্দের মালা গাঁথেন নিজে। প্রতিটি দূর্বা নিখুঁত। তুলসীপাতাগুলি নিটোল, নিদাগ। সোনারঙের ঘটিতে টলটল করে গঙ্গাজল।
গ্রামে যেমন সব বাড়িতেই মাঝখানে এক ফালি উঠোন আর চারদিকে ঘর, এ বাড়িটিও সেইভাবেই গড়া। উঠোনের চার ধারে চার ভিটায় ঘর। অফুরন্ত রোদ লুটিয়ে পড়ে, হাওয়া বয়ে যায়। পূব আর দক্ষিণে রোদ্দুর আর হাওয়ার দাপট বেশি, তাদের আঁচে আরামও বেশি। কাজেই পূব আর দক্ষিণের ভিটেয় রয়েছে চারচালার ঘর। এগুলিতে শোবার ব্যবস্থা। পশ্চিমের ভিটেয় এসে পড়ে শেষবেলার সূর্যের আঁচ। এখানে রান্নার আয়োজন। উত্তরের ভিটে পরিত্যক্ত। থাকার অযোগ্য। তবু হুটহাট এসো জন- বসো জন এলে তাদের ঠাঁই হয়। পিছনে বড় বড় আম-জাম-কাঁঠাল-সুপুরির ভিড়ে দিনেদুপুরেও অন্ধকার। দিনের বেলাতেও ছমছমে। অনুরা বেড়াতে এলে ভাইবোনেদের খেলা জমে জোরদার। লুকোচুরি। এক-আধদিন শীতের দুপুরে এই চালায় বসে ছোটমামীমার পাঠশালা। সুর করে পড়তে হয় কাশীদাসী মহাভারত। দিদিমা মাঝেমধ্যে এসে বলেন পুরাণের গল্প। আর রেবতীভূষণ যতদিন বেঁচে ছিলেন, এই ঘরে এসে বসে থাকতেন সন্ধের পরে।
রেবতীভূষণ একা বসে কী ভাবতেন, উনিই জানেন। ঘরের জানালার বইরের ঝুপসি অন্ধকারের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থাকতেন। গভীর রাতে তাঁর খোলা গলায় উপনিষদের মন্ত্র শোনা যেত। তাঁর মনের নাগাল পাওয়ার একমাত্র প্রাণী তো কন্যা নগেন্দ্রবালা। সে বিয়ে হয়ে পরের ঘরে যাওয়া ইস্তক এই উত্তরের কোঠা ছিল রেবতীর আশ্রয়।
তাঁর মৃত্যুর পর এইদিকের কোঠায় আর কেউ আসতেই চায় না।
এমনিতেই নদীর তীরে বালির চরে আকন্দ গাছের মেলা। শীতের শেষে ফুলে উপচে পড়ে ঝোপ। অনঙ্গ আকন্দফুলের স্তূপে প্রজাপতির ওড়াউড়ি দেখে মন দিয়ে। এখানে অবাধ স্বাধীনতা। হুটোপাটি করে বেড়ানো যায় সর্বত্র। বাড়িতে দৌরাত্মি করলে ঠাকুমার কড়া শাসন। এমনিই জলের দেশ। তাই সব জায়গায় কোথাও কোমর-সমান, কোথাও আবার বুক-সমান উঁচু ভিত। ঘরের চারদিকে মোটা থাম। শালগাছের খুঁটি। সেই থামের সঙ্গে শক্ত বেড়া। ছেঁচা মুলি বাঁশের বুনোট। ভারি শক্ত আর মজবুত। বেড়ার মাঝে জালি-কাটা। সেগুলি জানালা। বাইরের দিকে রয়েছে ঝাঁপ। সেই ঝাঁপ খুলে তবেই বাইরের জগত। অনঙ্গ চুপ করে চেয়ে থাকে। সাদামাটির পৈঠা, বাঁশের বেড়া রাঙানো গাবের কষে, দূরে ছোট-বড় গাছের সারি– কেমন স্থির ছবি হয়ে ফুটে থাকে চোখের সামনে।
আরো পড়ুন: ইরাবতী ধারাবাহিক: কদমতলি (পর্ব-৭) । শ্যামলী আচার্য
এমনিই নগেন্দ্রবালা বাপের বাড়ি এলে উৎসবের মেজাজ। গোয়ালা বাড়ি থেকে পিতলের কলসীতে দুধ আসে। পিঠে-পায়েস হবে। নারকেল গাছের নারকেল ঝাড়ানো হয়। নগেন্দ্রর নাম করে ঝুনো নারকেলগুলি ছিল গাছে। নগেন্দ্র ভালবাসেন পানিকচু আর গিমাশাক। মামীরা জোগাড় করতে ব্যস্ত।
রেবতীভূষণের মৃত্যুর পর বাড়িতে ঢুকেও এই ব্যবস্থার ব্যত্যয় হল না কোনও।
নৌকা ঘাটে লাগতেই হই হই পড়ে গেল। বড় মামা নিজে দাঁড়িয়ে অদারক করলেন সব। আজ বৃহস্পতিবার। আর বৃহস্পতিবার বলেই বাড়িতে একটু সাড়াশব্দ বেশি। দক্ষিণভিটের দক্ষিণে তুলসীমঞ্চ। তার ডানদিকেই একটি বড় অংশে ভিটের অন্দরে একটি লক্ষ্মীর পট। বৃহস্পতিবার তার গোড়ায় বসে ঘট, ঘটের গঙ্গাজলে আম্রপল্লব। পল্লবের প্রতিটি পাতায় তেল-সিঁদুর। ঘটে আঁকা পুত্তলি। সন্ধ্যায় লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়েন দিদিমা। নগেন্দ্রবালা বাপের বাড়ি এলে ভাইয়ের বউরা তার মুখে পাঁচালী শুনতে চায়। অপূর্ব কণ্ঠ নগেন্দ্রবালার। সুরেলা। স্পষ্ট। নগেন্দ্রবালা পাঁচালীর বই পড়েন, আর অনু উসখুস করে। পিতলের রেকাবি ভরে থাকা নাড়ু বাতাসাগুলো বেশি আকর্ষণীয়। গৃহবধূর আচরণ আর মা লক্ষ্মীর কৃপা নিয়ে তার এত মাথাব্যথা নেই।
আঁচলের খুঁট চিবোতে চিবোতে সে দেখেছিল পিতলের প্রদীপটি তিরতির করে কাঁপে উত্তুরে হাওয়ায়। কে জানত, শ্বশুরঘরে গিয়েও তার ভাগে সেই প্রদীপ জ্বালানোর কাজ। নরম আলো থাকবে। দাউ দাউ করে জ্বলে না ওঠে।
নগেন্দ্রবালা এবার উত্তরের কোঠায় থাকতে চেয়েছিলেন।
“ওই দিকের ঘরখান দ্যাও আমারে। কয়দিন ওইখানে থাকি।”
হাঁ হাঁ করে উঠেছেন বড়োভাই। “ওই কোঠায় মাইনসে থাকে? তোমার মাথা গ্যাসে অ্যাক্কেরে। বাবা বাঁইচ্যা নাই তো কী হইসে, আমরা আসি অ্যাহনো। দক্ষিণের যে ঘরে আইস্যা বরাবর থাকো, সেইহানেই সব গুসানো আসে। যাও তোমার বাক্সপ্যাঁটরা ওইহানে পাঠাইয়া দিসি।”
“বাবার লগে থাকতে মন চায়। ওই কোঠায় বাবা বইস্যা আসেন আমার লিগ্যা। গ্যালেই কথা কইবেন।”
“দিদি, এইসব কথা মা জ্যাঠাইমা শুনলে আমারে ছাড়বেন না, তুমিও ছাড় পাইবা না। ভালোয় ভালোয় ঘরে ওঠো গিয়া।”
নগেন্দ্রবালা একবার তাকান উত্তরের কোঠার দিকে। নিস্তরঙ্গ অঞ্চল। চারপাশের ব্যস্ততার আঁচ পড়ে না সেখানে। মনে মনে ঠিক করেন দুপুরে বা সন্ধ্যায় এসে একবার অন্তত বসবেন ওই ঘরে। বাবাকে কত কথা বলা বাকি তার।
বার বার তিন বার শাঁখ বাজল। বাড়ির মেজবউ। অনুর মেজমামীমা। পানপাতা মুখে বড় সিঁদুরের টিপ। গুঁড়ো ঝরে পড়েছে টকটকে ফর্সা টিকোলো নাকের ওপর। নাকের ডগাটি সর্বদা লাল। পাতলা ঠোঁটদুটিও পানের রসে টুকটুকে। শঙ্খধ্বনি তিন বার। কেন তিন বার মা? তিন হল শুভ সংখ্যা। এপাড়া ওপাড়া থেকে ভেসে আসছে শাঁখের ডাক।
শাঁখের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে বসেন অনঙ্গ। শাঁখের সংকেত শুনে ঘর ছাড়তে বলেছিল না হীরেন খুড়ো? বউমা, যেই শোনবা শাঁখের আওয়াজ, তক্ষুনি পিছের খিড়কি দিয়া বাইরাইয়া পড়বা। ঘাটে ডিঙি রইব। চিন্তা কইরো না। আমরা ভালায় ভালায় পার হইয়া যামু।
ঘর ছাড়তে হবে? শাঁখের আওয়াজ শুনে ছেড়ে যেতে হবে ভিটেমাটি? আর ফেরার উপায় থাকবে না কখনও? কে সেদিন ভেবেছিল পুঁটলিতে বাঁধা গয়না, বালিশের খোলে ভরা টাকা আর ছোট ট্রাংকে ভরা কিছু বাসন নিয়ে ছেড়ে আসতে হবে সব! কচি ছেলেমেয়েরা পথে নামে। পুরুষেরা এক-আধজন পাহারায়। অনেকেই আগে চলে গেছেন নিরাপদ ঠিকানায়। নতুন বাসা। নতুন আশ্রয়। একা অনঙ্গ নন, দলে দলে মানুষ ছেড়ে চলে যায় নিজের ঠিকানা। যে ঠিকানা আসলে তার নিজেরই নয়। ঠিকানা দেয় দেশের রাজা। কেড়েও নেয় তারা। দেশটাই রাতারাতি অন্যের হয়ে যায়।
অনঙ্গের মায়েরও তো আর ফেরার উপায় ছিল না ধলেশ্বরী তীরের গাঁয়ে। শ্বশুরঘর ছেড়ে চলে এলে নিজের ঠাঁই বদল হয়। মেয়েমানুষ তখন অতিথি। সে সর্বত্র অতিথি। তার নিজের ঘর আর থাকে কই?
নগেন্দ্রবালা এবার উত্তরের কোঠাটি চেয়ে বসলেন তিন ভাইয়ের কাছে।
“ওই ঘরে গিয়া বসলে আমি বাবার গায়ের সুবাস পাই, তার শ্বাসের আওয়াজ শুনি। আমারে তোমরা ওই ঘরখান দ্যাও। যখন আসুম, ওহানেই থাকুম দুই দণ্ড।”
“দ্যাওনের কী আসে? তোমার বাপের ঘর, যহন খুশি আইবা।”
বড়ভাইয়ের দিকে চোখ মেলে তাকান নগেন্দ্রবালা।
“তোমরা সকলে আমার আপনজন। রক্তের সম্পর্ক। তবু এ কথাও ভুললে চলে না, আমার গোত্র বদলাইয়া গ্যাসে, আমি পরের ঘরের বউ। শ্বশুরের ভিটাই আমার আশ্রয়। কিন্তু বাবার জন্য পরান হু হু কইরা উঠলে ওই বাড়িতে একখান পুকুরপাড়ও যে নাই, যেহানে ডাক ছাইড়্যা কান্দুম…”
নগেন্দ্রবালা বোধহয় হুবহু এই কথাগুলো বলেননি। অনু তো ছোট। সামনেই ছিল। যা কিছু সে শুনেছে, তা’ থেকে এইরকমই কোনও অর্থ বেরিয়ে আসে। বাপের জন্য মেয়ের দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলতে অন্য আড়াল লাগে। রান্নাঘরের উনুনের আঁচে চোখ জ্বলার অজুহাত খুঁজতে হয়। নয়ত স্নানের ঘাটে পুকুরের জলে ধুয়ে নিতে হয় নোনা অশ্রুবিন্দু।
মোট কথা আড়াল তো লাগেই।
নগেন্দ্রবালা আড়াল চাইছেন। কিন্তু খোলাখুলি। ডাক ছেড়ে কাঁদার স্বাধীনতা। নিজস্ব পরিসর। যা তার একান্ত আপন। নিজেরই বাপের ভিটেয়, নিজের সহোদরের কাছে, পরিত্যক্ত অচল একটি ঘর চেয়ে বসলেন তিনি।
চাইলেই কি সব মেলে?
শ্যামলী আচার্য
জন্ম ’৭১, কলকাতা।
গাংচিল প্রকাশনা থেকে তাঁর প্রথম গল্প সংকলন ‘অসমাপ্ত চিত্রনাট্য’; সংকলনের গল্পগুলি বিভিন্ন সময়ে আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, এই সময়, তথ্যকেন্দ্র পত্রিকায় প্রকাশিত।
রা প্রকাশন থেকে তাঁর দ্বিতীয় গল্প সংকলন ‘প্রেমের ১২টা’; সংকলনের গল্পগুলি বিভিন্ন সময়ে আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, উনিশ-কুড়ি, একদিন, প্রাত্যহিক খবর এবং বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
ধারাবাহিক উপন্যাস “সুখপাখি” প্রকাশিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-নিবাসী বাঙালিদের “বাতায়ন” পত্রিকায়।
ধারাবাহিক উপন্যাস “বিস্মৃতিকথা” প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন “ও কলকাতা” ই-পত্রিকা ও অ্যাপে
প্রকাশিত উপন্যাস “সুখপাখি” –সংবিদ পাবলিশার্স; “জলের দাগ”—রা প্রকাশন
বহুস্বর পত্রিকার পক্ষ থেকে মৌলিক গল্প রচনায় ‘অনন্তকুমার সরকার স্মৃতি পুরস্কার’
অভিযান পাবলিশার্স আয়োজিত মহাভারতের বিষয়ভিত্তিক মৌলিক গল্প রচনায় প্রথম পুরস্কার
এছাড়াও গবেষণাঋদ্ধ বই ‘শান্তিনিকেতন’। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।
ফিচার-সঙ্কলন ‘মলাটে দৈনিক’ প্রকাশিত। প্রকাশক ‘দাঁড়াবার জায়গা’।
• ১৯৯৮ সাল থেকে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের এফ এম রেইনবো (১০৭ মেগাহার্তজ) ও এফ এম গোল্ড প্রচারতরঙ্গে বাংলা অনুষ্ঠান উপস্থাপিকা।
• কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্রের ভয়েস ওভার আর্টিস্ট।
• JU Community Radio তে ‘এবং রবীন্দ্রনাথ’ নামে একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠানের গবেষণা ও উপস্থাপনার কাজে যুক্ত। (ইউ টিউবে ‘EBONG RABINDRANATH’ নামে প্রতিটি অনুষ্ঠানের লিংক রয়েছে)
• ‘কৃষ্টি ক্রিয়েশন’-এর অডিও-প্রজেক্ট ‘রেডিও কলকাতা’য় ‘এসো গল্প শুনি…শ্যামলীর সঙ্গে’ শিরোনামের একটি গল্প-পাঠের অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্যের সমস্ত বিখ্যাত ছোটগল্প পাঠ।(ইউ টিউব ও স্পটিফাইতে প্রতিটি পর্বের লিংক রয়েছে)
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতকোত্তর এবং ‘ফ্রেশ ওয়াটার ইকোলজি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি এইচ ডি ডিগ্রি পেলেও একমাত্র প্যাশন গল্প লেখা।