| 19 এপ্রিল 2024
Categories
শারদ সংখ্যা’২২

শারদ সংখ্যা গল্প: জন্মভূমির মাটি । গৌতম বিশ্বাস

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

শেষরাতে মোরগের প্রথম ডাক কানে যেতেই আজও ঘুম ভেঙে গিয়েছিল ইন্দুবালা-র।আর অমনি উঠেও পড়েছিল ঝট করে।এ অবশ্য তার নিত্যদিনের অভ্যেস।সেই যখন প্রথম প্রথম এ বাড়িতে বৌ হয়ে এসেছিল তখন থেকেই এই নিয়মের কোনও ব্যাতিক্রম হয়নি তার।তখন অবশ্য সংসারে কাজ ছিল অনেক বেশি।বিয়ের পরই তো সংসারটা পুরোই এসে পড়েছিল তার হাতে।একা হাতে অতসব করতে গিয়ে রাত থাকতে উঠতেই হত তার।আজ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি নেই,নেই অত কাজও।তবু অভ্যেসটা রয়েই গেছে।যত রাত করেই ঘুমোক না কেন মোরগের ডাক একবার কানে যেতেই ঘুমটা ভেঙে যায় ইন্দুবালার।আর একবার ঘুম ভাঙলে কিছুতেই শুয়ে থাকতে পারে না।বিছানাই যেন ঠেলে তুলে দেয় তাকে।বাইরে তখনও মাখো মাখো আঁধার।সেই আঁধার ঘেরা আকাশে তখনও গুচ্ছ তারার ভীড়।কেবল পূবের আকাশটাতেই খানিক হালকা রঙের ইশারা।
না,আজ অবশ্য কেবল সেই অভ্যেসের কারনেই যে ঘুম ভেঙেছে ইন্দুবালা-র – এমনটা নয়।আজ আর একটু পরেই এই বাড়িঘর ছেড়ে,এই বিষয়সম্পত্তি, গাছপালা,চেনা মানুষজন – এমনকি এই দেশটাকেও ছেড়ে চলে যাবে ইন্দুবালারা।ইন্দুবালা-রা মানে ইন্দুবালা আর তার স্বামী উমানাথ।দেশটা ভাগ হয়ে গেলেও এতদিন নিজের দেশ মনে করেই এদেশে থেকে গিয়েছিল তারা।কেনই বা থাকবে না।এই দেশেই তারা জন্মেছে।এই দেশেই বড়ো হয়েছে।জীবনের শেষবেলায় এসে সেই দেশটাকে ছেড়েই কিনা –মনে মনে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল বছর খানেক আগে থেকেই।সে ছিল আশ্বিনের এক সন্ধে।চাদ্দিক অস্পষ্টতায় ঢেকে দিতে দিতে সন্ধে নামছে।বৃষ্টিধোয়া স্বচ্ছ আকাশটায় ফুটতে শুরু করেছে তারাদের ঝাঁক।চাঁদটা তখনও উঠে আসেনি।এমন একটা সময় তাদের ঘরের দাওয়ায় বসে প্রতিবেশি নিশিকান্ত মন্ডল বলেছিল,” বুঝলে উমা দা,শেষমেষ ঠিক করলাম ভারতেই চলে যাবো।”
আঁৎকে উঠেছিল উমানাথ,” বলিস কী নিশি,চেনা দেশ ছেড়ে অচীন দেশে গিয়ে উঠবি?কেন রে?কী এমন হল যে এমন সোনার বাংলাদেশ ছেড়ে – “
” সাধ করে কী আর যাচ্ছি উমা দা?যাচ্ছি ভবিষ্যতের কথা ভেবে।নাতি নাতনি,তাদের ছেলেমেয়ে – সবার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ঠিক করলাম ভারতেই চলে যাবো।দেশটা যখন আর নিজের থাকলো না তখন সে দেশে পড়ে থেকেই বা কী লাভ?”
” কিন্তু নতুন দেশ।নতুন পরিবেশ।মানিয়ে নিতে অসুবিধে হবে না?”
” সে তো একটু হবেই।কিন্তু এছাড়া যে আর উপায়ও নেই গো উমা দা।”
সেদিনের সেই সন্ধেবেলায় আচমকাই উমানাথের মাথাতেও উঁকি দিয়ে গিয়েছিল নতুন ভাবনাটা।তার একটা কারন যেমন নিশিকান্ত মন্ডলেরও চলে যাওয়া,তেমনি পরিপার্শ্বিক পরিস্থিতি। চেনা পরিচিতরা দেশ ছাড়ছে দলে দলে।চারপাশে শূন্য হয়ে আসছে আত্মীয় পরিজন।কাছের মানুষেরা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
নিশিকান্ত মন্ডল বলেছিল,” তুমিই বা কেন আর এদেশে পড়ে থাকবে উমা দা।তারচেয়ে চলো ওপারে গিয়ে আমারা আবার এমন করেই পাশাপাশি – “
” কী বলছিস নিশি?”
” ঠিকই বলছি উমা দা।শেকড়টা যখন আলগাই হয়ে গেছে তখন তাকে নতুন মাটিতে নিয়ে গিয়েই বসানো ভালো।”
নিশিকান্ত মন্ডল চলে যাওয়ার পরে একলা দাওয়ায় ঘরের খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসে ঘাড়খানা ঈষৎ কাৎ করে আকাশ দেখতে দেখতে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল উমানাথ।চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল নতুন একটা দেশ।নতুন নতুন বাড়িঘর।নতুন প্রকৃতি। আত্মীয় পরিজনের ভীড়।
এমন সময় রান্নাঘরের কাজ সেরে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ইন্দুবালা।জিজ্ঞেস করেছিল,” ছেলেপুলের মত কী এত ভাবছো শুনি?”
ঘোরটা কেটে গিয়েছিল উমানাথের।ঘাড় নামিয়ে ইন্দুবালা-র দিকে তাকিয়ে বলেছিল,” ভাবছি এক এক করে সবাই চলে যাচ্ছে।তাহলে শুধু আমরাই কেন – “
” কী বলছো তুমি গোপালের বাবা?এই চেনা দেশ,চেনা মাটি ছেড়ে তুমি – “
হ্যাঁ,আজও ‘ গোপালের বাবা ‘ বলেই উমানাথকে ডাকে ইন্দুবালা।কেন ডাকবে না?তাদের ছেলের নাম তো গোপালই ছিল।আজ অবশ্য গোপাল নেই।সেই কোন ছোটবেলায় সে –
গোপালের কথা মনে পড়লে আজও কষ্ট হয় ইন্দুবালা-র।ছেলেকে নিয়ে কত স্বপ্নই না ছিল তাদের।আজ যদি ছেলেটা বেঁচে থাকতো।


আরো পড়ুন: উৎসব সংখ্যা: অচিন আলোকুমার ও নগণ্য মানবী | আকিমুন রহমান


ইন্দুবালার কথায় গোপালের মুখটা মনে পড়ে গিয়েছিল উমানাথের।এই দেশের মাটির সঙ্গেই মিশে আছে গোপালের স্মৃতি। হাজার চেষ্টা করলেও যে স্মৃতি কিছুতেই ভোলার নয়।কতদিন হয়ে গেল গোপাল নেই অথচ উমানাথের একটু একলা থাকার সুযোগ নিয়েই বার বার হানা দেয় তার স্মৃতি।
সেদিনও ‘ গোপালের বাবা ‘ কথাটা শুনেই বুকের ভেতরটা হাহাকার করে উঠেছিল উমানাথের।ইন্দুবালা-র দিকে ফিরে বলেছিল,” আজ যদি গোপাল থাকতো তাহলে এসব নিয়ে আমাকে এত ভাবতে হত না।একবার ভেবে দ্যাখো তো – আমাদের বয়স তো আর বসে থাকছে না।বাড়ছে।আরও বাড়বে।শেষবেলায় এসে বিছানায় পড়ে গেলে দেখবে কে?আত্মীয় পরিজন সবই তো ভারতে চলে গেল।যাও বা দু’এক ঘর এখনও পড়ে আছে ওরাও কী আর থাকবে?সময় সুযোগ মত দেখবে ওরাও – “
উমানাথের কথাটা ভাবিয়ে তুলেছিল ইন্দুবালা-কে।সত্যিই তো,এমন করে তো কোনওদিন ভাবেনি ইন্দুবালা।
তবুও সে বলেছিল,” কিন্তু এই যে জল,মাটি,বাতাস – সবেতেই যে আমাদের গোপালের ছোঁয়া মিশে আছে।সেই ছোঁয়া ছেড়ে কীভাবে যাই বলো তো?”
ইন্দুবালার দিকে ঘুরে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল উমানাথ।বলেছিল,” এ কী আর কেবল আমাদের সাথেই ঘটেছে গোপালের মা।সকলেই তো তাদের প্রিয়জনের ছোঁয়া ছেড়ে,বাড়িঘর,জমিজমা,চেনা পরিবেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।গোপালের কথা বলছো?আমাদের স্মৃতি তো আর ফেলে যাচ্ছি না।স্মৃতিতে করে তাকেও আমরা বয়ে নিয়ে যাবো ওপারে।ও আমাদের সঙ্গেই থাকবে।”
খুব বেশি আর কথা বাড়ায়নি ইন্দুবালা।কেবল এটুকুই বলেছিল,” আরও একটু ভেবে দেখো গোপালের বাবা।”
হ্যাঁ,তারপরেও অনেক ভেবেছে উমানাথ।ভেবে টেবে শেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে আর এদেশে পড়ে থাকা নয়।ভারতেই চলে যাবে তারা।বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবে আত্মীয় পরিজনের মাঝেই।প্রথম প্রথম হয়তো একটু অসুবিধে হবে।কিন্তু ঠিকই মানিয়ে নিতে পারবে।এত মানুষ যখন পারছে।
অগত্যা অনেকটাই কাছ সম্পর্কের আত্মীয় অপরেশকে গিয়ে ধরেছিল উমানাথ,” হ্যাঁ রে অপু,দেশটা কেমন রে?”
অপরেশরা দেশ ছেড়েছে ক’বছর আগেই।একবারে অত বিষয়সম্পত্তি বিক্রি করে যেতে পারেনি বলে সে মাঝে মাঝে আসে।কিছু কিছু বিক্রি করে নিয়ে যায়।সেই কারনেই সে এসেছিল এবারও।উমানাথকে সে বলেছিল,” কী বলবো কাকা সে দেশটাও বেশ ভালো।আর আমরা যেখানে উঠেছি সে এক বড়ো ভালো জায়গা।লম্বাটে একখানি গাঁয়ের দু’ধারে মাঠ।মাঠ পেরোলে বিল।আবার খালও আছে একটা।যেমনি ফসল ফলে জমিতে,তেমনি আছে খালে বিলে মাছ।খাওয়া দাওয়ার কোনও অভাব নেই কাকা।”
অবাক হয়েছিল উমানাথ,” তাই বুঝি?”
” হ্যাঁ কাকা,এখানকার মতই পরিবেশ তার।গ্রামটাও নতুন।আগে ছিল ফাঁকা মাঠ।এই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া মানুষরাই সেখানে বসতি গড়েছে। চারপাশে সব চেনাজানা মানুষ।সত্যি বলতে ভালোই আছি সেখানে।”
” তাহলে দ্যাখ না আমাদের জন্যেও যদি একটু জায়গা পাওয়া যায়।”
” কী যে বলো কাকা।জায়গার সেখানে অভাব কী?জলের দরে জমি বিকোয়।বিঘের পর বিঘে পতিত জমি।”
” তাহলে এক কাজ করিস বাবা,ওখানে একটু জমির সন্ধান হলেই খবর দিস।বেচে টেচে আমরাও চলে যাবো।”
সেও মাস কতক আগেকার কথা।অবশেষে খবর দিয়েছে অপরেশ।ওপারে সে জমি ঠিক করেছে।রাস্তার পাশেই লম্বাটে তিন বিঘের দাগ।ভিটেবাড়িও হবে,সঙ্গে লাগোয়া চাষের জমি।সেই জমি পেরিয়ে খানিক এগোলে বিল।বিল মানেই মাছ।পরিযায়ী পাখি।ধরো আর খাও।
বেশ মনে ধরেছিল উমানাথের।ফের একবার অপরেশ আসতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল উমানাথ – আর নয়,এবার সত্যিই তারা দেশ ছাড়বে।
কিন্তু জমিজমা বিক্রিতে বড়োই ঝক্কি।এত মানুষ দেশ ছাড়ছে যে খদ্দেরের চাহিদা কম।তার ওপর লুকিয়ে চুরিয়ে বেচা।সেই টাকা নিয়ে সীমান্ত পেরোনো।বড়োই মুশকিলের।
অগত্যা গিয়ে ধরেছিল মোক্তার হোসেনকে, ” মোক্তার ভাই,আমার জমিটুকু যদি কিনে নাও – “
” সে কী দাদা,শেষে তোমরাও?”
” কী করবো বলো।আত্মীয় পরিজন সব চলে যাচ্ছে।আমরা বড্ডো একা হয়ে পড়ছি দিন দিন।”
” কী বলো দাদা,একা হতে যাবে কেন?আমরা তো আছি।”
” তা আছো,তবু – “
একবার আকাশের দিকে তাকিয়েছিল মোক্তার হোসেন।একবার মাটির দিকে।তারপর বলেছিল,” তোমার আমার আর দোষ কী দাদা।আসলে ওই সাহেব রা – ওরা কেবল দেশটাই ভাগ করেনি,মানুষের মনে এমন হিংসার বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেছে যা থেকে আমাদের নিস্তার নেই।তা যা বলছি দাদা – এত টাকা একসাথে দেওয়ার সামর্থ্য আমার নেই।এখন অর্ধেক দিতে পারি।বাকি অর্ধেক মাস কয়েক পরে এসে যদি নিয়ে যাও,কিংবা তেমন হলে আমিও গিয়ে দিয়ে আসতে পারি। “
” সেই বেশ হয় মোক্তার ভাই।একবার চলে গিয়ে ফের আসা – সে বড়ো কষ্টের যে।”
বড়োই বিশ্বাসী মানুষ মোক্তার হোসেন।এতবছর পাশাপাশি থেকেছে বলেই জানে উমানাথ।অর্ধেক টাকা পেয়েও তাই পুরো সম্পত্তি তার নামে লিখে দিতে দু’বার ভাবেনি সে।এখন এই যে জমিজমা,বাড়িঘর – কিছুই আর উমানাথের নয়।সব এখন মোক্তার হোসেনের।মোক্তার হোসেন অবশ্য বলেছে,” তোমারই জমি জায়গা,বাড়িঘর দাদা।যদ্দিন ইচ্ছে হয় থাকো।”
না,আর থাকবে না উমানাথ।আজই ভারতে ফিরে যাবে অপরেশ।উমানাথ রা তার সঙ্গেই যাবে।তাছাড়া উপায় কী?বিদেশ বিভুঁইয়ে যাওয়া।অচেনা দেশ।অচেনা পথঘাট।কাউকে চেনে না,জানে না।এজন্যেই অপরেশের সঙ্গ নেওয়া।গিয়ে তো আগে তার বাড়িতেই উঠতে হবে।আর মাত্র কিছুক্ষণ। তারপরেই বেরোতে হবে।এই বাড়িঘর,গাছপালা,চেনা পরিবেশ ছেড়ে চলে যাবে তারা।
আজ তাই একটু বেশিই ব্যস্ততা ইন্দুবালার।যা কিছু গোছানোর তা কালই গুছিয়ে নিয়েছিল ইন্দুবালা।আজ আরও একবার ভালো করে দেখে নিচ্ছে তা।রাত ফুরিয়ে ভোরের আলো ফুটেছে বেশ খানিক আগেই।চারপাশে এখন বেশ একটা নরম রোদ ছড়িয়ে আছে।অন্যদিন এ সময়ে রান্না করতে ঢুকতো ইন্দুবালা।আজ সে কাজ রাত থাকতেই সারা হয়ে গেছে।এমনকি খাওয়া দাওয়াও শেষ।বেরোনোর পোশাক পরে নিয়েছে দু’জনই।উমানাথ কেবল ঘন ঘন তাকাচ্ছে পথের দিকে।অপরেশ এলেই বেরোতে হবে। এদিকে ইন্দুবালার চোখে জল।দুই চোখে এক সমুদ্র জল নিয়ে দাওয়ার খুঁটি ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।কত স্মৃতি এসে আজ ভীড় করছে তার মাথায়।কত ছবি ভেসে উঠছে চোখে।চারপাশে এসে ঘুর ঘুর করছে চেনা মাটির গন্ধ।
এমন সময় আচমকাই এক দমকা হাওয়া একরাশ মেটো গন্ধ নিয়ে তাকে ছুঁয়ে যতেই ভেতরটা কেমন এলোমেলো হয়ে গেল ইন্দুবালার।দাওয়া থেকে নেমে এসে উঠোনে দাঁড়ালো।তারপর পায়ের কাছ থেকে একঢেলা মাটি তুলে নিয়ে আঁচলে বাঁধতে বাঁধতে তাকালো উমানাথের দিকে।ব্যাপারটা চোখ এড়ায়নি উমানাথের।জিজ্ঞেস করলো উমানাথ,” এ তুমি কী করছো গোপালের মা?কাপড়টা তো নষ্ট হয়ে গেল।”
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উমানাথের দিকে তাকালো ইন্দুবালা,” এতবড়ো জীবনটাই যখন নষ্ট হয়ে গেল তখন সামান্য একখানা কাপড় – “
” কিন্তু তুমি নিলে কী?”
” মাটি।”
” মাটি?”
” হ্যাঁ গো,মাটি।জন্মভূমির মাটি।যতদিন বাঁচবো জন্মভূমির মাটির গন্ধ নিয়েই বাঁচতে চাই।”
বলতে বলতে মুহূর্তে সব সংযম ভেঙে গেল ইন্দুবালা-র।দুইচোখে একরাশ কান্না এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো বাঁধভাঙা বন্যার মত।যাকে আটকানোর ক্ষমতা উমানাথের নেই।

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত