| 19 এপ্রিল 2024
Categories
ধারাবাহিক

ইরাবতী ধারাবাহিক: কদমতলি (পর্ব-১৯) । শ্যামলী আচার্য

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

       বিদ্যাসাগর তখনও জন্মাননি। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি শাসন করছে এদেশে। তখনও বণিকের মানদণ্ড সক্রিয়। রামমোহন লিখছেন একের পর এক বেদান্তের বই। বেদান্তের বাংলা অনুবাদ, প্রথম বাংলা বই। পাঠ্যপুস্তক নয়, মৌলিক গ্রন্থ। বেদান্তসারের বাংলা ও বেদান্তের ইংরেজি অনুবাদ করছেন রামমোহন। মূল বাইবেল পড়ার জন্য তিনি শিখছেন ল্যাটিন গ্রীক আর হিব্রু। এইরকম সময়ে জন্ম হয়েছিল এই ভদ্রলোকের। রাইন নদীর মোজেল উপত্যকায়। শান্ত নিস্তরঙ্গ এক প্রাচীন শহর। তার চারপাশে শুধু আঙুরের ক্ষেত। জার্মানির ট্রিয়ের শহর। এক ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবার।

       ফরাসী বিপ্লবের আঁচ লেগেছে সর্বত্র। ফ্রান্সের রাজনীতির ছোঁয়াচ। স্বাধীনতা সাম্য আর মৈত্রীর ধারণা। ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে এক পুরনো জমানা। তার স্পষ্ট দিকবদল বুঝতে সময় লাগে অনেক। যে কোনও ক্রিয়ার প্রার্থিত প্রতিক্রিয়া থাকে না। তবু, অভিঘাত তো থাকেই। নতুন কণ্ঠস্বর, সমাজে নতুন অধিকারের চাহিদা। জমিদারের দিন ফুরোচ্ছে, ক্রমশ আসবে শিল্পপতিরা, ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ফরাসী বিপ্লবের বছর দশেকের মধ্যেই নেপোলিয়নের উত্থান। ফরাসী বিপ্লবের বহু আদর্শ আবার কার্যত ধূলোয় মিশিয়ে দিলেন নেপোলিয়ন।   

       মনে মনে একটার পর একটা টাইমলাইন সাজাচ্ছিল উত্তম। যেমন করে থাকে ও। একটা নির্দিষ্ট সময় বেছে নিয়ে সমস্ত পৃথিবীর ঘটনাগুলোকে সেখানে একের পর এক ফেলতে থাকে। বিদ্যাসাগরের থেকে মাত্র দু’বছরের বড় কার্ল মার্ক্সকে খুঁজে পেতে চেষ্টা করে তার ভূগোলের মধ্যে, বড় হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে। বিরাট পৃথিবীর মানচিত্রে একটা নির্দিষ্ট সময়ে কোথায় কী ঘটছে, কীভাবে ঘটছে… এটা ওর খুব প্রিয় টাইম পাস। সব থেকে ভালো লাগে গভীর রাতে বসে ডায়েরির পাতায় এগুলোকে লিখতে। সাজিয়ে সাজিয়ে ভাবতে।

       আগের ডায়েরিটা যে কোথায় হারিয়েছিল! ফেরত পাবার পর থেকে উত্তম নিশ্চিত ওটা জয়দীপ গেঁড়িয়ে দিয়েছিল। মহা হারামি সালা। ওকে একদম দুচক্ষে দেখতে পারে না উত্তম। কিন্তু কেন দেখতে পারে না, তার কোনও স্পষ্ট কারণ ওর জানা নেই। ও জানতেও চায় না। ভাল্লাগে না মানে ভাল্লাগে না। বড্ড হামবড়া ভাব। সব ব্যাপারে বেশি জানে। কিংবা কম জানাগুলোকে বুকনি দিয়ে আড়াল করে। আগে থেকে নিজের জানা বিষ্যটা চাপিয়ে দেয়। ফালতু ছেলে একটা। উত্তমের দু’চক্ষের বিষ।   

       এই তো গত মাসে মার্ক্সের জন্মতারিখ জানে না বলে ইউনিয়ন রুমে প্রকাশ্যে উত্তমকে হ্যাটা করল জয়দীপ। আরে বাবা, পৃথিবীর এত মানুষ, এত ঘটনা, এত আন্দোলন সবকিছুর সালতারিখ কি সব সময় মনে রাখা সম্ভব? পয়লা মে আর নভেম্বর বিপ্লব অবধি ঠিক আছে, কার্ল মার্ক্সের জন্মতারিখ না জানলে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয় শুনি? তার তত্ত্বকথাও এখানে কেউ পড়েশুনে বুঝেছে বলে মনে হয় না উত্তমের। এসব কেউ এই বয়সে পড়েও না। বড়রা পড়েছে অনেক। অসুবিধেয় পড়লে তাদের টুকটাক জিগ্যেস করে জেনে নেওয়া। সাধারণত সারাদিন চলে সংগঠনের নানান কাজ। কোথায় রক্তদান, কোথায় সাক্ষরতা প্রকল্প, কোথায় গিয়ে বসে আঁকো বা কালচারাল কিছু। নাচ-গান-নাটক। তার ফাঁকে পার্টির কিছু ইনস্ট্রাকশন। সন্ধের পরে পার্টি অফিসে গিয়ে ক্লাস। জনসংযোগের শিক্ষা। সাম্প্রতিক দেশ রাজ্য রাজনীতি নিয়ে প্রতি মুহূর্তে ওয়াকিবহাল থাকা। ছোটখাটো পথসভা। রিকশাস্ট্যাণ্ডে, পাড়ার মোড়ে, গলির ক্লাবঘরে।   

 কলেজের ছেলেমেয়েদের কাছে তাত্ত্বিক দাদা সমীহ করার বস্তু হতে পারে। কিন্তু কাছের মানুষ নয়। জয়দীপ দূরের প্রাণী। তেমনই উত্তম আবার বেশি জ্ঞান না ফলিয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য। জয়দীপটা পপুলার হতে পারে না, শুধুমুদু বারফাট্টাই করে। উত্তম নিশ্চিত, ওর হলদে শার্টের আড়ালে লোমশ বুকের পাঁজরের মধ্যে জনগণের নেতা হবার স্বপ্ন ভুরভুর করছে। কিন্তু নিজের একার সেই ক্যারদানি নেই।  

       হিংসে করে শালা। উত্তমের পপুলারিটিকে হিংসে করে। জানে, উত্তম কোনওদিন কলেজের সংগঠনে ভোটে দাঁড়াবে না। কিন্তু দাঁড়ালে কিছু চিন্তাই করতে হবে না। সুইপ করে বেরিয়ে যাবে। জয়দীপকে দাঁড় করালে তো সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝাতে জান বেরিয়ে যাবে। কে জয়দীপ, কেন জয়দীপ। যদিও সংগঠন কখনও ব্যক্তিনাম বা মুখকে প্রাধান্য দেয়নি আজ অবধি, তবু… ভোট মানে ভোট। সে কলেজে হোক আর পার্লামেন্টে।  


আরো পড়ুন: কদমতলি (পর্ব-১৮) । শ্যামলী আচার্য


 

       অনেক রাত অবধি পড়ে বলে সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না। উত্তম উঠে পড়ল টিউবওয়েল পাম্প করার শব্দে। একটা ক্লান্ত শব্দ। ক্যাঁচ কোঁওচ। চলতে না চাওয়ার আকুতি। কে টিউবওয়েল পাম্প করছে, সেটা না দেখেও বুঝে ফেলে উত্তম। ওই শব্দে। 

       বাবা।

       টিউবওয়েলের এই শব্দটা বাবার হাতে। শিরা ওঠা ক্ষয়াটে চেহারার মানুষটা সকালে যখন বালতিতে জল ভরেন, এই আওয়াজটা বড় বুকে বাজে। 

       এই লোকটাকে উত্তম ঠিক বুঝতে পারে না। নিজেকে, নিজের ক্ষমতাকে ক্যাপিটালাইজ করেনি। অনেকদূর যেতে পারত, অনেক পড়াশুনো করে ভালো চাকরি পেতে পারত। দেশভাগ হয়েছে, তার পরে ওপার থেকে দাদু-ঠাকুমা’র সঙ্গে এপারে ছিটকে এসেছে। সে তো অনেকেই এসেছে। আত্মীয়স্বজন অনেকের কাছে উত্তম শুনেছে, ছেলেবেলায় শিবপদ’র মাথাটা নাকি খুব শার্প ছিল। মুখে মুখে অঙ্ক কষত। ইংরেজি লিখত দারুণ। বিজ্ঞানে ছিল প্রবল উৎসাহ। সেই লোকটা স্টেট ট্রান্সপোর্টের চাকুরে হয়ে সরকারি বাসের কণ্ডাকটরের কাজ নিয়েছে, এটা মানতে উত্তমের খুব অসুবিধে হয়। সে বেশ জানে, বাবা ইংরেজিতে এখনও যে চিঠিটা লিখে ফেলতে পারে, তার কলেজের ইংরেজির স্যারও সেটা এত দ্রুত, এত নির্ভুল লিখে ফেলতে পারবে না।  

       “অরা যাদের কাছে পড়সে, তারা কি সব ধান-চাল দিয়া ছাত্র পড়াইসে? দ্যাবতা… সব দ্যাবতা…” অনঙ্গবালার চোখমুখে কেমন ঝলমল করে ওঠে। তার তিন ছেলেই ছিল ঝকঝকে ছাত্র। তার মধ্যে মেজ ছেলে শিবপদই ছিল সবচেয়ে মেধাবী। হাইস্কুলের হেডমাস্টার নিজে চলে এসেছিলেন বাড়িতে।

       “আপনেরা চইল্যা যান গিয়া। আমারে দিয়া যান এই পোলাডারে। আমি কথা দিত্যাসি হ্যারে আমি পড়াইয়া লিখাইয়া মানুষ কইরা তয় পাঠামু।”

       কেঁদে ফেলেছিলেন হরিনারায়ণ। অনঙ্গবালার স্বামী। একটুতেই কেঁদে ফেলতেন তিনি। বড়  নরমসরম আবেগপ্রবণ মানুষ। বাবা-কাকা-জ্যাঠার বিরাট একান্নবর্তী সংসারে কখনও কোনও কিছুর আঁচ লাগেনি গায়ে। জানতেন, ধানী জমি আছে, দশ বিঘের পৈতৃক বসতবাড়ি, সম্পত্তি যা রয়েছে তিন পুরুষে হেসেখেলে চলে যাবে। অবশ্য কে’ই বা কী চিন্তা করেছে তখন। দিব্যি তো চলছে। চলবেও এভাবে। রোদ উঠবে, বৃষ্টি পড়বে, নদী উপছে ভাসিয়ে দেবে গাঁ, মাঠ-পুকুর একাকার থই থই। রোদে পুড়ে যাবে গাছপালা, ঈশানকোণে কালো কালি ঢেলে ছুটে আসবে দামাল কালবৈশাখী। বর্ষার ঘোলা জলে ঘুরে বেড়াবে মাছের দল। কানকোয় হেঁটে কইমাছ চলে যাবে উঠোনের ধার ঘেঁষে। হেলে সাপ ধরে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে ছেলেপুলের দল। শরতের মেঘ মেখে ছুটোছুটি করবে দুর্গা-টুনটুনি। হাঁসের দলে ঝাঁপ দিয়ে শিকার করবে বুনো শেয়াল। মোরগের তীব্র ডাকে মিশে যাবে ভোরের আজান।   

       হরিনারায়ণ মেতে ছিলেন এই সবকিছু নিয়েই। নদীনালা মাঠঘাট গাছপালা ঘরবাড়ি। দেশের রাজনীতি, নেতাদের কূটনৈতিক প্যাঁচপয়জার, সমাজের ভাঙন, একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদের পাঁচিল নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ বা অবসর তার ছিল না। এর মধ্যেই কানাঘুষো, গ্রাম ছাড়তে হবে। ছেড়ে চলে যেতে হবে ভিটেমাটি। ইংরেজ তাড়ানোর কাজ করতে করতে কখন যেন নিজেদের কবর খুঁড়েছে দেশের মানুষ। তাদের অশিক্ষা, তাদের কুসংস্কার, তাদের অজ্ঞানতাই জড়ো হয়েছে দিনে দিনে।

       হরিনারায়ণ কাঁদেন।

       “এয়া ক্যামনে সম্ভব কও মাস্টার? বড় পোলাডারে আগেই পাঠাইসি কইলকাতায়। মাইয়াডার বিয়া দিসি। শুনি এইবার আমাগো সকলের যাওন লাগব। এইখানে আর থাকন যাইব না। এসব কী শুনি বলো দেহি…”

       “ইস্কুল তো থাকবেই। ইস্কুল যাইবে কই? শিবপদ আমাগো গাঁয়ের মুখ উজ্জ্বল করব। আপনি দ্যাখবেন।” 

       “হেয়া তো বুজলাম। কিন্তু মাস্টার, তুমিই বা সবারে ছাইড়া আমার এই পোলাডারে লইয়া পড়লা ক্যান কও দেহি।”

       “অর মইদ্যে যে আগুন দেখসি আমি। ক্যামন কইরা বোঝাই আপনারে… অ অন্যরকম। আর পাঁচজনের মতো নয়।”

       “তা হইলেই বা, এয়া কি তার মায়ে শুনলে রাজি হইব? বাপ-মায়ের কাছে তার সব কডা পোলা-মাইয়াই সমান। একজনরে এইখানে আপনার কাসে…” হরিনারায়ণ শেষ করতে পারেন না কথাটা।

       “নিয়া যান তবে। কী আর কমু। আমার নিজের পোলা নয়। জোর খাটাইতে পারি না। তবে অরে কিন্তু বড় ইস্কুলে দিবেন। খুব বড় ইস্কুলে।…” আবেগে ভেসে যায় প্রভাতমোহনের গলা, কাঁপতে থাকে উত্তেজনায়, “এত অল্প বয়সে ওর এত জ্ঞানের ক্ষুধা, এত পিপাসা, অর এই জানার নেশা অরে অনেক দূর আগাইয়া নিয়া যাইব। আপনি দ্যাখবেন। আমি এই কইয়া দিলাম।”    

       বড়জোলা সাধন বিদ্যামন্দিরের হেডমাস্টার প্রভাতমোহন। হরিনারায়ণের সমবয়সী। ইংরেজি বাংলা সংস্কৃতে সুপণ্ডিত। ছাত্র ইস্কুলে না এলে সিধে তার বাড়িতে চলে যান। দুষ্টু ছেলেপুলেকে গাছের মগডাল থেকে নামিয়ে কান ধরে ইস্কুলে নিয়ে যাবার ভূরি ভূরি নজির। প্রভাতমাস্টারের নামে ছাত্ররা কাঁপে, ছাত্রের বাপ-মা নিশ্চিন্ত হয়।  

       এই প্রভাতমাস্টার চেয়েছিলেন, শিবপদ থেকে যাক গ্রামের ইস্কুলে। তাঁর হাতের নাগালে। ওকে প্রাণভরে পড়াবেন তিনি। ও যা জানতে চায়, যা বুঝতে চায়, যা পড়তে চায়। যেমন ছাত্র একজন মাস্টার সারাজীবন ধরে খুঁজে বেড়ান, শিবপদ ঠিক তেমনই একজন। কিন্তু মনে মনে ভাবেন, এই বুঝি ভালো হল। গ্রামের ইস্কুলের থেকে রাজধানী কলকাতার ধার আর ভার তো বেশি হবেই।

       হরিনারায়ণ সংশয়ী, “কিন্তু একখান কথা কও মাস্টার। সকলরেই তো গ্রাম ছাড়তে হইব, লোকের মুখে তো তা’ই শুনি। তুমি যাবা না?”

       দূর মাঠের ছেঁড়া ছেঁড়া অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে প্রভাতমোহন বলেন, “না, আমি এই গ্রাম ছাইড়া, আমার ইস্কুল ছাইড়া কোথাও যামু না।”

       প্রভাতমোহন থেকে গিয়েছিলেন। তার পরিণতি জানা যায় বহু পরে। তখন হরিনারায়ণ ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। কিন্তু শিবপদ ছেড়ে চলে যায় জন্মভূমি, তাকে ছেড়ে চলে যেতে হয়। কিন্তু সংসারের দুর্বিপাক কেমন করে তার পড়াশুনোর সমস্ত সম্ভাবনা ছিনিয়ে নিয়ে কাঁধে তুলে দেয় কণ্ডাকটরের ব্যাগ, উত্তম জানে না।

       সকালবেলায় টিউবওয়েলের আওয়াজটা তার কাছে আর্তনাদ। একজন নিভে যাওয়া মানুষের দমচাপা কান্নার মতো। যে জ্বলে উঠতে পারত। উঠে দাঁড়াতে চেয়েছিল। যার ছিল অমিত সম্ভাবনা। যে একটু একটু করে তলিয়ে গেল সিস্টেমের ফাঁদে।

       উত্তম ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।

       “সরো বাবা। আমি জল পাম্প করে দেই দাও।”

       হাপরের মতো ওঠাপড়া করছে শিবপদর বুকের পাঁজর। এক গাল হাসেন। “ঘুম ভাঙল?”

       উত্তমও হাসে।

       “ছাড়ো। আমি জল পাম্প করে দিচ্ছি। তুমি যাও দেখি।”

       হাসি লেগে থাকে শিবপদর মুখে। “এতই সহজ কমরেড? ব্যাটন বদল হতে এখনও ঢের দেরি।” 

       পাম্প করা বন্ধ করলে টিউবওয়েলের মুখ থেকে জলের স্রোত ক্ষীণ হতে হতে বন্ধ হয়ে যায়।

       শিবপদ হাত রাখেন ছেলের কাঁধে। সমান উচ্চতায় পৌঁছে গেলেও কবে যেন ছায়ার দৈর্ঘ্য বদলেছে। একটা ছায়া এখন টাটকা, তাজা, কুড়ি পেরোনো ঝকঝকে। গোটা পৃথিবী এখন তার কাছে অধরা। কত সম্ভাবনা ভাসছে চারপাশে। শুধু কুড়িয়ে নেওয়ার অপেক্ষা। 

টের পেলেও মেনে নিতে ইচ্ছে করে না। বাবা হয়েও ছেলের বয়েসকে হিংসে হয়।    

      

                   

                

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত