| 29 মার্চ 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

ইরাবতী গল্প: দুই বন্ধুর অদল বদল । শুভজিৎ সরকার

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

                 

এ রকম এক্কেবারে অযাচিত – অবাস্তব – অসাংবিধানিক প্রস্তাবে চন্দন কেন যে রাজি হয়েছিল সেটা সে কিছুতেই বুঝে উঠতে পারেনা আজ। নিঃসঙ্গ রাতের ভুষো পড়া আঁধারে একাকি বসে সুমুখে হাতড়ায়। সাম্প্রতিক চলমান ঘটনা রোমন্থনে চমকে চমকে ওঠে সে। জীবনে এতটা আগ্রাসী এর আগে বোধহয় কোনদিনই হয়েছে বলে মনে করতে পারেনা। এমন স্বার্থান্বেষী কুটিল সে ছিল? এতটা বিদ্বেষ সে অন্তরে পোষণ করে বেড়ে উঠেছে ? ভাবতে বেশ অবাক লাগে। আর মলি, তাকে তো স্বরলিপির সর্বোচ্চ স্কেলেই গলা তুলতে দেখেছে বরাবর, বাকি সব সময়ই গুণ গুণ মাত্র। কিন্তু আজ …

এই অমূলক প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে গিয়ে অনেক মূল্য দিতে হল চন্দনকে। বন্ধুর শতছিন্ন দাম্পত্য মেরামতের অভিপ্রায়ে তার সুষ্ঠু–সবল–সরল- সুগঠিত সম্পর্ক ছিন্নভিন্ন হওয়ার উপক্রম আজ।

দুই

সক্কাল বেলায় ঝণ ঝণ করে থালা, বাটি ছোড়াছুড়ি আর কথার পিঠে প্রত্যুত্তরের হইহই শুনে চন্দন বলল – ওই বোধহয় আবার শুরু হল। মলি কিচেনে জল জলখাবার নিয়ে ব্যস্ত, ঠোঁটে ট্যারা হাসি নিয়ে এক ঝলক ডাইনিং এর দিকে তাকাল। রন্টু স্কুলড্রেস পরে গরমের আছিলা করে দুধ নিয়ে বসে আছে। সামনে হোমটাস্কের শেষাংশ খোলা, রাতে শেষ হয়নি। খাওয়া শেষ করে কমপ্লিট করবে। স্কুলে বেরতে এখনও আধঘণ্টার বেশি দেরি আছে। ওদের ফ্ল্যাটের সামনে দিয়ে চওড়া রাস্তাটা বরাবর স্কুলের দিকে চলে গেছে। ঠিক সাতটা পঞ্চাশে বাস এসে দাঁড়ায় সামনে আর আটটা দশের মধ্যে স্কুল। সাড়ে আটটায় প্রেয়ারের ফাইনাল বেল পড়ে। ক্লাস ফোর পর্যন্ত মলি ওর সাথে বাসেই যেত। ফাইভে ওঠার পর থেকে আর গার্জেন যেতে দেয়না।

রন্টুকে বাসে তুলে দিয়ে এসে জলখাবারে মন দেয় চন্দন। দোকানে বেরনোর তাড়া আছে। পৈত্রিক ব্যবসা, বাবা শুরু করেছিল– বড় ষ্টেশনারী আর মুদীখানার ভাণ্ডার। বাজারের একেবারে মাঝখানে হওয়ায় সকালের দিকে দম ফেলার সময় থাকেনা। বাবার সময়কার দুজন কর্মচারী আজও বহাল আছে তাদের বিশ্বস্থতার গুনে। তাদের মধ্যে একজন আবার বোবা। বাবা বলত–এসব কর্মচারী সবদিক থেকে সুবিধাজনক, হুটহাট করে ছেড়েছুঁড়ে পালায় না। এদের একটু আগলে রাখলে টিকে থাকবে অনেক দিন। আশপাশের কানভাঙ্গানি নেই, গায়ে হাত বুলিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া যায় সহজেই, আর সব থেকে বড় কথা প্রতিবাদের কোন ভাষা নেই, চেল্লামেল্লি করে লোক জড়ো করার ভয় নেই। তবে বাবা ওদের ফ্যামিলির জন্য অনেক কিছু করেছিল। ওর ছেলের পড়াশোনা–পরীক্ষার ফি ওর মেয়ের বিয়ের সময়ও শক্ত খুঁটি হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ধনা আর ওর বৌ দুজনাই বোবা–কালা হলেও ওদের ছেলে–মেয়ে দুজনাই সবাক।

 কানে শুনতে পায়না বলে বাবা আগে ওকে হাতের নাগালে রাখত। গায়ে হাত বুলিয়ে সব কাজ করিয়ে নিত। চন্দন দায়িত্ব নেওয়ার পর ধনার কাজের ধরন বদলে দিয়েছে। বাংলা পড়তে পারে তাই ফর্দ তৈরি করে ওর হাতে ধরিয়ে দেয়, মাল কমপ্লিট করে ও ব্যাগে রেডি করে দেয়,  আলাদা করে মাল মেলাতে হয় না। আজ পর্যন্ত কোন ক্রেতা সামান্য অভিযোগও করেনি।

চন্দন পরোটা ছিঁড়ে তরকারির মোড়ক সমেত একটু ঝোলা নলেনগুড় মাখিয়ে আলতো কামড় বসিয়ে জিভ দিয়ে আস্বাদ উপভোগ করছিল, দরজায় ধপ ধপ আওয়াজে কে যেন ডাকছে। আওয়াজে দ্রুত দরজা খোলার ব্যস্ততা। মলি বিচলিত হয় না। জানে ডোরবেল না বাজিয়ে কে দরজা ধাক্কাচ্ছে। খাবারের আস্বাদ উড়ে গিয়ে বিরক্তিতে ভরে ওঠে দুজনারই মুখ। দুজনার চাউনি থেকে ঠিকরে আসা বিরক্তির সংঘর্ষ হয়। অধৈর্য চন্দন সশব্দে বলে ওঠে–“আর পারা গেল না, শান্তিতে একটু খেতেও দেবে না এরা।” মলি কোন প্রত্যুত্তর করল না, সংসারেই ও কম কথা বলে, নিজেরটা নিয়েই থাকে। ওর সঙ্গী বই, মোবাইল, ছেলের হোমওয়ার্ক আর গান। শোনে খুব আর গায় ও সমান তালে।

মলি সর্বদা ওর বন্ধুর দাম্পত্য কলহ থেকে কয়েক যোজন দূরে থাকতে চেষ্টা করে। মহিলা হয়ে ঝুমার পক্ষ না নেওয়ায় অসীমদার স্ত্রী ওকে খুব একটা পছন্দও করে না। মলি ভাবে, একপক্ষে ভালো, এসব অবাঞ্ছিত বিষয় নিয়ে উতক্ত করে না ওকে। সে খাবারের প্লেট নিয়ে বেডরুম দিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে বসল। অর্ধেক খাবার প্লেটে রেখে চন্দন উঠে যায় দরজা খুলতে।

রন্টুকে স্কুল বাসে দিয়ে আসার সময় অসীমের ফ্ল্যাটের ঝোড়ো দাপটের আঁচ পেয়েছিল, শব্দ সীমা কয়েক ডেসিবেল ছাড়িয়ে আছড়াচ্ছিল বন্ধ জানলা দরজার কপাটে। চিন্তা হচ্ছিল ওদের নিষ্পাপ ছোট্ট মেয়েটার জন্য। ঋদ্ধিমার এবার ক্লাস সিক্স, এখন সব বোঝে, সবই জানে। ওর সুকোমল মনের ওপর বড্ড চাপ বাড়ছে দিন দিন। একথা চন্দন ওদের অনেকবার বুঝিয়েছে, অসীম মন দিয়ে শোনে, চেষ্টাও করে বুঝতে। কিন্তু কোন অদৃশ্য কারনে ঝুমা কিছুতেই বুঝতে চায় না। দুই বন্ধু মাঝে মাঝে শলাপরামর্শ করে, কোন পথে ওদের আকাঙ্খিত সন্ধি স্থাপিত হবে, মেরামত হবে দাম্পত্য।

 নিঃঝুম রাত গভীর হলে যখন জীবনের অনেক রসায়ন বদলে যায়, ক্ষীরঘন হয়ে ওঠে ভালোবাসার স্তর। ঠিক তখন অসীম নিপুণ ভাবে কথার মায়াজাল বুনে আচ্ছাদিত – উন্মোচিত করে ঝুমার মন-দেহ। উদ্ধত অঙ্গ প্রোথিতাবস্তায় অঙ্গাঙ্গী ভাবে নিজেদের সম্পূর্ণ উজাড় করে আন্দোলিত – উদ্বেলিত হয় ওদের জগৎ। দাম্পত্যতের মসৃণ গলি বাঁক নিতে চায় উদার স্বাভাবিকতায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই, নিমিষে অন্ধ গলিতে ঢুকে যেতে পারে, বদলে যেতে পারে সেই নরম আবহাওয়া। ঝুমা তার ইস্পাত কঠিন জেদ সব সময় বজায় রাখে। নিজে যা বুঝবে তাই বলবে আর সে যা বলবে তাই অনমনীয় ভাবে শক্ত করে ধরে বসে থাকবে। চোখে সর্বদা ঈর্ষার কালো গগলস এঁটে বসে আছে। আশেপাশের ফ্ল্যাটের কারোর কোন প্রকার উত্তরণে জ্বলে ওঠে–ফুলে উঠে জ্বলতে থাকে যতক্ষণ না ক্রোধের আস্ফালনে নিস্ফল কোঁদলে লিপ্ত হয়ে ওঠে অসীমের সাথে। মেয়ের স্কুলের মায়েদের ঘোঁট পাকানো অবসরে কারোর পারিবারিক উন্নতি বা নবনির্মাণ অথবা পেকে ওঠে অনেক গভীর সমস্যা যা ঝুমা আঁচলা ভরে বয়ে এনে তোলে নিজেদের দুকামরার আট’শ স্কোয়ার ফুটে। সেখানে মাঝে মাঝে অসীম বড় অসহায় হয়ে পড়ে।

 মায়ের পছন্দ করা পরিচিতি থেকে এক কথায় বরণ করে নিয়ে এসেছিল ঝুমাকে। মা এখন দেশের বাড়িতে একা। নিয়মিত যেতেও পারে না। যেতে চাইলেই অযাচিত তৃতীয় হাত উপস্থাপিত হয় অসীমের সামনে। পরিকল্পনা মাফিক ঝুমা অযথা কোন কাজ সামনে এনে উপস্থিত করে। নিজের বন্ধুর কন্যার সাথে শাশুড়ি – বধূর সম্পর্ক নির্মাণে মা একেবারে ব্যর্থ। অথচ মা পৈত্রিক সম্পত্তির দু’বিঘের বাগান বেচে হাত প্রসারিত না করলে বেসরকারি চাকুরে অসীমের পক্ষে এ ফ্ল্যাট কিনে লম্বা ই এম আই টানা ছিল তার কাছে দিবাস্বপ্ন। শাশুড়ি মায়ের এ অবদানটুকুও ঝুমার মনের কোনো কোনাতেও সামান্যতম স্থান নিতে পারেনি। পৈত্রিক কিছু স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি আর বাবার মৃত্যুর পরে রেখে যাওয়া চাকরীর অবসৃত জীবনের অর্ধেক পেনশনই মায়ের অর্থবল কিন্তু অসহায় হয়ে লোকবলহীন।                

দরজা খুলে দেখে অসীম দু হাতে কপাল চেপে বসে পড়েছে। সর্বাঙ্গ রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার।

তিন

আজ শনিবারে উইকএন্ডের মৌতাজে দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ফ্ল্যাটের ছাদে গুছিয়ে বসেছে। শনিবার চন্দনের সাপ্তাহিক দোকান বন্ধের দিন। অসীমের আজ হাফ ডে, রবিবার ছুটি। ওরা সেই হাইস্কুল থেকে একসাথে বড় হয়ে উঠেছে। এখন সামনে বিয়ারের খয়েরী দুটো খালি বোতল, বাকি দুটোয় অর্ধেক শেষ। চন্দন আজ অসীমের ফ্ল্যাটে ঘুমোবে রাতে। সেদিনের রক্তারক্তির পর কাঁধে ব্যাগ আর মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে গেছে ঝুমা। মলি ওদের খাবার ঢাকা দিয়ে রাখবে অসীমের ডাইনিং এ।                                   

– এখন ফোন ধরছে? চন্দনের স্বরে জড়তা।                                                                      

 – প্রথম কদিন ধরেনি, এখন একটু হু হা করছে। গলায় মাত্রা ছাড়া জড়তায় কথা প্রায় পেঁচিয়ে আসছে। দিনের পর দিন মেয়েটাকে ছেড়ে কী করে থাকি বলতো? এবার চোখের কোনা ভিজে ওঠে, উপচে চোরা আলোয় দু গাল চিক চিক করে।                                                                 

– তুই ও বড্ড খিটকেল আছিস, সব ব্যাপারে বউকে নাক গলাতে দিস কেন? সব সময় খিট খিট করবি, আর তোর আয় – ব্যয়ের সব খতিয়ান ওকে না দিলেই নয়?                                            

 – প্রথম থেকে অভ্যেস করে ফেলেছি তাই … কণ্ঠে কান্নার ঘড় ঘড়ানি।                                                                –

কাকিমা কি বলল? ঝুমা চলে যাওয়ার পরে অসীম দিন দুয়েক আগে দেশের বাড়িতে গিয়েছিল বেশ কিছুদিন পরে। সে প্রথমে ভেবেছিল মা’কে কিছু জানাবেনা, একাএকা থাকে তাই এসব ফালতু টেনশান দিয়ে কি লাভ। মুখ দেখেই মা আন্দাজ করে নিল সব। মা’র কাছে কিছুই লুকায়নি আর।                                                               

-মা খুব আফসোস করল, বলল– আমিই তোর জীবন নরক করে দিলাম । আমার খুব নিজের হাত কামড়াতে ইচ্ছা করে জানিস, না রইলাম মায়ের না হলাম বউ– মেয়ের …চোখের কোনা ভেজা কান্না গাল গড়িয়ে এবার ভাষা পেল । হাউ হাউ করে একটানা চলতে থাকল বেশ কিছুক্ষণ ধরে। চন্দন জানে এ নেশার কান্নায় বাস্তব বেদনা মিশে আছে, থামতে সময় নেবে।

নেশার তরল শেষ হলে কান্নায় থিতু পড়ল। ধীরে ধীরে ওরা নীচে নেমে এলো, খাবার টেবিলে বসে অসীম আচমকা প্রস্তাবটা পাড়ল। কোথায় সে নাকি পড়েছিল সঙ্গে পড়ে অনেক কিছুই বদলে যায় অনেক সময়। 

চার

প্রায় সাতদিন হতে চলল, সম্পূর্ণ যুদ্ধ বিরতি পরিবেশ মুখোমুখি উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে। সকালে ঘুম থেকে উঠে মলি আর ঝুমা ছেলে–মেয়ে নিয়ে ফ্ল্যাট বদল করে নেয়। সারাদিন সেখানেই ওঠা-বসা–নাওয়া–খাওয়া চলে। রাত নটা নাগাদ অসীম, চন্দন ফিরলে ডিনার নিয়ে আবার তারা বদল করে আবাসস্থল। রন্টু আর ঋধিমা ওখান থেকেই স্কুলে যায় আবার ওখানেই ফিরে আসে।

এ ব্যবস্থায় রাজি করাতে মলির পায়ে ধরতে শুধু বাকি রেখে ছিল চন্দন। মলির যুক্তিপূর্ণ প্রতিরোধে শেষ দিকে চন্দনও হাল প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। মনে হয়েছিল শুধুমাত্র বন্ধুত্বের টানে, তার উপকারে নিজের জীবনে ভুল হয়ে যাবে না তো। মলি দুদিন কথা বলেনি, তৃতীয় দিন সকালে উঠে নিজেই ছেলেকে বলল–চলো আমরা ওই ঘরে যাই।

ঝুমাও মধ্যবিত্তের সংস্কার ছুড়ে ফেলতে পারছিল না। সেও কিছু সময় নিয়েছিল।    

 এতদিন মোটামুটি ঠিকই ছিল সবকিছু। ঝুমার রান্নার হাত একটু চড়া। নুন বেশি হয় ডালে, তরকারীতে, ঝালও। শুকনো লঙ্কার ঝাল একদম সহ্য হয়না চন্দনের। প্রথম কদিন জিভ–নাক বন্ধ করে মেনে নিয়েছে। কখনো মিষ্টির রস মিশিয়ে মেকআপ দিয়েছে কিছুটা। তারপর বুঝিয়েছে,শোধরানোর চেষ্টা করেছে। দিন দুয়েক নরমাল হয়েছে কিন্তু তারপর আবার চেনা গতে ফিরছে। জেদ। চন্দন সারদা মায়ের শরণাগত – যদি সংসারে শান্তি চাস তাহলে দোষ নিজের দেখ, অন্যের না। সারাদিন এখন ও নিজের দোষ খোঁজে। দোকানে বসেও ভাবে – কোথায় ভুল হল, সারাদিনে কটা দোষ করল, খুব সন্তর্পণে পা ফেলে। কিন্তু দোষ খুঁজে পায় খুব কম। কেউই হয়ত নিজের দোষ সহজে কবুল করতে চায় না নিজের কাছে। অথচ ঝুমা উঠতে বসতে চন্দনের দোষ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। চন্দনও আত্নপক্ষ সমর্থনে আজকাল প্রত্যুত্তর করতে শুরু করেছে।

এদিকে পরিপাটি ফ্ল্যাট আর সুস্বাদু খাদ্যভাসে অসীমের সাময়িক মন প্রফুল্ল হলেও মলির বইপড়া–মোবাইলে পিড়িং পিড়িং, গান নিয়ে ফালতু সময় অপচয় দিন দিন বিরক্তির পথে যাচ্ছে। ছোটখাটো খিটমিটও লাগছিল। মলির প্রতিবাদ ভাষাহীন বলে দরজা জানলা গলে সেসব বাইরে বেরোচ্ছিল না। মলি রাতে ফিরলে অনুযোগের ভাষা পেত চন্দনের কাছে। চন্দন রাতেও নিজের দোষ খুঁজত । চুপচাপই থাকত। কিন্তু বড্ড চাপ বাড়ছিল দিন কে দিন।

একদিন সত্যিই বিস্ফোরণ ঘটল চন্দনের ফ্ল্যাটে। চন্দন নিজের দোষ বিচার বন্ধ করে দিল। মলি হয়ে উঠল মুখরা। দুজনেই একে ওপরের দোষ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল পরস্পরের দিকে।

 

     

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত