| 28 মার্চ 2024
Categories
গীতরঙ্গ

জামাইষষ্ঠী উৎসব নিয়েই তৈরি হয়েছিল বাংলার প্রথম সবাক সিনেমা

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
বাংলার প্রথম সবাক চলচ্চিত্র হলো ‘জামাইষষ্ঠী’। ১৯৩১ সালের ১১ ই এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। যে ছবির নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন অমর চৌধুরী। তিনি এই ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন৷ আমরা জামাইষষ্ঠী বলতে কেবল খাওয়াদাওয়ার উৎসব বলি অথচ নেহাত সামাজিক লোকাচার- তা নিয়ে কত না কল্পকাহিনি, মজাদার, রসালো গল্প নিয়ে আজও নানান ছবি ও নাটক হয়ে চলেছে। আজ থেকে ৯০ বছর আগে অমর চৌধুরী জামাইষষ্ঠী নিয়ে এই রকম কোনো ছবি তৈরি করেছিলেন, শুধু তা-ই নয়, সেটি ছিল প্রথম ‘মুখর’ ছবি।
অত্যন্ত রসালো এক গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই চলচ্চিত্রটিতে। দম ফাটা হাস্যরসাত্মক ছবি হলো ‘জামাইষষ্ঠী’। যে ছবি সপরিবারে বেশ মজা করে দেখে নেওয়া যায়। পুরো ছবিজুড়ে ষোলায়ানা বাঙালিয়ানার স্বাদ। জামাইষষ্ঠীর মতো একটা উৎসবকে নিয়েও যে কত ভালো ছবি বানানো সম্ভব তা পরিচালক অমর চৌধুরী দেখিয়েছিলেন। 
সত্যি কথা বলতে সাধারণ গল্পও বেশিরভাগ পরিচালকের মুন্সিয়ানাতে অসাধারণ হয়ে ওঠে। গল্প যেমনই থাকুক না কেন সেটাকে নেড়েচেড়ে সঠিক গবেষণা করলেই তা অবর্ণনীয় হয়ে ওঠে৷ জামাইষষ্ঠীর ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। এক হাড়কিপ্টে শ্বশুরমশাইয়ের কীর্তিকে সেলুলয়েডে পরিচালক নিজস্ব বুদ্ধি ও উপস্থাপনায় অসাধারণ ভাবে নির্মাণ করেছেন। 
জামাইষষ্ঠী ছবির গল্পটি হলো– ভদ্র-নম্র শান্ত লাজুক স্বভাবের এক জামাই যার নাম শ্রীধর। যার শ্বশুরমশাই এর নাম ‘কুবের’। যিনি বেজায় হাড়কিপ্টে ও সুদখোর। এতোটাই কিপ্টে লোক যেন ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’। তার শাশুড়ি মা ‘ইন্দ্রাণী’, যিনি সারাক্ষণ স্বামীর খাঁকরানি ও মুখঝামটা খেয়ে চলেছেন। তার স্ত্রী সরোজ। কুবেরবাবু শান্ত লাজুক প্রকৃতির জামাই পাওয়া সত্ত্বেও জামাইকে জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছেন শরীর খারাপের অজুহাত দিয়ে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত