| 29 মার্চ 2024
Categories
ধারাবাহিক

ভাষার উপনিবেশ বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (শেষ পর্ব)

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

১৮৩১ সালে শেখ আলীমুল্লাহ প্রকাশ করেন বাঙালি মুসলমানের প্রথম বাংলা সংবাদপত্র ‘জগদুদ্দীপক সাভারাজেন্দ্র’, ১৮৪৬ সালে রজব আলী বের করেন ‘জগদুদ্দীপক ভাস্কর’। নাম থেকেই বোঝা যায় এরইমধ্যে আলীমুল্লাহ, রজব আলীরা মৃত্যুঞ্জয়ী বাংলা শিখে ফেলেছেন এবং  সে ভাষার মার্গীয় অবস্থানও স্বীকার করে নিয়েছেন। ১৮৪৯ সাল থেকে উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চপদে চাকুরীজীবি মুসলমানরাও মুসলমান ছাত্রদেরকে নয়া ধাঁচের শিক্ষায় উৎসাহিত করতে শুরু করেন। এদের মধ্যে আবদুল লতিফ ও সৈয়দ আমির আলী ছিলেন সবচেয়ে সক্রিয়। আব্দুল লতিফই সর্বপ্রথম স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তক হতে ইসলাম বিরোধী বিষয় দূর করার দাবি তোলেন সরকারের কাছে; তিনি অবশ্য বাংলা শিক্ষার বিপক্ষে ছিলেন। আরো পরে দীনেশচন্দ্র সেন বাঙালি মুসলামানকে এই বলে সতর্ক করেন যে, “হিন্দু ভাবাপন্ন সাহিত্য পড়িয়া মুসলমানরা হিন্দু ভাবাপন্ন হইয়া পড়িবে”। ততদিনে নেতিবাচক প্রভাব যতটা পড়া দরকার তা ঘটে গেছে।  ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ হতে শুরু কুরে কমবেশি ১৮৭০ সাল পর্যন্ত আর্য পুরাণ ও ধর্মাশ্রিত বইপত্রের ছড়াছড়ি এবং বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে এ শিক্ষা পদ্ধতির ভিতর দিয়ে যে সব মুসলমান শিক্ষা লাভ করে তাদের মন থেকে খাঁটি বাঙালির ঐতিহ্য যেমন হারিয়ে যায় তেমনি স্থায়ী প্রভাব ফেলে উত্তরভারতীয় আর্য সংস্কৃতি ও ধর্মমত।

উনিশ শতকের শুরুর অর্ধেক পর্যন্ত যেসব বাংলা বইপত্র রচিত হয়েছে সেুগলোকে খুব একটা উত্তীর্ণ বা মহত সাহিত্যের মর্যাদা দেয়া হয় না। তবে এর পর বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম, মধুসূদনের রচনাবলীকে বাংলা সাহিত্যের জগতে অত্যন্ত উচ্চ আসনে জায়গা দিয়ে রাখা হয়েছে। এদের উঁচু মানের সৃজনশীল মেধার ব্যাপারেও কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়, বিশেষত ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বেলায়। বাঙালির ইতিহাসে এরা দুজনই অত্যন্ত মেধাবী সৃজনশীল মানুষ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন বহুকাল। ঈশ^রচন্দ্রের স্বজাত্যবোধ ও ইউরোপীয় আদর্শের মানব প্রেম এবং বঙ্কিমের ধর্মীয় জাতিত্বকেন্দ্রিক দেশপ্রেম অতুলনীয়। এ সময় রেনেসাঁর নামে হিন্দু পুর্নজাগরণের জোয়ার চলছিল। ইউরোপীয় রেনেসাঁর মর্মমূলে ছিল ইউরোপীয় আদর্শের মানুষ–মানবাত্মা। কলিকাতার নয়া মধ্যবিত্ত শিক্ষিত ব্রাহ্মণগোষ্ঠী এই রেনেসাঁর প্রাণশক্তিকে মননে ধারণ করে তার মর্মে প্রতিষ্ঠা করেন আর্যত্ববাদ। আর্য ধর্ম ও সংস্কৃতির কল্পিত অতীত গৌরব বর্তমানে প্রতিষ্ঠা করার ব্রত নিয়ে তারা বিভিন্ন লোকআখ্যানের আর্য চরিত্র, দেবদেবীর বিবরণ এবং কল্পিত ঐতিহাসিক আর্য চরিত্র সাহিত্যে চিত্রিত করতে থাকেন।


আরো পড়ুন: ভাষার উপনিবেশ বাংলা ভাষার রূপান্তরের ইতিহাস (পর্ব-১০)


বিদ্যাসাগর আত্মনিয়োগ করেন হিন্দু সমাজ পুনর্গঠনে। ফলে তার লেখাতেও আর্য রীতিনীতি, পুরাণাদির উল্লেখ এসেছে ঘুরে ঘুরে। বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনের আধখানা ছিল কল্পিত আর্য জগতে, মনেপ্রাণে ইংরেজ হয়ে উঠার বাসনায় উদ্বেল মধুসূদনও যেন খানিকটা ঘোরের বশে উত্তরভারতীয় আর্য সংস্কৃতিরই প্রতিনিধিত্ব করেন। তাছাড়া, মৃত্যুঞ্জয়ী সংস্কৃতায়িত বাংলার বিকাশ সূচিতই হয়েছিল আর্যদের বিভিন্ন আখ্যান, পুরাণ কাহিনি, ধর্ম গ্রন্থ ইত্যাদি রচনার মধ্য দিয়ে। তার শব্দ ভান্ডার, পরিভাষা, বাগধারা, বাগবিধি গড়ে উঠেছে আর্য পুরাণের আশ্রয়ে। ধান ভানতে শিবের গীত, হাতের লক্ষœী পায়ে ঠেলা, ঘর শত্রু বিভীষণ, অকাল কুষ্মান্ড, সাতখন্ড রামায়ন পড়ে সীতা কার বাপ, ইত্যাদি অজস্ত্র প্রবাদ প্রবচনে অনেকটা সমৃদ্ধি এ ভাষার। এগুলোর ছিটেফোঁটাও আদিযুগের বাংলা ভাষায় ছিল না; কেবল সীমিত হারের সংস্কৃত শব্দ অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর আঠারো শতকের কথ্য বাংলার নমুনা তো তুলেই ধরেছি। সংস্কৃতের এসব উপাদানের প্রায় সবই বাংলা ভাষায় নতুন সংযোজন, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ও মৃত্যুঞ্জয়ের প্রচেষ্টায় এবং তার অনুসারীদের ঐকান্তিক নিষ্ঠায় সংস্কৃত থেকে ধার করে এনে বাংলায় অনুপ্রেবেশ করিয়ে দেয়া। এসব পরিভাষা, বাগবিধি, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচণের অর্থ ভালোভাবে বুঝতে হলেও প্রায় গোটা আর্য পুরাণ মুখস্ত করার প্রয়োজন পড়ে। এ প্রক্রিয়ায় হিন্দু ধর্মেরও অনেকটাই জানা হয়ে যায়। ফলে সংস্কৃতায়িত বাংলার মধ্য দিয়ে আমাদের মগজে জায়গা করে নেয় আর্য ধর্ম ও সংস্কৃতি। এভাবে বাঙালি সংস্কৃতি রূপান্তরিত হয়, আর্য সংস্কৃতির অনেক উপাদান জায়গা করে নেয় আমাদের মননে ও চর্চায়। সংস্কৃতের চাপে বাংলাভাষার ব্যাপক রূপান্তরের কারণে বাঙালির জ্ঞান ও সংস্কৃতির জগতে যে-সব গুরুতর পরিবর্তন হয় সেগুলোকে চিহ্নিত করা যায় এভাবে:         

(১)           কথ্যবাংলা কোণঠাসা হওয়ার অর্থ মুদ্রিত ভাষার জগত থেকে নির্বাসিত হওয়ার মধ্যদিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির অনেক সঞ্চয় যেমন কিস্সা, পালাগান, জারিগান, সারিগান, প্রবাদ প্রবচন কোনোক্রমে মৌখিক রীতিতে টিকে থাকে। তার বদলে জায়গা করে নেয় আর্য দেবদেবী ও রাজরাজড়াদের কল্পকাহিনি। বিদ্যালয়ে ও বিদ্যালয়ের বাইরে পাঠ্য বইয়ে তা পাঠ করতে বাধ্য হয় হিন্দু মুসলিম সকলই। এই পাঠ্যসুচিতে যে-সংস্কৃতি উপস্থাপিত হয় তা ছিল উত্তর-ভারতীয় আর্য সংস্কৃতি। কিন্তু বারবার পাঠের মধ্য দিয়ে তা গ্রহণ করে নেয় বাঙালি মন। বাঙালি নিজের বলে ভাবতে শিখে উত্তরভারতীয় সংস্কৃতিকে। তাই আমাদের সাহিত্যে বিশেষত কবিতায় এখনও উত্তর ভারতীয় তথা আর্য পুরাণের ছড়াছড়ি। বাঙালির নিজস্ব সাংস্কৃতি চিহ্নগুচ্ছের অনেকগুলো হারিয়ে যায় লেখার জগত থেকে।

(২)           বাংলা ভাষা সংস্কৃত থেকে উদ্ভুত এই আধাভুল আধাবানোয়াট ধারণা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার পর বাঙালি মেনে নেয় যে সংস্কৃত ভাষাই তার নমস্য। তাই সংস্কৃত গ্রন্থাদি তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব পেতে থাকে, সেই সঙ্গে সেইসব গ্রন্থবর্ণিত কাহিনি, চরিত্র, ঘটনা, আচার, প্রথা।

(৩)          নতুন গদ্যরীতি মধ্য দিয়ে আসে সংস্কৃত শব্দ ভান্ডার, পরিভাষা, বাগবিধি, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচণ । এগুলো ফোর্ট উইলিয়াম বা মৃত্যুঞ্জয়ী বাংলার সৃষ্টি। আদিযুগের বাংলা ভাষায় এগুলো ছিল না। এসব পরিভাষা, বাগবিধি, বাগধারা, প্রবাদ প্রবচণের অর্থ ভালোভাবে বুঝতে হলেও প্রায় গোটা আর্য পুরাণ মুখস্ত করার প্রয়োজন পড়ে। এ প্রক্রিয়ায় আর্যদের ধর্ম ও সংস্কৃতির অনেকটাই জানা হয়ে যায়। ফলে সংস্কৃতায়িত বাংলার মধ্য দিয়ে বাঙালির মগজে জায়গা করে নেয় আর্য ধর্ম ও সংস্কৃতি। সেইগুলো শিখতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কাহিনি জানার প্রয়োজন পড়ে। তাই শিখে নিতে হয়  আর্য পুরাণের অনেক কিছুই।

(৪)           উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত, এমনকি তার পরও কিছুকাল সাহিত্য বলতে ছিল হিন্দু পুরান অবলম্বনে লেখা আখ্যানাদি। যেমন মেঘনাদবধ, শকুন্তলা, সীতাহরণ ইত্যাদি নিয়ে রচিত বিশাল বিশাল বই নাটক ইত্যাদি। এগুলো পড়ে হৃদয়ঙ্গম করতে হলে পুরা হিন্দুধর্মকে জানা প্রয়োজন হয়। বাঙালি সেটা করে ফেললে, পাঠের ও শিক্ষার প্রয়োজনে। এখন বাংলাদেশে শিক্ষিত মুসলমান বা খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ মাত্রই হিন্দু ধর্মের অনেক বিষয় জানেন, বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি বা ধর্ম  সম্পর্কে ঐ পরিমান জানেন না।

(৫)           প্রায় শ খানেক বছর ধরে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপদ্ধতি, সাহিত্য, পত্রপত্রিকা ইত্যাদির মাধ্যমে ভাবাধিপত্য ((Hegemony) আরোপের গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পুর্ণ হওয়ার পর দেখা গেল বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষ যা জানে তা আর্যদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, পুরান, ধর্ম ইত্যাদি।

(৬)          জ্ঞান ও সংস্কৃতির এই আধিপত্য বিস্তারের প্রধান প্রধান মাধ্যমগুলো ছিলো শিক্ষা ব্যবস্থা, বই, পত্রপত্রিকা। পরে এর সাথে যুক্ত হয় সিনেমা গান ইত্যাদি। নাগরিক সুবিধার বাইরে থাকা সাধারণ বাঙালি সমাজের শিক্ষা বঞ্চিত অংশ এই সেদিন পর্যন্তও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, বই, পত্রপত্রিকা, সিনেমা ইত্যাদির থেকে দূরেই ছিলো। এ কারণে আর্যত্বের ভাবাধিপত্যের বাইরে থেকে গেছে তারা। তাদের মুখের ভাষাও সংস্কৃতের উপনিবেশে পরিণত হয়নি বলে বাঙালির প্রকৃত সাংস্কৃতিক চিহ্নগুলি অনেকটাই অটুট রয়ে গেছে সাধারণের মান কথ্যবাংলায়।  

উপনিবেশিত ভাষা, বিকৃত ইতিহাস আর নিজের সংস্কৃতির অধিকাংশ চিহ্ন হারিয়ে অন্যের সাংস্কৃতিক চর্চাকে সম্বল করে একটা জাতি কোথায় পৌঁছাতে পারে? মরা ও সাম্প্রদায়িক এক ধারণা ‘আর্যত্ব’-এর প্রতি এই দাস্যভাব মনে জিঁইয়ে রেখে যে স্বদেশ প্রেমের চর্চা করেন তারা তার মধ্যে স্বদেশ কতটুকু থাকে? এই প্রশ্ন আরও আগেই জাগা উচিত ছিল আমাদের মনে। তাই বলে কখনো জাগবে এমন নয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের বুঝ-এর মধ্যে এই অসঙ্গতি বার বার হানা দিচ্ছে, প্রশ্নমুখর করে তুলছে অনেকের মন ও মননকে। বাংলা ভাষা, বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা জিজ্ঞাসা তলে তলে আলোড়িত করে চলেছে অনেক সচেতন মানুষকে। গত কয়েক দশক ধরে বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন করে উঠে আসছে এইসব জিজ্ঞাসা।

এ যাবত আলোচনায় আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, ইতিহাস ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চিহ্নিত বিকৃতি বা কুনির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বাংলা ভাষার রূপান্তরের মধ্য দিয়ে। এর সাথে যুক্ত ছিল অন্যান্য নিয়ামক উপাদান: বৃটিশ শাসন ও বৃটিশদের সাথে কলিকাতার উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আঁতাত; বাঙালি মুসলমান জনগোষ্ঠীর বাংলাভাষী নেতৃত্বের অভাব; মুদ্রণযন্ত্রের আগমণ এবং সেইসূত্রে প্রথম দিকে মুদ্রণ শিল্প, পত্রপত্রিকা ইত্যাদির উপর উচ্চবর্ণের হিন্দুদের একচেটিয়া আধিপত্য ইত্যাদি। এসবই অতীত মাত্র। বাংলাদেশ এখন একটা স্বাধীন দেশ। বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির মুক্ত চর্চা, ইতিহাস রচনার স্বাধীনতা তার আয়ত্তে। তবে দুইশ বছরের মানসিক আধিপত্য ছাপ রেখে গেছে তার মনোজগতে। সেই ছাপচিন্-এর ধরণ এখন জানা। মনোজাগতিক প্রভাব থেকে বেরিয়ে বাঙালির ভাষা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত জিজ্ঞাসাগুলি যাচাই করে নেয়া এখন জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। আর যেহেতু ব্যত্যয়ের সূচনা হয়েছিল ভাষার বিকৃতির সূত্রে, তাই ভাষার ব্যত্যয়গুলো চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে সূচিত হতে পারে আধিপত্যমুক্ত, ধর্ম ও শ্রেণিপ্রভাববিহীন স্বাধীন বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার। এ ক্ষেত্রে মুখের ভাষা বিশেষ করে মান কথ্যবাংলা বাঙালি সংস্কৃতির চর্চায় শুরুতে দাঁড়াবার মূল জায়গা হয়ে উঠতে পারে। উনিশ শতকের সূচনায় উপনিবেশী প্রশাসকদের ছত্রছায়ায় বাংলার সংস্কৃতায়নের প্রক্রিয়ায় বাংলা ভাষা থেকে যা হারিয়ে গিয়েছিল তার বেশ কিছু সঞ্চিত রয়ে গেছে আমাদের মুখের ভাষায়। তাই প্রথমেই দরকার তথাকথিত প্রমিত বাংলা অর্থাৎ নদীয়ার কথ্যবাংলার লিখিতরূপ চলিত ভাষার পরিবর্তে বাংলাদেশের মান কথ্যবাংলাকে আবেগ, ভাব ও চিন্তার কথ্য ও লেখ্য উভয়রূপের বাহন করা। এটুকু করতে পারলে আমাদের মায়ের ভাষা অর্থাৎ বাংলাদেশের মান কথ্যবাংলাই সঠিক পথের নিশানা দেখাবে।

তথ্যসূত্র:

 ১. ফয়েজ আলম,  ‘ভাষা আর সংস্কৃতির ক্ষমতা: ক্ষুদ্র জাতিগুলোর অবস্থান’, বুদ্ধিজীবী, তার দায় বাঙালির বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব, সংবেদ, ঢাকা, ২০১২; পৃষ্ঠা-১২।

  ২. আবুল ফজল, আইনআকবরী, (অনুবাদ- ব্লকম্যান), প্রথমখন্ড, পৃ-২৮৮; ডক্টর এম এ রহিম, বাংলার সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাস,  (অনুবাদ: মোহম্মদ আসাদুজ্জামান) বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮২, পৃষ্ঠা-১৭৫-এ উদ্ধৃত।

  ৩. শহীদুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষা: ঐতিহাসিক পটভূমি’, বাংলাদেশের শিক্ষা: অতীত, বর্তমান ভবিষ্যত, বাংলাদেশ লেখক শিবির, ঢাকা, ১৯৯০, পৃ-১১।

  ৪. দ্রষ্টব্য: শহীদুল ইসলাম, ‘বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষা: ঐতিহাসিক পটভূমি’, বাংলাদেশের শিক্ষা: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত, বাংলাদেশ লেখক শিবির, ঢাকা, ১৯৯০, পৃ-৩১।

  ৫. নিখিল সরকার, ‘আদিযুগের পাঠ্যপুস্তক’, দুই শতকের বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনা, সম্পাদক: চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দ পাবলিশার্স, কলিকাতা, ১৯৮১, পৃ-১৬৬।

 ৬. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা-১৬৬-৬৭।

 ৭. জেমস লঙ, আদিপর্বে বাংলা প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা, অনুবাদ-মুহম্মদ হাবিবুর রশীদ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮৮. পৃষ্ঠা-১০২-৩।

 ৮. ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়, উইলিয়াম কেরি ও সংস্কৃত সাধনা, সংস্কৃত পুস্তক ভান্ডার, কলিকাতা, ১৯৯৮; পৃষ্ঠা- প্রাককথন (ত্রিশ)।

৯. জেমস লঙ, আদিপর্বে বাংলা প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা, অনুবাদ-মুহম্মদ হাবিবুর রশীদ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮৮. পৃষ্ঠা-১৪৮।

 ১০. প্রতাপাদিত্য, সম্পাদক: নিখিলনাথ রায় বি,এল, সোপান, কলিকাতা, ২০১৬. পৃষ্ঠা-উপক্রমণিকা ৫৫।

 ১১. বাংলাদেশের ইতিহাস (দ্বিতীয় খন্ড), সম্পাদক: রমেশচন্দ্র মজুমদার, জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড পাবলিশার্স, কলিকাতা, ১৩৮০, পৃষ্ঠা-১৩১।

 ১২. প্রতাপাদিত্য, সম্পাদক: নিখিলনাথ রায় বি,এল, সোপান, কলিকাতা, ২০১৬. পৃষ্ঠা-উপক্রমণিকা ৫৪।

 ১৩. দ্র: মেহেদী কাউসার ফরাজী ‘বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে দুইবার বেইমানী করা রাজবংশের গল্প’, দি নিউজ ফ্রন্ট , ১৬ অক্টোবর, ২০২০।

 ১৪. রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়স্যচরিত্রং, শ্রীরামপুর, ভারত, ১৮৫৭; পৃষ্ঠা-৩০-৩১, ৩৭।

 ১৫. ডক্টর ওয়াকিল আহমদ, উনিশ শতকে বাঙালি মুসলমানের চিন্তা-চেতনার ধারা, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮৩; পৃষ্ঠা-৩৫০।

 ১৬. জেমস লঙ, আদিপর্বে বাংলা প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা, অনুবাদ: মুহম্মদ হাবিবুর রশিদ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা; ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-৫৫।

 ১৭. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা-১০২।

 ১৮. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা-১০৩।

 ১৯. পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা-৭।

 ২০. আনিসুজ্জামান, পুরোনো বাংলা গদ্য, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, ১৯৮৪; পৃষ্ঠা ৮৩।

 ২১. ভক্তিমাধব চট্টোপাধ্যায়, বাংলা গদ্যের আদিপর্ব, নয়া প্রকাশ, কলিকাতা, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা ৯১

 ২২. শ্রীপ্রমথনাথ বিশী ও বিজিতকুমার দত্ত (সম্পা), বাংলা গদ্যের পদাঙ্ক, মিত্র ও ঘোষ, কলিকাতা; পৃষ্ঠা ৫১।

 ২৩. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ‘দূর্গেশনন্দিনী’, বঙ্কিম রচনাবলী উপন্যাস সমগ্র, তুলি কলম, কলিকাতা,২০০১; পৃষ্ঠা ৯।

 ২৪. আনিসুজ্জামান, মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য প্যাপিরাস, ঢাকা, ২০০১; পৃষ্ঠা ৯৪-৯৫।

  ২৫. দ্র:, Antonio Gramsci, The Prison Notebook,Quintin Hoare and Geoffrey Noel Smith (ed.), New York University Press, USA ২০০০.

 ২৬.  জেমস লঙ, আদিপর্বে বাংলা প্রকাশনা ও সাংবাদিকতা, অনুবাদ: মুহম্মদ হাবিবুর রশিদ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা; ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-৩৩ ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত