| 19 এপ্রিল 2024
Categories
ভাসাবো দোঁহারে

ভাসাবো দোঁহারে: ভালোবাসা: একবিংশ শতক । দিলীপ মজুমদার

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
নলবনে গোধুলির মায়াবী আলোয় হঠাৎ বুদবুদ ওঠে মনে,
আশপাশে যূথবদ্ধ নরনারী, সঙ্গমলিপ্সার মতো প্রশ্রয় এখন,
অজানা তাগিদ এল কুলপ্লাবী, মনে হল দুম করে বলে ফেলা যায়;
অফিসের দরকারি কথার মতো যুবকটি সোজাসাপ্টা বলে:
‘আই লাভ ইউ সুনীতা, আই লাভ ইউ ভেরি মাচ।’
 
বাক্যবন্ধে ঝড়-টড় ওঠে না কিছুই, উচ্ছ্বসিত হয় না তটিনী,
যুবক ও যুবতীর মুখে-টুখে লালিমার চিহ্ন-টিহ্ন নেই,
নিরুত্তাপ যুবকের পাশে হাঁটে নিরাবেগ নারী।
 
ফুচকাটা হাতে নিয়ে সুনীতাও স্বাভাবিক, মুখ তুলে
হাতের ঘড়ির দিকে এক পলক, তারপর বলে যায়:
‘থ্যাঙ্ক ইউ অনিকেত, আই আলসো লাভ ইউ , কিন্তু শোনো
কাল ভোরে ছুটতে হবে সেক্টর ফাইভে, একটা বড় ডিল,
দারুণ টেনশনে আছি, আজ একটু ঘুমের দরকার, প্লিজ
অনিকেত ট্রাই টু আন্ডারস্ট্যান্ড…’ ।
 
একটু নাছোড়বান্দা অনিকেত , কলেজের কবিতাটা এসেছে স্মরণে ,
হাসতে হাসতে বলে , ‘ব্যাপারটা এ রকম বুঝেছ ডার্লিং,
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর। ’
 
চিলতে হাসি সুনীতার ঠোঁটে, ‘তুমি তো ভালোই জানো অনিকেত,
শরীর বিষয়ে কোন প্রেজুডিস আমার তো নেই, শুধু একটা
ভালো বাথটব, শাওয়ারের ঝিরিঝিরি, সুগন্ধী সাবান। ’
 
চুক্তির খসড়া তৈরি বিদায়ের আগে, এপ্রিলের শুরু থেকে তারা
দুজনে একত্র থাকবে এবং স্বাধীন থাকবে অনাবিল, যতদিন
থাকা-টাকা যায় এবং এমন থাকার মধ্যে অন্য কিছু নেই,
শাশ্বত ব্যাপার কিছু… চাঁদ-ফুল-শিশু-টিশু- মান _অভিমান ;
দুজনে ত্রিশঙ্কু হয়ে ঝুলে থাকবে সমান্তরাল। রবি ঠাকুরের মতো
কোনদিন বলবে না তারা ‘সখি, ভালোবাসা কারে কয়’

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত