| 29 মার্চ 2024
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত গল্প ধারাবাহিক

মহানগরের নয়জন নিবাসী (পর্ব-২৩) । ডঃ দীপক কুমার বরকাকতী

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.comমিজোরামের আইজল শহরের পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডঃ দীপক কুমার বরকাকতী (১৯৪৮) অসমিয়া সাহিত্যের একজন সুপরিচিত এবং ব্যতিক্রমী ঔপন্যাসিক। আজ পর্যন্ত আটটি উপন্যাস এবং দুটি উপন্যাসিকা, অনেক ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ রচনা করেছেন। তাছাড়া শিশুদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। তারই ইংরেজি ভাষার একটি নতুন দিল্লির চিলড্রেন বুক ট্রাস্ট থেকে ১৯৯২ সনে প্রকাশিত হয়। দেশ-বিভাজন, প্রব্রজন, ভেরোণীয়া মাতৃত্ব (ভাড়াটে মাতৃত্ব), ধর্ম এবং সামাজিক বিবর্তন ইত্যাদি তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয়। আলোচ্য ‘মহানগরের নয়জন নিবাসী’উপন্যাসে ১৯৩২ সনে স্টালিনের বিরুদ্ধে লেলিনগ্রাডের নয়জন টলস্টয়বাদী গান্ধিজির অহিংসা নীতির দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে করা আন্দোলনের ছবি ফুটে উঠেছে। তাঁর ইংরেজি ভাষায় অনূদিত গ্রন্থ দুটি হল From Valley to Valley (Sahitya Akademi, New Delhi, 2010) এবং The Highlanders (Blue Rose Publishers, New Delhi, 2010)। বাংলা ভাষায় অনূদিত গ্রন্থ ‘স্থানান্তর’ (অর্পিতা প্রকাশন, কলকাতা, ২০০৭)। বাসুদেব দাসের অনুবাদে ইরাবতীর পাঠকদের জন্য আজ থাকছে মহানগরের নয়জন নিবাসীর পর্ব-২৩।


নাডিয়াদের অঞ্চলে অহিংস আন্দোলনের দায়িত্ব চিত্রশিল্পী ভিক্টর একছুর্স্কির নেতৃত্বে নিকোলাইচের্নভ এবং লিঅ’নিড এডলারকে দেওয়াহয়েছিল।তাঁরা প্রথমে একসঙ্গে ভেতরে থাকা স্থানীয় মানুষগুলির মধ্যে টলস্টয়বাদ এবং অহিংস নীতির কথা প্রচার করেছিল। পরবর্তীকালে খুড্রিক’ভ,চমন’ভ এবং অন্য বয়স্ক কৃষকদের সাহায্য নিয়েতিনজনই আলাদা আলাদাভাবে প্রচার করতে শুরু করেছিল। সন্ধ্যের দিকে ওরা ফিরে এসেছিল এবং নাডিয়াদের ঘরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে শহরের নিজের নিজেরবাড়িতে ফিরে গিয়েছিল।

ভিক্টর একছুর্স্কিমূর্ছা যেতে চলা লাইলাক ফুলগুলির পাশ দিয়ে যাবার সময় ফুলগুলির উপর হাত বুলিয়েদিচ্ছিল।তাঁর মনে পড়ছিল এরকম একটি বাগানের মধ্যেই নাডিয়ার একটি সুন্দর তৈলচিত্র সে অংকন করেছিল। সেরকমই একটি দিনে চাকা চালিয়ে ঘুরে বেড়ানো দশ  বছরের ডিমভের একটি চিত্র আঁকবে বলে স্থির করেছিল। ছবিটির অঙ্গারের রেখাচিত্রটুকু মাত্র সম্পন্ন হয়েছে।পরিস্থিতির জন্য সেটা আর রং বুলিয়ে শেষ করা হল না। 

ঘুরে বেড়াতে বেড়াতেনিকোলাইচের্নভেরককেশাস পর্বত শ্রেণির বহু দক্ষিণের  কুরা নদীর উপত্যকার কিছু উঠানামা সমতলের শস‍্যে ভরা মাঠের কথা মনে পড়ছিল।তাঁর সেই মাতৃভূমি জর্জিয়ার গন্ধ এখানে নাই যদিও কলা-সংস্কৃতির কেন্দ্র লেনিনগ্রাডেবহুদিন থাকার জন্য শীতপ্রধানঅঞ্চলটির প্রতি মোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।তাছাড়ামোহগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলটলস্টয়বাদীদের এবং চাষি মানুষদের অহিংসার প্রতি উদার এবং আদরের মনোভাব দেখে। তাই তিনি অঞ্চলটিতেঘুরেফিরে মানুষের মধ্যে অহিংস প্রতিরোধের কথা প্রচার করেছিলেন।

লিঅ’নিড এডলারও ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তার মধ্যে তার কখনও নাডিয়ার  সঙ্গে ওদেরবাড়িতে দেখা হয়েছিল।দুজন দুজনকে ক্ষণিকের জন্য হলেও গভীরভাবে স্থির হয়ে দেখতে  পেরেছিল। কম হলেও দুই একবার ভাব বিনিময় করতে পেরেছিল। তার কাজ, উদ্দেশ্য এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসার প্রতি নাডিয়া আস্থা প্রকাশ করেছিল। তারপরেলিঅ’নিডআত্মতুষ্টিতে মানুষের মধ্যে বেরিয়ে এসেছিল —কখনও গাছপালার মধ্যে দিয়ে, আবার কখন ও চাষবাসের মধ্য দিয়ে।শীতজাঁকিয়ে  পড়ার আগে আগে সামলাতে পারার মতো বিস্তৃত মাঠের চাষবাসের মধ্যে কখনও কখনও সে একা ঘুরে বেড়াত। সে অবাক হয়েছিলওদের দেশের সুবিস্তৃত মাঠ দেখে। নাডিয়া তাকে একদিন বলেছিল–’ তুমি আমাদের মাটির প্রেমে পড়েছ।এই মাটি, এই মুক্ত মাঠে  মানুষগুলি মুক্তমনেচাষবাস করেছিল। এই মাটির অধিকারই এখন চাষিদের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।’

লিঅ’নিড ঘুরে বেড়ানোর সময় মাঝে মধ্যে মাঠের শস্যের ওপরে হাত বুলিয়ে যাচ্ছিল। তার অনুভব হচ্ছিল তার হাতের স্পর্শে এবং পদক্ষেপে যেন সে চাষিদের কাছাকাছি চলে গেছে,ওদের স্পর্শ অনুভব করতে পারছে। আঁকাবাঁকা পথ এবং ঝরণার মধ্য দিয়েবয়ে যাওয়া শীতল বাতাসে  সেযেন  চাষিদের শ্বাস প্রশ্বাস অনুভব করতে পারছে। সেরকম অনুভূতি তাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল নাডিয়ার কথা – তুমি মানুষের প্রেমে পড়েছ।

হ্যাঁ, সে মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছে। ওদের মাটির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কথা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারছে এবং সঙ্গে সঙ্গেওদের জন্য করা অহিংস আন্দোলনের প্রতি তার আস্থা আরও গভীর হয়েছে।

একদিন লিঅ’নিড এডলার মাঠ থেকে গাছপালার মধ্য দিয়ে একটা পথ দিয়েনাডিয়াদেরবাড়িতে ফিরে আসছিল। ভেবেছিল সেখানে সে কিছুক্ষণ বসবে, হয়তো এক কাপ কফি খাবে এবং তার পরে শহরের উদ্দেশ্যে ফিরে যাবে। কিন্তু সেই সময় সে ঝোপের মধ্যে কার যেন কাতরোক্তি শুনতে পেল। সে  কাছে গেল।হ্যাঁ,একজন আঘাতপ্রাপ্ত মানুষের কাতরোক্তি। মানুষটি বয়স্ক। পরনে মলিনকাপড়- চোপড়। মাঝেমধ্যে ছেঁড়া। দাড়ি ভর্তি মুখমন্ডলেআঘাতপ্রাপ্তভেসিলিকে চিনতে লিঅ’নিডের  সময় লাগল। 

‘ ভেসিলি, মহাশয়, ভেসলি নন কি ?’

গাছপালার উপরে পড়ে থাকা ভেসিলি সায় দিল। লিঅ’নিড বেঁটে মানুষটির মাথাটা একটু তুলে ধরল। দীর্ঘনিঃশ্বাসনেওয়াবুড়োমানুষটি ক্ষীণ   কন্ঠে বলল-‘জল,আমাকে একটু জল খেতে দিন।’

লিঅ’নিড জানে আশেপাশে খাবার জলের  ব্যবস্থা নেই ।কিছু দূরেই ছোট একটি ঝর্ণা আছে যদিও সেখান থেকে জল আনতে অনেক সময়লাগবে।তাছাড়া জল আনার মতো কোনো পাত্র নেই।আশেপাশের মানুষের বস্তিগুলি ঝরণাটা  থেকে অনেক দূরে।সেকিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল।

সে জিজ্ঞেস করল–’মহোদয়ভেসিলি আপনার এই অবস্থা কীভাবে হল?’

ভেসিলি উত্তর দিতে  সময়নিল। সে থেমেথেমে বলল–’ আমাদের ওখানে আরক্ষীবাড়িঘর মাঠ দখল করার দিন আমাদের সঙ্গের কয়েকটি মানুষ চাষবাসের সরঞ্জাম নিয়েআরক্ষীদের  আক্রমণ করেছিল।’ মানুষটাথেমে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল। কাতরোক্তি করতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে পুনরায় বলল–’ আমি বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাকে বলল– আমি আপনাদের সঙ্গে যোগ না দিলে আমরা দশজনআরক্ষীকেগায়ের জোরে বাধা দিতে পারতাম । আমি যে ওদের হিংসার পথ নিতে বারবার বাধা দিলাম। কিন্তু’– ভেসিলিথেমে গেল । সে জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগল। তারপর বলল–’ একটা ঘরের ভেতর থাকা চাষের সরঞ্জাম নিয়েদুইজন প্রথমে আমাকে আক্রমণ করল। তারপর আক্রমণ করল অশ্বারোহীআরোহীদের।’

ভেসিলি কোঁকাতে কোঁকাতে ফোঁপাতে লাগল। মানুষটা বলল–’ পেট এবং বুকের আঘাত বড় গভীর। আমি পালিয়ে এলাম– আপনাদের কাছে।’

মানুষটা পুনরায় বলল–’ আসতে বহুদিন লেগে গেল।’

লিঅ’নিড এডলার বলল–’ চিন্তা করবেন না। আমি বাড়িনিয়ে  যাব।’

লিঅ’নিডমানুষটার বাহু দুটিতে ধরে গাছপালার মধ্য দিয়েরাস্তায় বের করে  আনার চেষ্টা করল। সে বুঝতে পারল মানুষটার বুকের দিকের গরম কাপড়ও রক্তে ভিজে উঠেছে।

সেই দিক থেকে কেউ আসার শব্দ শোনা গেল। গাছপালার মধ্যে উজ্জ্বল আলো না থাকায় মুক্ত  মাঠের দিকে থাকা আলোতে মানুষটার একটা ছায়া দেখা গেল। হাঁটাটা  মিখাইলেরমতো। সে হয়তোওদের অঞ্চলে প্রচারের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আসছে।

‘মিখাইল নাকি?’–লি’অ’নিডচিৎকার করে জিজ্ঞেস করল।

মিখাইল উত্তর দিল এবং দ্রুত কাছে চলে এল।–কী হল ?ইনি কে?’

লিঅ’নিড সংক্ষেপে সমস্ত কিছু বলতে যেতেই পুনরায় ভেসিলির কাতর কণ্ঠস্বর শোনা গেল–’জল–জল।’

সে দ্রুত শ্বাস ফেলতে লাগল। নিঃশ্বাস ছোট হয়ে এল এবং দুবার হিক্কা তুলল।

লিঅ’নিড তাড়াতাড়ি বলল –’ তুই একটু দেখ। আমি জলের খোঁজে যাচ্ছি।’

লিঅ’নিড দূরের ঝরনাটা থেকে একটা গাছের পাতায় করে এক অঞ্জলি  ঠান্ডা জল আনতে  সময় লেগে গেল। ততক্ষনেমিখাইলের যত্ন সত্ত্বেও ভেসিলিসংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল। মিখাইল মেলে ধরা ঠোটদুটিতে জল ঢেলে দেওয়া সত্ত্বেও ভেসিলিগিলতে পারল না। ঠোঁটের কষ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।

ওরা দুজন মানুষটার জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু জ্ঞান ফিরে এল না। কিছুক্ষণ পরে ওরা অনুভব করল ভেসিলির দেহটা নিথর এবং ঠান্ডা হয়ে পড়েছে ।

লিঅ’নিডরা অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভেসিলির  নিথর দেহটা নিয়ে জঙ্গলে বসে রইল । ওরা নিজেরা আলোচনা করে ঠিক করল শীঘ্রই হতে চলা উচ্ছেদ অভিযানের আগে মানুষের মধ্যে মৃতদেহটা না নিয়ে যাওয়াই ভালো হবে। জঙ্গলের মধ্যে কবর দেওয়াটাইনিশ্চয় উত্তম হবে।

প্রায় ষাট বছর বয়সী মানুষটার সতেরো সনে বলশেভিক বিদ্রোহের সময়  বোধহয় বয়স দুই কুড়ির মতো ছিল। তখন পর্যন্ত নিশ্চয়খ্রিস্টধর্ম চর্চা ভালোভাবেই করেছিল। তাই তারা মাটিতে কবর দেওয়াঢিপিটার মাথার দিকে গাছের ডালের একটা ক্রস চিহ্ন  পুঁতে  দিল।

রাতের দিকে শীত পড়তে শুরু করেছিল। তবুও ওদের  দুজনের কপালে ঘামের ফোঁটা ফুটে উঠল ।

ভেসিলির মৃত্যুর কথা লিঅ’নিড যতই  ভাবল অথবা মিখাইলের সঙ্গেএই বিষয়ে আলোচনা করল, ততই সেই সাধারণ চাষি মানুষটির সরলতা এবং আত্মত্যাগ তার মনটাকে মানুষটার প্রতি ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলল।ওদের টলস্টয় বাদী আন্দোলনের খবর পেয়েই মানুষটা  নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের জন্য অন্য একটি মানুষের সঙ্গে প্রথমে নিজেই সাহায্য চাইতে এসেছিল।টলস্টয়বাদীদের সঙ্গে সে সহাবস্থান করে আরক্ষী  এবং অফিসারদের আগমন অহিংস  ভাবে প্রতিরোধ করেছিল। শেষে যে কয়েকজনআরক্ষী লাঠি দিয়েপিটিয়ে তার সঙ্গের কয়েকজনচাষিকে আহত এবং দুজনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল সেই আরক্ষীদের রক্ষার জন্যই সে নিজেই  সঙ্গের  কয়েকজন উগ্র চাষির আক্রমণের বলি হয়েছিল এবং শেষে মৃত্যুবরণ করেছিল।


আরো পড়ুন: মহানগরের নয়জন নিবাসী (পর্ব-২২) । ডঃ দীপক কুমার বরকাকতী


ভেসিলির কথা যতই ভাবল লিঅ’নিড এডলার অনুভব করল চাষিভেসিলিই হল একজন প্রকৃত টলস্টয়বাদী। টলস্টয়বাদের’হত্যা রোধ করার জন্যও  হত্যা কর না’ নীতি সরল মানুষটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল। মানুষটা মানুষকে ভালোবেসেছিল। তাই টলস্টয়বাদী  ছিল। মানুষটা নিজের মাটি এবং সেখানে জন্মানো শস্য ভালোবাসত– তাই তা রক্ষার জন্য টলস্টয়বাদীদের কাছে এসেছিল । মানুষটা নিজের অঞ্চলের মাটি এবং মানুষগুলিকে ভালোবাসত কেননা ক্রোকের  চিঠিটা কেবল তার মাটির জন্যই আসেনি- প্রত্যেকের জন্যই এসেছিল। মানুষটা দেশকে ভালোবাসত, কেননা সে তার মাটি আর মানুষের প্রেমে পড়েছিল।

ভেসিলির এই কথাগুলি লিঅ’নিডকে বড় উৎসাহিত করে তুলল। সে যখনই সময় পেল নাডিয়াদের  বাড়ি থেকে বেরিয়েগিয়ে গাছপালার মধ্যে থাকা ভেসিলির কবরের কাছে যেতে লাগল। সে মাঝে মাঝে চিন্তা করে কবরটির কাছে বসে রইল। মাঝে  মধ্যে দূরের ঝরণাটি  থেকে বড় পাতায় করে এক অঞ্জলি জল এনে কবরের উপরে ধীরে ধীরে ঢেলে দিল, কেননা সঠিক সময়ে সে মানুষটাকে এক ফোটা জল দিতে পারেনি।

মানুষটার মৃত্যু হল, কিন্তু তাঁর আদর্শ লিঅ’নিডের মনের মধ্যে সজীব হয়ে বেঁচে রইল।

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত