Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,abdullah abu sayeed ALOR FERIWALA

ইরাবতী প্রবন্ধ: আলোর ফেরিওয়ালা । রশীদ আহমেদ

Reading Time: 5 minutes

২৫ শে জুলাই। ১৯৩৯ সালের এই দিনে কোলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্ম। পাঁচবোন ও ছয় ভাইয়ের মধ্যে তিনিই সবার বড়। ভাই-বোনেরা তাকে লালু ভাই নামে ডাকতেন। তার পৈত্রিক নিবাস বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কামারগাতি গ্রামে। পিতা আযীম উদ্দিন ছিলেন একজন স্বনামধন্য অধ্যক্ষ। মায়ের নাম করিমুন্নেসা। পিতা শিক্ষক হওয়ার কারণে ছোট বেলা থেকে তাঁর মনের মধ্যে শিক্ষক হওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা ছিলো। শিক্ষক হিসেবে পিতার অসামান্য সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা তাঁকে শিক্ষকতা পেশার প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। বলছি এমন একজন মানুষের কথা যিনি শিক্ষা জগতে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে বহু আগেই পরিচিতি লাভ করেছেন। যিনি একাধারে শিক্ষক, উপস্থাপক, সংগঠক, সমাজ সংস্কারক ও সাহিত্যিক হিসেবে সমান খ্যাতি অর্জন করেন। যিনি কোমলমতি শিশু কিশোরদের স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। কিভাবে আলোকিত মানুষ হতে হয় সেই মন্ত্রের দীক্ষা দিয়েছেন। যিনি কোটি প্রাণের স্পন্দন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন আমাদের সবার প্রিয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ।

পিতা শিক্ষক হওয়ার কারণে তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বাংলাদেশের নানা জায়গায়। ১৯৫৫ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ১৯৫৭ সালে বাগেরহাটের সরকারি পি.সি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬১ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এ বছরেই তিনি শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে এবং কিছুদিন তিনি সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের এপ্রিলে তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। রাজশাহী কলেজে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে (বর্তমানে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজ) যোগ দেন। এখানে তিনি ২ বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। মাত্র তেইশ বছর বয়সেই তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ঢাকা কলেজে যোগ দেন। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমান। ঢাকা কলেজের শিক্ষকতা তিনি যে উপভোগ করতেন এবং সেই সময়টা যে তাঁর স্বর্ণযুগ ছিল তা আমরা তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও লেখালেখির মধ্যে দেখতে পাই।

তিনি একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান শিক্ষক। শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয়তার উচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন। ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয় সেখানে তিনি অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করেন। এক দশক ধরে তিনি এই নবীন সাহিত্য যাত্রাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলা সাহিত্য যাত্রাকে বেগবান করেছেন। “কন্ঠস্বর” নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। যেটি ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তা ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। খ্যাতিমান কবি সাহিত্যেকেরা তখন এই পত্রিকায় লিখেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, রফিক আহমদ প্রমুখ। পূর্ব বাংলার সাহিত্যাকাশে ষাটের দশকে সাহিত্য ও সাহিত্যিকের যে উত্থান হয়েছিলো তা আর পরে সেরকম দেখা যায়নি।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ ছিলেন একজন খ্যাতিমান উপস্থাপক। বাংলাদেশ টেলিভিশনের শুরুর দিনগুলোতে তিনি ‘হারজিত’, ‘সপ্তবর্ণা’, ‘আনন্দ মেলা’ ও ‘মানচিত্র’ এর মত কালজয়ী কিছু অুনষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। যা ছিলো তখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। এই অনুষ্ঠানগুলো করতে গিয়ে তিনি নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন যা তিনি পরবর্তীতে তাঁর লেখা ‘আমার উপস্থাপক জীবন’ বইটিতে তুলে ধরেছেন।

এবার আসি স্যার ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রসঙ্গে। অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এর জীবনের অন্যতম কীর্তি হলো ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা। ‘আলোকিত মানুষ চাই’ এই  স্লোগান বুকে নিয়ে তিনি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ সব সময় বলে থাকেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’। একথা তিনি আজীবন বিশ্বাস করেন এবং লালন করেন বলেই স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান। মানুষ আসলে স্বপ্ন না দেখলে নিজেকে বিকশিত করতে পারে না। স্বপ্নই পারে মানুষকে সফল, স্বার্থক ও সমুন্নত করতে। তিনি মনে করেন, আলোকিত মানুষ বলে কিছু নেই, ওটা একটা স্বপ্নের নাম। আমরা শুধু আলোকিত হওয়ার চেষ্টা করতে পারি, আর চেষ্টা করাটাই হওয়া। তিনি আজীবন মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। অধ্যাপক সায়ীদ সবসময় বলে থাকেন, ‘ছোট মানুষ দিয়ে কখনও বড় জাতি আশা করা যায় না। জাতি হিসেবে বড় হতে হলে আমাদের মানুষ হিসেবেও বড় হতে হবে। আর বড় মানুষ কারা? বড় মানুষ হলেন, শেক্সপীয়ার, রবীন্দ্রনাথ, গোর্কি, নজরুলের মত মানুষেরা। তাঁরা আমাদের জন্য যা কিছু লিখেছেন তা পাঠ করলেই আমরা তাঁদের কাছে যেতে পারব। আমাদের হৃদয়াকাশ প্রসারিত হবে, বিকশিত হবে। তবেই না আমরা আলোকিত মানুষ হওয়ার মহাসড়কে উঠতে পারবো’।

রবীন্দ্রনাথ একবার বলেছিলেন, “জাতির মধ্যে একটি মহৎ ভাবের জন্ম না হইলে সে জাতি বিকাশ লাভ করিতে পারে না। তিনি বলেছেন, কেবল আঘাত পাইয়া, ক্ষুদ্ধ হইয়া, অভিমান করিয়া কোন জাতি বড় হইতে পারে না। সব মানুষের চিত্তে একটা অভিন্ন ভাব চাই”। আমার ধারণা বাঙালি জাতির মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই এই অভিন্ন ভাবটি নেই। বড় জাতি হতে হলে বড় মানুষ হওয়া চাই। চিত্ত বিকাশের পথ রুদ্ধ থাকলে বড় মানুষ হওয়া যেমনি অসম্ভব, তেমনিভাবে চিত্তে অভিন্ন ভাব না থাকলে ক্ষুদ্র জাতির দুর্নাম ঘোচানোও অসম্ভব। মানুষের সংখ্যার বিচারে কোন জাতি বড় না ছোট তা পরিমাপ করা যায় না। মাপতে হয় সে জাতির মেধা, মনন, শিক্ষা, জ্ঞান চর্চা, উদারতা ও মূল্যবোধ এমনি ইতিবাচক গুণাবলী দিয়ে। এক সময় বাঙালি জাতির এ সবই ছিল, ক্রমশ আমরা তা হারিয়েছি। আমার বিশ্বাস আবার তার পূনর্জাগরণ ঘটবে। এ জাতিকে উঠে দাঁড়াতে হলে এর বিকল্প নেই। পরিশ্রম, জ্ঞান ও মেধায় বড় হতে না পারলে আমরা জাতি হিসেবে বড় ও সমৃদ্ধশালী হতে পারব না। বাঙালি জাতি যেন মেধা, মনন, শিক্ষা ও জ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় বই পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ধারণার প্রবর্তকও অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। মানুষ বইয়ের কাছে যাবে না। বই-ই যাবে মানুষের কাছে। সে কারণেই তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর কার্যক্রম আরম্ভ করেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও এর সমস্ত কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্যে তাঁকে তাঁর মেধা, শ্রম, সাধনা ও অধ্যাবসায় দিয়ে জয় করতে হয়েছে সকল প্রতিবন্ধকতা।

২০১০ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই চার বছর আমি স্যারের সরাসরি ছাত্র হিসেবে থাকার গৌরব অর্জন করেছি। প্রায়ই স্যার আমাদের বলতেন ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা ও একে চলমান রাখার জন্য তাঁকে কি পরিমাণ ত্যাগ, পরিশ্রম ও কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে ‘আলো’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ হয়। সেখানে আমি একবার লিখেছিলাম, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার হচ্ছেন আমাদের একালের সক্রেটিস। সক্রেটিস সে সময় এথেন্সের জনগণকে জ্ঞানের আলোয় জাগানোর চেষ্টা করতেন। আর সায়ীদ স্যার একালে এসে পুরো একটি জাতিকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, আলোকিত করার চেষ্টা করছেন। জ্ঞানের মশাল দিকে দিকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বলা হয় ‘একটি আলোর কণা দিয়ে লক্ষ প্রদীপ জ্বলে, একজন মানুষ মানুষ হলে বিশ্বজগৎ টলে’। সায়ীদ স্যার যে মশাল জ্বালিয়েছেন তা অনন্তকাল জ্বলতে থাকবে। আর এই আলোর প্রতিটি কণা আমাদের হৃদয়ের রুদ্ধ কপাট খুলে দিয়ে জ্ঞানের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। স্যার যখন আমাদের ক্লাস নিতেন তখন ক্লাসে পিন পতন নিরবতা থাকত। ক্ষণে ক্ষণে তার কথায় আমাদের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার উপক্রম হতো। সবসময় আমরা ক্লাস শেষে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বের হতাম।

আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেন, ‘আমি জাতে শিক্ষক। সামনে জ্যান্ত মানুষ নিয়ে আমার কারবার। অন্ধকারের সঙ্গে কথা আমার আসে না’। সত্যিই তিনি আজীবন জ্যান্ত মানুষ নিয়ে কাজ করেছেন। ছাত্রদের মনের মণিকোঠায় যেমন তিনি ঠাঁই করে নিয়েছেন। তেমনিভাবে বাংলার সাহিত্য জগতেও তিনি অবলীলা ক্রমে ঠাঁই করে নিয়েছেন। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি হচ্ছে, ‘সংগঠন ও বাঙালি’, ‘ভালোবাসার সাম্পান’, ‘নিস্ফলা মাঠের কৃষক’, ‘আমার বোকা শৈশব’, ‘ভাঙো দুর্দশার চক্র’, ‘ওড়াউড়ির দিনগুলি’, ‘আমার উপস্থাপক জীবন’, ‘রসস্ট্রাম্প থেকে’, ‘স্বপ্নের সমান বড়’, ‘বিস্রস্ত জার্নাল’, ‘নদী ও চাষীর গল্প’, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও আমি’ প্রভৃতি। তিনি সব সময় বলে থাকেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের জন্য এবং বক্তৃতা করে যে পরিমাণ সময় তিনি কাটিয়েছেন তার থেকে কিঞ্চিৎ পরিমাণ সময়ও যদি তিনি লেখালেখিতে দিতেন তাহলে তাঁর লেখার ভান্ডার আরো সমৃদ্ধ হতো।

১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়া এবং অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার ঘটনাটি তাকে আমূল বদলে দেয়। পাকিস্তানি মেজর তাঁকে চিনেছিলেন, টেলিভিশনের কল্যাণে। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার পরের উপলদ্ধির কথা বলেছিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার, ‘ঘটনাটি আমার জীবনকে পুরো বদলে দিয়েছিল। এরপর থেকে আমার সব সময় মনে হয়েছে, আমি বেঁচে নেই। এখন থেকে আমার জীবন আমার নয়, অন্যদের জন্য। এরপর থেকে আর আমার নিজের কথা ভাবিইনি, আজ ও ভাবি না। আমি নিজের জন্য চাই, আমার জন্য চাই- এই ভাবনা থেকে সেদিনের পর থেকে একেবারেই সরে এলাম’। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি কখনও মানুষের উপরে হতাশ হন না, আশা হারান না। তিনি সবসময় স্বপ্নের সাগরে ভাসেন। নতুন নতুন ধারণা নিয়ে নিরন্তর ছুটে চলেন।

এ সমস্ত কাজের জন্য তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন। অসংখ্য পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ১৯৭৭ সালে জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার, ২০০৪ সালে র‌্যামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বে-সামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। এই মানুষটি কখনও খ্যাতি, পুরস্কার, অর্থ উপার্জন ইত্যাদির পেছনে ছোটেননি। এসবই তাঁর পেছনে ছুটেছে। এসবের পিছনে ছুটলে তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন না। স্যারকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ জীবন নিয়ে কোন আক্ষেপ আছে কি না? স্যার বলেছিলেন, “কোন আক্ষেপ নেই। আগে জানতাম যে, গৌতম বুদ্ধ আঁশি বছর বেঁচেছিলেন। রবীন্দ্রনাথও তাই। সেই আঁশি বছর তুচ্ছ এক মানুষ হিসেবে আমিও পেয়ে গেলাম। এরপর আর জীবন নিয়ে দুঃখ পাওয়ার কোন কারণ আছে?” আজ ২৫ শে জুলাই। যাকে আমরা জ্ঞানের বাতিঘর বলে জানি, আলোর ফেরিওয়ালা বলে চিনি। সেই মহান শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন স্যার।

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>