১.
ক্ষরণে – দহনে দীর্ঘ হলে
ব্যভিচারি ছায়া
বাকলের মত শরীর থেকে
ঝরে যায় সুখ ,
হৃদয়ের গহীনে স্পর্ধিত স্পন্দনে
পাপের বাসর ;
আয়ুর সংকেত না মেনে
ঝড়ের মত কে ছুঁতে চায়
মৃত্যুর মুকুট ।
২.
স্রোতে ভেসে আনন্দ খুঁজে
দুর্দম যৌবন উপবাসী কামনা,
ব্যাথা সয়ে দু‘জনে ক্লান্তি ভুলে
গেয়েছি মিলনের গান
অচেনা ফুল দেখে
মুগ্ধ হওয়ার ভান করেছি
শরীরে ব্যধিগ্রস্থ ভালোবাসা
বিকল্পের মুখোমুখি হৃদয় ;
বারুদের অর্ঘ্য দাও শূন্যের দেবতায়
কুমারীর কামনা মিটুক অতন্দ্র বাসরে,
চোখে ঘুম তবুও না ঘুমিয়ে
আমরা আনন্দ‘কে সঙ্গ দিতে
পুড়াচ্ছি পৌরাণিক পান্ডুলিপি
বিষ হয়ে গর্বের পাশে
থমকে আছে কল্পিত সুন্দর।
৩.
বিজয়ের অহঙ্কারে ফেরারী
মূলত প্রেমিক আমি
মৃত্যুফুল রেখে সময়ের দুয়ারে
না ঘুমিয়ে অবসাদ হয়েছি ,
যন্ত্রণা চিরে অন্তহীন ভালবাসায়
হৃদপিণ্ডে আগুনের গৌরব রেখে
চূড়ান্ত ক্ষয়ের মায়ায়
তীক্ষ্ণ মুহূর্তের সঙ্গী হয়ে
নিরবে মেনেছি মাটির বাসর ।
৪.
মুখাপেক্ষী ঝড় থামেনি এখনো
পুড়বে বলে যারা ভুলেছে
গার্হস্থ্যনিতী – অসংখ্য অপরাধ
তাদের কি সমর্পন মানায় ?
অন্তিম তুমি মূর্খের মত এই সময়ে
এখানে এসোনা,
আমি ও সুহৃদ সহজ শর্তে
পান করছি নিস্তব্ধ বিষ
পৌরাণিক কিছু নয় বিশ্রী স্বপ্নে
কেঁদে উঠে সূচনা ,
ছাই – মাটি মেখে
ক্ষুব্ধ হিম দেখে হাড়ের ক্ষয়
স্বতন্ত্র সন্ন্যাস চিরে জ্বলজ্বলে আধার
অপেক্ষা করেনি কোথাও
নদী ঘুমাবেনা জেগে আছে উৎসুক মেঘদল
প্রথাগত চৈতন্য ঝাকিয়ে
প্রতিশ্রুতির শরীরে জমে থাকা
শ্যাওলার ঋণ শোধ করতে
মাধুর্যের বুকে নিষ্ঠুর হেঁয়ালিতে
বৈচিত্র আঁকছে মুগ্ধ বিশ্বাস ।