Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,aloe-verar-upokarita-byabohaar-khotikor-dik-in-bengali

ইরাবতী স্বাস্থ্য: ঘৃতকুমারীর যত গুণ ও অপকারিতা

Reading Time: 6 minutes

ঘৃতকুমারী শুনে অনেকে ভুরু কোঁচকালেও কিন্তু একে সবাই অ্যালোভেরা নামে ভালোই চেনেন। ঔষধি এই ভেষজের নানা গুণের কথা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের মানুষের জানা। শরীরে নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিতে আর অসুখ-বিসুখ সারিয়ে তুলতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী অতুলনীয়। এই উদ্ভিদ খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য। ঘৃতকুমারীর রস পান করে, সালাদ হিসেবে খেয়ে এবং ত্বক ও চুলে ব্যবহার করে আপনিও দারুণ উপকৃত হতে পারেন। এই প্রতিবেদনে ঘৃতকুমারীর ৯ টি অনন্য উপকারিতা ও ৬টি অপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো। 

ভিটামিন ও খনিজ
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজের এক সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন-এ,সি,ই, ফলিক অ্যাসিড, কোলিন, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬ এর দারুণ উৎস এটা। অল্পসংখ্যক উদ্ভিদের মধ্যে ঘৃতকুমারী একটি যাতে ভিটামিন বি-১২ আছে। প্রায় ২০ ধরনের খনিজ আছে ঘৃতকুমারীতে। এর মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজ।

চাপ ও রোগ প্রতিরোধ
ঘৃতকুমারী দারুণ অ্যাডাপ্টোজেন। শরীরের প্রাকৃতিক ক্ষমতাকে বাড়িয়ে বাহ্যিক নানা চাপ ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালনকারী উপাদানকে অ্যাডাপ্টোজেন বলা হয়ে থাকে। ঘৃতকুমারী দেহের অভ্যন্তরীণ পদ্ধতির সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে তোলে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। শারীরিক ও মানসিক চাপ মোকাবিলার পাশাপাশি পরিবেশগত দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে সুরক্ষা দিতে পারে ঘৃতকুমারী।

হজমে সহায়ক
হজমের সমস্যা থেকেই শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধে। তাই সুস্বাস্থ্যের অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে খাবার-দাবার পরিপাক বা হজমের প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক রাখা। পরিপাক যন্ত্রকে পরিষ্কার করে হজম শক্তি বাড়াতে ঘৃতকুমারী অত্যন্ত কার্যকর। ঘৃতকুমারীর রস পান করার দারুণ ব্যাপার হলো এটা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়ারিয়া দুই ক্ষেত্রেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পরিপাক ও রেচন যন্ত্রকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখে বলে ঘৃতকুমারীর রস পান করলে পেটে ক্রিমি হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না, কিংবা ক্রিমি থাকলেও সেটা দূর হয়।

দূষণ মুক্তি
ঘৃতকুমারীর রস খুবই আঠালো। এমন উদ্ভিদের আঠালো রস পানের একটা দারুণ ব্যাপার হলো খাদ্যনালীর ভেতর দিয়ে দেহের ভেতরে প্রবেশের সময় থেকেই পুরো পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে করতে যায়। এই রস দেহের অভ্যন্তরীণ নানা টক্সিন বা দূষিত উপাদান শুষে নিয়ে মলাশয় দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে দেহকে ভেতর থেকে দূষণ মুক্ত করতে ঘৃতকুমারীর তুলনা নেই।

অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ
সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার-দাবারে অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ খাদ্য ও অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলা হয়। এ ক্ষেত্রে ৮০/২০ বা ৮০ ভাগ অ্যালক্যালাইন সমৃদ্ধ খাবার ও ২০ ভাগ অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। ঘৃতকুমারী এমন খাবার যা অ্যালক্যালাইন তৈরি করে। কিন্তু আজকাল নগরজীবনে আমাদের খাদ্যাভ্যাস এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে প্রায়শই অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগতে হয়। ফলে অতিরিক্ত অ্যাসিডের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যে ঘৃতকুমারী খান।

ঘৃতকুমারী খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য।

ঘৃতকুমারী খাদ্য-পানীয় হিসেবে যেমন কার্যকর তেমনি তা বাহ্যিকভাবেও ব্যবহারযোগ্য।

ত্বক ও চুলের মহৌষধ
আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রীর অন্যতম কাঁচামাল এই অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী। ত্বক ও চুলের জন্য এটা দারুণ উপকারী। এটা ত্বকের নানা ক্ষত সারিয়ে তুলতে কার্যকরী। রোদে পোড়া, ত্বকে ফুসকুড়ি পড়া ও পোকার কামড়ের মতো বাহ্যিক সমস্যাগুলো সারিয়ে তুলতে পারে সহায়ক এটা। এমন বাহ্যিক ক্ষতে ঘৃতকুমারীর রস মাখলেও ব্যথার উপশম হবে, কেননা বেদনানাশক হিসেবেও এটা অতুলনীয়। চুল পরিষ্কার করতে, চুলে পুষ্টি জোগাতে এবং চুল ঝলমলে উজ্জ্বল রাখতে ঘৃতকুমারীর রসের জুড়ি নেই।

অ্যামাইনো ও ফ্যাটি অ্যাসিড
মানব দেহের নানা প্রয়োজনীয় প্রোটিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড। এমন ২২টি অ্যামাইনো অ্যাসিডকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, এর মধ্যে ৮টিকে অত্যাবশ্যক। ঘৃতকুমারীতে শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক এই ৮টি অ্যামাইনো অ্যাসিডই আছে। আর এতে মোট অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে ১৮ থেকে ২০ ধরনের। এ ছাড়া নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডেরও দারুণ উৎস এই ঘৃতকুমারী।

প্রদাহ ও ব্যথা কমায়
শরীরে নানা ধরনের প্রদাহ দূর করতে খুবই কার্যকর ঘৃতকুমারী। এতে বি-সিসটারোল সহ এমন ১২টি উপাদান আছে যা প্রদাহ তৈরি হওয়া ঠেকায় এবং প্রদাহ হয়ে গেলে তা কমিয়ে আনে। ঘৃতকুমারীর এই সব গুণ হাত-পায়ের জোড়ার জড়তা দূর করে এবং গিঁটের ব্যথা কমাতেও সহায়তা করে।

ওজন কমাতে সহায়ক
খাবার-দাবার হজমে সহায়তা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার মধ্য দিয়ে ঘৃতকুমারী আপনার স্বাস্থ্যের যে প্রাথমিক উন্নতি ঘটায় তার অবধারিত ফল হলো ওজন ঠিকঠাক থাকা। এমনিতে ওজন কমানো নিয়ে অনেক সমস্যায় থাকলেও নিয়মিত ঘৃতকুমারীর রস পান করলে আপনার ওজনের সমস্যা অনেক কমে আসবে। এ ছাড়া শরীর দূষণমুক্ত রাখতে পারার কারণে আপনার কর্মশক্তি বেড়ে যাবে, এ কারণেও আপনার ওজন কমবে।

অ্যালোভেরার অপকারিতা – Side Effects of Aloe Vera 

এতক্ষণ আমরা আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায়, চুলের যত্নে কিংবা ত্বকের যত্নে কিভাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করব সেটি সম্পর্কে জেনেছি। অ্যালোভেরার মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কারণে আমরা মৌখিকভাবে গ্রহণ করার পাশাপাশি বাহ্যিকভাবে অ্যালোভেরাকে গ্রহণ করতে পারি। সে ক্ষেত্রে ত্বকের ক্রিম, শেভিং ক্রিম, সাবান, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু ইত্যাদি অ্যালোভেরার তৈরি পণ্য সামগ্রী ব্যবহার না করে সরাসরি অ্যালোভেরা ব্যবহার করার কথা ভেবেছি। তবে একটা কথা আমরা জানি কোন জিনিস অত্যধিক ব্যবহার ফলে খারাপ প্রভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে। তেমনি অ্যালোভেরার অত্যধিক ব্যবহারের ফলে কিছু খারাপ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আসুন জেনে নিন কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে আপনাকে যদি অত্যধিক অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন?

 ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে :

গবেষণায় লক্ষ্য করা গিয়েছে, ডি ক্লোরাইজড অ্যালোভেরা পাতার নির্যাস গ্রহণ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই গবেষণাগুলো ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা দাবি করেন অ্যালোভেরা সরাসরি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কেননা প্রত্যেক মানুষের শরীর এবং তার চাহিদা আলাদা হয়। সেই মত ডাক্তার তার ডোজ নির্ধারণ করে দেবেন। যেকারনে প্রত্যেকের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমান অ্যালোভেরা প্রয়োজন আছে। সে ক্ষেত্রে অত্যধিক অ্যালোভেরা ব্যবহার আগে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলুন।(১৬)

গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর হতে পারে :

গর্ভাবস্থায় কিংবা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মায়েদের মনে হতে পারে তাদের ওজন হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে কিংবা এমন একটি সমস্যা যেটা অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে কমতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করা যাবে কিনা? উত্তর না। কেননা গর্ভাবস্থায় কোনও নারী যদি অ্যালোভেরা গ্রহণ করেন সে ক্ষেত্রে এটি তার ভ্রূণের ওপর বিষাক্ত প্রভাব ফেলতে পারে। যা তার গর্ভস্থ সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও স্তন্যদানের সময় অ্যালোভেরার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কেননা আপনার শরীর থেকেই তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করছে আপনার ছোট্ট প্রাণটি। তাই তার কথা ভেবে এই সময় অ্যালোভেরা ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। পৃথিবীতে আসা প্রানটিকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে বেড়ে তুলুন। (১৭)

 অ্যালার্জি হতে পারে :

আমরা অনেকেই জানি, অ্যালোভেরা আমাদের সরাসরি ত্বকে ব্যবহারের ফলে অ্যালার্জি কিংবা রাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেমনি অ্যালোভেরা খাওয়ার পরেও কিছু কিছু ব্যক্তির পেটে অস্থিরতা, বমি বমি ভাব কিংবা ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্ত লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনো লক্ষণ যদি আপনি অ্যালোভেরা খাওয়ার পর দেখেন তাহলে অবশ্যই তৎক্ষণাৎ অ্যালোভেরা খাওয়া বন্ধ করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে নতুন কিছু খাবার শুরু করবেন না।

 হাইপোক্যালেমিয়ার কারণ হতে পারে :

দৈনিক অ্যালোভেরা খাওয়ার ফলে শরীরে হঠাৎ করে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। যার ফলে খিঁচুনি ভাব এবং ইলেকট্রোলাইটের অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। কেমোথেরাপির ক্ষেত্রে এই সমস্ত প্রভাব গুলো প্রকটভাবে বোঝা যেতে পারে। এর পিছনে আরো কি কি কারণ থাকতে পারে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে নির্দিষ্ট মাত্রার তুলনায় অধিক অ্যালোভেরা যদি গ্রহণ করেন এই সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতেই হবে। ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে মূলত সাবধান। অ্যালোভেরা গ্রহণের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলুন।

 লিভারের প্রদাহ হতে পারে :

অ্যালোভেরা সরাসরি গ্রহণের ফলে লিভারের প্রদাহজনিত ঘটনা ঘটতে পারে। যদি আপনার কোনও লিভারের সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। ডাক্তার যদি মনে করেন সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার সাপ্লিমেন্ট কিংবা ওষুধ আপনার শরীরের প্রয়োজন মতো দেবেন। কিন্তু কখনোই নিজে থেকে বাড়তি কিছু গ্রহণ করতে যাবেন না।

 সম্ভাব্য ড্রাগ ইন্টারঅ্যাকশন :

অ্যালোভেরা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই আপনার শরীরে কি কি ওষুধ চলছে সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। কেননা এমন কিছু ওষুধ আছে যেগুলি গ্রহণ করার সময় আপনি অ্যালোভেরা গ্রহণ করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে উল্টে উপকারের বদলে শরীরে অপকার হবে। তাই আলোভেরা যদি খেতে চান সে ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করুন। কেননা আপনার ডাক্তার ওষুধের তালিকা দেখেই তারপর আপনাকে অ্যালোভেরা খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।

তবে অ্যালোভেরা খাওয়ার ক্ষেত্রে এই বাধ্যবাধকতা রয়েছে কিন্তু আপনি আপনার ত্বক এবং চুলের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা যেমন খুশি ব্যবহার করতে পারেন। তবে লক্ষ্য করা যায় কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে অনেকে অ্যালোভেরার রস গ্রহণের পরামর্শ দেয় কিংবা যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সেই সমস্ত রোগীরা দিনে পাঁচ থেকে পনেরো এমএল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। নিজে থেকে কোন কিছু না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলুন। কেননা, রোগ আপনার, কষ্ট আপনি পাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কোন কিছু শুনে করার থেকে হিতে বিপরীত হওয়ার থেকে সুস্থ থাকার চেষ্টা করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শেই এগিয়ে চলুন।(২২)

অ্যালোভেরা একটি সৌন্দর্য বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে প্রাচীন যুগ থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান সময়ে আমরা বহু ক্ষেত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার করে থাকি। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি কোম্পানির অ্যালোভেরা জেল আমাদের মধ্যে খুবই প্রচলিত। তবে আমরা অধিকাংশই ত্বক পরিচর্যার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করে থাকি। এর পাশাপাশি চুল এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার কতটা কার্যকরী তা হয়তো আমাদের ধারণা ছিল না। তবে বর্তমানে অ্যালোভেরার কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। তাই এবার অ্যালোভেরা সম্পর্কে সম্পূর্ণটাই ধারণা তৈরি করে নিয়েছেন। অ্যালোভেরা কম ক্যালরি যুক্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি উপাদান। এটির গুনাগুন সম্পর্কে আমরা আজকের নিবন্ধে জেনেছি এবং দৈনন্দিন আমাদের খাদ্য এবং স্বাস্থ্যের তালিকায় অ্যালোভেরা কিভাবে ব্যবহার করব তা জেনেছি। এর পাশাপাশি অ্যালোভেরা আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কি কি সাহায্য করে তাও জেনেছি। এবার তাহলে নির্দ্বিধায় কোনও রকম চিন্তা ছাড়াই অ্যালোভেরার ব্যবহার শুরু করুন। তবে অবশ্যই অ্যালোভেরা খাওয়ার আগে ডাক্তারি পরামর্শ গ্রহণ করে নেবেন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন সকলকে ভাল রাখুন।

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>