শেষবার তোমার কোলে মাথা রেখে কেঁদেছিলাম মুজিব যখন
মৃত্যুদণ্ড এবং প্রবাসে।
এরপর ফিরলেন তিনি স্বদেশে, সংক্ষিপ্তভাবে উদ্যাপিত হয়ে
নিহত হলেন যেই, কান্নার বদলে ইতিহাসে
পর্যালোচনায় খুব ডুবে গেছি, এবং দেখেছি
অন্যান্য অনেক চোরা খুন;
তথাপি ভেঙে পড়িনি, সৃজিত চৌধুরী আর জাকারিয়াদের
বাঙালির আত্মপরিচয়
বিষয়ক সেমিনারে এমনকি কূটতার্কিকের
ভূমিকা নিয়েছি কিংবা নর্মদা নদীর
সংরক্ষণে যে-নারীটি ব্যস্ত আছে তার
আর্তির ভিতরে কেন আরো যুক্তি নেই ইত্যাকার
শলাপরামর্শের ভিতরে
পংকজ ফারুক আর আলমের সঙ্গে বেফজুল
প্রবৃত্ত হয়েছি।
তার অর্থ নয় এখন আমার
চিদাকাশে অশ্রু নেই, আমি শুধু বলতে চেয়েছি;
এক-এক শতকে শুধু একটি বিরাট কান্না সংঘটিত হয় একবার!
কবি অলোক রঞ্জন দাশগুপ্ত’র প্রয়াণে ইরাবতী পরিবার শোকাহত। আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আজ, এই নিখিলে
মহিলা সাংবাদিক তাঁর দুই নয়নের নীল কাজল
নিয়ে আমায় জিজ্ঞাসিলেন – “ঘটনাস্থলে তুমি কি ছিলে ?”
সপ্রতিভ প্রত্যুত্তর দেবার আগে ভাবতে থাকি
কতটা তিনি নারী এবং কতটা তিনি সাংবাদিকী !
আসলে আমি শ্রবণরত পাথর এক চোখের নীলে
সংবেদনই আমার কাজ, সেটা জেনেও ভুল মিছিলে
ছিলাম বলে লিখে দিলেন সেই মহিলা, “কথাটা ঠিক”
রায় দিল সব বন্ধুরা, আমি মেনে নিয়েছি এই প্রতীকী
নির্বাসন, স্বরবৃত্তে জড়িয়ে-থাকা অন্ত্যমিলে ।
আসলে আমি শ্রবণরত পাথর আজ এই নিখিলে
হে বন্ধু আমার
নীল ধুতুরা
যেন এ অবুঝ তারুণ্য কারো চোখে না পড়েসারা চোখ মুখ ঢেকে রাখি শুধু কালো কাপড়েকেউ কেউ ভাবে আতঙ্কবাদী, শেষে যেই দ্যাখেকোনো-কিছু আর বদলে দিই না, ক্ষমা চেয়ে যায়,এমন সময় যখনই বৃষ্টি আঙিনা ভেজায়তোমার কাছেই আশ্রয় নিতে করেছি কামনা,পৌঁছুতে গিয়ে আবার আরেক সতর্কপনাযদি তুমি ভাবো তোমাকে চাইতে এসেছি আবারসারাটা শরীর আবজিয়ে রাখি নীল ধুতুরায়।
শুভেন্দু শোনো
জীবনানন্দ সভাঘরে
তোমায় ডেকেছি সমাদরে
তারপর ভিড় হতেই
দুজন বসেছি বারান্দায়
শুভেন্দু শোনো, এছাড়া আর আমাদের কোনো তীর্থ নেই।
