| 19 এপ্রিল 2024
Categories
অমর মিত্র সংখ্যা

অমর মিত্র সংখ্যা: গল্প: অন্ন । অমর মিত্র 

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

বাজারে চাল ডালের দাম খুব বেশি। কেনা যাচ্ছেনা। জঙ্গল থেকে বেরিয়েছে হাট, জঙ্গলের ভিতর গ্রামে যে হাট, জঙ্গল পার হয়ে হাত ধরে ব্লক টাউন, তারপর সদর টাউন সব জায়গায় যে দোকানদানি, বাজার, শপিং মল,  সব জায়গায় যে কেনাকাটা হয় তাতে চাল গম কিনতে টাকা লাগছে বেশি। শোনা যাচ্ছে আরো বেশি পড়বে। আরো বাড়বে। আলুর দামও চালের কাছাকাছি চলে গিয়ে যে নিচে নেমেছে তা আবার আগের মত হয়ে যাবে। কে খবর দিল এই রকমই চলবে এখন; চাল গম যা তোলা হয়েছিল,  গুদামে রেখে, আকাশের নিচে রেখে, রোদ জল খাইয়ে, পচিয়ে দিয়ে আরো দাম বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

গণেশ জিজ্ঞেস করল,  তাহলে কী করা যাবে? 

লোকটা বলল, দাম কমছেও কোন কোন জিনিসের।

এই হাটে লোকটার সঙ্গে গণেশের ভাব হয়েছে। গণেশ একা, লোকটা ও একা, গণেশের হাতে ব্যাগ নেই,  লোকটার হাতে ও নেই। গণেশ ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি লোকটা ও তাই… একেবারে একরকম। গণেশ বলল, তাহলে যে এত লোক হাতে এল,  কিনবে কী?

  লোকটা বলল কেনার জিনিস আছে তুমিও কিনতে পারো। 

বুঝতে পারছি না। 

বুঝে যাবে না বোঝার কিছু নেই।

 বুঝিয়ে দাও। 

লোকটা বলল বন্দুক পিস্তল খুব কম দামে ছেড়েছে কোম্পানি।

গণেশ বলল,  আবার তা হয় নাকি?

হয় হয়, হয়েছে যে তা আমি দেখাবো।

হাট গুন গুন করে গুন গুন থেকে গম গম হয়ে যাচ্ছে। গম গম থেকে হল্লা লেগেছে হাটে।  ভিড়  এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে, ওদিক থেকে এদিকে আসছে। লােকটা গণেশকে ঠেলে ঠেলে বটতলার কাছে নিয়ে যায়, তারপর বলে, খেতে হবে তাে, না খেলে চলবে?

গণেশ বলে, খাদ্য কিনতেই তাে হাটে আসা এত লােকের। ‘

লােকটা বলল, কোম্পানি চাইছে বন্দুক, রিভলবার, বােমা, বারুদ কেনা হােক শুধু, তা ঘরে ঘরে যাক। তারপর ওসব নিয়ে লেগে পড়ুক।

কোথায় লেগে পড়বে? 

লােকটা বলল, হাটে মাঠে জঙ্গলে জঙ্গলে, নগরে, বন্দরে।। 

তারপর কী হবে?

পেটে ভাত নেই, হাতে বন্দুক আছে, তুমি চালাতে পার বন্দুক? 

আজ্ঞে না, দেখলে ভয় করে।।

ভয় থাকলে চলবে না, ভয় আর ভাবনা যে করে সে ঢ্যামনা। 

গণেশ চুপ করে থাকল। এখন বেলা দুপর সকাল থেকেই হাট জমেছে। জমেছে। তা ধরা যাচ্ছে মােবাইল ফোনে ফোনে। সবাই কানে হাত দিয়ে হয় ফোন ধরছে, না হয় ফোন করছে। ধরা করা চলছেই। লাঠি হাতে পাহারাওয়ালাও ফোন নিয়ে ব্যস্ত, ইয়েস স্যার নো  স্যার বলতে বলতে ফকির মিসকিন ভিখিরি ভবঘুরের পিছনে গুতাে মারছে, হাটে  তোদের থাকা চলবে না।

তাহলে যাব কোথায়, বুড়াে ফকির জিগ্যেস করল।

গাঙের পারে, এই যাবি কোথায় তা আমি বলব কেন? বলে পাহারাওয়ালা সবুট পা তুলল, দেব পাছায় এক লাথি, হাটে গরিব ভিখিরি, হা ঘরে খেতে না পাওয়া লােকের ঢােকা নিষেধ হয়ে গেছে।

গণেশ এসব দেখতে দেখতে, বেলা পড়ে আসা দেখতে দেখতে বলল, তাহলে আমি ফিরে যাই বাড়ি।   

কিনবে না?

চাল ডাল অমিল, গেল হপ্তায় আমার হারানাে সাইকেলটা নিয়ে কে যেন পুবদিকে চলে গেল, আমি কিছুই কিনব না, টাকাও নেই, ভাত খেতেই সব টাকা গেলহপ্তায় শেষ।

তাহলে হাটে এসেছিলে কেন? 

সাইকেল খুঁজতে আর নেশায়, বাজার হাটের একটা নেশা আছে।

কিনে নিয়ে যাও।

টাকা নেই তাে বললাম। গণেশ এগােতে থাকে।

টাকা নেই তাে হল কী, ধারে দেওয়া হবে, এসাে।

হাটে ধারে বন্দুক মিলছে। ইকোয়াল মানথলি ইনস্টলমেন্ট। যেমন জিনিস তেমনি দাম। গণেশকে নিয়ে লােকটা যেখানে এল সেখানে কী ভিড়! মাইকে গান চলছে, এ নীলে গগন। কি তলে…। ধারে বন্দুক আর রাইফেল, একটা গুলি এক টাকা, দশটা গুলি আট টাকা, বিশটা গুলি পনেরাে টাকা…।

গণেশ বলল, বন্দুকে আমি করব কী? 

লুট করবে, যার ঘরে চাল ডাল আছে,  বন্দুক দেখিয়ে কেড়ে নেবে। 

কী সব্বোনাশ! সেও যদি বন্দুক তােলে?

তুলবেই তাে! বলে লােকটা হাসল, বলল, কোম্পানি চাইছে গােলাগুলি চলুক, মাইন ফাটুক, এ ওকে মারুক, কুরুক্ষেত্রর মহাসমর লেগে যাক।

তারপর?

তারপর বীরভােগ্যা বসুন্ধরা, যে বেঁচে থাকবে সে সব পাবে, চাল, ডাল, জমিজমা, জঙ্গল, পাহাড়, নদী, সাগর—সব।

কেউ যদি না থাকে বেচে? লােকটা বলল, কোম্পানি থাকবে, তখন কোম্পানির সব হবে, জঙ্গল পাহাড় নদী সব কোম্পানি পাবে। 

তাহলে আমি কী পাব?

বন্দুক, রাইফেল, গুলি—লে লে বাবু ছে’ আনা যা লিবি তাই ছে’ আনা—এসাে, বন্দুক নেবে, যুদ্ধে নেমে পড়।।

যুদ্ধ শুরুর যেটুকু বাকি। কোম্পানি জানে তা। আবার জানেও ক্ষুধার্ত মানুষ বন্দুক পেলে হয়। বন্দুক যে চিবিয়ে খাবে না এ গ্যারান্টি কে দেবে?

বুলেট বারুদ যে গিলে খাবে না, এ নিশ্চিন্তিও নেই কোথাও, বন্দুকই যে অন্ন হয়ে উঠতে পারে এ কথা কোম্পানি জানে না।।

দুই

আমি সকালে উঠে সামান্য ব্রেকফাস্ট করি ডিম পাউরুটি দুধ, কর্নফ্লেকস, কলা,  মিষ্টি এইসব দিয়ে। আমরা  লাঞ্চ করি ভাত ডাল সজি, দুরকম বড় মাছ, ইলিশ আর পাবদা, আর ছােট মাছ,  মৌরলার চচ্চড়ি, চাটনি, দই মিষ্টি দিয়ে। রাতে কম খাই, মেদ হয়ে যাবে না! দুটো বা তিনটে রুটি, সব্জি, চিকেন, মিষ্টি, ফল। শােয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ।।

হুঁ, পরিমিত আহারই করেন স্যার। বললেন তার সঙ্গী, কৃষ্ণাঙ্গ মানুষটি।

তিনি বললেন, মানুষ বাঁচার জন্যই তাে খায়।

হু, একেবারে সত্য কথা স্যার। 

এটা জানলে, খাওয়া নিয়ে সমস্যা থাকে না।

অবশ্যই, ভাত ডাল পেলেই হল স্যার।।

তারা জঙ্গলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। একদিকে ঘন অরণ্য, অন্যদিকে উঁচু নীচু খেত, বাড়ি, গ্রাম। এবার তেমন বৃষ্টি হয়নি, মাঠে রােয়া ধান শুকিয়ে গেছে,  নীচু জমিতে, উঁচু জমিতে ঘাস। তিনি বললেন, আমি শুনেছি এখনও অনেক মানুষ অনাহারে থাকে, একথা কি সত্য?

সঙ্গী কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি বললেন, মনে হয় না স্যার।

কিন্তু অনাহারের কথা যে লেখে সংবাদপত্রে?

মিথ্যে লেখে স্যার।।

তিনি বললেন, আমারও তাই মনে হয়, মানুষ আর কতটুকু খায়, যত বয়স বাড়ে খাওয়া কমে যায়, আমি মাটন খাই না, চিকেন খাই, ডিম খাই না, ঘি মাখন খাই না, চায়ে চিনি খাই না।।

ইয়েস স্যার, এতে শরীর ভালাে থাকবে।

এই যে আমি এতকিছু খাই না, এটা তাে স্বাস্থ্যসম্মত, যারা অনাহারে থাকে তারাও তাে এসব খায় না, খাওয়া উচিত নয়।।

ইয়েস স্যার।।

গাড়ি চলছিল হাইওয়ে দিয়ে। তিনি জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে। তাঁর মনে হচ্ছিল প্রিয় জঙ্গল এখন ভয়ের হয়ে উঠেছে। জঙ্গল থেকে বুনাে জন্তু বেরিয়ে লােকালয়ে ঢুকে মানুষ মেরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ভিতরে, আবার জঙ্গল থেকে অনাহারীরা বেরিয়ে খুনখারাপি লুটতরাজও আরম্ভ করেছে। তারা বন্দুক পেয়েছে। জঙ্গলের বাঘ কেন অনাহারী মানুষকে খায় না? জঙ্গলের ভিতর মারামারি কাটাকাটি করে মরে না কেন বাঘ ও মানুষ।

তিনি বললেন, ওরা তাে এমনিতেই কম খায়।

ইয়েস স্যার। 

তাহলে অনাহার কীসের? 

ঠিক বােঝা যাচ্ছে না স্যার।

তাহলে যা রটছে সব মিথ্যে? 

কৃষ্ণাঙ্গ সঙ্গী বলল, মিথ্যেই স্যার।

আমি তাে জানি ওরা কম খেতেই অভ্যস্থ, স্বল্পাহারী। 

হ্যাঁ, আমিও ছেলেবেলায় কম খেয়েছি।

তিনি তাকালেন তার সঙ্গীর দিকে। এর সম্পর্কে তত কিছু জানেন না, তবে গায়ের রঙ  কালাে, মাথার চুল কোঁকড়ানাে, ঠোট পুরু আর মােটা, নাক মােটা, চোখ ছোট ছোট,  জিগ্যেস করলেন, তুমি ছেলেবেলায় কোথায় ছিলে?

জঙ্গলের ভিতরে গ্রামে। 

কী খেতে? 

কৃষ্ণাঙ্গ বলল, আজ্ঞে অনেক কিছু। 

অনেক কিছু, কী কী?

কৃষ্ণাঙ্গ চুপ করে থাকল। তার ছেলেবেলার স্মৃতি কি উগরে দেবে? মিশনারির হাতে  পড়ে সে এই সভ্য সমাজে উঠে এসেছে, ভাত মাছ মাংস নুডলস, পিজা, ইলিশ  খেতে শিখেছে ধীরে ধীরে। এই সায়েবের কাছে এসে তো  বেশি করে শিখেছে। সে কি বলবে, গাছের পাতা, কন্দমূল, চিনা ঘাসের দানা, ভাতের মাড় মেখে খাওয়ার কথা? পিঁপড়ের ডিম,  ইঁদুর ছানা, সাপ ব্যাঙ খাওয়ার কথা?

বললে না? 

বললে এই গৌরবর্ণের রাজপুরুষ কি খুশি হবেন? সে ইতস্তত করছিল। তখন আবার জিগ্যেস করবেন, ভুলে গেছ? 

ইয়েস স্যার, মনে নেই, ভুলে যাওয়াই ভাল।

তুমি এখনাে জঙ্গলের গাছগাছালি চেনাে? সায়েব জিজ্ঞেস করলেন। 

ভুলে গেছি স্যার।

কোন মাটিতে আয়রন, কোন মাটিতে জিঙ্ক, কোন মাটিতে কোন মিনেরাল তা কি চেনো তুমি, শুনেছি তােমরা ভালাে জান সে সব।

ভুলে গেছি স্যার।

গাড়ি চলছিল। জঙ্গল শেষই হচ্ছিল না। দুপুর ফুরিয়ে আসছিল। তাঁরা যাবেন জেলা শহরে। আজ রাত্রে বাংলােয় বিশ্রাম নিয়ে কাল সকালে আবার বেরােবেন। সায়েব একটু ভেবে নিয়ে বললেন, জঙ্গলে যে লিকার তৈরি হয় তা নাকি দারুন, তুমি বলতে পার কীভাবে তৈরি হয়?

তাও ভুলে গেছি স্যার। 

তাহলে তােমার কী মনে আছে?

কৃষ্ণাঙ্গ কুর্নিশ করে বলল, মাটি। 

মাটি মানে, কীসের মাটি ?

খাওয়ার মাটি। 

মাটি খেতে ছেলেবেলায়? 

সে চুপ করে থাকল। তিনি বললেন, মাটি খাওয়ার কথা শুনিনি তাে কখনও।

একবার গাছের পাতাও সব ঝরে গেল শীতে, মা আমাকে নিয়ে গেল পাহাড়ের ধারে,  কী মিঠা সেই মাটি!

তাই! উত্তেজিত সায়েব জিজ্ঞেস করলেন, পাহাড়টা কোথায়?

ভুলে গেছি স্যার। 

মিঠা মাটি বলছ? 

মনে হয়েছিল, জল দিলে পরমান্ন প্রায়, খাওয়ার পর ক্ষুধা যায়, দেহে বল আসে। 

তবে তাে অনাহারে থাকার কথা নয়। সায়েব বললেন। 

কৃষ্ণাঙ্গ চুপ করে থাকল। উসখুস করছিলেন তিনি। তাঁর মনে হচ্ছে জঙলীটা সব চেপে যাচ্ছে। চেপে যাওয়ার লক্ষণ ভালাে নয়। এদের তিনি বিশ্বাস করেন না। এখন অনাহার, অনুন্নয়ন—এইসব অজুহাতে হাতে বন্দুক তুলে নিচ্ছে। 

তিনি বললেন, সেই পাহাড়টা কোথায় মনে করাে।

কৃষ্ণাঙ্গ বলল, শুনেছিলাম দেবতার পাহাড়, দেবতা অন্ন দেন অন্নহীনের দুঃখে কাতর হয়ে, সেই পাহাড়  মিঠা পাহাড়।

তিনি বললেন, ওই মাটি যদি বাজারে আনা যেত। 

জানি না স্যার। 

তুমি পাহাড়টা কোথায় বলাে।

মিঠা পাহাড়, মিঠা গিরি ওর নাম, কোথায় তা ভুলে গেছি স্যার।

       

গাড়ি জঙ্গল ছাড়িয়ে সদর শহরে পৌছল। পৌছল বাংলােয়। বাংলােয় বসে তিনি জেলার পুলিশ সুপারকে ফোন করলেন, বললেন, মনে হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী, উগ্রপন্থী, এখনই নিয়ে যাও।

ইয়েস স্যার।

ওকে জেরা করে মিঠা গিরির কথা জেনে নাও, কোথায় তা খুঁজে বের কর, ওখানে বড় ঘাঁটি থাকার সম্ভাবনা।

ওককে স্যার। বলে পুলিশ সুপার তার বাহিনী পাঠিয়ে দিলেন। কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ চালান হয়ে গেল। তার কাছে মিঠা পাহাড়ের খোঁজ করতে লাগল বাঘের মতাে পুলিশ অফিসাররা। কোথায় মিঠা গিরি? মালকান গিরি, নিয়ম গিরির ধারে কাছে? কোন বনে? বনের ধারে? কোথায়  মিঠা পাহাড়, বেল পাহাড় নীল পাহাড়ের কোলে? সবই লিজে দেওয়া হয়ে গেছে, এটিও লুফে নেবে বিলিতি কোম্পানি। মাটি বাজারে পাঠালেই হয়ে যাবে, দেখতে হবে না।

জেরার জবাব দিতে দিতে সমস্ত রাত রক্তবমি করেছে সে। বমির সঙ্গে বেরিয়ে এসেছে বাল্যকালে খাওয়া কন্দমূল, গাছের পাতা। পিপঁড়ের ডিম, ইঁদুর ছানা, সাপ, ব্যাঙ। তার ভিতরে শুয়ে সে বাল্যকালের মতােই ভাবতে লাগল এমন একটা পাহাড় যদি দেন ভগবান, যার গায়ের মাটি আঁচড়ে নিয়ে মুখে পুরলেই মিঠা। মিঠা পাহাড়ের গল্প মা তাকে শুনিয়েছিল। তার ধরিত্রী মা। মা আরও বলেছিল, সেই পাহাড় লুকিয়ে রাখলেই বাঁচা যাবে। খোঁজ পেলেই চলে আসবে মহাজনের দল। কেন যে সে স্বপ্নের কথাটা বলে ফেলল? স্বপ্নেরও রেহাই নেই মহাজনের মহাজনিতে। কিছুই ছাড়বে না, কিছুই না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত