ভোর

Reading Time: < 1 minute

 

ভোর। তাল গাছের মাথায় যে সূর্য উঁকি মেরেছিল সে এখন কিছুটা বিরতি মেখে আধোঘুমে মেঘের চাদরে। কিছুক্ষণের মধ্যে তার লাল চুলের জটা রঙ ঢালবে পাথুরে মাটিতে।একটু দূরেই পাহাড়। ছোটনাগপুর আমাকে শিখিয়েছে ঘাম, রক্ত, বঞ্চনা আর নিজের পেশীতে রাখা আত্মাভিমান।দয়ার বৃষ্টিটুকুও এখানে ঝরেনা। মানুষ তবু ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বীজের সুপ্ত ইচ্ছে কান পেতে শোনে। শস্যের গান গায়।

ভোর। এসময়টা দেখতে পাওয়ার। ভোর। এসময় স্নিগ্ধতার। চোখ না ধাঁধিয়ে যাওয়ার। হাত বাড়ালেই যে পাহাড় তাতে অজস্র সবুজ ঘুম আমায় ডাকছে।ঘাসের গালিচা পাতা এক বেঞ্চের উপরে পা দুটো ডুবিয়ে বসে আছি।শহুরে জীবন মেখে নিচ্ছে মাটির আরাম…ঘাসের আরাম…কী ঠান্ডা!পা দুটোকে স্বপ্নের মধ্যে রেখে আমি অনন্তের বিস্তারে মাথা রেখেছি।বনমোরগের ডাক শোনা যাচ্ছে। আর বুকের মধ্যে ভোর নামছে অবিরত।আমগাছের গায়ে জড়িয়ে বড় হচ্ছে বুনো লতারা। এইসব মুহূর্ত করতলে কিছু বিশ্বাস রেখে যায়। নাম না জানা অজস্র পাখির একটানা কনসার্টে একা শ্রোতা আমি।
এরকম সব খন্ডমুহূর্তে শরীরের ভিতরে ভোরাইয়ের সুর খেলে।
তুমি নেই বলে অপেক্ষারা ছড়িয়ে আছে আকাশে…তালগাছের মাথায় আশ্রয় নেওয়া সূর্যে, ঘাসের আরামে , বিস্তৃত বনানীর অভ্যর্থনায়।
সুর খেলা করছে কানের লতিতে।
আমার সকাল তোমার সকাল ছুঁলো?

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>