| 29 মার্চ 2024
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত কবিতা

অনুবাদ কবিতা: প্রয়াগ শইকীয়া’র অসমিয়া কবিতা । বাসুদেব দাস

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com,Assamese poetry by Prayag Saikia translate১৯৫৮ সনের ৭ অক্টোবর অসমের নগাঁও শহরে  কবি প্রয়াগ শইকীয়ার জন্ম হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্নাতক।কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা ১৩টি,উপন্যাস ৩টি,গল্প সংকলন ১টি,গীতের সংকলন ১টি।ইণ্ডিয়ান লিটারেচার,চন্দ্রভাগা,দ্য স্টেটসম্যান ফেস্টিভেল ইস্যু,গুলিস্তান (উজবেকিস্তান) ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় অনূদিত কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।আকাশ বাণীর স্বীকৃ্তি প্রাপ্ত গীতিকার।অসম সাহিত্য সভার কলাগুরু বিষ্ণুরাভা পুরস্কারে সম্মানিত।


 

যুদ্ধ
 
(প্রয়াগ শইকীয়ার এই কবিতাগুলি শিল্পী দেবব্রত  মহন্তের ছবির আধারে রচিত।)
 
 
যুদ্ধ
 
রক্তক্ষরা সময়
মানুষের অহংবোধে প্রক্ষিপ্ত
 
অহং নেই
যুদ্ধ নেই
ভূমির বুকে প্রস্ফুটিত উপগুপ্ত
 
যুদ্ধ
 
প্রতিনিয়ত
কারণ  অহং বিনা ঘোষিত হয়না অস্তিত্ব
শান্তির সাদা পায়রা উড়লেও
কলিঙ্গ হয়ে উঠে না পৃথিবীর শেষ
 
যুদ্ধ
 
যুদ্ধ
 
চোখের জলের মধ্যেও
হয়ে উঠে প্রকৃতির সোপান
উদ্ভাসিত নবস্বপ্নের জ‍্যোতিতে ঋদ্ধ হৃদয় খুঁজে পায়
জীবনের গীতা
ধর্মক্ষেত্রের প্রজ্ঞার কবিতা
যুদ্ধ প্রতিনিয়ত।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
মৌন ইলিজি
 
 
দুঃখে আড়ষ্ট মুখ
ছবি হয়ে চোখে রইলে
হিয়ার অরণ্যে উদয় হয় অমিতাভ বুদ্ধের মুখ
ক্রন্দনে ধরার বুকে জেগে উঠার অহৈতুক দুঃখ
সান্নিধ্যের জন্য জন্ম হওয়া দুঃখ
না অতিমাত্রা আশার মায়া উৎপন্ন করা দুঃখ
দুঃখের পেছনে দৌড়ানো  আলোকিত মনে
জয় করতে পারে বিষাদ
শোকের উপত্যকায় রোপণ করতে পারে অশোক
চিত্রকরের তুলিতে
যখন উঠে মুমূর্ষ মানুষ
সে নেয় আহ্বানের রূপ 
এসো মানবতাবাদী দেবদূত
তোমার বৌদ্ধ হিয়ার বড় প্রয়োজন
দুঃখকে বুঝতে পারা জনেই  দিতে পারে প্রজ্ঞা
আরোহণের  জন্য আঁকতে পারে মহাযান
চিত্রকরের তুলিতে উঠে আসে মুমূর্ষ মানুষ।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
লাল
 
লাল আলো
যেও না
 
পথ হতে পারে কষ্টকর
পথ হতে পারে কন্টকের
পথ হতে পারে কর্দমের
যাত্রার ভাবনায় মেঘ
লাল আলো
রক্তক্ষরা ভীতি  অচিন মূলের
রক্তবীজ জন্মায়
সংশয় বাড়ে
জীবনের রক্তিম আড়ালে ত্রাসের খবর
লাল আলো
যেও না
যানগুলি থেমে যায়
পুরাণের পুরাতন বুকে প্রেমের আলো 
এই যেন চলে যাব
প্রেম এবং সমরে সবকিছুই সমীচীন 
 
 
ওপাশে শোণিতে  সাজানো ঊষার নগর
সুবর্ণ সময়
প্রজ্ঞার আলোতে যেন দিগ্বিজয়।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
সন্ধ্যা
 
বিন্দু বিন্দু তারা
সন্ধ্যাকাশ
বিন্দু বিন্দু প্রদীপ
জোনাকী কবিতার উড়ন্ত শ্বাস
একটি মৃত শিশু কৃশা গৌতমীর কোলে
একমুঠো শস্য
খসে পড়ে  বুদ্ধের ধরায়।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
স্কিজোফ্রেনিয়া
 
রুদ্ধ কারাগারে
মন কীভাবে থাকে
রুদ্ধ কারাগারে মন সত্তার বিভাজন চায়
কৌমুদীর কোলে
মন মাতাল হয়
খন্ডিত চিত্ত বাধার দেয়াল ভাঙ্গে
একজন মানুষ
বহু মানুষ হয়ে
বহু সত্তার ভারে
নৈরাজ্যের উচ্ছৃঙ্খলতা স্পর্শ করে একটি
কায়া
 
লুনার থেকে লুনাটিক
 
সমস্ত শিকল ভেঙ্গে
অতীন্দ্রিয় অনুভব ব্যাখ্যা করে
একজন মানুষ পথে ঘাটে চিৎকার করে বেড়ায়
আমি পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন
আমার নাম চাঁদ
আমি চাঁদ
 
 
কোনো একজন জ্ঞান জাহির করার জন্য
ডিলিউশনের বিভাজনে বসে
 
 
 
 
চাঁদ হাসে
নীল নভ থেকে।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত