
চন্দ্র তাপস
জন্ম ১৬ ই বৈশাখ, ১৩৯৪ মাদারীপুরের শিবচরে। বাবা ইন্দ্রজিৎ মালো পেশায় ছিলেন শিক্ষক। বোনহীন বড় দুই দাদার স্নেহে মায়ের ভালোবাসায় কেটেছে শৈশব। ছোটবোলা থেকেই খেলায় বলায় ডানপিটে। প্রতিবেশী স্বজনেরা আদর করে ডাকতেন তপু। উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভদ্রাসন জি সি একাডেমিতে স্কুল শেষ করেছেন। ড. নুরুল আমিন কলেজে থাকাকালীন শিল্পসাহিত্যর সাথে পথচলা শুরু হয়। রাজধানী ঢাকায় এসে সরকারি তিতুমীর কলেজে গণিতে স্নাতক করেন। এসময় সাহিত্যে বাচিক চর্চা ও প্রসার প্রতিষ্ঠান কন্ঠশীলন চতুরমাসিক আবর্তন করেন। কন্ঠশীলন কোর্স চলাকালীন সত্য ও সুন্দরের আরাধনায় 'উদ্ভাসন' প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর মীর বরকত তামান্না তিথিকে নিয়ে 'কল্পরেখা' কোমল প্রাণের প্রদীপ প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত পাঠচক্রের সভ্য ছিলেন। খামখেয়ালী সভায় রবীন্দ্রচর্চায় যুক্ত ছিলেন। আবৃত্তিশিল্পী চন্দ্র তাপস শিশুরাই স্বপ্ন নিয়ে 'প্রজাপতির মেলা' নামে একটি স্কুল শুরু করে অর্থাভাবে বেশি দূর যেতে পারেনি। ছায়ানট পরিচালিত স্কুল নালন্দা এবং ফুলকির সম্বন্বিত শিক্ষা সাংস্কৃতিক কর্যক্রমে শিক্ষাকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি 'কথা কবিতার ঘ্রাণ' নামক একটি শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক অনলাইন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০ প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ "কবিতা ও প্রেম"। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা, ব্যাংকিং একের পর এক চাকরি ছেড়ে ব্যাবসায় যুক্ত হন। বর্তমানে প্রবাসে ভবঘুরে জীবনযাপন করছেন।
