
ড. মীজানুর রহমান
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপচার্য। ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতার পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ১৯৯৯ সালে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন। পরিবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এরমধ্যে শেখ রোরহানুদ্দীন কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আইসিএমএ-বাংলাদেশের কাউন্সিল মেম্বার, ম্যাকসন্স স্পিনিং-এর পরিচালক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন। বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। আইসিবি’র সাবসিডিয়ারী এএমসিএল ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন ও মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, নরওয়ে, তুরষ্ক, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও কানাডায় বিভিন্ন সেমিনার-কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেছেন। ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর গবেষণাধর্মী পুস্তক ‘কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ (দুই খন্ড)’।এছাড়াও তাঁর রচিত ‘বাজার জাতকরণ’, ‘স্নাতক বাজারজাতকরণ’, ‘বাজারজাতকরণ নীতিমালা’ ও ‘বাজারজাতকরণ (সহজ সংস্করণ)’ ইত্যাদি পুস্তক মার্কেটিং ছাত্র-শিক্ষকদের বহুল ব্যবহৃত পাঠ্যবই। রাজনৈতিক বিশ্লেষণধর্মী তাঁর চারটি বই ‘বঙ্গবন্ধু বাঙলি ও বাংলাদেশ’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন ভাবনা’, ‘উত্তরগণতন্ত্র ও লিংকণের পিপল’ ও ‘বঙ্গবন্ধু মহাকালের মহানায়ক’ মুক্তিযুদ্ধ ও সমসাময়িক বিষয়ে তাঁর অনন্য রচনা।
