মুম রহমান
কবিতা: বুক ডেটিং । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট আমি চাই বুক ডেটিং আমি পড়বো তুমি শুনবে কিংবা তুমি পড়বে আমি শুনবো কিংবা দুজনেই চুপচাপ উল্টে যাবো বইয়ের পাতা আনমনে তুমি…
ইরাবতী এইদিনে: জান্নাতনামা । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট আজ ২৭ মার্চ কবি, কথাসাহিত্যিক ও সাহিত্যসমালোচক মুম রহমানের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা। বুড়োবুড়ি …
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 3 মিনিট তিনটি গল্প ইফতারি জার্নালে অনেক গভীর কথাবার্তা হলো, কিছু জ্ঞান চর্চাও হলো। আজ না হয় একটু হাল্কা ভাবেই লিখি। মানেই গল্প বলি…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট মুসাচি’র ২১ সূত্র এই সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর জনপ্রিয় লেখক ইউভাল নোয়া হারারি’র সাম্প্রতিককালের একটা বই ‘একুশ শতকের জন্য একুশটি শিক্ষা’। এই…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট ওয়াবি-সাবি(wabi-sabi (侘寂)) হলো অপূর্ণতার, ত্রুটি বা খুঁতকেই তুলে ধরার দর্শন। মূল দর্শনে যাওয়ার আগে জাপানী একটা প্রবাদ কাহিনী শোনা যাক। সেন নো রিক্যু নামে এক তরুণ ছিলো। সে জাপানের ঐতিহ্যবাহী রীতি রেওয়াজকে নিঁখুতভাবে শিখতে চায়। সে জাপানের চা-গুরু তাকেনো যু’র কাছে গেলো। গুরু তাকেনো যু তরুণ শিষ্য সেন নো’কে বললেন বাগানটা ঝাড়– দিতে।…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট খনও কিন্ডল বুক, কোবো কিংবা ই-বুক রিডার বিক্রির হার কম নয়। এখনও জালাউদ্দিন রুমি থেকে হারুকি মুরাকামি পর্যন্ত লেখকদের বই বিশ্ব বাজারে লাখ কপি বিক্রি হয়। আর আমরা তিনশত কপি বই বিক্রি করতে এর জামা ধরে টানি, ওর শার্ট ধরে টানি, একে ইনবক্সে মিনতি করি, তাকে ঘি-মাখন লাগাই। চিত্রটার ভিন্ন দিক আছে। যদি নির্দিষ্ট ধর্মের বই, কথিত মটিভেশনাল বইয়ের কথা ধরি কিংবা ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বা ইউটিউব চালানোর শিক্ষাকে সাহিত্য বা সৃজনশীল পাঠের তালিকায় ধরি তাহলে এ দেশেও ভালো সংখ্যক বই বিক্রি হয়।…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট আজকের গুগুল ডুডল থেকে যখন মনে পড়লো, আরে তাই তো আজ পৃথিবী দিবস (আর্থ ডে) তখন এইসব কথা আবার মগজে চাড়া দিয়ে উঠলো। যারা নিয়মিত পড়ছেন ইফতারি জার্নাল তাদের জন্য আজ এই পৃথিবী দিবস নিয়ে কয়েক লাইন লিখতে চাই। এই লেখাটুকু হয়তো আমার উপকার দেবে। যতোবার নিউজফিডে (মেমোরিতে) ফিরে আসবে ততোবার মা পৃথিবীর কথা আরো গভীর করে ভাবতে পারবো আশা করি।…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট আমরা কখনো বলিনি, কুমাররা মাটির হাড়ি-কলসি বানায়, আমরা বলতাম, রমেন কাকা কলসি বানায়, থালা বানায়। পূর্বা মাসি, চৈতালি দিদি, রাবেয়া ফুপু একসাথে সারা রাত ঢেকিতে চাল বানতেন। আমাদের চারপাশে ছিলেন মাসি-পিসি, ফুপা-কাকা, নানী-বড় মা আরো কতো সম্পর্ক। কোনদিন হিসাব করিনি, বুঝতেও পারিনি, ও হিন্দু, আমি মুসলমান। আমার কোরবানিতে ওরা এসেছে, ওদের পূজাতে আমি গেছি। এ তো বেশিদিন আগের কথা নয়। তখন অতো মাইক মেরে, চিৎকার করে ওয়াজ হতো না। হেলিকপ্টারে করে কোন হুজুর আসতো না, লাখ টাকার বিনিময়ে অসহিষ্ণু কথাবার্তা বলতো না। পুরুত কাকা আর বড় হুজুর দুজনকেই তো সালাম দিয়েছি। আহা, আমাদের সম্প্রীতি, আমাদের যৌথ উৎসব, পারস্পরিক শ্রদ্ধাগুলো চুরি হয়ে গেছে, ছিনতাই হয়ে গেছে।…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট যদি এটুকু পড়ে থাকেন, স্রেফ লাইক শেয়ার দিয়ে চলে যাবেন না। দয়া করে মন্তব্য করবেন এবং খুশি হবো যদি দ্বিমত থাকে, মতান্তর থাকে সেটিকে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবেন। ফাটিয়ে দিয়েছেন, সহমত, নাইস, দারুণ আর স্টিকারের সংস্কৃতি থেকে আসুন বের হই। একে অপরের ভালোকে ভালো বলি, মন্দকে মন্দ বলি। প্রকৃত বন্ধু তাই করে। ভণ্ডামি আর চামচামি বন্ধুত্বের লক্ষণ নয়। ফেসবুকের বন্ধুত্বকেও আসুন সত্য আর সুন্দরে সাজাই।…
সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান
আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট তারপর এই ঘাসের বুকে শিশির জমবে না। মাঠের মধ্যে ঘাস থাকবে না। শহরের মধ্যে মাঠ থাকবে না। সভ্যতা ঘাস খায়, মাঠ খায়, জমিন খায়। আড়াআড়ি খায়, লম্বালম্বি খায়। সভ্যতা ক্রমাগত দাঁত বাড়িয়ে এগিয়ে আসে। প্রকৃতি গিলে খায়। সবুজ তার প্রিয় খাবার। আকাশ তার প্রিয় খাবার। মাটি খায়। জল খায়। নদী, পুকুর, নালা গিলে খায় সভ্যতা। ভোজন উৎসব শুরু হবে।
অনেক অনেক মানুষ জড়ো হবে। গ্রাম পড়ে থাকবে পিছে। নদী, জঙ্গলা ছেড়ে মানুষ ওঠে আসবে দালানে। ম্যাচবাক্সের মতো ফ্ল্যাটবাড়িতে ককটেল পার্টী হবে। প্রেমিক-প্রেমিকা আর বন্ধু ও শত্রুরা সোসাল মিডিয়া দাপিয়ে বেড়াবে। তোমার চোখের মধ্যে আমার চোখ দেখা হবে না। মেহেদি মেয়ের হাতের মধ্যে পুরনো পুরুষের হাত যোগ হবে না। ইমোজির চুম্বন আর হার্টের সাঁতারে ভেসে যাবে ইনবক্স। এক বিছানায় শুয়ে থেকেও দীর্ঘশ্বাস বাড়বে। আর কাছের মানুষ রেখে দূরের মানুষকে ছবি পাঠাতে থাকবো আমরা। আমাদের নিঃসঙ্গতা আর ব্যর্থতার মুখ ঢাকতে প্রচুর ফিল্টার ব্যবহার হবে। আর অবশ্যই প্রজাপতি থাকবে না সভ্য শহরে। ফড়িং থাকবে না। পাখিরা সরে যাবে দূরে। ছাদের উপরে বক উড়বে না। তবে নার্সারির হাইব্রিড গাছে খুব ফলন হবে। ভাড়া করা মালি পালং শাকে পানি দিয়ে যাবে। আর বড় বড় স্থাপত্য শৈলী দাঁত কেলাবে। ডেভলাপার আর ডেভলাপমেন্ট হবে খুব। জিভের আগায় ঠোঁট বুলানো হবে না।
তারপর খুব নিয়ম কানুন তৈরি হবে। স্যুট-টাই নিয়ম আর টুপি পাঞ্জাবি নিয়ম। চাকরি আর ধর্মের দেমাগে আমরা ঘেউ ঘেউ করবো। সেই সব ঘেউ ঘেউয়ের বঙ্গানুবাদ কেউ করতে পারবে না। আমরা ক্রমে দূরে যেতে থাকবো। আর ফোন কোম্পানি বিজ্ঞাপণ দেবে, ‘কাছে থাকুন।’ কাছে থাকার জন্য মিনিট প্রতি ডিসকাউন্ট রেট পাওয়া যাবে।
মন্ত্রীর ড্রাইভার বলবে তুই আমাকে চিনিস? পুলিশের বুয়া বলবে আমার সাহেবরে চিনিস? …