পোস্টার অফ টাইম
ক্রাইমের সূত্রপাত রক্তপাতের পৃষ্ঠা থেকেই শুরু
যাকে গুরু মেনে অধিকাংশ ফাইল প্রাচুর্যের দাপটে স্মাইল ফোটায় অপরাধীর।
জেনো এক লজ্জাবতীর মতো তুষের ক্রোধ পুড়তে ঢুকে যাই খড়ের পাল্লায়
দাপটের সাথে পুরুষত্ব দেখাই,চিল্লাই
শেখাই কি করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানচিত্র পোঁতা হয় প্রতিটি প্রতিবাদী নারীর কন্ঠে
আর স্বামীর পা চেটে চেটে বলা হয়
“বেহেস্ত,আহ্ কি দামী!”
নিম্নগামী এ সব চিন্তাধারী,দূর্বিচারী,অভিসারী
পায়ের নীচে পিঁপড়ে সেজে মারামারি
চোরকারবারি,অতি দূর দৃষ্টিধারী লুফে নিয়েছে সমস্ত চাবির রিং
ফেরত চাইলেই কেবল উঁচিয়ে আসে শিং তেড়ে
ফিরতে হবে,টাইম এবার যাচ্ছে বেড়ে।
ক্রান্তি
প্রথম যেদিন বর্মহীন কর্ণ
তীরের আগায় বিঁধিয়েছিলো ভাগ্যটিকা
মরিচিকা বলে কতো প্রহসন!
শাসনের আগে ভাষণ ছিলো না তখনও
মাইক ছিলো না,চপ খেয়ে মুটিয়ে যাওয়া ঢোল দিয়ে তথ্য ছিটানো হতো হাওয়ার ঠিকানায়
কর্ণের বাণে সমস্ত কিছুতে নীরবতা আনে
ক্রান্তির পথে যে শান্তি থাকে
বুকের পাজর কিংবা কানের নক্ষত্রের মতো জানিয়ে যায় আজও!
দূরন্ত লোকাল
এপাশে রোদের অভাব
পুরনো স্মৃতির এ্যালবামে পড়ে গেছে চশমার দাগ
অভাবে বিবর্তিত স্বভাব
ব্যাথা–অপ্রাপ্তির খেয়ালে কতো অনুরাগ।
উড়ন্ত পরযায়ী পাখি মেলে ধরেছে যেনো বহু পরিশ্রান্ত ডানা,
নষ্ট এ শহরে স্মৃতিচারণ মানা
পাথুরে দেয়ালে সেঁটে আছে নরম রোদের মতো গভীর অসুখ
দূরন্ত এ লোকালে কতো চেনা মুখ!
উৎসূক জনতার ভীড় ঠেলে
সে সব মুখে আজ চোখ যায় গেলে
সময় হারায় না,হারায় অধিকার
জীবন নিয়ে গেছে বহু আগেই
বেঁচে থাকা প্রতিদিন,আরেক হাহাকার
মস্তিষ্ক খোঁজে আজ একাল–সেকাল
শুধু পরিশ্রান্ত ডানায় ভর করে থেকে যায় দূরন্ত লোকাল।
ভাং
নাচতে না পারা উঠান ক্রমশই দুলতে লাগলে টের পাই,সন্দেহ হয় তুমি আছো!
চোখের যে সমুদ্র ত্রিনয়নের মতো যত্ন নিয়ে বুকের বালুতে পুঁতে রেখেছি,
মাথা চাড়া দিয়ে উঠে আসতে চায়।
চোখে তখন শিব নাচে,নাচে লালন
তোমারে শিশুর মতো করে প্রতিপালন
প্রতিটি প্রেমিক থেকে আহত সৈনিক,
পরিচর্চাকারী থেকে হত্যাকারীর ছুঁড়ির ডগায় তুমি নেচে বেড়াও!
আসক্ত সকালে–পড়ন্ত বিকালে কিংবা লজ্জা ভাঙা সন্ধ্যায় তোমারে গোপনে কাছে চায় মহাজন।
ক্ষুধা
মন্দিরে পোড়ে বাজি
জীবনের বাজি হেরে
মেয়েটি হয় ব্রোথেলে যেতে রাজি
ঈশ্বর বাবাজি ক্ষুধা দিয়েছো তুমি,
মেটাতে কেনো এতো নারাজী!
হাত দিয়েছো পা দিয়েছো
হৃদয় নিয়েছো কেড়ে,প্রার্থনায়
ক্ষুধায়,না চাইতে পারা লজ্জায়
কিংবা আত্মসম্মানে মেয়েটি আজ কোন সুশীলের বিছানায়।
এখনি বলতে হবে বলছি না,সময় নিন
নিজেকে স্রষ্টা হিসেবে প্রমাণ দিন
আমাকে ভালোবাসার।
চাইতেই পারি,
আপনি ব্যর্থ দায় অস্বীকারে
অন্ধকারে অঙ্কুরিত মুকুল ফুটলে
আপনিও ঝরে যাওয়ার ভয় পাবেন কোন এক বসন্তে।
নাস্তিক নই বটে,তবুও যে সব রটনা জোটে
আজকে প্রশ্নের বাণে এই আমার ধর্মের দিকে সাঁতার,অস্তিত্বের লড়াইয়ে কেনো একদল বস্তিতে থাকবে কেন শুনতে চাই,তারা পাচ্ছে না কেন তিন বেলা সুষম বন্টনে খাবার!
এই টেবিলে নিরেণ কাকাকে আপনার চেয়ে ফেয়ার মনে হয়েছে,
তিঁনি অন্তত এক বোতল মদ‘কে দুটি অংশে ভাগ করে দেন খাবার সময়।