| 19 এপ্রিল 2024
Categories
প্রবন্ধ সাহিত্য

মৃত্যু ভাবনায় বাইশে শ্রাবণ

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

ছোটবেলায় রবি ঠাকুরের ছবি সবাই আঁকে। আমিও আঁকতাম। সেদিন খুব বৃষ্টি ছিল। জানালার ওপারে বর্ষার থৈ থৈ বিল। অঝর ধারায় বৃষ্টি ঝরছে। আকাশ জুড়ে গরুর পালের মত দলে দলে মেঘ চরে বেড়াচ্ছে। এরমাঝে বাংলা স্যার এসে ক্লাসে ঢুকলেন। রবি ঠাকুরের ‘সামান্য ক্ষতি’ কবিতা পড়াবেন। পড়াবেন মানে কঠিন কঠিন শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করবেন। এই কঠিন কঠিন শব্দের অর্থ না জানলে কি এমন অসামান্য ক্ষতি হয় তা আমি আজও জানি না। তবে সেদিন তিনি তা পড়ালেন না। বললেন, আজ বাইশে শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস। প্রয়াণ মানে যে মৃত্যু সেটা ততদিনে জেনেছি। স্যার বললেন রবি ঠাকুর হলেন কবিগুরু বিশ্বকবি। তার মৃত্যুতে প্রকৃতিও মেঘ মেদুর হয়ে ওঠে। মৃত্যু সম্পর্কে কবি বলেছেন, মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান। সে কথার অর্থ কি তা তখন যেমন জানতাম না এখনও যে তার চেয়ে বেশি কিছু জানি তা আমি মনে করি না। স্যার এরকম বিভিন্ন কবিতা থেকে উদ্ধৃিতি দিচ্ছেন আর মাঝে মাঝে বলছেন রবি ঠাকুর হলেন বিশাল ব্যক্তিত্ব। আমি তখন মনযোগ দিয়ে বিশাল ব্যক্তিত্বের ছবি আঁকার চেষ্টা করছি। এক পর্যায়ে স্যার বুঝতে পারলেন আমি তার কথা শুনছি না। খাতার ভেতরে অন্য কিছু আঁকিবুকি করছি। তিনি আমার দিকে এগিয়ে এলেন। তারপর খাতাটা হাতে নিয়ে বললেন, বাহ! খুব সুন্দর এঁকেছিস তো।

নিজের সৃষ্টি কর্মের এমন প্রশংসা শুনলে কারোরই হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। আমি প্রশ্রয় পেয়ে মুখ ফসকে বলে ফেললাম। এতো বড় ‘বিশাল ব্যক্তিত্ব’ তাকে ঠিক ছবির মাঝে আঁকতে পারছি না। স্যার কিছুক্ষণ অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন। আমি স্যারের চোখ থেকে চোখ নামিয়ে নিয়েছি। হাত ঘামছে। গলা শুকিয়ে আসছে।স্যার বিশাল ব্যক্তিত্ব কথাটা অনেক বার বলেছেন আর আমি সে কথাটাই তাকে আবার শুনিয়েছি। ভাবছি, না জানি কত বড় অপরাধ করে ফেলেছি। স্যার হয়তো এখনি বেতটা নিয়ে এসে বলবেন, হাত পাত। তারপর সপাং সপাং দিয়ে বলবেন, আমার সাথে ফাজলামি হচ্ছে! কিন্তু স্যার এ সবের কিছুই করলেন না।

আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন, খুব ভাল বলেছিস তো। তারপর কেমন যেন উদাস হয়ে বার বার বলতে থাকলেন, এতো বড় ‘বিশাল ব্যক্তিত্ব’ তাকে ঠিক ছবির মাঝে আঁকতে পারছি না। স্যার নিজেও কবিতা লিখতেন। মাঝে মাঝে এমন উদাস হয়ে যেতেন। উদাস হয়ে গেলে তিনি আর পড়াতেন না। আজও কাউকে কিছু না বলে বিড়বিড় করতে করতে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলেন। ক্লাসের সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। তবে আমার এই উপলব্ধিটা মগজের মাঝে স্থায়ী হয়ে গেল।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আর্ট কলেজের এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই উপলব্ধির কথা। বিশালত্বকে কিভাবে ছবির মাঝে ফুটিয়ে তোলা যায়। বন্ধু শুনে বলল, এই জন্যই তো শিল্পীরা আ্যবস্ট্রাক্ট মানে বিমূর্ত ছবি আঁকে। আমাদের যেসব অভিব্যক্তি বা উপলব্ধিকে ছবিতে মূর্ত করা সম্ভব নয় সেগুলোই বিমূর্ত করে আঁকা হয়। আমি হেসে বললাম ওটাতো আমার কাছে আরও দুর্বোদ্ধ মনে হয়। আমার শিল্পী বন্ধুটি খুব অনুযোগের সুরে বলল, তুই সব কিছুকেই অন্যভাবে দেখিস। যেটা যেভাবে দেখা উচিত সেটা সেভাবেই দেখা বা বোঝা উচিত। ভেবে দেখলাম বন্ধুর কথা হয়তো অনেকাংশেই ঠিক। এই যেমন বাইশে শ্রাবন। রবি ঠাকুরের মৃত্যুর দিন। মৃত্যু মানেই দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয়। চোখে জল ছল ছল। অন্তত পক্ষে একটা শোকের ব্যাপার তো থাকাই উচিত। যে আমি বাংলা সিনেমার সংলাপ শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। ছেলে মেয়ের সামনে বিব্রত বোধ করি। সেই আমার কাছে বাইশে শ্রাবনকেও পঁচিশে বৈশাখের মতো কবিগুরুর জন্মদিন মনে হয়। মনে হয় আমরা যে রবি ঠাকুরের কথা বলি সেতো জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ীর পিতা মাতার স্নেহ ভালবাসা বন্চিত চাকর বাকরের অধিনে থাকা ছোট্ট রবি নয়। আমরা যে রবি ঠাকুরের কথা বলি সে বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাকে তো আমরা পরিপূর্ণ ভাবে পেয়েছি বাইশে শ্রাবন। যেমন খেলার মাঠে আমরা টান টান উত্তেজনা নিয়ে খেলা দেখা শুরু করি। মাঝে মাঝে চিৎকার দিয়ে উল্লাস করি, গো-ল ছ-ক্কা আ-উ-ট। সেটা কিন্তু কোন খেলার ফলাফল নয়। সাময়িক উল্লাস। ফলাফল নির্ধারিত হয় শেষ বাঁশি বাজার পর। তখন আমরা মূল্যায়ন করতে পারি খেলার ভালো মন্দ জয় পরাজয় সব কিছু। একথা ঠিক কোন কোন খেলা শেষ বাঁশির সাথে সাথে শেষ হয়ে যায়।

কোন কোন মৃত্যুও শেষ করে দেয় সব কিছু। কখনও অপরিণত অসম্পূর্ণ জীবনের মৃত্যু, কখনও বা সম্পূর্ণ জীবনের মৃত্যু অথচ সারা জীবনের এমন কোন অর্জন নেই যা তাকে মৃত্যুর পরেও বাঁচিয়ে রাখবে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনের হাসি-কান্না সুখ-দু:খ আনন্দ- বেদনা প্রেম-বিরহ সব সময়ের আশ্রয়। সব সময়ের অবলম্বন। তিনি আমাদের কাছে জীবিতের অধিক জীবিত। তিনি চিরঞ্জিব। তার কোন মৃত্যু নেই। তার কথা বলতে গেলে আমাদের ভাষা শেষ হয়ে আসে। তখন গঙ্গাজলে গঙ্গা পূজা করতে হয়। তার ভাষাতেই তার কথা বলতে হয়।
তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ
ও মোর ভালোবাসার ধন।
দেখা দেবে বলে তুমি হও যে অদর্শন,
ও মোর ভালোবাসার ধন॥

এই সুর এই ভাষা হয়তো তিনি নিবেদন করেছেন তার ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে। অথচ এই ভাষা যখন আমাদের প্রাণে সুর তোলে তখন তিনিই হয়ে ওঠেন আমাদের ভালোবাসার ধন, প্রাণের ঠাকুর। তখন খুব জানতে ইচ্ছা করে জীবন মৃত্যুকে তিনি কিভাবে দেখেছেন।বিশেষ করে পরিণত বয়সে মৃত্যুর আহ্বান যখন শতত আমাদের প্রাণে পরশ বুলিয়ে যায় তখন তো তার কাছেই আমাদের আশ্রয় নিতে হয়। রবীন্দ্রনাথ কৈশোর ও প্রথম যৌবনে “ভানুসিংহ” ছদ্মনামে ১৮৮৪ সালে সেই ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীতেই লিখেছিলেন, মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান … মৃত্যু অমৃত করে দান।মৃত্যু অবধারিত যেনে তিনি মৃত্যু চিন্তার মাঝে নান্দনিকতার সন্ধান করেছেন।লিখেছেন ‘তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি ধাই- কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই’।তবে তার ব্যক্তিগত জীবনে মৃত্যু আর বিচ্ছেদের অভিজ্ঞতা হয়েছে বড় নির্মম আর প্রকট ভাবে।

শৈশবে মায়ের মৃত্যু, কৈশোরে বন্ধুপ্রতিম বৌদি কাদম্বরী দেবীর অকালমৃত্যু এবং পরবর্তীতে স্ত্রী ও সন্তানদের অকাল মৃত্যু সহ ঠাকুর বাড়ীর যৌথ পরিবারের আরও অনেক প্রিয়জনের মৃত্যু। এই সব মৃত্যু হয়তো তাকে বেদনাহত করেছে কিন্তু তিনি অবিচল থেকেছেন তার জীবন দর্শনে।শোকের বহিপ্রকাশ ঘটেছে তার সৃস্টির ভেতর দিয়ে। তিনি ছিন্নপত্রাবলী’-তে লিখলেন, ব্যক্তি হিসেবে দেখতে গেলে মৃত্যুটা কত উৎকট, যার মধ্যে কোনও সান্ত্বনা নেই।কিন্তু বিশ্বজগতের হিসেবে দেখতে গেলে মৃত্যুটা অতি সুন্দর ও মানবাত্মার সান্ত্বনাস্থল।এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ মংপুতে একবার মৈত্রেয়ীদেবীকে বলেছিলেন, ‘‘আমার জীবনে যতবার মৃত্যু এসেছে, যখন দেখেছি কোনও আশাই নেই, তখন আমি প্রাণপণে সমস্ত শক্তি একত্র করে মনে করেছি, ‘তোমাকে আমি ছেড়ে দিলাম, যাও তুমি তোমার নির্দিষ্ট পথে।’ এই ভাবনার কথা তিনি এক চিঠিতে মৃণালিনী দেবীকেও লিখেছিলেন, ‘‘বেঁচে থাকতে গেলেই মৃত্যু কতবার আমাদের দ্বারে এসে কত জায়গায় আঘাত করবে— মৃত্যুর চেয়ে নিশ্চিত ঘটনা ত নেই— শোকের বিপদের মুখে ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ বন্ধু জেনে যদি নির্ভর করতে না শেখ তাহলে তোমার শোকের অন্ত নেই।’’ এই বিশ্বাস তার প্রতিটি আপনজনের মৃত্যুর পর নিজেকে অবিচল আর স্বাভাবিক রেখেছে। যেগুলো এখন গল্প হয়ে আছে।

কবিগুরুর মেজ মেয়ে রেণুকা তখন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ীতে, খুবই অসুস্থ।রবীন্দ্রনাথের বন্ধু রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মাঝেমধ্যেই খোঁজ নিয়ে যান রেণুকার। একদিন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দির্ঘ আলাপ শেষে রামেন্দ্রসুন্দর জানতে চাইলেন, রেণুকার শরীরের অবস্থা কেমন? কবিগুরুর বললেন, আজ সকালে সে মারা গিয়েছে।রামেন্দ্রসুন্দর কবিগুরুর মুখের দিকে কিছু সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলেন তারপর নিঃশব্দে সিঁড়ি বেয়ে নেমে গেলেন।

ছোটছেলে শমীর শেষকৃত্য শেষ করে মুঙ্গের থেকে ফেরার পথে স্টেশনে একজনের সাথে দেখা। তিনি রবীন্দ্র নাথের সাথে সাহিত্য আর শান্তিনিকেতন নিয়ে দির্ঘ আলোচনা করছেন। বাধ্য হয়ে পাশ থেকে একজন সেই ভদ্রলোককে জানান কবির ছেলে মারা গিয়েছে। আমরা আজ তাকে দাহ করে ফিরছি।ভদ্রলোক বিব্রত হয়ে বিদায় নিলেন।

রবীন্দ্রনাথ তার জীবনস্মৃতিতে ‘মৃত্যুশোক’ পর্বে লিখেছেন, ‘‘জগৎকে সম্পূর্ণ করিয়া এবং সুন্দর করিয়া দেখিবার জন্য যে দূরত্ব প্রয়োজন, মৃত্যু দূরত্ব ঘটাইয়া দিয়াছিল। আমি নির্লিপ্ত হইয়া দাঁড়াইয়া মরণের বৃহৎ পটভূমিকার উপর সংসারের ছবিটি দেখিলাম এবং জানিলাম, তাহা বড়ো মনোহর।’’

রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুকে নিশ্চিত যেনে তাকে ভালোবেসেছেন। প্রিয়জনের মৃত্যুতে অবিচল থেকেছেন। তারপরও তিনি নৈবেদ্য কাব্যগ্রন্থে ‘মৃত্যু’ কবিতায় তার শঙ্কার কথা লিখেছেন-
‘মৃত্যু অজ্ঞাত মোর আজি তার তরে
ক্ষণে ক্ষণে শিহরিয়া কাঁপিতেছি ডরে
এত ভালোবাসি বলে হয়েছে প্রত্যয়
মৃত্যুরে আমি ভালো বাসিব নিশ্চয়।’

অর্থাৎ যাকে আমরা মৃত্যুভয় বলি তা রবীন্দ্রনাথের মাঝেও ছিল। একবার শিলাইদহ থাকাকালীন সময়ে গড়াই নদীতে তার বোটের মাস্তুল আঁটকে গেল গড়াই ব্রীজের নীচে। স্রোতের টানে নৌকা ভেসে যাচ্ছে একদিকে আর মাস্তুল আঁটকে আছে ব্রীজে। এভাবে স্রোতের টানে নৌকা যখন ডুবু ডুবু অবস্থা স্থানীয় একটা খেয়া নৌকো এসে উদ্ধার করে রবীন্দ্রনাথকে। শিলাইদহ থেকে স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে রবীন্দ্রনাথ সেই দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে লিখলেন, ‘‘ভাগ্যি সেই নৌকো এবং ডাঙ্গায় অনেক লোক উপস্থিত ছিল, তাই আমরা উদ্ধার পেলুম, নইলে আমাদের বাঁচার কোন উপায় ছিল না।’’

জমিদারির কাজে সাহাজাদপুরে অবস্থানকালে একবার এক গনতকার ভবিষ্যত বাণী করেছিল তার আয়ু বড়জোর ষাট অথবা বাষট্টি বছর। কোনও ভাবে সে-বয়স পার হতে পারলেও সত্তর পার হবে না কোনও ভাবেই। রবীন্দ্রনাথ চিন্তিত হয়ে মৃণালিনী দেবীকে লিখেছিলেন, ‘‘শুনে ত আমার ভারী ভাবনা ধরিয়ে দিয়েছে। এই ত সব ব্যাপার। যা হোক তুমি তাই নিয়ে যেন বেশি ভেবো না। এখনো কিছু না হোক, ত্রিশ চল্লিশ বছর আমার সংসর্গ পেতে পারবে।’’ যদিও সেই সৌভাগ্য মৃণালিনী দেবীর হয়নি।এই চিঠি লেখার এগারো বছরের মাথায় ১৯০২ সালের ২৩শে নভেম্বর মাত্র ২৯ বছর বয়সে মৃণালিনী দেবী মারা গেলেন।রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন মাত্র ৪১ বছর ৬ মাস।রবীন্দ্রনাথ গনতকারের কথা মিথ্যা প্রমাণ করে আশি বছর বেঁচে ছিলেন। বাইশে শ্রাবণ, ১৩৪৮ (৭ই আগস্ট ১৯৪১), সূর্য যখন মধ্য গগনে লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ রবীন্দ্রনাথ তখন আলোর ভুবনে ভেসে গেলেন।

তিনি জীবনের শেষ বেলায় এসে ‘প্রাণ’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে/মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই।’ মানুষের মাঝেই তিনি বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকবেন তিনি আনন্তকাল। তিনি আমাদের আশ্রয়। সুখের সাথি আর দূ:খের সহায়।তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক। আঁধার পথে তিনি আমাদের অন্তরে আলো জ্বেলে দেন। সেই আলোয় আমরা আমাদের পৃথিবীকে খুঁজে পাই। ‘নয়নসমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই – আজি তাই, শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল। আমার নিখিল, তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।‘

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত