ইরাবতী সাহিত্য: তিনটি কবিতা । কচি রেজা
অন্ধ আয়নাযাত্রা
তুমি যা বলার বলে ফেলেছ, প্রতিদিনই বলো
আমিও জানি, পৃথিবী শুদ্ধ হবেনা কোনোদিন
আজ শীত কম বলে কিছু অসফল মানুষ হেঁটে
বেড়াচ্ছে রাস্তায়
আমি শংকিত কারণ গত দুদিন ভালো কেটেছে এমন
তোমার অমনোযোগে কোনো প্রান্তরে আর বাসা বাঁধা
হলনা আমার
মৃত গাংশালিকের পালকে ভরে গেল অসার জীবন
আমিও জানিনা, পৌষের বিকেল থেকে কেন এই বিমর্ষ
চিঠিগুলো আমি কুড়াচ্ছি
যখন আর ব্যথিত হবেনা তুমি, আমিও নির্মিত হইনি
ব্যথার জন্য
তবু এই মর্মস্পর্শী চিঠি নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে পড়ি
ক্লান্তি কি বেদনার আশ্রয়
ভালোবাসা খুঁড়ে খুঁড়ে ক্লান্ত করে দিয়ে গেল খুব।
ভুলের এমন দেবতা স্বভাব
ভালোবাসা ভয়ংকর পরাধীনতা। বোঝো কি বোঝোনা।
আমিও নির্বোধ এমন অমীমাংসিত থেকে গেছি
তপস্যা করিনি বরং নিমগ্ন থাকি বেদনায়
দরজা পেরোলে দেশ প্রেমিকের শিরোচ্ছেদ
রক্ত
জীবন এখন জানাজার নামাজের মত ভারি
ভুল বুঝার ক্লান্তি বোঝোনি তুমিও
তোমাকে বলেছি, ক্ষরণ ভাংছে, পুনর্বার হত্যা চেষ্টা হবে,
তোমাকে বলেছিলাম। তুমি দুহাত উলটালে
বুঝি পর্যাপ্ত নয়, এক জীবন
এক ভালোবাসা
এই ইচ্ছা মৃত্যুর যন্ত্রণা নিয়ে যতটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাঁচি
ততোটাই ভাংগি সমকৌণিক রেখায়
এখনতো বুকে পাখি ডাকা ডাকি নেই
চোখের কৌটায় চুল ঝাড়ছে মা
এ প্রশ্ন কাউকে করিনা,
একুশেতে কালো শাড়ি কিনছে তো মেয়েরা?
মনে করো
পাথরের চোখ নিয়ে ঘুমাতে পারি না। ঘুমানোর যে
কৌশল শিখেছি, একদিন তাতেও ধরে লোহা রং
নুয়ে হাঁটলে কে যেন বলে, কত কি খোলস পরেছে
জ্যামিতিক চিবুক।
স্বপ্ন দেখতেও কসরত এত
কতদিন দুর্গতির কাঁধ ধরে ঝাঁকি দিয়ে ফেলে
দিতে চেয়েছি, কাঠের পা নিয়ে তা অসম্ভব
দিনশেষে কব্জি থেকে হাত -পা খুলে ফিলোসফি
পড়া কি যে বিমূঢ় বুদ্ধিচর্চা
ও তাৎপর্য, আত্মসমর্পণ যেন না করি!
মানিক বৈরাগী says:
বাহ বেশ সুন্দর