ফুল ফেলে দেখতে চাচ্ছি পুরানা রুমাল
নদীতে তুফান।
গোপনে সহায়তা করছে
সেলফোন, মেসেঞ্জার…
ফুল ফুটছে, রাত গভীর।
ঘুমিয়েছে চিঠি, ডাকবাক্স, ঘাম, জানালা,
নীল শাড়ি, ওড়না, লুডু, জিগারের আঠা…
সেলফোন পাহারা দিচ্ছে প্রেমিকাকে,
ভাবতে চাচ্ছি না। এরচাইতে,
তুমি সন্ধ্যায় জানালার পাশে দাঁড়ালে,
অল্পসময়, দেখেই চলে যাবো।
সেন্টের শিশি; আড়ালের ঘ্রাণ
রাত্রীর আবেগ দেখছি।
গোপনে, প্রকাশ্যে
রাত্রি যেদিন একা
একাকার থাকে,
কিছু হাওয়ার ঘ্রাণ আসে।
এই ঘ্রাণ বিক্রির জন্যে নহে!
ঘ্রাণে—শ্যামলা হতে চেয়ে,
শ্যামলা চেহারার হাওয়ায় হাওয়ায়
ডুবতে চেয়েই ডুবি—
কত রাতেই!
দুপুরের উর্বর তৃষ্ণা
বাড়ি থেকে পালিয়ে অনেকবার
যেতে চেয়েছি।
ভালো লাগেনি,
তোমাকে ছাড়া অনেককেই…
বাড়ির পাশেই বাগান —
একটা মাচায় এবার অনেক
ফুল ফুটেছে,
ফলন ভালো হবে
তুমি পাশে থাকলে!
সুযোগসুবিধার হাত
১টি পাখি দেখলাম আকাশে।
ভয়হীন।
ওড়তেছে।
কোথায় গিয়েছিল জানি না।
তুমিও কোথায় থাকো, ওড়ো
—জানি না!
সুযোগ ডালিমের মতো ফেটে গেলে,
দেখা হবে আমাদের!
বরাবর, প্রেম
তোমাকে ছুঁয়ে যাবে।
হরিণ।
তোমাকে নিয়ে উড়ে যাবে।
হরিণী।
সকল পণ মিলেছে
বিকেলে। একসাথে।
গাছতলায়
দাঁড়িয়ে আছে বিষাক্ত
তীর!
হরিণ-হরিণীর ভীতি থাকে না
সম্মতিক্রমে,
আকাশের চাঁদ হাতে নামে!
জন্মঃ ১ মার্চ ১৯৮৪ সালে, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায়। পেশাঃ শিক্ষকতা। প্রকাশিত ১ম কবিতা পুস্তকঃ প্রযত্নে- হাই স্কুল রোড (২০১৯)