| 4 অক্টোবর 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

যুগল কবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

ঊষালগ্নের স্বপ্ন থেকে

প্রিয় বাল্যবন্ধুর সাথে শহরের পাশে ধানক্ষেতে
ধানক্ষেতের পাশে অরণ্য বিস্তৃত বিটুমিন সড়ক
সড়ক সোজা চলে গেছে নগরের পেটের দিকে
বেঁকে চলা সড়ক পাশে দেখা যায় পানের বরজ
পানের বরজে ডাকছে অগণিত নবজাতক পাখি
নবজাতক পাখির ঠোঁটে পবিত্র ডাকের ওঁ হরফ
বরফ থেকে যেন টেনে তুললাম নিজেকে নিজে
ভিজে ঠান্ডায় আমি দাঁড়িয়ে আছি আমার স্কুলে
স্কুলে মেয়েদের কমনরুমে উঁকি দেই ভেতরে
আতরে মাখা মোহন রূপসি সহপাঠিনীর ঘাড়
আড়চোখে আমি দেখে পালিয়ে গিয়েছি কত!
শত ফসলি কৃষাণ ঠোঁটের পবিত্র হাসির মত।

তবু দিনশেষে ঘরের দেউড়িতে দাঁড়িয়ে দেখি
একি সরল চোখে তাকিয়ে আছে পবিত্র জননী!
জননী নাকি জানতো আমার হাঁড়ির এসব খবর।

সেসব স্মৃতির খবর দেখে চোখ ভিজে যায় সকালে,
সকাল থেকে বন্ধ চোখে এসব ভেবে দেখি তাই
কেন ফের আমি অরণ্য ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে চাই?

 

 

 

Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

 

 

কিছু সন্ধি খোঁজে হৃদয়

 

ইদানীং একাকী কিছু নিঃসঙ্গতার পাঁজর গুনে

শঙ্খময় হেঁটে যাওয়া দৃশ্যমান হয়ছে কেবল।

বেদান্ত বৃষ্টিতে ভিজেছে তোমার নিপুন অধর,

মায়াবৃক্ষ তলে বসে সে অধর সিক্ত সন্ধ্যার

আলপনা আমাকে কেবল টেনে নিচ্ছে সূর্যে।

 

আমিতো প্রার্থনা করিনি এ নিদারুণ তীব্র উত্তাপ 

তবু কেন নূপুর-ধ্বনি শাঁখ হয়ে বাজে আমার কানে?

বিদ্যুৎ¯পৃষ্ট তালগাছ হয়ে একা আমি দাঁড়িয়ে থাকি,

তোমার হাসির ধ্বনি এসে কিছু শিহরণ তুলে যায় 

এই মামুলী শরীরের নিঃসঙ্গ শীতল খাঁজগুলিতে। 

 

বস্তুনিষ্ঠ তুমি তবু কেন এক অবাস্তব ছায়া? 

আমাকে তুমি চুম্বন করো; যেন আমি খুব

বিশ্বাস করতে পারি তুমি বড় কাছের বাস্তব।

আমাকে তুমি দংশন করো; যেন নীল বিষের 

যন্ত্রণা আমার অবিশ্বাসকে মুছে ফেলে নিমেষে। 

 

বিকেল জুড়ে মেঘের পালক গুনে কেটেছে কিছু কাল

বড় নিঃসঙ্গ সন্ধ্যার আগে তাই কিছুটাতো প্রেম চাই,

পাই বা না পাই; প্রার্থনাগত কিছু দৈব মন্ত্র জপ শেষে

এখন তুমিই বল কী স্তবে জাগবে তবে হৃদয়ের জীবন? 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত