| 20 এপ্রিল 2024
Categories
সময়ের ডায়েরি

সময়ের ডায়েরি: ইফতারি জার্নাল । মুম রহমান

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
একটা সময় টেলিভিশনকে আমরা বলতাম ‘ইরেজ মিডিয়া’। মানে আজকে টিভিতে যা দেখাচ্ছে কালকে আর তার মূল্য নেই। ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, শুধু বাংলাদেশেই কয়টা টিভি চ্যানেল। কাকে রেখে কাকে দেখবেন? কোন অনুষ্ঠান বা নাটককে মনে রাখবেন। টিভিকে এমনকি সংবাদপত্রকেও কেউ কেউ কমোড মিডিয়া বা টয়লেটপেপারও বলতো। কারণ আজকের খবরের কাগজ বা টিভি সংবাদ কালকেই কমেডের ফ্লাশ বাটনে চাপ দেয়ার মতো নাই হয়ে যায়। এর মূল কারণ কি? কারণটা হলো, স্থায়ী কোন কিছু তৈরি করে না সংবাদপত্র বা টেলিভিশন। শত বছর আগের নির্বাক চলচ্চিত্রকেও আমরা মনে রাখি, চার্লি চ্যাপলিন আজও আমাদের কাছে উজ্জ্বল তারকা। কম্পিউটার, মূদ্রণযন্ত্র তো দূরের কথা যখন কাগজ, কালি তৈরি হয়নি তখনকার লেখক হোমার, ভার্জিল থেকে লালন, হাসন রাজা আজও যার যার মহীমায় উজ্জ্বল। প্রসঙ্গত একটা অণু গল্প বলি, গল্পটা আমার প্রিয় গল্পকার এম্ব্রুস বিয়ার্স (১৮৪২-১৯১৪)-এর লেখা।
মার্কিন কথাকার, রম্যরচয়িতা এম্ব্রুস বিয়ার্সের গল্পটি নাম : ‘লোকটি আর বজ্রবিদ্যুৎ’
আমার অনুবাদেই গল্পটি পড়ুন :
এক লোক অফিসের জন্য দৌঁড়ে যাচ্ছিলো, বজ্রবিদ্যুৎ তাকে ছাড়িয়ে গেলো।
‘দেখলে তো’, বজ্রবিদ্যুৎ বললো, ‘আমি তোমার চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতেই ভ্রমণ করতে পারি।’
‘জি¦’, অফিসে যাওয়ার তাড়ায় থাকা লোকটা জবাবে বললো, ‘কিন্তু ভেবে দেখুন তো আমি কতো দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করতে পারি!’
বর্জ্রবিদ্যুতের যতো শক্তিই থাকুক, তা ক্ষণস্থায়ী। টেকে না কয়েক সেকেন্ডও।
আমরা এখন এই না-টেকার জামানায় এসেছি। দীর্ঘস্থায়ীত্বের কথা কেউ ভাবি না। মহাকাল তো অনেক অনেক দূরের ব্যাপার। বস্তুবাদের চরম সীমায় এসে এক্ষুণি পেতে হবে সব কিছু। দ্রুত আর শর্টকার্টের দুনিয়ায় তাই এতো অস্থিরতা। কে কাকে ঠেলা দিয়ে ওঠে যাবে তার অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে এখন।
টেলিভিশন বা সংবাদপত্র আমাদের জীবনে প্রায় গুরুত্বহীন হয়ে গেছে। অন্তত আমার বাসায় টিভি নেই এবং আমি কোন সংবাদপত্র রাখি না– কয়েক বছর ধরে। তাতে যদি আমি পিছিয়ে গিয়ে থাকি সেই পিছিয়ে থাকাতেই আমার আনন্দ।
সত্যিই কি সংবাদ পত্র আমাদের খুব কাজে দেয়। আমাদের মানে, সাধারণ মানুষদের। যারা সংবাদপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, যারা সংবাদের উপর দিনকাল কাটান তাদের কথা আলাদা! কিন্তু এমনি এমনি নিয়ম করে সকালে ওঠে এককাপ কফি বা চায়ের সাথে সংবাদ পত্র পড়া তো রীতিমতো অত্যাচার হওয়ার কথা! এমন কি আনন্দ সংবাদ, আহামরি বিনোদন আমাকে দেয় সংবাদ পত্র! টিভির রিমোট ঘুরালেই বা এমনকি দারূণ জিনিস আমার সামনে আসে! বরং এ যে ঠগ বাছতে গা উজাড়।
 

আরো পড়ুন: ইফতারি জার্নাল (পর্ব-২)

 

 
টিভিতে অনুষ্ঠানের চেয়ে বিজ্ঞাপণ বেশি, খবরের কাগজে খবরের কাগজের চেয়ে বিজ্ঞাপণ বেশি। আর সংবাদ বলতে তো কেবলই দুঃসবাদ। আজ ঘটনাক্রমে আমার ছোটভাইয়ের ঘরে ইফতার করছিলাম। একটা চ্যানেলে দেখলাম, বিস্তৃত করে এক মোল্লার বিয়ে, মুতা বিয়ে এইসব নিয়ে প্যাঁচাল চলছে। সেখানে আবার নানা মুনি মতামত দিচ্ছেন! ভাবা যায়, কী ভয়ংকর অপচয়। এই অনুষ্ঠান যে বানিয়েছে যে দেখছে তাদের সবার জন্যই কতোই না সার্কাস মুহূর্ত জমা হলো! আমি এইসব সার্কাস থেকে দূরে।
এখন টিভি আর সংবাদপত্রের চেয়েও ভয়ঙ্কর ইরেজ মিডিয়া হলো সোস্যাল মিডিয়া। বিশ্বব্যাপীই সোস্যাল মিডিয়া এখন ভয়ঙ্কর হুজুগের নাম। বহু লোক এডিকটেড হয়ে গেছেন এই হুজুগের কারখানায়। ফলাফল লুফে নিচ্ছেন কিচ্ছু ফালতু লোক। আমরা ইয়ার্কির ছলেই বিখ্যাত বানিয়ে ফেলছি, একজন হিরো আলম, কেকা ফেরদৌসি, মাহফুজ আহমেদ কিংবা মামুনুল হককে।
করোনা ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর ব্যাপার এই ভার্চুয়াল মিডিয়া। আমরা নিজেরা লাইক শেয়ারের খপ্পড়ে পড়ে নিজের সময় আর মেধাকে নষ্ট করছি, রুচিকেও নষ্ট করছি। কী শেয়ার করতে হবে, কী শেয়ার করা উচিত নয় সেটা এখন আর আমরা বুঝতে পারছি না। পারলে উৎসাহের ঠেলায় ভিকটিম নারীর ছবি ছেঁড়ে দিচ্ছি, যাচাই বাছাই না করে মরার আগেই কারো মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছি। এই যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি এতো অস্থিরতার সংস্কৃতি। আজকে ধর্ষণ, কালকে মারামারি, পরশু ছিনতাই, তরশু রাজনীতি… এইভাবে চলছেই, চলছেই। আমরাও যেদিন যা নিউজফিডে ঘুরছে তা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি।
আমরা বোধহয় ভুলে গেছি আমরা রেসের ঘোড়া নই। তাল মিলিয়ে ছোটা, আগে পৌঁছানোই জীবনের লক্ষ্য নয়। দুপাশের পথ দেখার আনন্দ তো গন্তব্যে পৌঁছানোর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ধীরে, সুস্থে, আরাম করে বেঁচে থাকায় যেমন আনন্দ আছে, সুখ আছে– তেমনি হুজুগে তাল মিলানোতে অস্থিরতা আছে, অশান্তি আছে।
আর আমরা কিন্তু নিজেরাও বুঝতে পারছি না, অদৃশ্য কোন একটা চক্রের ফাঁদে পা দিচ্ছি আমরা প্রতিনিয়ত। আপনি যখন মাহফুজ আহমেদের একটা নিম্নমানের গান নিয়ে ইয়ার্কি করেন, হিরো আলমের অভিনয় নিয়ে ফাজলামো করেন, তখন কিন্তু নিজের অজান্তেই আপনি সেই লোকটার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেন। নেগেটিভ আলোচনার সুযোগে তারা ভিউয়ারশিপ পেয়ে যায়। আবার একদল এদের পক্ষে গান গাইতে এসেও ফায়দা লুটে নেয়।
আপনি নিশ্চয় এতোদিনে জেনে গেছেন, ইউটিউবে ফেসবুকে আপনার পোস্ট কে কতোবার দেখলো, আপনার লিঙ্কে কতোবার ক্লিক হলো তার কিন্তু একটা অর্থমূল্য আছে। যতো ভিউ ততো টাকা। যতো ভিউ ততো খ্যাতি। অর্থাৎ আপনার নিজের টাকায় কেনা মোবাইল, নিজের টাকায় কেনা ইন্টারনেট এবং এ সবের চেয়েও মূল্যবান আপনার নিজের সময়কে আপনি একটা ব্যাড ইনভেস্টম্যান্টে কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার একটা ভুল ক্লিক, অসচেতন শেয়ারের কারণে অযোগ্য লোকটি তারকাখ্যাতি পেয়ে যাচ্ছে। আর প্রকৃত কন্টেন্ট, যোগ্য ব্যক্তি ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটা এমন যে রাস্তায় অনেক চিৎকার চেচামেচি হচ্ছে, সবাই যে যার মতো বকে যাচ্ছে, উঁচু গলার কিংবা সবচেয়ে গালি জানা লোকটা জিতে যাচ্ছে। আর ভদ্রলোকটি মাথা নিচু করে সরে সরে যাচ্ছে। আর আপনি তারপর বাসায় গিয়ে আরামে স্নান করতে করতে ভাবছেন, ধুর, এটা ভদ্রলোকের দেশই না।
দেশ তো আমি, দেশ তো আপনি। সংস্কৃতি, শিল্প, সাহিত্যও কিন্তু আমি আর আপনি। একসময় এ দেশে কিছু জঘন্য প্রযোজক এসেছিলো, তারা সিনেমায় ময়ূরি ফয়ুরি নিয়ে এসেছিলো। সেই সব ভালগার সিনেমার দায়িত্ব কিন্তু তারা দর্শকের কাঁধে ফেলে দিয়েছিলো। তারা বলেছিলো, পাবলিকে এইসবই খায়।
সত্যি বলতে অসৎ লগ্নিকারী, পূঁিজবাদী সেয়ানা, কম প্রতিভার গোষ্ঠীবদ্ধ লোকেরা কিন্তু দিনশেষে আপনার আমার রুচির উপরেই হামলা করবে। বলবে আপনারা এগুলোই চান বলে তারা এগুলো উৎপাদন করে।
খেয়াল করে দেখুন, মনে করে দেখুন দু’এক যুগ আগেও আমাদের আদর্শ ছিলো শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, কবি-লেখক, বুদ্ধিজীবি প্রমুখগণ। আমরা তাদের মতো হতে চেয়েছি। আমরা স্বপ্ন দেখেছি বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবো, লেখক হবো, ডাক্তার হবো। আর সোস্যাল মিডিয়ার কারণে এখন বড় হওয়ার আগেই আমরা স্বপ্ন দেখি ভাইরাল হবো।
কিশোরী মেয়েটি যে কোনভাবেই হোক লাইক পেতে চায়, ডিএসএল আর ক্যামেরায় ছবি তুলতে চায়, মোবাইলে ফিল্টার চায়, নানা রকমের এ্যাপ চায়। দুবাক্য লিখতে না-শেখা ছেলেটিও বই ছাপা হওয়ার আগেই বুস্টিং করে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সোস্যাল মিডিয়া বহু অপ্রয়োজনীয় লোককেই বিখ্যাত করেছে আর বহু বিখ্যাত লোককে আড়ালে সরিয়ে দিয়েছে। ‘এটেনশন সিকার হোর’ (মনোযোগ আকর্ষণকারী বেশ্যা) নামের একটি প্রবচনই এখন তৈরি হয়ে গেছে। অর্থাৎ যে কেউ যে কোনভাবে মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতে থাকে।
আমরা হয়তো শুরুতে হাসি ঠাট্টা করি, তাদের নিয়ে মজা করি, কখনোবা প্রতিবাদও করি– আর এইসব করতে করতেই তারা ভাইরাল হয়ে যায়, বিখ্যাত হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার আর ফ্যান পেয়ে যায় তারা। আর আমরা একটা সময় ভাবতে থাকি, আমারও অনেক ফ্যান ফলোয়ার হবে, আমিও অনেক বিখ্যাত হয়ে যাবো। কিন্তু এই খ্যাতি কতোটা স্বাস্থকর আর স্থায়ী। চিনি যতো মিঠাই লাগুক, তা কিন্তু শরীরের জন্য বিষ।
সক্রেটিস অমর হয়েছেন হেমলক বিষ পান করে। জীবনানন্দ দাশ কিংবা ভিনসেন্ট ভ্যান গঁগকে সারা জীবন দিয়ে শিল্প সাধনা করেছেন। আর আমরা এখন ভিড়ের মধ্যে হৈচৈ করে মনোযোগ কাড়তে চাই। কয়েক বছর আগেও একটা আন্দোলন হয়েছিলো পাশ্চাত্তে, ‘স্টপ মেকিং স্টুপিড পিপল ফেমাস’ অর্থাৎ স্টুপিড লোককে বিখ্যাত বানানো বন্ধ করো।
এটা কিভাবে করা যায়? আমার বিবেচনায় সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো ইগনোর করা, অবহেলা করা। কেউ যদি স্টুপিড বা ইডয়টিক কিছু শেয়ার করে আপনি তা কেয়ার করবেন না। ভুলেও সেখানে লাইক দেবেন না, কমেন্ট করবেন না, ক্লিক করবেন না। হাবিজাবি পোস্টে গণহারে লাইক দিয়ে নিজের অভস্থান বা রুচিকে শস্তা করবেন না। মনে আছে তো, আরে দিনে বাসের গায়ে লেখা থাকতো ‘ব্যবহারেই বংশের পরিচয়’। এখন সময় এসেছে আপনার ফেসবুক ওয়ালে এটা লিখে রাখার। আপনি কীভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছেন, কাকে কি মন্তব্য করছেন, কার লেখা শেয়ার করছেন সেটার উপরে কিন্তু আপনার রুচির পরিচয় পাওয়া যায়।
আর কোনভাবেই টিভি, সংবাদপত্রকে মান নির্ধারক ভাববেন না। প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেল আর সংবাদপত্র কিন্তু একটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজই হলো বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রি করা, বিজ্ঞাপণ বাড়ানো, বিক্রি বাড়ানো, লাইক, শেয়ার বাড়ানো। আপনার রুচি বা মেধার বিকাশে তাদের ভূমিকা নেই। কারণ তারা কোন রিস্ক নেয় না। পরীক্ষিত এবং বাজারে চলছে যে মালটি সেটিকেই তারা প্রমোট করে, হাইলাইট করে।
আর আপনি কখনোই এটা ভাববেন না যে, প্রচলিত কথাবার্তা থেকে পিছিয়ে গেলেই আপনি পিছিয়ে যাবেন। এখানে আগানো পিছানোর কিছু নেই। আপনি নিজের রুচি আর মতামত প্রতিষ্ঠা করুন। দেখবেন আপনার চারপাশ এবং আপনার ভার্চুয়াল ও সোস্যাল মিডিয়াতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে। এখন সময় এসেছে স্টুপিড লোকদের আনফলো করার। তাদেরকে কিছুতেই প্রভাবশালী আর জনপ্রিয় হতে দেয়া যাবে না। শিক্ষিত আর রুচিশীল সমাজের এটা দায়িত্ব যে নির্বোধ আর ধুরন্ধরদের এড়িয়ে চলা। আমরা স্টুপিড নই, কাজেই আমরা স্টুপিডদের ফলো করবো না, তাদেরকে বিখ্যাত করবো না।
একবার ভেবে দেখুন এই সোস্যাল মিডিয়া না-থাকলে আজকের তথাকথিক সেলিব্রেটিদের অনেকেরই সারা জীবন সাধনা করতে হতো আপনার দোরগোড়ায় পৌঁছুতে। গান্ধিজীর সেই তিন বান্দরের কথা মনে আছে তো! বুড়া মাত শুন না, বুড়া মাত বল না, বুড়া মাত দেখ না। অর্থাৎ খারাপ কিছু দেখবো না, শুনবো না, বলবো না। এইটুক করতে পারলেই দেখবেন রাতারাতি ভাইরাল হওয়া তারকাদের হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। খারাপকে অস্বীকার করুন, অবহেলা করুন ¯্রফে। আর ভালোকে কেয়ার করুন, শেয়ার করুন। দেখবেন, আমাদের নিউজফিডে সুবাতাস বইবে।
ভালোবাসা সবাইকে।
যদি এটুকু পড়ে থাকেন, স্রেফ লাইক শেয়ার দিয়ে চলে যাবেন না। দয়া করে মন্তব্য করবেন এবং খুশি হবো যদি দ্বিমত থাকে, মতান্তর থাকে সেটিকে নির্দ্বিধায় প্রকাশ করবেন। ফাটিয়ে দিয়েছেন, সহমত, নাইস, দারুণ আর স্টিকারের সংস্কৃতি থেকে আসুন বের হই। একে অপরের ভালোকে ভালো বলি, মন্দকে মন্দ বলি। প্রকৃত বন্ধু তাই করে। ভণ্ডামি আর চামচামি বন্ধুত্বের লক্ষণ নয়। ফেসবুকের বন্ধুত্বকেও আসুন সত্য আর সুন্দরে সাজাই।
 
 
 
 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত