| 28 মার্চ 2024
Categories
উপন্যাস ধারাবাহিক সাহিত্য

ধারাবাহিক উপন্যাস: খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি (পর্ব-৩০)

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

পুলিশ অফিসারের কথা শুনে আমার টেনশন আরো বেড়ে গেল।

উনি যে মতলব এঁটেছেন তাতে যদি কাজ না হয়? ধরা যাক, আমি গেলাম বিপ্লবের বলে দেওয়া জায়গায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে কোনোকিছুই ঠিকঠাকমতো হলো না। আমি পৌঁছে গেলাম, কিন্তু আমাকে প্রটেকশন দেওয়া সাদা পোষাকের পুলিশেরা যথাসময়ে পৌঁছাতে পারলো না। আমি আশায় আশায় থাকবো যে, আমি এখানে নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, আমার আগে পিছে কেউই নেই!

হ্যাঁ, খুব হতে পারে এটা! সিনেমাতেও তো এরকম কত কী দেখা যায়! শেষমেষ ভিলেনের হাত থেকে বাঁচার জন্য নায়িকা একটা খুন করে বসে। আমার বেলাতেও সেরকম কিছু হতে যাচ্ছে না তো?

ইন্টারেস্টিং পরিস্থিতি! নিজেকে নায়িকা হিসেবে কল্পনা করছি ভেবে নিজের মনেই হাসি পাচ্ছে আবার ঘটনার সম্ভাব্য ভয়াবহতা কল্পনা করেও গা টা কেমন শিরশিরিয়ে উঠছে। অফিসার কাউকে জানাতে নিষেধ করেছে। আচ্ছা সে না হয় না জানালাম। হতে পারে একেবারে সিক্রেট একটা মিশন চালাতে চাইছে তারা। কিন্তু এই সময়টুকুতে আমি আমার মনের উত্তেজনা কীভাবে সামলাই!

এই পরিস্থিতিগুলোতে মনে মনে খুব কাছের একজনকে প্রত্যাশা করি। যার কাছে অকপটে নিজের উদ্বেগের কথা খুলে বলা যায়। আচ্ছা…সুমন কি আমার তেমন কেউ?

সুমনের চোখের স্বচ্ছ চাহনিতে আমি অন্য কোনো ছায়ার লুকোচুরি খুঁজে ফিরি। কখনোই যে সেটা দেখতে পাই না এমনটা বলবো না। কিন্তু সেই ছায়া কেমন যেন বড্ড চঞ্চল। ক্ষনিকের জন্য এসে আবার হুট করে কোথায় যেন হারিয়ে যায়! আমি যখনই সেই ঘোরলাগা ছায়াতে হাবুডুবু খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকি, তখনই বুদবুদের মতো তা হারিয়ে গিয়ে আমাকে অনিমেষ অন্ধকারের অতলে একটানে নামিয়ে আনে। আমি পথ হারা পথিকের মতো হাতড়ে হাতড়ে ফিরে আসি, যেখানে ছিলাম আবার সেই আগের জায়গাতে।

সুমনের কাছে সব কথা খুলে বলার জন্য গতকাল থেকেই মনটা আকুপাকু করছে। বিপ্লব কেমন রাত দুপুরে আমাকে ফোন দিলো…আর ফোন করে কী একটা মামার বাড়ির আবদার করে বসলো, এসব কথা ওকে না বলা পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিলাম না। পুলিশস্টেশনে না গেলে হয়ত এতক্ষণে বলেই ফেলতাম। কিন্তু পুলিশ অফিসারের নিষেধাজ্ঞাতে তো সেটা গুবলেট হয়ে গেল!

আমি যথাসম্ভব স্বাভাবিক দিনকাল কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। সেটা সম্ভব হচ্ছিলো না। মনের মধ্যে তুমুল বেগে ঝড় বইলে কি আর স্বাভাবিক থাকা যায়? তবু চেষ্টা তো আমাকে করতেই হবে!

বাসার অবস্থার কথা আর নাই বা বললাম। সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। নানীকে শক্তমনের একজন বাস্তববাদী মানুষ বলেই মনে হয়েছে এতদিন। এই প্রথম নানীকে একটু একটু করে নুয়ে পড়তে দেখছি। মাঝে মাঝেই হতাশার দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসছে তার ভেতর থেকে। বড়মামা কিংবা মামীর সামনে বুঝতে না দিলেও আমার কাছে মাঝে মধ্যেই এটা সেটা বলে ফেলছে ইদানিং।

সেদিন দুঃখ করে বলছিল, ‘এই ছেড়িটার জীবনে আর কী রইলোরে বল? ও যদি জেলখানা থেকে বেরও হইতে পারে, ভবিষ্যতটা কী নিয়া বাঁচবে? এমন শয়তান পাজি মেয়েরে কে বিয়ে করবে? সম্মানের একটা কাজ জুটাইতে পারবে না জীবনে। সারাটা জীবন মা-বাপের গলার কাঁটা হয়ে কাটাইতে হইবে!

এই বয়সে এমন দিন দেখাই বুঝি বাকী আছে আমার! তোর কপালে এক দুর্গতি আর এই সুরমার কপালে আরেক দুর্গতি। তোর দুর্গতির পিছে তোর হাত নাই, বাপ-মা পাজি হইলে তুই কী করবি? কিন্তু এই সুরমার কীসের অভাব আছিল বল আমারে? মায়া মহব্বত আদব লেহাজ কোনোকিছু কি তারে কম দেওয়া হইছে? হ্যাঁ যদি বলিস, বিলাসিতার ছড়াছড়ির কথা… তাইলে এই একটা জায়গাতে কিছু ঘাটতি আছিল। কিন্তু সে কি তাইলে এই বিলাসিতা পাওয়ার লোভেই এমন হয়ে গেল? নারে… এরে পয়সার বালতিতে চুবাইয়া রাখলেও যেই লাউ সেই কদুই থাকতো। ভুল করার জন্যই কিছু মানুষ জন্মায় বুঝলি রে বুবু!’


আরো পড়ুন: খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি (পর্ব-২৯)


খুবই চিন্তাদ্দীপক কথাবার্তা। এইজন্যই নানীকে এত ভালো লাগে আমার! আমরা যেটাকে বলি জীবনবোধ, সেই জীবনবোধ কিছু মানুষ কী অনায়াসেই না রপ্ত করে ফেলে! অথচ কত মানুষ আস্ত একটা জীবন কাটিয়ে দিয়েও এর দেখা পায় না। বড়ই অভাগা তারা। শুধু খায় দায় আর উচ্ছিষ্টাংশ টয়লেটে গিয়ে ফ্লাশ করে আসে। পাচকরসে জারিত হয়ে মগজের কোনো একটা বিশেষ সেলে সেগুলো বিন্দুমাত্র অনুরণন জাগাতে পারে না।

নানীকে সান্ত্বনার কথা শোনাতে পারি না। আমি নিজেই পথহারা পথিক। নানীকে কী সান্ত্বনা দিব? তবু ভাবনার ইতি টানতেই বলি, ‘যে যেমন ভাগ্য নিয়ে আসে নানী। তুমি কী করবা বলো তো?’

‘খালি কি ভাগ্যই রে বুবু? এরে কয় কর্মফল! বলতে পারিস খারাপ কর্ম করার ভাগ্য নিয়া আসছে।’

একদিন বড়মামাকে দেখলাম একটা কাগজে কীসের যেন হিসাবনিকাশ করছে।

কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম, ‘কী করছো বড়মামা?’ বড়মামা আমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে একটু কুন্ঠিত মুখে বললো, ‘সয় সম্পত্তির হিসাব নিকাশ করছিরে মা! হাতে কী আছে একটু খোঁজখবর করে রাখা দরকার। সামনে কী দিন অপেক্ষা করে আছে বলতে তো পারি না! এইসব মামলা মোকদ্দমা কতদিন ধরে চলে কিছুই তো জানি না। জামিন হবে কী না, হলে কত টাকা লাগবে কে জানে! এক মেয়ের পেছনে সর্বসান্ত হয়ে গেলে কীভাবে হবে? সুনেত্রার পড়ালেখা বিয়েশাদীর জন্যও তো কিছু আলাদা করে রাখা দরকার। নইলে আমার ঐ মেয়েটা তো একেবারে ভেসে যাবে!’

মামার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো। না জানি মামার কত কষ্ট হচ্ছিলো কথাগুলো বলতে! থেকে থেকে এত যে ক্রুদ্ধ একটা অভিমান জমা হচ্ছিলো সুরমার প্রতি! মেয়েটা কীভাবে এত বিবেকহীন একটা কাজ করতে পারলো?

এর মধ্যে একদিন সুবর্ণা আপার ফোন এলো।

মাঝখানের এত যে হাঙ্গামা গেল, সুবর্ণা আপা কিন্তু তেমনভাবে খোঁজ খবরই করেনি এতদিন! অথচ আগে দেখেছি দিনের মধ্যে দুই তিনবার করেও ভিডিও কল দিয়েছে। সেইসব ভিডিও কলে নিজের সুখ সাচ্ছন্দ্য আর স্বামী সোহাগের সে কী নির্লজ্জ শোঅফ! সুরমার ধরা পড়ার খবরটা শোনার পর থেকে সবরকম যোগাযোগই বলতে গেলে একরকম বন্ধ। সেদিন হঠাৎ কী মনে করে যেন আবার ভিডিও কলে সুবর্ণা আপা!

বড়মামা মামী কিংবা সুনেত্রা কারোরই কথা বলার মতো মানসিক অবস্থা নেই। সুবর্ণা আপা ফোন করেছিল বড়মামার ফোনে। বড়মামা দুই একটা কথা বলেই ছোটমামাকে ফোনটা ট্রান্সফার করে দেয়। ছোটমামা একথা সেকথা বলে আসল কথাকে কিছুক্ষণ আড়ালে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সুবর্ণা আপা তো যে কারণে ফোন করেছে তা বলেই ছাড়বে!

‘কী ব্যাপার চাচু! তোমরা এমন ভাব করছো যেন সবকিছু একেবারে স্বাভাবিক আছে! কোথাও কোনো সমস্যা নেই! বাবা তো কথাই বলতে চাইছে না! আর মা’র কী হয়েছে? মাও আমার সাথে কথা বলতে চাইছে না? কেন আমি কী দোষ করেছি? যা করার সব তো সুরমাই করলো! আচ্ছা চাচু, তোমাদের সবার প্রেজেন্সে ও এরকম একটা কান্ডজ্ঞানহীন কাজ কীভাবে করতে পারলো? তোমাদের জামাই তো আমার সাথে ঠিকমত কথাই বলছে না! জানো শশুরবাড়িতে আমি কতটা ছোটো হয়ে গেছি? সবাই কত ঠেস মেরে কথা শোনাচ্ছে আমাকে? ছি ছি! আমার মান সম্মান সব একেবারে ধুয়ে মুছে গেল!’

ছোটমামা ডাইনিং টেবিলে বসে কথা বলছিল। সেখানে আমিও বসেছিলাম। সুবর্ণা আপার কথাগুলো এত জোরে জোরে শোনা যাচ্ছিল যে, রান্নাঘর থেকে বড়মামী আর নানী এসে পড়লো। বড়মামী সুবর্ণা আপার সাথে কোনো কথা বললো না। চুপচাপ একপাশে দাঁড়িয়ে থাকলো। নানী এসে ফোনটা ধরে বললো, ‘সুবর্ণা কেমন আছিস রে বুবু? তুই কি এইসব কথা বলার জন্য ফোন দিছিস? তোর না আরেকটু বুদ্ধিশুদ্ধি আছিলো রে! বিয়ার পর কি সব ধুইয়ে খাইছিস?’

ওপাশ থেকে কিছুক্ষণের নীরবতা। আমি টানটান উত্তেজনায় স্থির হয়ে আছি। নানীর এমন কথা শুনে সুবর্ণা আপা কী বলে, সেটা শোনার জন্য আর তর সইছে না আমার। ফোনের ওপাশে সুবর্ণা আপার চেহারাটা না দেখতে পেলেও মুখভাবটা কল্পনা করতে পারছিলাম। অপেক্ষার প্রহর বেশিক্ষণ গুনতে হলো না। হঠাৎ একটা ফোঁসফোঁসানির আওয়াজ কানে ভেসে এলো।

‘হ্যাঁ…তোমরা তো শুধু আমাকেই কথা শোনাতে পারো! এত বড় একটা কাণ্ড হয়ে গেল! কেউ যেন দেখেও দেখতে পাচ্ছো না! আমার মান সম্মানের কোনোই দাম নাই তোমাদের কাছে… তাই না? শশুরবাড়ির লোকজন আড়ালে হাসছে আমাকে নিয়ে…জানো সেটা?’

নানী নির্বিকার গলায় বললো, ‘সেইটা তো বুবু এমনিও হাসার কথা! এত বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়া চললে আড়ালে লোকজন হাসবো না তো কী করবোরে বুবু?’

সুবর্ণা আপার ফোঁসফোঁসানির স্পিড দ্বিগুণ বেড়ে গেল। ছোটমামা কিংকর্তব্যবিমূঢ় চোখে নানীর দিকে তাকাচ্ছে। নানী ‘আচ্ছা এখন রাখিরে বুবু। আমরা তো অনেক আনন্দে আছি। এই আনন্দের মধ্যে তোর কান্নাকাটি শুনতে ভালো লাগতাছে না!’ এই কথা বলে লাইনটা কেটে দিলো।

নানীর এহেন কীর্তির পর সুবর্ণা আপা বলাইবাহুল্য আর ফোন দিলো না। বাসার কারো এটা নিয়ে তেমন একটা মাথাব্যথাও দেখা গেল না। আমিও বারকয়েক ভেবে ফেললাম, বড়মামার তিনমেয়েই এমন অদ্ভুত কিসিমের কেন? কারো সাথেই কারো মিল নেই। তিনজনই একেবারে ইউনিক!

এসব ঘটন অঘটনের মধ্য দিয়েই সময় বয়ে যেতে লাগলো। সেইদিনের পর বিপ্লব আর ফোন দেয়নি। আমি প্রথম কিছুদিন একটু আলগা টেনশনে ছিলাম। কিছুদিন যাওয়ার পরে মনে হলো, ঐ ছিঁচকে বদমাশটা আমাকে একটা ব্লাফ দিয়েছে মাত্র। একটু বাজিয়ে দেখলো, আমি কেমন বাজতে পারি! আমার সাথে দেখা করার হিম্মত জোগানো এই মুহূর্তে অত সহজ না! যতই বাঘের বাচ্চা মনে করুক নিজেকে!

কিন্তু আমার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে বিপ্লব আবার আরেকদিন ফোন দিলো।

সেই দিন আমি ক্লাস থেকে বের হয়ে রিক্সা খুঁজছি। হঠাৎ ফোন বেজে উঠতেই দেখি অপরিচিত নাম্বার। ছাতিফাটা রোদ উঠেছে। তার ওপরে একটানা ক্লাস করে মাথাটাও ঠিকমত কাজ করছে না। অপরিচিত নাম্বার দেখে বিরক্তি ধরে গেল। তবু রিসিভ না করে উপায় নেই। পরিচিত নাম্বারে অনাহুত কেউ ফোন দিলে এভোয়েড করা সম্ভব। কিন্তু অপরিচিত নাম্বার থেকে খুব জরুরি কোনো কল আসতে পারে। কাজেই এইসব নাম্বার থেকে ফোন এলে আমি সাধারণত কাটি না।

রিসিভ করতেই সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর। গা ঝলসে দেওয়া গলায় ওপাশ থেকে ভেসে এলো, ‘কী খবর গো সুন্দরী! দেখা করার ইচ্ছা নাই?’

আমি তখন স্থানকাল ভুলে ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। বুকের ভেতরটা ধুক ধুক করছে। তবু পুলিশ অফিসারের কথামত বেশিক্ষণ কথা চালিয়ে যেতে লাগলাম। উনি বলেছিলেন, বেশিক্ষণ কথা বলতে। তাহলে ফোনের লোকেশন ট্রেস করা সহজ হবে। ভেতরের ধুকপুকানি যথাসম্ভব আড়াল করে বললাম, ‘কী ব্যাপার? তুমি কেন আমার সঙ্গে দেখা করতে চাও? আমার কাছে কী দরকার?’

‘দরকার আমার না। দরকার তোমাদের বুঝলা? তোমার বোন তো আচ্ছামত ফাঁসছে। বোনরে বাঁচানোর ইচ্ছা নাই?’

‘ইচ্ছা থাকবে না কেন? কিন্তু তোমার সাথে দেখা করে কী উপকার হবে তাতে?’

‘দ্যাখো, ভালোর জন্য ফোন দিছি। এত গুমোর কিন্তু ভালো না! পালের গোদারে ধরতে পারলে সুরমার শাস্তি কম হবে বুঝছো? আমি সেই পালের গোদার সন্ধান দিব!’

‘তুমি কেন তার সন্ধান দিবা? তুমি নিজেই তো আরেক পালের গোদা!’

বিপ্লব এই কথায় খ্যাক খ্যাক করে হাসলো কিছুক্ষণ। তারপর বললো, ‘এইটা মন্দ কওনি সুন্দরী! তয় আমি ওখন  সেই পালে আর নাই! গ্যাঞ্জাম হইছে বাইর হইয়া আসছি! আসল টিকটিকিরে ধরাইয়া দিয়া আমি পগার পার হইয়া যাবো!’

‘বেশ তো! ভালো কথা! পুলিশের কাছে গিয়ে বলো সবকিছু!’

‘আরে মাথা খারাপ হইছে নাকি? এই বুদ্ধি লইয়া ডাক্তারি পড়ো? আমি কইয়া দিলে আমারে কি ছাইড়া দিব তোমার পুলিশ? যাইহোক দেখা করবা কী না কও!’

না বলার সুযোগ নেই কোনো। আমি লোকেশন জানতে চাইলাম। বিপ্লব সময় আর লোকেশনটা বলেই ফোনটা কেটে দিলো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত