| 20 এপ্রিল 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

তখনও, আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

নিঃসঙ্কোচে আসুন, ম্যাডাম, দয়া করে জুতাগুলো খুলে আসবেন, স্যার। তবে মাস্ক খুলবেন না কেউ। বোঝেন-ই তো, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয় নি। ওয়াচম্যান মুচকি হাসির ম্যাজিক মিশিয়ে সেনটেনসগুলো ডিফেন্ডারের মতো থ্রো করে আমাদের দৃশ্যাগমনে। আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও সব তো স্বাভাবিকভাবেই চলছে আপনাদের। গোলপোস্টে বল নিয়ে স্ট্যাইকারের মতো ঢুকতে ঢুকতে প্রতিত্তরে বলি আমি। এবার ওয়াচম্যান হো হো হাসির কসরতে গোল হজম করা গোলকিপারের মতো রাগটাকে হজম করে হেসে ওঠে। হো হো। ওয়াচম্যানের হাসি দেখেও আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

এটাকেই প্রফেশনালিটি বলে। আজকাল কাঁচাবাজার থেকে আরাম্ভ করে কর্পোরেট চাকরি অব্দি—সবখানে এই প্রফেশনালিটি না দেখালে পারফেক্ট হওয়া যায় না। যেমনটা পারফেক্ট হতে পারে নি রাফসান। একটার পর একটা চাকরি ছেড়ে এখন বেকার সে।

মেরিড বেকাররা নাকি ওয়্যাইফের কাছে ঘর-জামাইয়ের মতো মনে হয়। আমাকে সেদিন এ কথাটা বলেছিলো রুমঝুম। রুমঝুম মানে রাফসানের ওয়্যাইফ। ও এখানেই চাকরি করতো। টানা তিন বছরের চাকরি ছেড়ে দ্বিগুণ বেতনে ল্যাবইডে জয়েন করেছে তিনদিন আগে। তারই পরিচয়ের সূত্র ধরে এখানে এসেছি আমরা। আমরা মানে মিতা আর আমি।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রিশিপশনরুমে এসে বসি। রিসিপশনের ভেতর-বাইরে বড় বড় গ্রিন কালারের টাইমস নিউ রোমান ফন্টে বোল্ড করা সেনটেনসটা পড়ে এতক্ষণে হসপিটালের নাম সম্পর্কে আমরা অবগত হই। দ্য অ্যাবরশন হসপিটাল অ্যান্ড কলেজ। হসপিটালের নামটা খুব অদ্ভুত হলেও আমাদের কাছে অদ্ভুত লাগে না। আমরা এতে অ্যাস্টোনিশ হবার মতো কিছু খুঁজে পাই না। বিধায় এখানেও আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

মিতা তার লিটল মিরর বের করে মুখমন্ডলের অগোছালো ঠিকঠাক করতে করতে প্রথমবারের মতো হসপিটালে পলক ফেললো রূপোলি ইলিশের ন্যায়। পুরান ঢাকার এই এলাকাটা নাকি অনেকরকম অদ্ভতুরে কর্মকান্ড দিয়ে ভরা! রুমঝুমের কাছে শুনেছি, মিতা তার ঠোঁটে লিপস্টিক ঘষতে ঘষতে বলে। মিতার কথাতেও আমি অ্যাস্টোনিশ হই না। লিপস্টিক রক্তগোলাপের মতো গাঢ় হয়ে ওঠলে পুরুষচোখগুলো আরও দৃশ্যময় হয়ে ওঠে। তাতেও আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

বেশি করে পানি পান করুন। প্রস্রাবের প্রবল চাপ আনতে হবে। না হলে রিপোর্ট ভালো আসবে না। একজন সেবিকা মিতাকে একটা মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে গুঁজে দিয়ে বলে গেলেন। সেবিকার কথাতেও আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না। উল্টো সেবিকার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমিও মিতাকে তাগাদা দিই। মিতাও ভালো রিপোর্টের কাঙ্ক্ষায় বোতলে পানি শূন্যতা আনায়নের কাজে নেমে পড়ে।

মুখমণ্ডলে কোনো আর্ট না থাকলেও টাইট-ফিট বডির দুজন শ্বেতাঙ্গ সুন্দরী সম্পূর্ণ রিসিপশনটাকে রিমোট করছেন। এনারা এত টাইট-ফিট থাকেন কী করে—বয়স তো ত্রিশের উর্ধ্বে হবে! আমি মিতার কানে ফিসফিসানি ঢেলে বলি কিন্তু অ্যাস্টোনিশ হই না।

সবই জন্মনিয়ন্ত্রণের জাদু। এরা মেরিড কিন্তু আনচাইলড। মিতা আমার মনের মধ্যে সন্দেহ পুশ করে বলে। প্রথমে মিতার কথা বিশ্বাস হচ্ছিলো না কিন্তু বিশ্বাসও হয়ে যায়। আনম্যারিডও হতে পারে। মিতার সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে আমি বলতে চাই না কিন্তু বলেও ফেলি।

মিতার অনুমান কখনও মিথ্যে হয় নি। মিতা চ্যালেঞ্জ করে বলে। যেন তার কথা কোরআন-পুরাণের মিথ। ম্যাডাম—যদি কিছু মনে না করেন, তবে একটা কোয়েশ্চেন করতে পারি? পরে লজ্জাকে রিমোট করে স্বচ্ছ কাচের কাউন্টারে গিয়ে আস্তে করে সুন্দরীদের বলি। সিয়োর! অফকোর্স! প্লিজ-বাচক বিবিধ ইংলিশে ফ্রি ইমোশনাল মুডে অনুমতি দেন তারা।

আপনি কি ম্যারিড? না বলি, না বলি করে লজ্জাকে রিমোট করে আমি বলেই ফেলি। আমার কোয়েশ্চেন শুনে রিসিপশনে হাসির রোল পড়ে গেলেও আমি অ্যাস্টোনিশ হই না। ঘাবড়েও যাই না।

আমি অ্যাস্টোনিশ হই নি। মোটেও অ্যাস্টোনিশ হইনি। এটা আর এমন কী ব্যাপার। ইয়েস, অ্যা’ম ম্যারিড। গো টু ইয়োর সিট প্লিজ, স্যার। যাকে কোয়েশ্চেন করেছিলাম, সেই শ্বেতাঙ্গ সুন্দরী খুব উৎফুল্লতা উপলব্ধি করে বলেন।

আমি আগের মতো মিতার পাশে এসে বসি। দেখি, ওর চোখ আমাকে ভুলে টেলিভিশনের স্ক্রিনে চলে গেছে। মায়ের কাছে শুনেছি, মেয়েরা পুরুষের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলে তা আর সহজে ফেরে না। মিতার ক্ষেত্রেও তাই হলো। এত ডাকলাম, তবু তার চোখ ফিরলো না।

তার মনোযোগ নষ্ট না করে আমিও সেদিকে মনোযোগ দিই। ষাট ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশনটা ঝুলে আছে ডিজিটাল সাইনবোর্ডের মতো। যার জরায়ুতে কোনো চ্যানেল নেই। থাকলেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়তো অচল করে রাখা হয়েছে। কেবল হসপিটালের বিজ্ঞাপনে ভরা। বিজ্ঞাপনটা দেখেও চোখ ছানাবড়া হলো না আমার। চোখের পাতাগুলো একটুও পিতপিত করে কাঁপলো না। কারণ, আসার সময় এরকম অনেক বিজ্ঞাপন মাড়িয়ে এখানে এসেছি। বিজ্ঞাপনটা এরকম—

আপনি কী কনসিভ করেছেন? আপনি কি বেবি নিতে অনাগ্রহী? তাহলে আর নয় টেনশন। আজই চলে আসুন দ্য অ্যাবরশন হসপিটাল অ্যান্ড কলেজে। এখানে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা অ্যাবরশন করানো হয়।

আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না। মোটেও অ্যাস্টোনিশ হই না, আরেকটা বোল্ড ও ইটালিক করা ইয়োলো কালার সুতনি ফন্টের বিজ্ঞাপন দেখে। আমি ভালো করে চোখ কচলিয়ে দেখি, মিতা বিরবির করে বিজ্ঞাপনটা বার্তাকক্ষের সংবাদ উপস্থাপকের মতো পড়বার চেষ্টা করে।

আপনি কি চাকরিজীবী মা? আপনার কি একটা চাইল্ড? আপনি কি আর চাইল্ড নিতে চাইছেন না? আর নয় টেনশন। আজই চলে আসুন দ্য অ্যাবরশন হসপিটাল অ্যান্ড কলেজে। এখানে অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা স্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা হয়।

আমি মিতাকে আরও জোরে পড়তে বলি বিজ্ঞাপনটা। মিতাও লিলাবল থার্টি বাড়িয়ে দিয়ে জোরেজোরে পড়ে। আরে, বলুন বলুন। আপনি তো বেশ বলছিলেন। আমাদের দিকে বিনীতভাবে তাকিয়ে সেবিকা বলেন। আমি সেবিকার কথা শুনে অ্যাস্টোনিশ হই না। মিতা কিছুক্ষণের জন্য চুপ মেরে থাকে চিল্ড্রেন কেয়ার চাইল্ডের মতো। এসব এখন নিউটাল করার বিষয় নয়। মিউচ্যুয়ালের বিষয়। পরস্পরের সঙ্গে মিট করার বিষয়। অ্যাবরশন নামে আমাদের একটা ফেসবুক পেইজ আছে। লাইক-কমেন্টস করতে ভুলবেন না কেউ। রিসিপশনের একজন শ্বেতাঙ্গ সুন্দরী বলিউডের নায়িকাদের মতো বোতাম খোলা বুকের ভার দেখিয়ে বলে।

আমাদের আশপাশে যারা সমবেত ছিলো, তারাও দেখি খুব গুরুত্বসহকারে তার কথাগুলো শুনছে। ফিসফাস করছে। সাত ফিট দূরে থাকা কোনো এক ভদ্র মহিলা তো মিতার পাশে এসে আপন বোনের মতো বসে পড়লো । গড়পরতা একটা মিরাক্কেল হাসি দিয়ে রীতিমতো সীমা লঙ্ঘন করে বললো, আপনি মনে হয় অ্যাবরশন করতে এখানে এসেছেন?

জি-না-মানে হ্যাঁ। মিতা নিজের ভেতর গুঁটিয়ে না গিয়ে ফরোয়ার্ড বলে দেয়। আমি না শোনার ভান করে টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনগুলো দেখি আর ওদের কথা শুনি। রিসিপশনের শ্বেতাঙ্গ সুন্দরী হয়তো ভাবছে, আমি তাকে দেখছি। মূলত আমি তাকে দেখছি না। বস্তুত টেলিভিশনটা তাদের ডেস্কের উপরে সাইনবোর্ডের মতো ঝোলানো থাকায় এমনটা মনে হচ্ছে। আদতে তা নয়।

আমিও এসেছি। এসবের প্রয়োজন হতো না যদি আমি সঙ্গমের সময় প্রটেকশন ব্যবহার করতাম। এগুলোকে সীমা লঙ্ঘন না বলে বলি ভদ্রতা। মিতাও কেমন যেন লজ্জাকে রিমোট করে এসব ভদ্রতা শিখে গেছে।

পর্ণো নায়িকা জিয়ানার ফিগারের মতো ভদ্র মহিলা আস্তে আস্তে পারসনাল বেডরুমটাকে রিসিপশনে টেনে আনছে। সঙ্গমের সময় আমার ওসব ভালো লাগে না। তৃপ্তি আসে না। মনে মনে আমি বিব্রতবোধ করলেও অ্যাস্টোনিশ হই না। আশপাশে সমবেতদের দিকে চেয়ে দেখি তারাও বিব্রত নয়, বরং চরম উন্মুখতা নিয়েই মহিলার পারসনাল বেডরুমটাকে দেখছেন। মিতাও মিশে গেছে তাতে দ্রবণের মতো। আমারও ভালো লাগে না। প্রোটেকশনকে মাঝেমধ্যে মনে হয় অতৃপ্তির দেয়াল। তার চেয়ে ডিরেক্টলিই যুৎসই। সোনায় সোহাগা। আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

এতক্ষণে মিতার কল আসে আল্ট্রারুম থেকে। মিতাকে আল্ট্রারুমে ঢুকিয়ে আমি এসে ইনডোরে দাঁড়াই। আমাকে দাঁড়ানোবস্থা থেকে পাশের কর্পোরেট কক্ষে নিয়ে থিতু করেন কোনো এক ভদ্র মহিলা। দাঁড়ানোবস্থা  বিদঘুটে দেখাচ্ছিলো! বিধায় আপনাকে এখানে নিয়ে এলাম। অ্যাডমিন ম্যানেজারদের কাজবাজ কম থাকায় আপনাদের মতো আগন্তুকদের সঙ্গে গল্প করবার ফুসরত জোটে।

নাইচ টু মিট ইউ। আমি একজন উন্নয়ন কর্মি। একটা এনজিওতে সার্ভিস করি। আমি অ্যাস্টোনিশ না হয়ে বলি। তো চা না কফি খাবেন? ভদ্র মহিলা ভদ্রতার খাতিরে অফার করেন আমাকে। আমরা কফি খেতে খেতে কথা বলি।

আসলে এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের দেশে ষোলো সতেরো কোটি মানুষ অনেক বেশি মনে হয়। এখন এটাকে নিয়ন্ত্রণের সময় এসে গেছে। সেটা নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকারও আমাদের সঙ্গে আছেন। মন্ত্রণালয় থেকে সেরকম নির্দেশনাও দেয়া আছে। বিধায় আমাদের কাছে যারাই আসে, আমরা তাদেরকেই বলি—

‘ছেলে হোক, মেয়ে হোক,

একটি সন্তানই যথেষ্ট।’

‘ছেলে মেয়ে না হলে আর,

আরও সুখি হবে পরিবার’

আমি হাসতে হাসতে বলি কিন্তু অ্যাস্টোনিশ হই না। ওদিকে মিতার রিপোর্ট এসে গেছে। রিপোর্ট হাতে সে আমাকে ডাক দেয়। চলো, রিপোর্টটা মৌসুমি ম্যাডামকে দেখিয়ে আসি। আমি ম্যানেজার অ্যাডমিনকে বায় বলে মিতাকে নিয়ে মৌসুমি ম্যাডামের চেম্বারের কাছে আসি।

পেশেন্ট কম থাকায় বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় না। দু’তিনজনের পরেই মিতার সিরিয়াল আসে। সিরিয়াল নম্বর সিক্সটি। মে উই কামিং বলে আমরা চেম্বারে প্রবেশ করি। আজকাল বাইরে দু’একটা ইংলিশ সেনটেনস বা ওয়ার্ড না বললে নাকি সভ্যতা থাকে না। বিধায় এরকম বিশেষ কোনো প্লেইসে এলে বিশেষ লোকদের সঙ্গে টুকটাক ইংলিশ ভাষার হুলি খেলি আমরা। এটাই নাকি স্যোসাল। আমরা স্যোসালিজম বজায় রেখে চলি।

আরে, আসুন আসুন-বসুন। খুব হাস্যোজ্জ্বল সম্মোহনে আমাদের বসতে বলেন গাইনোকোজিস্ট ডাক্তার মৌসুমি কবির।

মিতা গ্রিন কালারের নিউ টাইমস রোমান ফন্টে বোল্ড করে লেখা দ্য অ্যাবরশন হসপিটাল অ্যান্ড কলেজের হোয়াইট খামবন্দি রিপোর্টটা ডাক্তারের সামনে এগিয়ে দেয়।

আলোচনার ফাঁকে খাম থেকে রিপোর্টটা বের করে চমশার ভেতর থেকে বড় বড় চোখ করে পর্যবেক্ষণ করেন ডাক্তার। তিন চার মিনিট অতিবাহিত হবার পর মাই গড বলে আমাদের অ্যাস্টোনিশ করবার কসরত করেন তিনি! আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।

আপনারা তো অনেক লেট করে ফেলেছেন। এখন ওটা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। তিনি আরেকবার আমাদের অ্যাস্টোনিশ করবার কসরত করেন। আমরা এবারও অ্যাস্টোনিশ হই না। আসলে সব জেনেই আমরা এখানে এসেছি। মিতা ভয় পায় না। এই নিয়ে তার তিনবার হবে। আমি একটু রিস্কি ভাবলেও ডাক্তার ও মিতা মিলে আমার ভয়ার্ত মেঘগুলো উড়িয়ে দেয়। তারপর আমরা সমবেতভাবে মিহিন সুরে হেসে ওঠি। হা হা হা। কারণ, আমরা অ্যাস্টোনিশ নই।

আমার কিচ্ছু হবে না। মিতা জোর দিয়ে বলে। এটা কোনো ব্যাপার না। আমাদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা একটা নরমাল বিষয়। ডাক্তার গ্যারান্টি দিয়ে বলেন। তিনি আরও বলেন, একমাত্র আমরাই এখানে এই সেবায় অন্যান্য হসপিটাল ক্লিনিকের চেয়ে এগিয়ে আছি। কিছুদিন আগে নাম না জানা কোনো এক হসপিটালের এই বিষয়ে অভিযোগ এনে একটা অসরকারি টিভি-চ্যানেল রিপোর্ট করবার পরে আমরা আরও কনসেন্স হয়েছি। আর আমাদের কাছে স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটি থেকে কতো মেয়েরাই তো ডেইলি আসছে। আপনার নামিদামি মডেল তারকা থেকে শুরু করে সিনেমার হট নায়িকারাও আসেন। এই তো, গেলো রোববার নায়িকা নুসরাত এসে করিয়ে গেলেন।

তবু আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না। নরমাল থাকি। খুব নরমাল। আর ভাবি, এটা কোনো বিষয় হলো। ডেট ফিক্সড করে হসপিটাল থেকে বেড়োবার সময় দেখি—একটা প্রাডো প্রাইভেটকার ঢুকছে সেক্সি হরিণীর মতো।

স্যার, সড়ে দাঁড়ান। নায়িকা মাহি ম্যাডাম এসেছেন। ওয়াচম্যানের কথাতেও আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না। নরমাল থাকি। খুব নরমাল। ওটার আগে আজরাতে ঢালিউডের একটা কাটপিস শো হবে, স্যার। রিক্সায় উঠে মিতা আমার কানে ফিসফিসানি ঢেলে বলে। আমি হা হা করে হেসে চালককে রিক্সা ছাড়তে বলি।

তখনও, আমরা অ্যাস্টোনিশ হই না।   

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত