বারীন ঘোষালের কবিতাগুচ্ছ
আজ ০৪ ডিসেম্বর কবি,সম্পাদক, প্রাবন্ধিক, চিন্তক ও ‘নতুন কবিতা’র তাত্ত্বিক বারীন ঘোষালের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবারের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কুমারী পদ্য
কুমারী পদ্য থেকেই একদিন ছায়া তুলে বেরিয়ে এল পদ্ম
তাকে আমরা কমল বললাম
অক্ষর রক্ষা করে তাকে
খেলতে খেলতে কলম করে
বাঁশিটাকে উল্টো করে বাজায়
কাম খোলা ধেনুরা মেঘ চড়ায় পৃথিবীর কাশে
#
পদ্যের কুমারী থাকা কত স্কুলপাঠ্য কঠিন
তাকে আর মেঘদূত পড়াতে হল না
রিংটোন কার্সার ডিস্কো নিয়ে পল্লীর বাইরে যায় সে
তার খালি জায়গাটায় বাতাস ভরে হু-হু করে
যেমন রেলগাড়ি শব্দটাই চলতো কু-ক’রে
চূড়োয় বিজন
বিজনে টোস্ট
টোস্টের গ্লাস তোলা ফোলা
গেলাসে ধরে না এত
বন্যার জল উল্টে আকাশে বৃষ্টি ওঠে খুব
অমাবস্যা
জল চলে গেছে
তারা চলে গছে
তবে এখানে পারানি ভুলে আশায় কাঁপছে কারা
হাওয়া কী
আজ কেমন করে গাইবে নদীটিকে
গানের ফিরিয়াগুলো ডাক নামে ডাকে
কত পুরনো দিনের আলো আজ সূর্য হল
পুরনো দিনের বারীন
বেড়ালের পথে শ্রডিঞ্জার
পাখিদের পথে ইন্দ্রনীল
ফিল
ভুলভুল করছে
দৈর্ঘ ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে যখন
তার থমকে যাওয়া পাগমার্ক
ডগমগ করছে অমানো বেশ্যায়
থমথম করছে অমাবস্যায়
আর আমি আর কাটা আর কুটি আর খেলবো না
অপশন অপশন
সাদা গন্ধের ফুল
স্ত্রীমায়া ফোটানো বাড়ি
স্বপ্নের আইপড
ঘুমপাড়ানীর ফেউ
পরেরটি
শূন্যের উল্কি লটকানো
দুজনের ভেজা কাপড় বদলানো হচ্ছে
বাইরে :: — ট্রাফিক জ্যাম – ব্যাকফায়ার – লাল ধোঁয়া — গোধূলি
ভেতরে :: — রান্নার প্ল্যান – ফুল আঁকা পোছা – টেবিল – আয়নারা
অপশন অপশন
একটি যুবক চাই একটি যুবতী
কীভাবে মরুকগে মরুগা থেকে গামরু বেরিয়ে এল
সরুপথের শব্দসব
এই যে মোমালো রিয়ার রসিকতা
নবী নবীন ধানসিড়ি রঙ
সূর্য
লিখে যাচ্ছি সেইসব যা যা থাকবে না
কবিতা একটি প্রণালীর নাম
কবিতা প্রণালীর মধ্যে গড়িয়ে এল কবেকার প্রাম
প্রেম
কোনটানে এসেছে যাদুঘরের দরজায় সুন্দরীকে
সুন্দরীদের যাঃ
যাদুঘরের ভেতরে ওদের মানামানি
একটা পুলিঙ্গ নিয়েই সারাজীবন কেটে গেল হে
বায়ুবিনা বীণা
পললের পল পলকের হাস মুখের পাতায়
দেয়াল নেই
ফ্রেমটা নতুন প্রেমের খোঁজে
চাঁদ নেই হারেরেম গুরুম চাঁদমারি
মরবে এবং মারবে দুজনেই ভিনয়ে মানুষ
তোমার কি মনে হয় একদিন ট্রামরাও যাদুঘরে
এখন আষাঢ় চলুক
কবিতা প্রণালীর রক্তে বানের রূপক
রূপম হয়ে যাক
নাকবিতা
ফটোগুলো পথে ঘাটে ফেলে দেয়াল সরে পড়েছে
সেখানে আর দেয়াল আঁকা নেই
সবাই কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে অচেনা লোকাল পাখির ছবি
স্বপ্নচোর হুরপরী
কঙ্কালের মেয়েও চলে গেল
সূর্যপাপাত রূপক হয়ে ঝরেছিল সেদিনের লিঙ্গল্পে
না রে না না দু’টি কলি দুই কলি
সেটি গাও দুই মাত্রা
সাজানো
সেই গানানের ইকুয়াল মিউজিকে গাইতে রহো দিন দাহারের টপ্পা
রুকস্যাকে রাত্রি ভরে হাঁটতে গেল তাই আমাদের নৈশ ট্রেন
ট্রেন ভরা বাড়ির কথা কারা কয়
নিশাচর কথামালার সার্কাস পেরিয়ে
হিম ঝিম পার হয়ে দুটি রমিত লাইন চুপ করে শুনি
পাহাড়ে একায়েক পায়ের শব্দ ফিরে আসছে কী করে
অনেকের একা
একায় অনেকে
পিঠের পিছনে তা’লে নাকবিতা কি নাই
পরিবর্তন
বারিপাতে স্বপ্ন আর স্বপ্নে বারিপাত
নেট আর নোডের ফারাক বরাবর
যেমন প্রথমবার যাঃ ইউরেকা
আমার আমার আমার
ফুটে উঠেছে জেটের ধোঁয়া মৃদু
সুদূর
নীলদূরগুলি শোকমান লাগে কেন
শহীদ শোকেরা আলো হয়ে গেছে মন্তরে
মেয়েধরা ফ্যালিক ছেলেদের লাজুক আলো এখনো টিপটিপ করছে
সেই টিপের স্বাদ লেগেছে
কপালে কেমন লাগে গো
কোথায় এক অমেঘ পরিবর্তন
আমাদের বর্তনে
মেঘরাগে
ফুটপাতে বসে বাজায় কাহারা
