| 29 মার্চ 2024
Categories
গীতরঙ্গ

এক মলাটে শিমুলপুরের আশ্চর্য ফুল বিনয় মজুমদার । শৌনক দত্ত

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

আমার আশ্চর্য ফুল, যেন চকোলেট, নিমিষেই

গলাধঃকরণ তাকে না ক’রে ক্রমশ রস নিয়ে

তৃপ্ত হই, দীর্ঘ তৃষ্ণা ভুলে থাকি আবিষ্কারে, প্রেমে।

অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে

জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে, কাকে বলে নীল-

আকাশের হৃদয়ের; কাকে বলে নির্বিকার পাখি।

তিনিই আবার জীবনানন্দীয় ‘নক্ষত্রের আলোয়’ পথ চিনতে চিনতে নিজস্ব বোধির মুখোমুখি হয়ে বুঝে নিয়েছিলেন ‘মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়’।

কবিতার অবয়বে তিনি বার্মায় কাটানো ছেলেবেলার ধূসর স্বপ্নমালা, উদ্বাস্তু হয়ে জল্লাদবাহিনীর চোখ এড়িয়ে এপারে আসার দুঃস্বপ্নের জ্বালা, চাকরির মুখে ছাই দিয়ে কবিতাসর্বস্ব জীবন বেছে নেওয়া—এসবই কবিতায় এসেছে নানান প্রতীকে, এমনকি কখনও কখনও তা যৌনতার প্রতীকেও ধরা দিয়েছে। ভাঙা সময়ের বুকে নখের আঁচড় কেটে বলেছেন–

‘ভালবাসা দিতে পারি, তোমরা কি গ্রহণে সক্ষম?

লীলাময়ী করপুটে তোমাদের সবই ঝরে যায়—’

কলকাতায় তখন ষাটের দশক কবিদের ঠোঁটে ঠোঁটে রটছে ‘আরও কবিতা পড়ুন’। হঠাৎই রাস্তায় বড় বড় মিছিল যায়, ব্যানারে-ফেস্টুনে লেখা থাকে- ‘আরও কবিতা পড়ুন’। সকল উত্তাল আড্ডায়, কফি হাউজে বিষয়বস্তু হয় রাজনীতি, নয় সাহিত্য। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছেলে মেয়েরা জটলা পাকিয়ে কবিতা আওড়ায়, পাঠক আকৃষ্ট করে। তাদেরই একজন তরুণ বলে-

আমি এখন যা লিখছি সে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক। তার মানে ভবিষ্যতে আমার কবিতা ছাত্রছাত্রীরা পড়তে বাধ্য হবে। সেহেতু আমার এখন কোনো পাঠক না হলেও চলবে।

সেই তরুণ গণিত নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়তে এসে ‘হদয় অবাধ্য পুরুষের’ মতো প্রেমে পড়েছিলেন,  আর তারপরই এই গণিতবিদের নবজন্ম হল ‘বাল্মীকির কবিতা’য়।

তিনি কবিতায় আনলেন গণিতকেও। দেখালেন গণিতসূত্রও কবিতা হয়ে উঠতে পারে।হাংরি জেনারেশন আন্দোলনে উলটপালট করে দিলেন কবিতার ভাষা। তারপরেও তিনি বলেন–

‘কবিতা বুঝিনি আমি; অন্ধকারে একটি জোনাকি

যৎসামান্য আলো দেয়, কোমল আলোক–‘ এতটাই বিনয়ী তিনি।

তাঁর কবিতায় যৌনতার অনুষঙ্গ ও আখরগুলিকে অস্বীকার করেননি, আবডাল খোঁজেননি। এক্ষেত্রে তাঁর সতীর্থ নবারুণ ভট্টাচার্যের কথা মনে আসে, তাঁর কবিতার কথা। লোকনাথ ভট্টাচার্যের কথা। বিশেষ করে ভুট্টা সিরিজের কবিতাবলি। যৌনতাও তো নতুন না কবিতায়। তবে তাঁর প্রকাশভঙ্গি নতুন, তাতেও থাকে ভাঙা সময়ের অন্বেষণ। সেখানেই কবির কৃতিত্ব। সেই তরুণের নাম বিনয় মজুমদার, ষাটের দশকের বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সাড়াজাগানিয়া কবি। কালজয়ী ধ্রুপদী কবিতায় যিনি লিখলেন ‘আমি তো চাঁদ নই, পারি না আলো দিতে/ পারি না জলধিকে আকাশে তুলতে।/ পাখির কাকলির আকুল আকুতিতে/ পারবো কি তোমার পাপড়ি খুলতে?’

বিনয় মজুমদার তার কবিতায় অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। দর্শনের চর্চা করেছেন। খুঁজে ফিরেছেন বিজ্ঞানীর মতো, ধ্যানীর মতো সবকিছু থেকে উদ্ধারের পথ। তিনি কবিতায় সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আবার প্রশ্নের উত্তরও খুঁজে ফিরেছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতার ভূমিকা নিয়েছেন।

অনন্য সেই কবি বিনয় মজুমদারকে নিয়ে সাম্প্রতিক একটি বই হাতে পেলাম ‘এক আশ্চর্য ফুল বিনয় মজুমদার’। বিনয় মজুমদারের জীবন ও কর্ম নিয়ে দুই বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্য ব্যক্তিত্বের কথামালা, স্মৃতি-বিস্মৃতি ও বিশ্নেষণ নিয়ে প্রকাশিত এই সংকলনটিকে বলা যায় বিনয় মজুমদারকে নিয়ে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্রকাশনা। দুই বাংলার বিনয় প্রেমীদের জন্য একটি দুর্লভ বই। বাংলাদেশের কবি ও সম্পাদক এহসান হায়দার এবং পশ্চিমবঙ্গের স্নিগ্ধদীপ চক্রবর্তীর যৌথ সম্পাদনায় নির্মিত এ আয়োজনটি সংগ্রহ বৈচিত্র্য এবং সম্পাদনা শৈলী উভয় দিক দিয়ে নিঃসন্দেহে একটি ঋদ্ধ সংকলন।

৮১৭ পৃষ্ঠার প্রাইম সাইজের এই বইটিতে- বিনয়ের জীবনী, বিনয় ও বিনয়ের কাব্যজগৎ নিয়ে- বিনয় কথকতা, বিনয়কে নিয়ে চিত্রনাট্য, বিনয়কে নিয়ে আলাপচারিতা, বিনয়ের কবিতাকে চিত্রশিল্পীরা দেখেছেন রং তুলি তে-এঁকেছেন চিত্র, বিনয়ের কবিতার অনুবাদসহ রয়েছে-অপ্রকাশিত ও অগ্রস্থিত বিনয়ের কবিতা, গল্প, গদ্য, ছড়া, লিমেরিক, জ্যামিতি, বীজগণিত ও আঁকা। আর বিশেষ উবাচ অংশে লিখেছেন- গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, কবি আল মাহমুদ, চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল-সহ প্রমুখ গদ্যকার।

গ্রন্থটির সুদৃশ্য জ্যাকেট খুলতেই (কাপড়ের জেল) হার্ড বাইন্ডিং চোখে পড়ে, চমকে যেতে হয় বাঁশপাতার কাগজে পুস্তানির স্ক্রিনপ্রিন্টের নতুন সজ্জা দেখে। সূচিপত্রে রয়েছে নতুনত্ব, বইয়ের প্রতিটি চ্যাপ্টার দেখতেই শুরুতে চোখে পড়বে হ্যান্ডমেড পেপারে বিনয়ের একটি করে ভিন্ন ভিন্ন চিত্রকরের আঁকা চমৎকার পোর্ট্রেট, প্রতিটি লেখার শুরুতে রয়েছে- মোটিফ, এছাড়া পৃষ্ঠাসজ্জায় লক্ষ্য করলে মিলবে- অঙ্গ সজ্জার নব দক্ষতা।

দুই সম্পাদক এহসান হায়দার ও স্নিগ্ধদীপ চক্রবর্তীর সম্পাদকীয়র পরেই সূচিপত্র। বিনয় মজুমদারের জীবনী জীবন কথা দিয়ে বিনয়ে ডুব দেয়ার শুরু জানা অজানা বিনয় কে নতুন করে জানার ডুব সাঁতার।

অদ্রীশ বিশ্বাসের প্রবন্ধ বাল্মীকির কবিতা: যৌনতার ভাষ্য নির্মাণ দিয়ে শুরু হওয়া বিনয় কথকতায় অদ্রীশ বিশ্বাস বাল্মীকির কবিতা ও বিনয়ের ভূট্টা সিরিজের কবিতাগুলোয় যৌনতার শৈল্পিক বিনির্মাণ অনুসন্ধান করেছেন। শৈলেশ্বর ঘোষ ১৯৭০-অক্টোবরে নিষাদ তিনে লিখেছিলেন-”খালাসিটোলার টেবিলে। আমার ও বিনয়ের। বিনয় সেখানে উচৈ:স্বরে কেঁদে উঠেছিল। বিনয়ের মা বিনয়কে অবৈধপুত্রের মতো পথে ত্যাগ করে চলে গেছে।”

বিনয় মজুমদারের কবিতা ও তার কাব্যমান, বিশেষত্ব, তার কবিতায় জীবনানন্দ কিংবা অন্য কবির কবিতার প্রভাব এবং কবিতায় যৌনতা, অশ্নীলতা,ব্যক্তিজীবনে প্রেম ও মানসিক ব্যাধি ইত্যাদি নানান বিতর্ক এই কবিকে ঘিরে ছিল সবসময়ই – সেইসঙ্গে সমানতালে এগিয়ে গেছে ব্যক্তি বিনয় ও তার কবিতার প্রতি ভালোবাসাও। কবি বিনয় মজুমদারকে আবিস্কারের এবং দেখার নানান ভঙ্গি ও প্রত্যক্ষ বিনয়কে নিয়ে বিচিত্র কথকতা আছে এই সংকলনটিতে।

সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন,”কীভাবে সমস্ত,বিমূর্ত ধারনাগুলো ভেঙে তাদের মূর্ততার দিকে এগিয়ে যান বিনয়-তাঁর কবিতায় সেটাই আমি বিশেষত লক্ষ করি। মনে হয় যে শীতের অপরাহ্নে আপন পত্রমোচন করছে একটি বিনীত বৃক্ষ। তার নামও বিনয়।”

ঋত্বিক কুমার ঘটক মানেই ব্যতিক্রম ভাবনা ও দর্শন, তাঁর দেখায় ও পড়ায় বিনয়ের এক অন্যরূপ ধরা পড়ে, যখন তিনি লিখেন,” উপমাকে, চিত্রকল্পকে পরিশীলিত রুচিতে নিয়ন্ত্রিত করে নির্মাণের চিহ্ন আজ কোথায়? বিনয় মজুমদার ক্রমশ থেকে যাবেন।”

উৎপলকুমার বসু লিখেছেন, ‘আমরা ষাট পেরিয়েছি। সুতরাং ত্রিশ-চল্লিশ বছর কাটল মাত্র। মনে হয় কত হিমযুগ, কত পর্বত নিক্ষেপ, কত জীবাশ্মের স্তরীভবন দেখলুম যেন। মানচিত্র পাল্টাচ্ছে এবং মহাদেশগুলো নতুনভাবে, নব সমুদ্রচিহ্নে, অপরিণত ভূগোলে এবং সদ্য-আবিস্কৃত মরু-মেরু-অরণ্যে চিহ্নিত হচ্ছে। বিনয় মজুমদার বাংলা কবিতায় তেমনই এক অস্থির ভূপ্রকৃতির অংশ।’ বাংলা কবিতায় সত্যিই তিনি কী তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা থাকলেও কবির এ অস্থিরতা তার জীবন জুড়েই বিরাজমান। এ কথা তার প্রেমিক মাত্রই জানেন। এবং তার এই অস্থির জীবনকে তারা ভালোবাসেন।

আর তাই হয়ত অমিতাভ পাল রিফাত চৌধুরীর মতো সেই সময়ের তরুণ কবি তাচ্ছিল্য করতে পেরেছেন সীমানার কাঁটাতার কিংবা এহসান হায়দার, সায়ন্ন্যা দাশদত্ত, স্নিগ্ধদীপ চক্রবর্তীর মতো সমসাময়িক কবিরা আতশ কাঁচে খুঁজে ফেরে অনন্য এক বিনয়কে তাঁর কাব্যমানে।

বিনয় মজুমদারকে নিয়ে শামসুর রাহমানের যে রচনাটি এ সংকলনে স্থান পেয়েছে- ‘মেধাবী ব্যক্তি, অসামান্য কবি বিনয় মজুমদার’ শিরোনামের নাতিদীর্ঘ সে রচনাতেও বিনয়ের কাব্য প্রতিভা সম্পর্কে দ্ব্যর্থবোধক নানা কথা রয়েছে। বিনয় মজুমদার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শামসুর রাহমান বলছেন, ‘বিনয় মজুমদারকে আমি কখনো দেখিনি, অর্থাৎ তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। শুধু তাঁর ছবি দেখেছি, বেশ কিছু কবিতা পড়েছি। বিনয় মজুমদারের ফিরে এসো, চাকা কাব্যগ্রন্থটি কয়েক বছর আগে কিনে পড়েছি। বিনয় বয়সে আমার কয়েক বছরের ছোট, কিন্তু কবি হিসেবে ছোট নয়। তারপরে পঙক্তির উদ্ধৃত করে আলোচনা করেন। আমিই গণিতের শূন্য বইটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি লিখেন- এই বইয়ের কবিতাগুলো অনেকের কাছে কবিতা হিসেবে গ্রাহ্য না-ও হতে পারে। কিন্তু আমি তাঁদের সুরের সঙ্গে সুর মেলাতে নারাজ।’ তারপর ওই কাব্যগ্রন্থেরই ‘প্রদীপ এসেছে ঘরে’ শীর্ষক কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে শামসুর রাহমান বলছেন, “পঙ্‌ক্তি ক’টি পড়লে মনে হতে পারে যেন আমরা একটি বিবৃতি পড়ছি। কিন্তু কোনো কোনো বিবৃতিও কবিতা হতে পারে, যেমন বিনয়ের এই পঙ্‌ক্তিমালায় কবিতার স্বাদ রয়ে গেছে।”

শিবেন মজুমদার এবং হাসির মল্লিক লিখেছেন স্মৃতি গদ্য। বিনয় মজুমদার কে নিয়ে লেখা দশটি কবিতা সংকলনটিতে ভিন্নমাত্রা সংযোজন করেছে। কবির তিনটি আকর্ষণীয় সাক্ষাৎকার আছে। আছে আরও তিনটি ‘আলাপচার’। যেখানে স্থান পেয়েছে কবিকে নিয়ে বেলাল চৌধুরীর সঙ্গে সম্পাদক এহসান হায়দারের আলাপচারিতা ‘প্রকৃত কবিতা তোমায় আপনাতেই টানবে’।

বিনয়কে নিয়ে নুরুল আলম আতিকের ‘গায়ত্রী সন্ধ্যায়’-এর চিত্রনাট্য ভিন্নতার ছোঁয়া দেয়। সংকলনে স্থান পাওয়া কবির আত্মকথন মূলক পাঁচটি গদ্য-রচনা পাঠককে মুগ্ধ করবে। যেমন বিস্মিত করতে পারে বিনয় মজুমদারের অপ্রকাশিত গল্প, গদ্য, কবিতা, ছড়া, লিমেরিক, চিঠি, জ্যামিতি ও বীজগণিত এবং তার নিজের আঁকা ছবিগুলো।

স্থান পেয়েছে জয় গোস্বামী, কালীকৃষ্ণ গুহ, বিজয় সিংহ, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, আহমদ ছফা সহ বর্তমান প্রজন্মের বহু কবি ও কথাশিল্পীর বিনয় ভাবনা। আছে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের ‘কবিতার নিজস্ব পুরুষ’, মীনাক্ষী দত্তের ‘দীর্ঘদিন বিনয়ের সাথে’।

এ সময়ের সাহিত্যিকদের মধ্যে রয়েছে রবিশংকর বল, মুজিব মেহেদী, সঞ্জয় সরকার, মৃদুল দাশগুপ্ত, জহর সেনমজুমদার, প্রমুখের রচনা।

বিগত ৫ বছরের প্রচেষ্টার ফসল এই বই। যার মধ্যে দিয়ে নতুন ভাবে কবি বিনয় মজুমদারের কবিতার জগত কে জানা যাবে। জানা যাবে তাঁর জীবন-কর্ম একটি বিস্ময়। যারা কবিতা ভালোবাসেন শুধুমাত্র তারা নয়- বইটি অন্যদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ বিনয় শুধু কবি নন, তিনি একজন গণিতজ্ঞও। বিনয়ের সমাজ ভাবনা, কাব্যভাবনা সাধারণকেও চমৎকৃত করতে পারে, আকৃষ্ট করতে পারে- তার কবিতার শব্দ চয়ন এবং বিনয় দর্শনের গভীরতা।

হইয়াও হইলো না শেষ। সমস্ত সৃষ্টিতেই কিছু খামতি থাকে আর সেটা নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। নিঃসন্দেহে বিনয় মজুমদার নিয়ে দারুন সংগ্রহ এটি, কয়েক বছর আগে কলকাতা থেকে ও এমন একটি সংগ্রহ হাতে এসেছিল। তার চেয়ে এই সংকলনের ব্যাপ্তি অনেক বিশাল। এই সংকলনে সব আছে বিনয়ের লেখা ঝুমুর গান নিয়ে কোন কিছুই দেখলাম না। নতুন বিষয়ে নতুন ভাবনায় কিছু প্রবন্ধ লেখানো যেতো, প্রায়শই দুই বাংলার নবীন কবি ভাবনায় বিনয় মজুমদার কে আবিস্কারের লেখা চোখে পড়ে যার প্রাচুয এই সংকলনে খুব কম, সমসাময়িক কবি ভাবনায় বিনয় ও বিনয়ের কবিতা জীবন নিয়ে আরো কিছু বেশি লেখা থাকলে একটা দীর্ঘকাল ও কয়েকটি প্রজন্মকে ধরা যেতো। মহাকালের নিরিখে কালের ইতিহাস হয়ে থাকতো এই সংকলন। তবুও হয়ত দ্বিধাহীন ভাবেই বলা যায় সবকিছু মিলে সংকলনটি হয়ে উঠেছে বিনয় মজুমদারের জীবনশিল্পের অনন্য সমগ্র। যা পড়ে মাসের পর মাস আবিস্কারে ও রোমাঞ্চে কাটিয়ে দিতে পারবেন যে কোনো পাঠক।

 

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত