| 20 এপ্রিল 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

আগুনে প্রহর

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
আমি লিখতেছিলাম। 
কাঁধের ওপর দিয়ে লালন বলল, লিখতেছ? 
আমি বললাম, হু। 
আমার মনে পড়লো না যে ঘরটা বন্ধ। আমি চিন্তাও করলাম না যে, হঠাৎ করে একটা লোক ঢুকে পড়লো কিভাবে? আমি এক পলকের জন্যে তাকিয়েছিলাম উত্তর দেয়ার সময়। উত্তর দেয়ার সময় ওই এক পলকের দেখাতেই আমি চিনে ফেলেছি, এই সাদা লুঙি আর ঢোলা জামা পরা লোকটা লালন। আমার ঘরে লালন কিভাবে আবির্ভূত হবেন এমন অসম্ভব বেসম্ভব কথাও আমি চিন্তা করলাম না। স্বপ্নে এতো কিছু চিন্তা করা যায় না। কিংবা যারা পারে স্বপ্নেও চিন্তা করতে হয়ত পারে। জীবনেও তো চিন্তা করতে পারে না অনেকে। বলে, এতো কিছু চিন্তা করে চলা যায় নাকি? কিন্তু অনেকেই ভেবে চিন্তে চলতে পারে। আমি মনে হয় স্বপ্নে চিন্তা ভাবনা করতে পারি না। আমি ওই একবার হু’ বলে আবার লেখা শুরু করলাম। তাড়া আছে। এইটা লিখে শেষ করতে হবে। শেষ করলে অন্য কাজটা ধরতে পারবো। এই কাজটা শেষ না করে অন্য কাজ ধরতে পারছিলাম না। এখন যেটা লিখতেছি সেটা একটা প্রেমের গল্প। প্রেম করে বিয়ে। বিয়ের পরে স্বামীর টাকার দরকার হয়। ইনায়ে বিনায়ে টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় সাবেক প্রেমিক এবং বর্তমান বৌকে সে একটু হুমকি দেয়। তারপর আস্তে আস্তে চড়থাপ্পড়।  বন্ধুরা বলে এইভাবে হবে না। তোরে আরো কঠোর হইতে হবে। পেট্রল দিয়ে জ্বালায়ে দিতে হবে। আমার উপন্যাসের প্রেমিক পেট্রোল কিনে এনে বাসার সামনে দাঁড়ায়ে আছে। তার দ্বিধা কাটাইতে হবে বাড়ির সামনেই। ভেতরে ঢুকে তাকে আবির্ভূত হতে হবে কঠোর পুরুষরুপে। এমন সময় লালনের আবির্ভাব। বলে কি না ‘লিখতেছ?’ এমন মেজাজ খারাপ হইলো যে মনে হইলো  বলি,  না নাচতেছি। তুমিও নাচবা নাকি? যদিও আমি বলছি ‘ হু’ তারপরও লালন বলল, তা নাচা যায়। আমি স্বপ্নের ভিতরেও অবাক হয়ে বসে থাকলাম। আমি তো এই কথা তারে বলি নাই! তাইলে সে কিভাবে এটা ধরে ফেলল। আমি তখনও উপলব্ধি করি নাই যে এই গ্রাম্য লোক হয় একজন লালন। সে বেঁচে থাকতেই অনেক তত্ত্বকথা, হাগামুতা বুঝে ফেলছিল। আর মৃতদের যেহেতু ভূত ভবিষ্যত সব জানা ফলে তারা অন্তর্যামী হইবেন, সোজা হিসাব। আমি টেবিল থেকে উঠে অভিধান খুঁজতে লাগলাম হাতড়ায়ে হাতড়ায়ে। 
লালন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি খোঁজো? 
আমি বললাম, অভিধান। 
অভিধান দিয়ে কি করবা?
ভূত অন্তর্যামী কি না সেটা দেখব। 
তুমি দেখি আস্ত বোকা। তোমারে তো ভাবছিলাম সেয়ানা। সেয়ানা পাগল। সেয়ানা পাগল ছাড়া তো সাধনা হবে না। 
আমি বোকা?
বোকা ছাড়া কি? গুগল না কইরা তুমি ডিকশনারি খুঁজতেছ কেন? 
অভিধানে দেখবো ভূতের প্রতিশব্দ হিসেবে অন্তর্যামি আছে কি না।
বোকা, অন্তর্যামি ইশ্বরের একার কপিরাইট। ওতে কারো হাত নেই। তুমি ছেড়ে দাও। চোখ বন্ধ করে হাতড়াইতেছ দেখতে ভালো লাগতেছে না।
যে কাজের যে নিয়ম।
মানে?
অভিধান চোখ বন্ধ করে খুঁজতে হয়।
আরিব্বাস। তুমি তো দেখি ভালোই পাগল আছো। হবে, তোমারে দিয়াও হবে। সেয়ানা পাগল না হইলেও চলে যদি ভালো মাত্রার পাগল হয়। তোমার মধ্যে সেই পাগলামি আছে। 
এই পাগলা বুড়ো শালা যাবে কখন? আমি ভাবতে থাকি আর সারা ঘর হাতড়াতে থাকি। এও ভালো যে আমি চোখ বন্ধ করে আছি। বুড়োটারে দেখা লাগতেছে না।
আর কি কি নিয়ম আছে বলো দেকিনি। 
আর কোন নিয়ম নাই। আপনারে দেখতে ভালো লাগতেছে না বলে চোখ বন্ধ করে আছি।
আমার কথা শুনে লালনের চোখে পানি চলে আসলো মনে হয়। আমি গাল দিলাম মনে মনে,  ঢ্যামনা শালা! এতো সাধন বোধন শেষে এই হাল। সাধনার দেখি স-ও হয় নাই।দেখতে ইচ্ছে করতেছে না বলতেই কেঁদে ভাসাচ্ছে। মহাজ্বালা তো!
দেখতে ইচ্ছে করতেছে না সেটা বললেই হতো। আমি চলে যেতাম।
এতো চিন্তা ভাবনা করা যায় না স্বপ্নে। যেটা মনে আসছে করে ফেলছি, বলে ফেলছি। আর আপনি এতো সেন্টি খান কেন কথায় কথায়? দেখতে ভালো লাগতেছে না তো লাগতেছে না। তো হইছেটা কি? এই যে এত শক্তিশালি,  আমেরিকা পেসিডেন্ট, তারপরও ট্রাম্পরে লোকে দেখতে পারে না। তাতে কি সে সেন্টি খায়? উল্টে অন্যরে ধমকায়।
লালন বলে উঠলো, আরে কিসের সাথে কি? ট্রাম্প অনেক বড় ব্যাপার তার সাথে আমারে টানা কেন? তাছাড়া গাঁজায় দম দিলে ট্রাম্পও সেন্টি হয়া যাইতো।
আরেব্বাস! আপনি গাঁজা খাইছেন নাকি? 
শুধু আমি না। তুমি খাইছো একখান।
আমি কোন কথা না বলে মাথা নিচু দিয়ে হাতড়াইতে থাকলাম ব্যাপারটা লুকানোর জন্যে। 
অভিধান খুঁজে পাইলা?
পাইলে তো আপনি দেখতেনই। 
বাদ দাও। কি লিখতেছ ব্যাপারটা শোনাও।
যতটূকু হইছে ততটুকু তারে শোনাইলাম। স্বপ্নে ইচ্ছা অনিচ্ছা তেমন থাকে না। বুড়া ব্যাটা আমারে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতেছে। নাহ, এই স্বপ্নটা দিনে দুপুরে আমারে মারা দিয়ে গেল।
খারাপ হয় নাই। কিন্তু তোমার নায়ক রইদের মধ্যে আর কতক্ষণ, বাড়িতে ঢুকাইয়ে ফেলাও।
 বাইরে থেকে ঠিক করে লেখা যাবে না। লেখার ভিতরে যেটা ঘটার ঘটবে।
মানে? লিখতে লিখতে যেখানে কাহিনী যায় যাবে, সেরকম কিছু বলতেছ?
হু।
আবার হু! ঠিক আছে। তুমি লিখতে থাকো। আমি পড়তেছি।
এতক্ষণ ভূতের সাথে থেকে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি, ফলে কিছু কিছু চিন্তা করা শুরু করছি। আসলে প্রথমে একটু থতমত খেয়ে গেছিলাম। একজন আমি মাথা খাটাইয়া বললাম, আপনি পড়বেন কিভাবে? আপনি তো পড়াশোনা জানেন না!
জানি না মানে? এতো এতো জ্ঞানের কথা তাইলে কইলাম ক্যামনে? এতো তত্ত্বকথা!
তা ঠিক। আমি ভুল শুধরায়ে বললাম, মানে অক্ষরজ্ঞান আর কি। আপনি তো লিখতে পড়তে পারে না। মানে পারতেন না আর কি।
উনি লজ্জা লজ্জা ভাবে হেসে বললেন, আরে ওইপারে অনেক সময়, আর সুবিধা পাওয়া গেল বলে শিখে ফেললাম। এখন কত কিছু পড়ার আছে। সময় কাটানো কোন ব্যাপারই না।
কিসের সুবিধা পাইছেন?
হরিনাথ বাবুরে পাওয়া গেল তো,  তাই!
আচ্ছা, ঠিক আছে। আমার অসুবিধা নাই। পেছনে দাঁড়ায়ে পড়েন। লেখার সময় আমি টের পাই না।
ঠিক আছে।
কিন্তু একটা কথা?
কী?
খবরদার, ডাক টাক দিবেন না।
আচ্ছা, আচ্ছা।
খাতার পাতায় গল্পের বাকি অংশ:
দরজার সামনে কাকাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চেঁচিয়ে উঠলো বাতেনের বড়ভাই হাতেমের ছেলে যাবেদ। 
ও কাকা, তোমার হাতে কী? 
কেরোসিন?
ক্যান, কী হবে?
মজা হবে। দেখবি।
হু।
আয়। 
বাতেন যাবেদের হাত ধরে পুকুরের দিকে এগিয়ে যায়। 
পানিতে আগুন ধরাইয়া দিমু, দেখবি। 
কই দেখি!
এই দ্যাখ। বাতেন হাতের বোতল উপুড় করে দেয় পুকুরের পাড়ে। তারপর পকেট থেকে ম্যাচ বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে পুকুরের পানি। যাবেদ আনন্দে হাততালি দেয়। 
দেখছিস, পানিতেও আগুন ধরানো যায়। 
যাবেদ দেখতে থাকে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে,  আর বাতেন তার হাত ধরে থাকে। যেভাবে লাফাচ্ছে সে পড়ে যেতে পারে। ভ্যাগিস বাতেনকে ডাক দিয়েছিল।  নইলে আজ কি হয়ে যেত তার কি আর ঠিক আছে। শয়তানে ভর করেছিল তার মাথায়। ঠিকই বাতেন আগুন ধরিয়ে দিত রুমার গায়ে। কিচ্ছুক্ষণ পর কেরোসিন পুড়ে গেলে আগুনও নিভে যায়। বাতেন যাবেদকে কোলে তুলে নেয়। বড় বাঁচা বেঁচে গেছে সে আজ এই দেবদূতের জন্যে। 
কাকা, এইটা কি?
রাখ, রাখ শয়তান।
আমি কাকিরে কয়ে দেব। তুমি সিগারেট খাও।
কস নে, কস নে। আমি তোরে মিস্টি খাওয়াবো নে।
কাকি জামা বানায়ে দেবে কইছে।
আচ্ছা বাবা, আচ্ছা। এই যে আমি ফেলে দিলাম। এইবার হইছে? আর কইস নে কাকি রে। ঠিক আছে?
আচ্ছা।
বাড়ি ফিরে যাবেদ বাতেনের কোল থেকে নেমে পড়ে।  কাকি কাকি বলে চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকে। বাতেন শুনতে পায় সে তার কাকির কাছে সবিস্তারে বলছে তার কাকার পকেটে সিগারেটের উপস্থিতির কথা। 
সমাপ্ত
এইটা কী করলে?
আমি চমকে উঠলাম। মনেই ছিল না একজন আমার ঘরে ছিল। চমকে ওঠার পর যে চমকে দেয় তার ওপর রাগ হয়।আমি ধমকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন কী হয়েছে?
শেষটা এমন মোলায়েম দিলে কেন?
মোলায়েমের কী আছে? এখন কী তাহলে আগুন লাগায়ে দিতে হবে? তাই হয় নাকি?
তাই-ই হয়। পত্রিকা পড়ো না? যৌতুকের জন্যে গায়ে আগুন লাগায়ে দেয়ার ঘটনা কি চোখে পড়ে না?
কত শত বিয়ে হয়। সবাই কি আর বউয়ের গায়ে আগুন লাগায়ে দেয়? 
যে বাজার থেকে কেরোসিন কিনে আনে সে দিতে পারে।
দিতে পারে কিন্তু দেয় তো নাই।
সে তুমি ভগিজগি দিয়ে লিখছ মোলায়েম করে, তাই।
‘আমি ভগিজগি করে লিখছি?’ আমার রাগ হয়। ‘যান, আপনি বিদায় হন।’- বলে আমি ঘর থেকে বের হয়ে আসি।
ঘর থেকে বের হয়ে এসে ভালোই হয়েছে। নইলে আজ একটা কিছু হয়ে যাইতো। বলা যায় না সাথীর গায়ে আগুন লাগায়ে দেয়ার ব্যবস্থা মনে হয় করে ফেলতামই। এখন তো প্লানটা স্বপ্নেও আসতে শুরু করেছে। অবশ্য তাতে কিছু শুকনো ভেষজ উপাদানের অবদান আছে। সাথী আমার স্ত্রী। তাকে আমি জয় করতে পেরেছি আমার পিতৃভাগ্যে। বাপ মরা মেয়ে সাথী পিতার স্নেহ পেতে প্রতিজ্ঞা করেছিল এমন ছেলেকে বিয়ে করবে যার বাবা বেঁচে আছে। পছন্দের ছেলেদের মধ্যে আমি ছিলাম আর সোহান ছিল।  সোহান টপার কিন্তু ছেলেবেলায় বাবা মারা গেছে ওর। তাই সাথীকে আমিই পেয়েছি। প্রেম ভালোবাসা অন্যান্য সবকিছু ছাড়াও পিতা বেঁচে থাকাটাও যে প্রেমের ক্ষেত্রে বড় যোগ্যতা তা সাথী না বললে জানা হতো না আমার। সাথী অকপটে শুধু আমাকে বা সোহানকেই বলেনি, অকপটে বাবাকে বলেছে আমার যত সাধন ভজন সম্পর্কে। ফলে বাবা আমাকে তাজ্য করেছেন। আমি এই বাড়িতে থাকতে পারছি সাথীর খাতিরে।  এই বাড়ির ছেলে হয়েও আমি আছি জামাই স্ট্যাটাসে। ঘরজামাই। বাবার বয়স হয়েছে। নানারকম ব্যবসার ধকল আর সামলাতে পারেন না। এদিকে আমাকে টাকা পয়সা দিয়ে বিশ্বাস করতে রাজি নন বাবা বা সাথী। তাই বাবার সাথে সাথী আড়তে বসছে। হাত খরচের জন্যে আমাকেই হাত পাততে হয় সাথীর কাছে। আর সহ্য হয় না। পরের ধনে পোদ্দারি করার মজা আজ ওকে দেখাবো। বসারঘরে কার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে? সাথীর? 
কি ব্যাপার তুমি এখনও বাড়িতে আজ? তুমি তো বিকেল হলেই ছাইভষ্ম গিলতে তোমার বন্ধুবান্ধবের কাছে যাও।
আমার কিছু টাকা লাগবে। 
টাকা আমার কাছে নেই। টাকা লাগলে আব্বার কাছে বল।
তুমি টাকা দেবে কি না বলো?
তোমার ওইসব খাওয়ার জন্যে টাকা আমি দেব না।
আমার বাপের টাকা, আমি যা খুশি করবো, তোমার কী?
যাও, বাপের কাছ থেকে নাও। আমার কাছে কী?
সাথী, বাড়াবাড়ি করো না। ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।
কি করবে তুমি? হ্যাঁ,  কি করবে?
দেখতে চাও, দেখতে চাও।
রান্নাঘর থেকে কেরোসিনের টিন এনে কখন ঢেলে দিলাম আর কখন দেয়াশলাই জ্বালিয়ে দিলাম তা বোঝার আগেই সাথী পরিণত হলো এক অগ্নিকুণ্ডে। চিৎকার করতে লাগলো, আমার জ্বলে যাচ্ছে, আমার সব জ্বলে যাচ্ছে।
আমি তোমাকে আগুন দিতে চাইনি, সাথী আমি তোমাকে আগুন দিতে চাইনি, বিশ্বাস করো আমি আগুন দিতে চাইনি।
এ্যাই, কি বলতেছ আবোল তাবোল। এ্যাই, এ্যাই?  উপর্যুপরি ধাক্কা আর ডাকাডাকিতে ধড়মড় করে উঠে বসে আনোয়ার। দেখে সে বসে আছে তার বিছানায় আর আলুথালু সাথী উদ্বেগের সাথে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
বিশ্বাস করো সাথী আমি তোমাকে আগুন দিতে চাইনি-বলে সাথীর দু-হাত জড়িয়ে ধরে আনোয়ার। পরম মমতায় সাথী বুকে মাঝে জড়িয়ে ধরে মানুষটাকে। পত্রিকায় একটা মেয়ের আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলার খবর পড়ার পর পরই মানুষটা কেমন জানি হয়ে গেছে। 
কি হলো বৌমা? ও বৌমা কি হলো?
কিছু না আব্বা, আপনি শুয়ে পড়েন, আপনার ছেলে দুঃস্বপ্ন দেখেছে। 
শ্বশুরের পদধ্বনি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে সাথী মৃদুস্বরে বলে, সব ঠিক হয়ে যাবে। সব ঠিক হয়ে যাবে। স্ত্রীর বুকের সাথে চুপটি করে থাকা আনোয়ারেরও মনে হয় সত্যিই সব ঠিক হয়ে যাবে। সাথী যখন বলছে, নিশ্চয়ই সব ঠিক হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত