| 20 এপ্রিল 2024
Categories
ইতিহাস

ভারতের স্বাধীনতা ও বিসমিল্লার সানাই

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

অনিরুদ্ধ সরকার

 

১৫ অগাস্ট,  ১৯৪৭। সমঝোতার স্বাধীনতা পেল ভারত।স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানালেন খান সাহেব ও তাঁর ভাইকে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ,  দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি পদযাত্রা হবে আর সেই পদযাত্রায় সানাই বাজাতে হবে খান সাহেবকে। খান সাহেব প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। বললেন, ‘একমাত্র মহরমের দিন ছাড়া আমি কখনই দাঁড়িয়ে সানাই বাজাই না।’‌ পণ্ডিত নেহরু খান সাহেবের এই উত্তর শুনে হতাশ হলেন। নেহেরুও দমে যাওয়ার পাত্র নন। তা নেহেরুজী আবার অনুরোধ করলেন খান সাহেবকে এবং  বোঝালেন দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব। শুধু তাই নয় নেহেরুজী খান সাহেবকে বললেন- “সেই ঐতিহাসিক পদযাত্রায় আপনি প্রথমে  সানাই বাজাতে বাজাতে যাবেন আর পুরো দেশ আপনার পেছনে হাঁটবে। পদযাত্রার প্রথমে আপনি। দ্বিতীয় সারিতে থাকবেন রাষ্ট্রপতি ও তারপরের সারিতে থাকব আমি ও অন্যান্যরা। পদযাত্রা শেষ হবে লালকেল্লায়।”

খান সাহেব অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝলেন এবং সম্মতি দিলেন।

সেদিন রাগ ভৈরবিতে বাজল ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম…..’  খান সাহেব গান্ধীজীর দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন।  লর্ড মাউন্টব্যাটেন অবধি সম্মানের সাথে এই ঘটনাকে লিপিবদ্ধ করেছেন।

ভারতে টিভি সম্প্রচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি ঐতিহ্যেরও প্রতিষ্ঠা হয়। লালকেল্লা থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীরা তাদের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ শেষ করলে, দূরদর্শনে লাইভ শোনানো শুরু হয় বিসমিল্লার সানাই। স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে এভাবেই জড়িয়ে গেছিলেন খান সাহেব। অনেকটা বাঙালির রেডিওতে মহালয়া আর বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মত।

খান সাহেব বারবার বুঝিয়েছেন, যেমন সুরের কোনও ধর্ম হয় না, তেমনি শিল্পীরও কোনও ধর্ম হয় না।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত