পড়াশোনা ফেলে বেড়াতে এসেছে সামার। গানের ভনিতা শুনে শুনে যারা গান চেপে গিয়েছিল ভোরবেলা আবার গাইছে তারা…
বহুকাল আগে তবে এরকমই ছিল জীবাণুদের গানের পৃথিবী! বাঘছালে লেগেছিলো ডোরাকাটা জঙ্গলের ফেউ! রাজাদের মৃগয়াও ছিল! ছিলো মাছভেরী আর জোয়ারের টান..
গাঙুরের ঢেউএ তখন ভাসতো নাকি জলের বেহুলা! সাপে কেটে যেতো প্রিয়তম! স্বর্গ থেকে যারা ফিরিয়ে আনতো সদ্য ভেজা প্রাণ!
মানবিক পৃথিবীতে তাই দলবেঁধে পাখিরা আটকে দিচ্ছে সব ভ্যাকসিন, পাড়ায় পাড়ায় তাড়িয়ে দিচ্ছে সব নার্স, কাঠবেড়ালিরা ঠুকরে নিচ্ছে সব সংক্রমনরোধী মাস্ক। রানু মন্ডলের গানের মতো ইষ্টিশানে ইষ্টিশানে কারা করে দিচ্ছে সব ভাইরাল…
চিরতাপপ্রবাহের সভা শেষে
চিরতাপপ্রবাহের সভা শেষে তুমুল বাদ্য হচ্ছে আজ। থরে থরে সাজানো হয়েছে ছিন্ন কুঁড়ির মতো মুন্ডা উপাচার। দুপাশে আয়োজন হচ্ছে কাশা ও পিতলে। উৎসর্গ পৃষ্ঠার আগে লেখা হচ্ছে সমর্পণ ও ভঙ্গিমার রীতি। উন্মোচিত হচ্ছে এক মলাটের নদী, মোহনা ও অন্ত্যমিল। অক্ষরের শানবাঁধা দুই তীর নেমে যাচ্ছে ডহরের জলে।
চিরতাপপ্রবাহের সভা শেষে জুড়িয়ে রয়েছে মঞ্চ। নিজে থেকেই ভারি হয়ে উঠেছে সন্ধ্যের বাতাস। সমাপণি গেয়ে আর্দ্রতার ফ্লাইজোন ধরে সে উড়ে যাচ্ছে অন্য কোথাও। ঈশানের মেগাসিরিয়্যাল শেষে জমাট মেঘেরা নামছে ঘরে ঘরে।
আঁচলের খুঁট ধরে এসেছে সে। ছায়াময় দিনের আকুতি নিয়ে।বিকেলের আলোর ঘুঙুর ধরে ছুটে যাচ্ছে শ্রাবণসঙ্গীত, ধুয়ে যাচ্ছে সব উপাচার, অপেক্ষার অন্ত্যবালি, বিরহবাহার, মালাটের নীচে চাপা পড়ে আছে যার সরযূ তটের দোঁহা, কহ্তে কবীরা…. ধুয়ে যাচ্ছে পঙ্কিল তাপ…
চিরতাপপ্রবাহের অন্তহীন ধরে মেঘেরা কোথায় যায়, কোথায় জমাট বাধা শত জল ঝর্নার ধ্বনি, কোথায় ব্যর্থ গীতিকা আর বিয়োগের রিড! হারমোনিয়াম জুড়িয়ে বসেছে আজ সব মেঘ। উৎসর্গ পৃষ্ঠার শেষে শুরু হচ্ছে রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ ….
২৭ অক্টোবর,১৯৬৫
জন্মস্থান-
মনুভ্যালি চা বাগান, কৈলাসহর, ত্রিপুরা।
শিক্ষা-
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ।
পেশা-
তথ্য আধিকারিক (ত্রিপুরা সরকার)।
প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ –
উনকথন , খন্ড পাড়ায় জলবার্ষিকী , ধর্মগোধূলী, নিরিবিলি সেন্ট আইটেমস, শ্রেষ্ঠ কবিতা, বিকেলের হার্টক্রেন